Friday, 5 April 2019

এসিডিটির সহজ সমাধান, Simple solution acidity

এসিডিটির সহজ সমাধান
এসিডিটির সহজ সমাধান
বর্তমানে এসিডিটির সমস্যা একটি সাধারণ সমস্যা। যাকে আমরা পেটে গ্যাসের সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করি। দীর্ঘদিন খাবারে অনিয়মের ফলে এসিডিটি দেখা দেয়। এছাড়াও অবশ্য আরও অনেক কারণ আছে। সাধারনত অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার পেটে গ্যাস উৎপাদন করে।

পেটে গ্যাসের আক্রমণ কেন হয়, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকলে আপনি সহজেই অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে পারেন। আঁশযুক্ত খাবার ও শাকসবজি বেশি খেলে পাকস্থলী তার সবটা সহজে পরিপাক করতে পারে না। কিছু খাবার অপরিপাক অবস্থায় চলে যায় ক্ষুদ্রান্ত্রে। সেখানে কিছু ব্যাকটেরিয়া ওসব খাবার খায়। এদের আয়ু খুব কম। মৃত ব্যাকটেরিয়াগুলো থেকে গ্যাস তৈরি হয়। আর অস্বস্তির কারণ এটাই।

সম্পূর্ণ গম বা আটা দিয়ে তৈরি খাবারগুলো পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে। আটা বা ময়দা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পিঠা, বিস্কিট ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য পরিত্যাগ করুন।

ফল এবং সবজি কাঁচা খাওয়ার পরিবর্তে সেদ্ধ বা রান্না করে খান। পেটের গ্যাস এতে কমে যাবে অনেকটাই।

পেটে গ্যাস হলে তরকারিতে সামান্য বেশি পরিমাণে হলুদ দিন। হলুদ পেটের গ্যাস কমাতে খুবই সাহায্য করে।

এছাড়া গ্যাস সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যা যা খাবেন :

শসা শসা পেট ঠান্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।

দই দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।

পেঁপে পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।

কলা ও কমলা কলা ও কমলা পাকস্থলীর অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও কলার স্যলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে।

আদা আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।

জিরা পাকস্থলীর এসিডকে নিরপেক্ষ করে পেটের ব্যাথা দূর করতে এবং হজমক্রিয়ায় জিরা চমৎকার কাজ করে। দেড়কাপ পানিতে এক চা চামচ করে জিরা, ধনে ও মৌরী গুঁড়া এবং সামান্য চিনি মিশিয়ে খালি পেটে খেতে পারেন অথবা এক গ্লাস পানিতে সামান্য জিরার গুঁড়া মিশিয়ে বা ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে প্রতিবেলা খাবার পর খেতে পারেন।

আপেল সাইডার ভিনেগার

এর ক্ষারধর্মী প্রভাব পাকস্থলীর এসিডিটির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ১-২ চা চামচ অশোধিত ভিনেগার এক কাপ পানিতে মিশিয়ে খাবার আগে বা দিনে এক বা দুইবার খেতে পারেন।

মাঠা এতে থাকা ল্যাক্টিক এসিড পাকস্থলির এসিডকে স্বাভাবিক করে। সারাদিনে কয়েকবার শুধু মাঠা খেলে বা সাথে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়া অথবা এক চা চামচ ধনেপাতার রস মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায় আবার আধা থেকে এক চা চামচ মেথি সামান্য পানি দিয়ে পেস্ট করে এক গ্লাস মাঠার সাথে মিশিয়ে খেলে অ্যাসিডিটির পেট ব্যথা দূর হয়।

খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পানি পান করতে হবে, এতে খাদ্যনালী সচল হবে ও পাকস্থলী খাবার গ্রহণের উপযোগী হবে। সকালে খালি পেটে ইসপগুলের সরবত পেটের গ্যাসের সমস্যার জন্য উপকারী।

খাওয়ার পর সামান্য হাঁটাহাঁটি করলে পেটের গ্যাস সিস্টেমের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। ধূমপান, এলকোহল ও চুইংগাম চিবানো বাদ দিতে হবে।

এছাড়া মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। নিয়মিত রাতে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। যেসব খাবার পেট ঠাণ্ডা রাখে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সে রকম খাবার রাখতে হবে। খাবার পরিবর্তনের পরও যদি পেটের সমস্যা সমাধান না হয়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

0 comments:

Post a Comment

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে? - Improve baby mental growth

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে? মা-বাবা হিসাবে আপনি তো নিশ্চয় চান যে পড়াশোনায় আপনার বাচ্চা দারুণ কিছু করুক। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছ...