Skin care regular tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

Health and Skin Care Tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

Health and Skin Care Tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Sunday 25 August 2019

খুব সহজেই দূর করুন ব্রণ এবং ব্রণ এর দাগ - Remove acne and acne scars very easily



আমরা ব্রণ সমস্যায় ভুগি নি এরকম মানুষ খুব কমই আছি। পার্টিতে যাবেন অনেক টাকা খরচ করে সাজগোজ করলেন। কিন্তু আপনার সাজের চেয়ে ব্রণ বা ব্রণের দাগ গুলোই বেশি ফুটে উঠেছে। মনটাই খারাপ হয়ে গেল। এত চেষ্টা করার পর ও কিছুতেই দূর করতে পারছেন ব্রণ আর তার জেদি দাগ গুলো। আপনার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমাধান, একবার চেষ্টা করেই দেখুন।

কাঁচা-হলুদ ও চন্দন কাঠের গুঁড়াঃ সমপরিমাণ কাঁচা হলুদ বাটা এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি এরপর ব্রণ এর উপর লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এরপর শুকিয়ে গেলে মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও খুবই কার্যকরী।

মুলতানি মাটিঃ অনেকের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব ব্রণ এর জন্য অধিকাংশ সময় দায়ী।কারণ তৈলাক্ত গ্রন্থির তেল নিঃসরণ এর কারনে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এ সমস্যা বেশী দেখা যায়। মুলতানি মাটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে।মুলতানি মাটি পানি দিয়ে পেস্ট করুন। মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। যতদিন না ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কেটে যাচ্ছে, নিয়মিত ব্যবহার করুন।

চা-গাছের তেলঃ ব্রণ নিরাময় ও প্রতিরোধে চা গাছের তেল অনন্য। এতে আছে পচনরোধী অ্যান্টি-সেপটিক ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। কয়েক ফোঁটা চা গাছের তেল নরম টিস্যু তে নিয়ে ব্রণ আক্রান্ত স্থানে এবং দাগের মধ্যে আলতো করে লাগান। দেখবেন কয়েকদিনের মধ্যে সেরে উঠেছে।

আপেল ও মধুর মিশ্রনঃ আপেল পেস্ট করুন এবং তাতে ৫/৬ ফোটা মধু মেশান। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। একটু শুষ্ক হয়ে উঠলেই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার করে ১ সপ্তাহ ব্যবহার করুন। এক সপ্তাহ পর পরিবর্তনটা আপনিই লক্ষ করুন।

তুলসী পাতাঃ তুলসী পাতা ব্রনের জন্য খুবই কার্যকরী। এতে রয়েছে আয়ূরবেদিক উপাদান। তুলসী পাতা পেস্ট করে ব্রনের উপর লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ৭ থেকে ৮ দিন নিয়মিত ব্যবহার করুন।

দারুচিনিঃ দারুচিনি গুঁড়ার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট করুন। এটি ব্রনের উপর  লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তাৎক্ষণিক ভাবে ব্রনের ফোলা ভাব এবং ব্যথা দূর করবে। নিয়মিত ব্যাবহারে ব্রণ নির্মূল করে। ৩ দিন ব্যবহার করার পর পরিবর্তন টা আপনি লক্ষ করুন।

ডিমের সাদা অংশঃ ডিমের সাদা অংশের সাথে কিছু লেবুর রস মিশান। মিশ্রণ টি ব্রণ আক্রান্ত স্থানে ম্যাসেজ করুন। আধা ঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ১ সপ্তাহ ব্যবহার করুন।

পুদিনা পাতাঃ আমরা অনেকেই জানিনা পুদিনা পাতা ব্রণ দূর করতে বেশ উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে পেস্ট করুন। ব্রণের উপর ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। যতদিন ব্রণ দূর না হয় ততদিন ব্যবহার করুন।

নিম পাতাঃ কয়েকটি নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে পেস্ট করে নিন। এর মধ্যে এক চামচ মুলতানি মাটি, অল্প গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। প্যাকটা মুখে শুকিয়ে গেলে হালকা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। ৭ থেকে ৮ দিন মুখে ব্যবহার করুন।

ব্রণ হবার একটি অন্যতম কারণ হলো অপরিষ্কার ত্বক। তাই ত্বক রাখতে হবে পরিষ্কার। যারা প্রতিদিন বাইরে বের হন, বাহির থেকে এসেই মুখ ভালোভাবে পরিস্কার করুন। ধুলাবালি মুখের লোমকূপ এর মধ্যে ঢুকে ব্রনের সৃষ্টি হয়। যতটা সম্ভব তেলজাতীয় এবং ফাস্টফুড খাবার পরিহার করুন। প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি পান করুন। আপনার ত্বক থাকবে সতেজ।

আর হ্যাঁ যারা অনেকদিন চেষ্টা করেও ব্রণ দূর করতে পারছেন না, অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায় - Brighten face and skin



আসসালামু আলাইকুম পাঠক

আমি আজকে আলোচনা করবো খুবই গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয় নিয়ে এবং সেটি হচ্ছে মুখের উজ্জলতা বাড়ানোর কিছু ঘরোয়া টিপস :

চলুন দেড়ি না করে শুরু করা যাক।

প্রথমে কিছু কথা :
মুখের উজ্জলতা বেড়ে মুখ ফর্সা ও দাগহীন থাকুক এইটা আমরা সবাই চাই। বিষেশ করে মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যাটি বেশি লক্ষ্য করা যায় এবং এই নিয়ে তারা খুব দুশ্চিন্তা ও করে থাকেন। পার্লারের অনেক প্রসাধনী ব্যাবহার করেন কিন্তু সেগুলো ত্বকের জন্য আরো বেশি ক্ষতিকর হয়ে উঠে। কিন্তু এই সমস্যা সম্পরকে তারা কিছু না বুঝেই নানা প্রসাধনী ব্যবহার করেন।

প্রথমত মুখের উজ্জ্বলতা কতটুকু বাড়বে অথবা কমবে সেগুলো নির্ভর করে আমাদের নিত্যদিনের জীবন যাপনের মাধ্যম গুলোর উপর। আমরা প্রতিদিন আমাদের জীবনে নানা ধরনের কাজের মধ্যে থাকি। তবে সেগুলো পেশা ভিত্তিতে ভাগ করা থাকে।

কেউ বা ব্যাংকার আবার কেউ বা গ্রিহিনী। পেশা যার যেটাই হোক না কেনো মুখের স্কিনের যত্ন নেওয়া  আমাদের প্রতিদিনই  দরকার। কিন্তু কর্ম ব্যস্ততার জন্য তা ঠিক নেওয়া হয় না। যার ফলে ধীরে ধীরে আমাদের মুখের স্কিন অনেক রাফ হয়ে যায়। স্কিনের মস্রিনতা চলে যায় এবং মুখের স্কিন তার সাভাবিক উজ্জ্বলতা হারায়। মুখের রঙ কালো হয়ে যায়,  চেহারাতে দাগ,  ছোপ বেড়ে যায়।

খুব অল্প সময়েই মুখে বলিরেখা দেখা দিতে শুরু করে। তাই এসব কিছু থেকে স্কিনকে রক্ষা করতে প্রতিদিন কিছু ঘরোয়া রুপচর্চা করলে স্কিনের সকল সমস্যা দূর করা সম্ভব। সেই সাথে কিছু ছোট ছোট নিয়ম মেনে চললে স্কিন খারাপ অথবা অমসৃণ হয়ার কোনো সুযোগ বা ভয় থাকবে না।

চলুন কিছু ঘরোয়া রুপচর্চা জেনে নেই :

রুপচর্চা ১ : আলু পেষ্ট 
আলু মুখের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়া আমারা সকলেই জানি আলুর রস চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে অনেক ভালো কাজ করে থাকে।  ঠিক তেমনি মুখের লোম কুপে জমে থাকা ময়লা দূর করে মুখের ত্বক করে তুলে আরো ফরসা ও দাগহীন। ১ টি আলু ভালো করে সিদ্ধ করে তা খোসা ছাড়িয়ে চটকিয়ে তার সাথে ২-৩ চামচ টক দই মিশিয়ে ১ টি ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন।

তারপর মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে তাতে মিশ্রণটি ভালো করে মাসাজ করে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকে জমে থাকা ময়লা,  ধুলো গুলা লোমকূপ থেকে পরিষ্কার হয়ে মুখ আরো উজ্জ্বল ও ফরসা হবে। সেই সাথে মুখে কোনো দাগ থাকলে তা ধীরে ধীরে চলে যাবে। এই উপায়টি সপ্তাহে ৩ দিন করলে খুবই ভালো ফলাফল পাবেন।

রুপচর্চা ২ : মুসুর ডাল পেস্ট 
আমাদের আজকের মুখের উজ্জ্বলতা সমস্যার দিত্বীয় সমধান হচ্ছে মুসুর ডাল। আমরা সবাই জানি মুসুর ডাল আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে অনেকটা কার্যকরী পন্থা। মুসুর ডাল ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তারপর তা বেটে নিয়ে অথবা ব্লেন্ডারে পিশিয়ে নিয়ে তাতে ১ চামচ চন্দন গুড়ো মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট বানিয়ে নিন।

তারপর মুখ পরিষ্কার পানি দিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন অথবা গোলাপ জল দিয়ে ও ধুতে পারেন। মুখ শুকিয়ে নিন তারপর মিশ্রণ টি পুরো মুখে ভালো করে মাসাজ করে লাগান। ৫-৭ মিনিট মাসাজ করুন। তারপর ১৫ মিনিটের জন্য মিশ্রণটি মুখে রেখে দিন। ১৫ মিনিট পর মুখ ভালোকরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন এই উপায়টি অবলম্বন করুন। আশা করি এতে খুব ভালো ফলাফল পাবেন।

রুপচর্চা ৩ : বেকিং সোডা 
বেকিং সোডা খাবারের সাথে আমরা ব্যবহার করে থাকলেও এই বেকিং সোডা আমাদের মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে অনেক টা কার্যকর। বাকিং সোডা মুখের ময়লা দূর করে মুখের উজ্জলতা বাড়ায়। ১ চামচ বেকিং সোডার সাথে ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রন টি ৬-৭ মিনিট রেখে দিন।

এই সুযোগে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন ঠান্ডা পানি দিয়ে। তারপর তুলো দিয়ে গোল আকারের বল বানিয়ে নিন অথবা তুলো সেই মিশ্রনে ৫ মিনিট এর জন্য ভিজিয়ে রাখুন। ৫ মিনিট পর সেই তুলো দিয়ে আলতো করে মুখে মাসাজ করুন। ২ মিনিটের বেশি মাসাজ করার প্রয়োজন নেই। তবে খুব চেপে চেপে মাসাজ করবেন না। ৫ মিনিট মাসাজ করে তারপর মুখ হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই উপায়টি সপ্তাহে ১ দিন করলেই যথেষ্ট।

ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার কিছু উপায় : 
রোদে বের হওয়ার আগে সান্সক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে Lotus Sunscreen lotion / Cream ব্যবহার করতে পারেন। এটি সান্সক্রিন ক্রিম হিসেবে খুব ভালো কাজ করে।
রাতে ঘুমানোর আগে ভালো ব্রান্ডের নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে v7 tonight light cream টি ব্যবহার করতে পারেন। এটি খুব ভালো ব্রান্ডের পাশাপাশি বাজারে খুব অল্প সময়ে বাজার দখল করে নিয়েছে।

বেশি রোদে ছাতা ব্যবহার করুন এতে রোদ থেকে ত্বক রক্ষা পাবে এবং সানগ্লাস ব্যবহার করুন। এতে রোদে চোখে রশ্নি পরবে না।

উপরের নিয়ম গুলো মেনে চললে ত্বকের উজ্জলতা বাড়ার পাশাপাশি ত্বকের সাস্থ্য ও  ভালো হবে।

তেলতেলে ত্বক থেকে মুক্তি পান মাত্র ২ মিনিটে - Oil free skin



আসসালামু আলাইকুম পাঠক

আমি আজকে আলোচনা করবো খুবই গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয় নিয়ে এবং সেটি হচ্ছে মুখের তেলতেলে ভাব দূর  করে ত্বক আরো ফরসা ও লাবন্যময় করে তোলার কিছু ঘরোয়া টিপস :

চলুন দেড়ি না করে শুরু করা যাক।

প্রথমে কিছু কথা :
মুখের দাগ ছোপ বাদ দিয়ে পরিষ্কার এবং ফ্রেশ আমারা সকলেই রাখতে চাই। মুখ ফর্সা ও দাগহীন থাকুক এইটা সবারই কাম্য । তবে, ত্বক যখন খুব তেলতেলে হয় তখন সেক্ষেত্রে সমস্যাটি হয়ে ওঠে ব্যাপক। তবে সমস্যাটি শুধু মহিলাদেরই নয় পাশাপাশি পুরুষের মধ্যেও লক্ষ্য করা যায়। ত্বক যদি বেশি তেলতেলে হয় তবে সেক্ষেত্রে ব্রন,  গোটা এবং নানা ধরনের স্কিন সমস্যা হয়ে থাকেই এবং এই নিয়ে পুরুষ ও মহিলা উভয়ই  খুব দুশ্চিন্তা ও করে থাকেন। পার্লারের অনেক প্রসাধনী ব্যাবহার করেন কিন্তু সেগুলো ত্বকের জন্য আরো বেশি ক্ষতিকর হয়ে উঠে। আর তাছাড়া পার্লারের কোনো প্রসাধনী কি আজও কোনো ভালো সমাধান দিতে পেরেছে???  কখনোই না। বরং এইগুলো আরো বেশি সমস্যার সিষ্টি করে।আর অধিকন্তু মানুষ এই সমস্যা সম্পরকে কিছু না বুঝেই নানা প্রসাধনী ব্যবহার করেন। প্রথমত মুখ তেলতেলে ও ছিপছিপে ভাব হওয়ার বেশ  কিছু কারন রয়েছে। সেগুলো ১ বার দেখে নেওয়া যাক।

কারন : 
১. মুখে অতিরিক্ত লোম থাকা।

২. মুখ পরিষ্কার না রাখা বা ময়লা জমে থাকলে।

৩. মুখ বেশি ঘামলে।

৪. হরমোন জনিত সমস্যা থাকলেও মুখ তেলতেলে  হয়ে থাকে।

৫. অতিরিক্ত ঘাম যাদের হয় তাদের মুখ তেলতেলে থাকে বেশির ভাগ সময়ই এবং তাদের মধ্যেই ব্রনের সমস্যা টি বেশি দেখা দেয় কারন,  ঘাম মুখের লোম কুপের মধ্যে প্রবেশ করে লোম কুপ বন্ধ করে দেয় এবং ময়লা জমে মুখে ব্রনের দেখা দেয়।

উপরের কারন গুলোর জন্যই একজন ব্যক্তির মুখে তেলতেলে ও ছিপছিপে ভাব হয় যা সাধারণত  ব্রন ও অন্যান্য স্কিন সমস্যার  মুল কারন। তাই স্কিন যাতে সবসময় তেলতেলে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং কিছু নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে।

নিচে কিছু করনীয় আছে যেগুলো মেনে চললে তেলতেলে ভাব হওয়ার আশংকা অনেকটা হ্রাস পাবে।

 চলুন করনীয় গুলো এক নজর দেখে নেওয়া যাক।

করনীয় : 
 স্কিন তেলমুক্ত রাখতে হলে অবশ্যই ৩ টি উপায় নিয়মত অবলম্বন করতে হবে।

সেগুলো হলো :

১. স্কিন ক্লিঞ্জিং

২. টোনিং

৩. মোইশ্চরাইজিং।

নিম্নে বিস্তারিত ব্যাখা দেওয়া হল :

১. স্কিন ক্লিঞ্জিং : 
স্কিন ক্লিঞ্জিং বলতে মুলত মুখটাকে পরিষ্কারের ব্যপার টি কে বুঝি। আমরা ঘরোয়া উপায়ে ক্লিঞ্জিং বানিয়ে তা ব্যবহার করবো। তার জন্য আমাদের যা লাগবে তা হল – ১ চামচ বেসন, ১ চামচ মুলতানি মাটি, ১/২ চা  চামচ কাচা হলুদ গুড়া। এই ৩ টি উপাদান ভালো করে মিশিয়ে তাতে ৪ চা চামচ গোলাপ পানি  বা গোলাপ জল মিশিয়ে ১ টি পেস্ট বানিয়ে তা পরিষ্কার মুখে ভালোভাবে মেসেজ করে নিন ৫ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এই সব গুলো উপাদান প্রাকৃতিক এবং এইগুলো তে কোনো পার্শপ্রতিকিয়া নেই বলে এইগুলো আমাদের স্কিনের জন্য উপকারি।

২. টোনিং : 
স্কিন ক্লিঞ্জিং এর পরের ধাপ হচ্ছে স্কিন টোনিং করা। টোনার ও আমরা ঘরোয়া উপায়ে বানিয়ে নিব। আমাদের স্কিন যদি সেন্সিটিভ হয় তাহলে আমরা গ্রিন টি টোনার ব্যবহার করবো। গ্রিন টি গরম পানি তে ১০ মিনিট রেখে দিয়ে তা ঠান্ডা হলে ভালোভাবে ছেকে নিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে তা মুখে স্প্রে করুন এবং শুকাতে দিন এতে করে স্কিন এর ডেড সেলস দূর হবে। স্কিন সতেজ থাকবে। রিংকেলস আসবে না। আর যদি আমাদের স্কিন অয়লি হয় তবে আমাদের জন্য শসা এবং টমেটোর টোনার টি সবচেয়ে কার্যকর। শসার রস এবং টমেটোর রস ভালো করে মিক্স করে স্প্রে বোতলে ভরে মুখে স্প্রে করুন এতে মুখ পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত তেল ও চলে যাবে। আর যদি স্কিন ড্রাই হয় তাহলে গোলাপ জল ও মধুর টোনার টি খুব ভালো হবে। গোলাপ জলের সাথে ১/৩ চা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে স্প্রে করে নিলে মুখের শুষ্কতা কমে যাবে এবং ফেস লাবন্য হবে।

৩. মোয়েশ্চরাইজিং :
মোয়েশ্চরাইজিং বলতে সাধারণত মুখে আমরে যেসকল ক্রিম নাইট ক্রিম ব্যবহার করে থাকি সেগুলো ব্যবহার করাটাই বুঝাচ্ছি। বর্তমানে বাজারে অনেক ভালো ব্রান্ডের ক্রিম বা নাইট ক্রিম পাওয়া যায় যেগুলো মুলত হারবাল। আমরা জানি হারবাল প্রোডাক্ট আমাদের জন্য ক্ষতিকর নয়। কেননা এতে অন্যান্য ব্রান্ডের চেয়ে পার্শপ্রতিক্রিয়া তুলনামূলক সামান্য থাকে যা ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতির আশংখা  থাকে না। যেমন : Lotus Night Cream , V7 tonight Light Cream , Himalaya Night Cream & Patanjali Night Cream , Dove Moistourizing Night Cream ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো অনেক আগে থেকে বাজারে ভালো সুনাম বয়ে আনছে এবং ক্রেতাদের মনও কেড়ে নিয়েছে। এই ক্রিম গুলো রাতে ঘুমাবার আগে মুখে ব্যবহার করুন এবং সকালে মুখ ভালোকরে ধুয়ে ফেলুন।

উপরিউক্ত নিয়মাবলী মেনে চললে এবং ক্ষতিকর উপাদান বা প্রসাধনী  ব্যবহার থেকে বিরত থাকলে মুখের তেলতেলে ভাব কমে যাবে । সেই সাথে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল ও লাবণ্যময়।

আশা করছি আমার লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং ভালো উপকার পাবেন। আপনাদের দোয়ায় আজকে বিদায় নিচ্ছি। তবে আবারো কথা হবে ভিন্ন কিছু সমস্যা এবং তার প্রতিকার নিয়ে।  ভালো থাকুন,  সুস্থ্য থাকুন।

Thursday 15 August 2019

ব্রেইনের জন্য সুখাদ্য: ব্রেইন পাওয়ার বাড়াবেন কিভাবে - Increase brain power



ব্রেইন আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ব্রেইনের যত্ন নেয়ার কথা আমরা তেমন ভাবি না! শুধু অভিযোগ করে যাই আমার মাথা ঠিকমতো কাজ করছে না বা আজকাল আমার কিছুই মনে থাকে না! অন্যান্য অঙ্গের মতো ব্রেইনেরও খাবার, পুষ্টি ও এনার্জি দরকার। টোটাল বডি এনার্জির ২০ শতাংশ ব্রেইন ব্যবহার করে।

তাই আমাদের দৈনিক খাবার মেনু এমন হওয়া উচিত, যেন তা ব্রেইনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও এনার্জি সরবরাহ করতে পারে।
যে খাবার ডায়েট চার্টে রাখতে হবে

স্বাস্থ্যকর ফ্যাট- ব্রেইন গঠন করে

স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হল ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যা ব্রেইনের মেরামত ও নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়া এগুলো আপনাকে নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী করে এবং মানসিকভাবে ভালো অনুভব করায়। ওলিক এসিড ব্রেইনকে ক্ষীপ্র করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট- ব্রেইনকে সুরক্ষা দেয়

খাবারে এ উপাদানের অভাব থাকলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। তাই Antioxidants সমৃদ্ধ খাবারের দিকে নজর দিতে হবে। এর ভালো উৎস হল- সবুজ চা, ব্লুবেরী ও অন্যান্য বেরীজাতীয় ফল, লাল আঙ্গুর, টমেটো, গাজর, রসুন, পালং শাক, whole grains ও সয়া দ্রব্য।

ভিটামিন ও মিনারেলস- ব্রেইনের গঠনকারী ইট

সুনির্দিষ্ট কিছু ভিটামিন ও মিনারেলস ব্রেইনের গঠনে প্রয়োজন। ব্রেইনের কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন হল- Vitamins C, B12 I B6. মিনারেলসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল- ক্যালসিয়াম ও আয়রন। এসব ভিটামিন ও মিনারেলস নিয়মিত খেতে হবে।

আঁশ- ব্রেইনে ফুয়েল সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে

ব্রেইন শুধু গ্লুকোজ থেকেই শক্তি নিতে পারে। রক্তে এ গ্লুুকোজের সরবরাহ ধীর ও নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে আঁশজাতীয় খাবার। ভালো পরিমাণে আঁশ পাওয়া যাবে : শুষ্ক ফল (কিশমিশ, খেজুর, কালো কিশমিশ), বিভিন্ন রকমের শাকসবজি, আস্ত ফল (যেমন- আপেল, কমলা, নাসপতি) whole wheat grains (বার্লি, লাল চাল, বিভিন্ন ধরনের whole wheat pastas and cereals)।

পানি- ব্রেইনকে আর্দ্র রাখে

সামান্য পানিশূন্যতাও মানসিক শক্তি কমিয়ে দেয় এবং স্মৃতিশক্তির ওপর প্রভাব ফেলে।তাই কমপক্ষে ২.৫-৩ লিটার দৈনিক পানি পান করা উচিত।

কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন

কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার serotonin-এর লেভেল ঠিক রাখে। ঘুমের ধরন, মুড, appetite ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্রেইনের কোষ serotonin ব্যবহার করে। এছাড়া অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও নিয়ন্ত্রণ করে serotonin। তাই জটিল কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে।

প্রয়োজন নিয়মিত গ্লুকোজ সরবরাহ

ব্রেইন শুধু গ্লুকোজ থেকেই শক্তি নিতে পারে। নিয়মিত খাবার গ্রহণ না করলে রক্তে গ্লুকোজ লেভেল কমে যায়। ফলে মেমোরি লস হতে পারে। দেখা যায় যারা সকালের নাশতা বাদ দেয় তাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়। খুব তাড়াতাড়ি গ্লুকোজ পাওয়া যাবে আস্ত ফল থেকে, যেমন- আপেল, কমলা, আঙ্গুর ইত্যাদি।

শিম (Fava Beans)

শিমে খুব ভালো পরিমাণে আছে লোভাডোপা। আমাদের ব্রেইন লোভাডোপাকে ডোপামিনে রূপান্তরিত করে।

হার্বস

হার্বস খাবারের স্বাদই শুধু বাড়ায় না, আমাদের চিন্তা-ভাবনায়ও বিশেষ প্রভাব ফেলে। হার্বস স্মৃতিশক্তি উন্নত করে, মানসিক দক্ষতা বাড়ায়, মনোযোগ বাড়ায়, মানসিক সতর্কতা বাড়ায়।

মাছ

প্রোটিন হল নিউরোট্রান্সমিটার তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রয়োজন। মাছ হল প্রোটিনের ভালো উৎস। এছাড়া মাছে আছে essential oils যা ব্রেইনের বর্ধন, সুরক্ষা ও কাজের জন্য প্রয়োজন।

বিভিন্ন রকমের বাদাম ও বীজজাতীয় খাবার ফুলকপি, ব্রোকলি, বাঁধাকপি ব্রেইনের জন্য উপকারী।

মুখে ঘা বা ঠোঁটে ঘা হলে করণীয়: মুখে ঘা বা ঠোঁটে ঘা হলে কী করবেন?


চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, প্রায় দুশো রোগের প্রাথমিক লক্ষণ প্রকাশ পায় মুখগহ্বরের ঘা-এর মাধ্যমে। মুখের ভেতরের মাংসে বা জিহ্বায় ঘা হয়, ব্যথা করতে থাকে, কিছু খেতে গেলে জ্বলে… মোটামুটি এগুলোই হচ্ছে মুখে ঘা এর প্রাথমিক লক্ষণ। অনেকেরই এ সবের সঙ্গে সঙ্গে মুখ ফুলে যাওয়া বা পুঁজ বের হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সাধারণত, মুখে গালের ভেতরের অংশে বা জিভে ঘা হয় কোনওভাবে কেটে ছিড়ে গেলে। আবার শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলেও এ সমস্যা দেখা দেয় অনেকেরর। খুব গরম পানীয় পান করলে বা কিছু চিবাতে গিয়ে গালের ভেতরে কামড় লাগলেও ঘা হতে পারে। মুখের ভেতরের অংশে বা ঠোঁটে আলসার বা ঘা হলে ———–

কীভাবে সাবধানে থাকবেন-

১. মুখে আঘাতের বিষয়ে সাবধানে থাকবেন। দাঁত ব্রাশের সময় সতর্ক থাকবেন। দাঁত আঁকাবাঁকা থাকলে সেটার চিকিৎসা করান।

২. এ সমস্যা রোধের জন্য পরিমিত খাবার, ঘুম, মানসিকভাবে চাঙা থাকার চেষ্টা করবেন।

কী করবেন ঘা হলে-

যষ্টিমধু
যষ্টিমধু মুখের ঘা দূর করতে বেশ কার্যকরী একটি উপাদান। এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দুই কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এটি দিয়ে কয়েকবার কুলি করুন। উপকার পাবেন।

ধনে পাতা
ধনে পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করুন। দিনে কয়েকবার করে করলে আরাম পাবেন।

অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জেল বা অ্যালোভেরার রস মুখের ঘা কমিয়ে দিতে পারে। অ্যালোভেরা জেল প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক, যার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফিংগাল, অ্যান্টিভাইরাল উপাদান ক্ষত কমিয়ে দিতে পারে।

নারকেল দুধ
এক টেবিল চামচ নারকেল দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ দিনে তিন থেকে চারবার ঘায়ের জায়গায় লাগান। মধু ছাড়া শুধু নারকেলের দুধ দিয়েও ক্ষত স্থানে মালিশ করতে পারেন। এবং ক্ষত দ্রুত সেরে যাবে।

তুলসি
তুলসির পাতায় অনেক ওষুধি গুণ থাকে। মুখে ঘা হলে কয়েকটি তুলসির পাতা চিবিয়ে নিন। তুলসি পাতার রসে ঘা সেরে যাবে।বা কয়েকটি তুলসি পাতাসহ পানি দিনে তিন থেকে চারবার পান করুন। এটি দ্রুত মুখের ঘা প্রতিরোধ করে দেবে এবং মুখের ঘা হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেবে।

টি ব্যাগ
দ্রুত ব্যথা এবং জ্বালা দূর করতে টি ব্যাগ খুবই কার্যকর। একটি টি ব্যাগ ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে সেটি ঘায়ের জায়গায় লাগান। ব্যথা এবং ক্ষত দ্রুত সেরে যাবে।

টমাটো
খাবারের সঙ্গে পাতে কাঁচা টমাটো খাওয়া অভ্যাস করুন। কয়েক দিন খেলেই মুখের ভেতরের ঘা সেরে যাবে।

বরফ বা ঠাণ্ডা পানি
মুখের ঘায়ের ব্যথা বেশি হলে এক টুকরা বরফ নিয়ে ঘায়ের স্থানে রাখুন। অথবা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। লবণ-পানি দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন, এটি মুখের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।

মধু
একটি তুলোর বলে মধু লাগিয়ে নিতে হবে। এবার এটি মুখের ঘায়ের স্থানে লাগান। এছাড়া মুখের ঘায়ের স্থানে গ্লিসারিন, ভিটামিন ই অয়েল লাগাতে পারেন।প্রয়োজনে বিডি হেলথ খাঁটি মধু কিনুন।
লবণ
এক কাপ গরম পানিতে এক চিমটি লবণ ফেলে কুলকুচি ও গার্গল করুন। এতে ঘা হওয়া জায়গাটি তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে। খাওয়ার আগে কুলকুচি করলে বেশি ফল পাবেন।

লবঙ্গের রস

এক টুকরা লবঙ্গ মুখে দিয়ে রাখুন বা লবঙ্গের রস দিয়ে ক্ষত স্থানটিতে লাগাতে পারেন। উপকার পাবেন।
হলুদ
হলুদ গুঁড়ো নিয়ে তাতে সামান্য মধু মিশিয়ে সেই মিশ্রণ মুখের ভেতরে হওয়া ঘা-এ লাগান।

পানি দিয়ে গার্গল
প্রথমে গরম পানি গার্গল করে সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা পানিতে গার্গল করতে পারেন। এই টোটকা কাজে দেবে। কয়েকবার পাল্টে পাল্টে করলে উপকার পাবেন।

বেকিং সোডা
বেকিং সোডা ক্ষারীয় তাই এসিডকে নিরপেক্ষ করে ও মুখের ঘা কে বিরক্ত করে এবং ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে ঘা নিরাময়ে সাহায্য করে। ১/২ কাপ উষ্ণ গরম পানিতে ১ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।

ফিটকিরি
মুখের ঘা যেহেতু সব সময় আদ্র থাকে তাই এই ঘা সারানোটা একটু কঠিন। আচার বানানোর জন্য ও শশা থেকে পানি বের করার জন্য ফিটকিরি পাউডার ব্যবহার করা হয়। ঠিক তেমনি মুখের ঘা শুকানোর জন্য ও ফিটকিরি পাউডার কাজ করে। ফিটকিরির একটা ছোট টুকরা সরাসরি মুখের ঘা এর মধ্যে লাগান। ১ মিনিট এভাবে রেখে দিন। এটা স্বাদে তিক্ত তাই ভালো লাগবেনা, রসটুকু গিলে ফেলবেন না। ৬০ সেকেন্ড পরে লালা সহ ফিটকিরি বাহির করে ফেলুন। তবে মুখ ধুয়ে ফেলবেন না। এতে করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ব্যথা কমে যাবে। আপনার আলসারটি যেতে হয়তো দুই বা তিন দিন সময় লাগবে তবে ব্যথা চলে যাবে তাড়াতাড়ি। যদি ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যথা না যায় তাহলে প্রক্রিয়াটি আবার অনুসরণ করুন।

সতর্কতা – এক আউন্স ফিটকিরি মানুষের জন্য বিষের মত কাজ করে। গর্ভবতী ও শিশুদের জন্য এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা নিষেধ।

এছাড়াও আরও কিছু টিপস

১) বাইরের পানীয় থেকে বিরত থাকা। মসলা যুক্ত খাবার পরিহার করা।

২) রাতে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমান।

৩) ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নেওয়া।

৪) নরম দাঁত ব্রাশ ব্যবহার করা, মুখে কোন চাপ না দেওয়া।

৫) মোটামুটি ভাবে ৭ দিনের মধ্যে এই ঘা ভালো হয়ে যায়। যদি ভালো না হয় অথবা ব্যথা থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ মাফিক carmellose sodium, benzocaine gels যুক্ত পেস্ট ও জেল মুখে লাগানো যায়। Chlorhexidine mouthwash মাউথ অয়াশ মুখের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। বাজারে Bongel cream, viodin mouthwash, riboflabin পাওয়া যায়, যেটা মুখের ঘা এর জন্য ভালো।

৬) মিল্ক অব ম্যাগনেসিয়ার এন্টাসিড উপাদান মুখের এসিডকে নিষ্ক্রিয় করে যা মুখের ঘা এর তীব্রতা বাড়ায়। একটি কটন বলে মিল্ক অব ম্যাগনেসিয়া লাগিয়ে মুখের ঘায়ে লাগাতে পারেন দিনে ৩-৪ বার।

৭) অ্যান্টাসিড ট্যাবলেট মুখের ঘা এ লাগিয়ে রেখে দিলে ব্যথা কমে যাবে ও নিরাময় হবে।

৮) হাইড্রোজেন পারক্সাইড দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ঘা ভালো হয়।

৯) প্রতিদিন টকদই খান।

১০) মুখের আলসার হলে এসিডিক খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এসিড মুখের ঘা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

এবার ডাক্তারদের ফি নির্ধারণ করে দিবে সরকার,থাকছে জেল-জরিমানা


প্রায় ৩৪ বছর পর ডাক্তারদের চিকিৎসা বাবদ ফি নির্ধারণ করতে যাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়াও করা হয়েছে, যা বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইন ২০১৬ নামে অভিহিত হবে। নতুন আইন অনুযায়ী অফিস সময়ে কোনো ডাক্তার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কিংবা ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখতে পারবেন না। ছুটির দিনে নিজ জেলার বাইরে গিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখতে পারবেন না। উল্লিখিত নিময় না মানলে ওই ডাক্তারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হবে। এছাড়া আদালত উপযুক্ত মনে করলে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানের সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন।

 এছাড়া নতুন এ আইনে ডাক্তাররা সরকার নির্ধারিত ফি’র তালিকা চেম্বারের সামনে দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে বাধ্য থাকবেন। আদায় করা ফি বাবদ রোগীকে রসিদ দিতে হবে। রশিদের মুড়ি ডাক্তার নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করতে বাধ্য থাকবেন। কোনো ডাক্তার স্বীকৃত, অনুমোদিত সার্টিফিকেট কোর্স, ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি ছাড়া কোনো যোগ্যতার বিবরণ সাইনবোর্ড, নামফলক কিংবা ভিজিটিং কার্ডে ব্যবহার করতে পারবেন না। মুক্তিযোদ্ধা ও দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের জন্য বিনামূল্যে শতকরা ১০ ভাগ শয্যা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

ডাক্তারের বিরুদ্ধে চিকিৎসাসংক্রান্ত যে কোনো ধরনের অবহেলার অভিযোগ তদন্ত করবে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল। ওই সংস্থার তদন্তে কোনো ডাক্তার দোষী হলে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। পক্ষান্তরে কোনো ব্যক্তি ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে মারা গেলে কিংবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভাংচুর করলে এবং এর ফলে কোনো ডাক্তার কিংবা বেসরকারি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হলে আক্রমণকারীকে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হবে। এছাড়া অতিরিক্ত ফি আদায় করলে ডাক্তারের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।

আইনের খসড়া নিয়ে মঙ্গলবার এক বৈঠক শেষে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ১৯৮২ সালে এ সংক্রান্ত একটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ওই আইন চলে আসছে। তবে যুগের পরিবর্তনের কারণে আইনটি প্রতিপালন হচ্ছে না। তাই নতুন করে একটি আইনের খসড়া তৈরি করে সমন্বয় সভা করা হয়েছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

বৈঠক শেষে স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ইকবাল আর্সনাল বলেন, নতুন আইন প্রণয়নের প্রাথমিক কাজ চলছে। ডাক্তরদের ফি এখনও নির্ধারণ হয়নি। তবে আইনটি চূড়ান্ত করা হলে তাতে ডাক্তারের ফি ও চিকিৎসাসংক্রান্ত অন্যান্য চার্জ উল্লেখ থাকতে পারে। এর বাইরে আর কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

আইনের খসড়া থেকে জানা যায়, সরকার সময়ে সময়ে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ডাক্তারদের ফি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষাসংক্রান্ত চার্জ নির্ধারণ করে দেবে। কোনো ডাক্তার সেবাসংক্রান্ত কোনো ধরনের মিথ্যা প্রত্যয়নপত্র প্রদান করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে কোনো অর্থকড়ি নেয়া যাবে না। বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে অথবা ডাক্তারের ব্যক্তিগত চেম্বারে বাধ্যতামূলকভাবে রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করতে হবে। চিকিৎসাসংক্রান্ত সব তথ্য রেজিস্টারে লিখে রাখতে হবে। ওই রেজিস্ট্রার গোপনীয় দলীল হিসেবে গণ্য হবে। রোগীকে রোগের বিবরণ জানাতে হবে। প্রয়োজনীয় ও বিকল্প চিকিৎসা, চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, চিকিৎসা পদ্ধতি এবং অস্ত্রোপচারের জটিলতা সম্পর্কে রোগীকে অবহিত করতে হবে। এমনকি খাতওয়ারি চিকিৎসা ব্যয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিতে হবে। সন্দেহজনক মৃত্যু, আত্মহত্যা, বিষ প্রয়োগ, বেআইনি গর্ভপাত, অগ্নিদগ্ধ হওয়া, দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতি, লাঞ্ছিত ও প্রহৃত ক্ষতি, অন্যের দ্বারা যে কোনো ধরনের আঘাতজনিত ক্ষতির ক্ষেত্রে চিকিৎসককে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করতে হবে। ডাক্তারের বিরুদ্ধে অপরাধগুলোর তদন্ত ও বিচার ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৫নং আইনের আওতায় পরিচালিত হবে। ডাক্তারের অপরাধের ফলে রোগীর মৃত্যু হলে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি-১৮৬০ এর ৪৫নং আইনের বিধান প্রযোজ্য হবে। এছাড়া সরকারি লাইসেন্স ছাড়া বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করলে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

বেসরকারি কোনো চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষমতাপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা পরিদর্শন, চিকিৎসাসংক্রান্ত যন্ত্রপাতি, কাগজপত্র পরীক্ষা করতে পারবেন। সরকারি নিয়মনীতি লঙ্ঘিত হয়েছে- প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যাবে। চিকিৎসক আইন না মানলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিদর্শনকালে যদি প্রমাণ হয় জনস্বার্থেই এ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া দরকার, তাহলে সরকার যে কোনো বেসরকারি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দিতে পারবেন। এমনকি লাইসেন্সও বাতিল করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ১৫ দিনের সময় দিয়ে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। লাইসেন্স বাতিল হলে বেসরকারি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে চিকিৎসারত ব্যক্তিদের ওই প্রতিষ্ঠান নিজ খরচে অন্য চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে। এ আইন কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্য মেডিকেল প্রাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ রেগুলেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৮২ বাতিল বলে গণ্য হবে।

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে? - Improve baby mental growth

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে? মা-বাবা হিসাবে আপনি তো নিশ্চয় চান যে পড়াশোনায় আপনার বাচ্চা দারুণ কিছু করুক। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছ...