Skin care regular tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

Health and Skin Care Tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

Health and Skin Care Tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Friday 15 February 2019

শরীরের ভালোর জন্য সাপ্লিমেন্ট এর উপরনির্ভর করছেন? দূরে রাখুন এই ছয়টি সাপ্লিমেন্ট - Keep these six supplements away

শরীরের ভালোর জন্য সাপ্লিমেন্ট এর উপরনির্ভর করছেন? দূরে রাখুন এই ছয়টি সাপ্লিমেন্ট  - Keep these six supplements away
শরীরের ভালোর জন্য সাপ্লিমেন্ট এর উপরনির্ভর করছেন? দূরে রাখুন এই ছয়টি সাপ্লিমেন্ট

আমাদের প্রতিদিনের কাজ করার শক্তি যোগায় আমাদের রোজকার খাওয়া খাবার। ভালো খাদ্যাভ্যাস যেমন কাজ করার জন্যে প্রয়োজনীয় শক্তি যোগায়, তেমনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি মেটায়। কাজ ও জায়গা নির্বিশেষে এই খাদ্যের কিছু রকমফের ঘটে। একই সাথে বয়সের প্রয়োজন অনুযায়ী আমাদের শরীরের ঘাটতির রকম অনুসারে আমরা খাবার খাই। চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে সঠিক ডায়েট নির্ণয় করে নি। দৈনন্দিন কাজের জন্যে আমরা সাধারণ খাবার খেলেও যারা স্বাস্থ্য চর্চা করেন বা যারা খেলাধূলার সাথে যুক্ত, তাদের ক্ষেত্রে এই খাদ্যাভ্যাসের ধরন অনেকটাই আলাদা। তাদের অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রমের জন্যে অতিরিক্ত শক্তি খরচ হয়। এই কারণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন বা ফ্যাটের যোগান যাতে সঠিক পরিমাণে তাদের শরীরে আসে তার খেয়াল রাখা জরুরি হয়ে দাঁড়ায়।

সেই জন্যে স্বাস্থের চর্চার সাথে কি খাবার খাওয়া উচিত, তার যেমন খেয়াল রাখতে হয়, তার সাথে খাবারের প্রয়োজনীয় বিকল্প বা ফুড সাপ্লিমেন্ট বেছে নেওয়ার দরকারও পড়ে। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা ফুড সাপ্লিমেন্ট বেছে নি। অনেক সময় এর জন্যে ভরসা করি নিজের সীমিত জ্ঞান, বা অনলাইনে পাওয়া বিভ্রান্তিকর তথ্য। যার কারণে এর ভুল প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরের উপর। ক্ষতিগ্রস্থ হয় আমাদের দৈনন্দিন কাজ এবং পেশাগত কাজও। কি কি ফুড সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত তা জানার পাশাপাশি কি কি ফুড সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত না, এটাও আমাদের জেনে রাখা দরকার। আজকের প্রতিবেদনে কোন ছয়টি সাপ্লিমেন্ট খাবেন না বা চিন্তা ভাবনা করে তবেই খাবেন, তা জেনে নিন।
শরীরের ভালোর জন্য সাপ্লিমেন্ট এর উপরনির্ভর করছেন? দূরে রাখুন এই ছয়টি সাপ্লিমেন্ট  - Keep these six supplements away
১. ক্যালসিয়াম 

আমরা সবাই জানি ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়ের প্রধান উপাদান। এটা আমাদের হাড় শক্ত করে। কিন্তু শুধুমাত্র এটাই একমাত্র উপাদান নয় যা আমাদের হাড় মজবুত করে। অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের সেবন অস্টিওপোরোসিস কে ঠেকায় না, হৃদরোগ জনিত সমস্যাও নিয়ে আসতে পারে। যদি হাড়ের সমস্যা না থাকে, তাহলে দুগ্ধজাত খাবারের বদলে অন্য সবজি বেছে নিন। ক্যালসিয়াম সরাসরি খাওয়ার থেকে অন্য প্রয়োজনীয় খনিজ যেমন ম্যাগনেসিয়ামের সাথে নেওয়া ভালো।

শরীরের ভালোর জন্য সাপ্লিমেন্ট এর উপরনির্ভর করছেন? দূরে রাখুন এই ছয়টি সাপ্লিমেন্ট  - Keep these six supplements away
২. মাল্টি ভিটামিন

মাল্টি ভিটামিন হলো অনেকগুলো ভিটামিন এবং মিনারেলের সম্মিলিত রূপ। এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই খনিজ শরীরের দ্বারা শোষণ করার জন্যে সঠিক রূপে থাকে না। যার ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় শরীরের কিডনি। অতিরিক্ত আয়রনের জন্যে অনেকসময় প্রদাহজনিত সমস্যাও দেখা যায়। শরীরের দরকার থাকলেও মাল্টি ভিটামিন সেই দরকার কতটা মেটায় এটা নিয়েও প্রমাণিত কোনো মতবাদ নেই। তাই মাল্টি ভিটামিন ছেড়ে সঠিক খাদ্যের উপর ভরসা করা ভালো।
শরীরের ভালোর জন্য সাপ্লিমেন্ট এর উপরনির্ভর করছেন? দূরে রাখুন এই ছয়টি সাপ্লিমেন্ট  - Keep these six supplements away
৩. ওজন কমানোর জন্যে যা কিছু 

ওজন কমানোর জন্যে অনেক সময় বাজার চলতি কিছু সাপ্লিমেন্ট পাওয়া যায়। অনেকে এর উপর ভরসা করলেও আসলে এটা কাজের কাজ কিছু করে না বলেই অনেকে মনে করেন। আপাত দৃষ্টিতে এটা দাবি করে যে এটা শরীরের খিদে বাড়িয়ে দেয় বা হজম ক্ষমতা ত্বরান্বিত করে। কিন্তু বাস্তবে সেভাবে কার্যকরী নয়। তাই ওজন কমানোর চিন্তা থাকলে এটা মাথায় রাখতে হবে যে, সঠিক ডায়েট, সময় আর স্বাস্থ্য চর্চা একমাত্র ওজন কমাতে পারে।
শরীরের ভালোর জন্য সাপ্লিমেন্ট এর উপরনির্ভর করছেন? দূরে রাখুন এই ছয়টি সাপ্লিমেন্ট  - Keep these six supplements away

৪. কম গুণমান সম্পন্ন মাছের তেল 


মাছের তেল বা fish oil অনেকেই নেন। কিন্তু এই oil সঠিক ভাবে প্যাকেজিং করা না হলে এবং সঠিক তাপমাত্রায় না থাকলে এর গুণগত মন নষ্ট হয়ে যায়। সব থেকে এর মধ্যে পরিচিত হলো omega-3। কিন্তু ঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করলে এর গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়। একান্তই ফিশ অয়েল নিতে চাইলে সামুদ্রিক মাছের উপর ভরসা রাখুন।

৫. প্রবায়টিকস এবং প্রোটিন 

মাছের তেলের মত প্রবায়োটিকস একই রকম যত্নে না রাখলে এর গুণমান নষ্ট হয়ে যায়। কমদামী এবং কম গুণসম্পন্ন প্রবায়োটিকস খেলে তাতে ব্যাকটেরিয়াল সংখ্যান কমতে থাকে। একইভাবে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার আগেও শরীরের কতটা প্রয়োজন তা জেনে নিন। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় এতে মানবদেহের রেচনাঙ্গ।

শরীরের ভালোর জন্য সাপ্লিমেন্ট এর উপরনির্ভর করছেন? দূরে রাখুন এই ছয়টি সাপ্লিমেন্ট  - Keep these six supplements away
৬. যৌনতা সম্পর্কিত 

অনেকেরই এই ব্যাপারে সঠিক জ্ঞানের অভাব থাকে। ধারনার সীমিত পরিসর থাকার জন্যে ভরসা করেন অন্যের মতামতের উপর। কখনো বা বাজার চলতি বিজ্ঞাপন বা ইন্টারনেটের উপর। ফলে নিজের যৌন উদ্দীপনার সঠিক প্রকাশের জন্য ভরসা করেন হরমোন উদ্দীপিত করে এমন কোনো ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট। যা শরীরের উপর দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতি করে। যদি সত্যি মনে করেন এই ধরনের কোনো সমস্যা আছে তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।






Saturday 9 February 2019

Midlife Crisis – মধ্যবয়সের সংকট

Midlife Crisis – মধ্যবয়সের সংকট
Midlife Crisis – মধ্যবয়সের সংকট

জামিল সাহেবের বয়স ৫২ বছর। ইদানীং তাঁর মেজাজটা একটু খিটখিটে হয়ে উঠছে। একমাত্র ছেলে বিদেশে থাকে। কদিন আগে বাবাকে হারিয়েছেন। নিজেকে তাঁর বড্ড একা একা লাগে। মাঝে মাঝেই ভাবেন, ‘যদি আগের দিনগুলো আবার ফিরে পাওয়া যেত’ কিংবা ‘অফিসের সহকর্মীদের চেয়ে কীভাবে আরও এগিয়ে থাকা যায়’ ইত্যাদি। রাতে তাঁর ঘুম আসে না। বিছানায় শুয়ে ভাবেন, এ জীবনে তাঁর কিছুই পাওয়া হলো না, কিছুই করা হলো না। স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিদিন কথা-কাটাকাটি লেগেই আছে, ফলে অন্তরঙ্গ সময় কাটানো হয়েই ওঠে না। শরীরটাও যেন দুর্বল লাগে।

জামিল সাহেবের এই বয়সটাকে বলা যায় মধ্যবয়স। বিশ্বজুড়ে মানুষের গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ায় ৪৫ থেকে ৬০-এই সময়টুকুকে মধ্যবয়স বলা হয়। এই সময় পুরুষ ও নারী উভয়ের জীবনে একধরনের পরিবর্তন ঘটতে থাকে। হরমোন ও বয়সজনিত কারণে কিছু শারীরিক পরিবর্তন ঘটে, আবার পারিপার্শ্বিক কারণে মানসিকতারও পরিবর্তন ঘটতে থাকে। মার্কিন মনস্তত্ত্ববিদ এলিয়ট জ্যাক ১৯৬৫ সালে প্রথম তাঁর লেখায় ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’-এর উল্লেখ করেন। নারী-পুরুষ উভয়ের জীবনেই এই বয়সটিতে একধরনের টানাপোড়েন শুরু হতে পারে। তবে সবার জীবনে কিন্তু এই বয়সে সংকটকাল আসে না। নারীর জীবনে একটু আগে আসে, আর পুরুষের জীবনে খানিকটা পরে। সংকটের প্রকরণও নারী-পুরুষভেদে আলাদা। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবয়সীদের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ মিডলাইফ ক্রাইসিসে ভোগেন। এ বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আছে বিস্তর। সম্প্রতি কানাডার ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টার এক গবেষণায় বলা হয়, মিডলাইফ ক্রাইসিস বলে আলাদা কিছু নেই। তবে বেশির ভাগ গবেষণায় মিডলাইফ ক্রাইসিস বা মধ্যবয়সের সংকট তৈরি হয় বলে মত দেওয়া হয়েছে।

নারীর জীবনে এই সময়টাতে সংকটের একটা বড় অংশজুড়ে থাকে তাঁর শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন, হরমোনের তারতম্য, দেহে বয়সের চিহ্ন। কখনো বাড়তি হিসেবে যোগ হয় উৎকণ্ঠা আর বিষণ্নতা। পুরুষদের ক্ষেত্রে মধ্যবয়সের সংকটের মাত্রা খানিকটা ভিন্ন। এ সময় তিনি তাঁর কর্মক্ষেত্র, সাফল্য-ব্যর্থতা, অপরের সঙ্গে তুলনা এবং যৌনজীবন নিয়ে সংকটে পড়ে যান। মনস্তত্ত্ববিদ হ্যারল্ড কোহেন তাঁর ‘দ্য মেল মিডলাইফ ক্রাইসিস’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেন যে জীবন এক নিরন্তর বোঝা। আর এই বোঝা বহনের মাঝপথে এসে কেউ কেউ হাঁপিয়ে পড়েন। সেটাই মিডলাইফ ক্রাইসিস। এই সময় অনেক কাজের কথা মনে পড়ে, যা করা হয়ে ওঠেনি, অনেক অপ্রাপ্তির কথা মনে পড়ে, যা পাওয়া হয়নি। অনেক গোপনীয়তা মনকে পীড়া দেয়, অনেক সুপ্ত বাসনা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

মধ্যবয়সের সংকটের লক্ষণ কী কী
* সহকর্মী-বন্ধুদের চেয়ে নিজেকে ব্যর্থ ভাবা।
* হঠাৎ তীব্রভাবে কোনো কিছু পেতে চাওয়া; যেমন-বাড়ি নেই, যেভাবেই হোক বাড়ি করতে হবে; গাড়ি নেই, যেভাবেই হোক গাড়ি কিনতে হবে।
* একাকিত্ব দূর করার চেষ্টা করা, বিকল্প কিছু নেতিবাচক পথ বেছে নেওয়া; যেমন-নেশা করা, বিপরীত লিঙ্গের তৃতীয় কারও সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া।
* তারুণ্য ফিরে পাওয়ার জোর তাগিদ অনুভব করা, হতাশা ব্যক্ত করা।
* নিজের জীবন ও জীবনযাত্রার গুণে-মানে সব সময় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা।
* স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবন ও ভালোবাসায় ফাটল ধরা।
* সন্তানদের প্রতি অতি খবরদারি বা একেবারেই উদাসীন হয়ে যাওয়া।
* কারণে-অকারণে আশপাশের মানুষকে সন্দেহ করা।
* অতিরিক্ত কেনাকাটা করা।
* আশপাশের সবকিছুর প্রতি বিরক্ত হওয়া, একঘেয়েমি বোধ করা।
* অসামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যাডভেঞ্চারে জড়িয়ে পড়া।

মিডলাইফ ক্রাইসিস বলে আদতে কিছু আছে কি নেই, সে নিয়ে যতই তর্ক থাকুক; মোদ্দাকথা হচ্ছে, এই সময়টাতে ভালো থাকতে হবে। শরীরে এবং মনে-সব দিক দিয়েই। আর মধ্যবয়সে ভালো থাকার জন্য যা যা করতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তা হচ্ছে—

সবার আগে শরীরের যত্ন
মধ্যবয়সটি হচ্ছে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানাবিধ রোগ তৈরির বয়স। তাই সুষম খাদ্য গ্রহণ, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে এই বয়সে নিজের শরীরটিকে রাখতে হবে নীরোগ।

মনের যত্নও জরুরি
এই বয়সে নিজেকে একা ভাবার কোনো কারণ নেই। পরিবারের পাশাপাশি বন্ধুবান্ধব, সহকর্মীদের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে। মন ভালো রাখতে বেড়াতে যেতে হবে, গান শুনতে হবে, চলচ্চিত্র দেখতে পারেন; এমনকি অংশ নিতে পারেন সমাজসেবামূলক কোনো কাজে।

দাম্পত্য সম্পর্ককে স্বাস্থ্যকর রাখুন
হঠাৎ কোনো মোহে পড়ে বা অ্যাডভেঞ্চারের বশে কারও সঙ্গে এমন কোনো সম্পর্ক গড়ে তুলবেন না, যা আপনার দাম্পত্য সম্পর্কে ফাটল ধরায়। আবার অযথা আপনার জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনীকে সন্দেহও করবেন না। কোনো সমস্যা মনে করলে খোলামনে পরস্পর আলাপ করুন। দাম্পত্য সম্পর্ক স্বাস্থ্যকর রাখতে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখুন। কোনো অসুবিধা বোধ করলে লজ্জা না পেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সন্তানের দিকে নজর দিন
কেবল নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকলেই হবে না, সন্তানের দেখভালও আপনার অন্যতম দায়িত্ব। সন্তানের ক্যারিয়ার, তার সমস্যা ইত্যাদি বিষয়ে যথেষ্ট সময় দিন।

কর্মক্ষেত্রকে উজ্জ্বল রাখুন
আপনার কাজের জায়গাটিকে ভালোবাসুন। কী পেয়েছেন, তার হিসাব না করে কী অবদান রেখেছেন, তা মিলিয়ে নিন। দেখবেন, আপনার সফলতার পাল্লাই ভারী। আর যদি না পাওয়ার হিসাব করতে বসেন, সহকর্মীদের সঙ্গে নিজের তুলনা করেন, তবে হতাশায় পড়ে যাবেন।

আর্থিক ব্যবস্থাপনা
আয়-ব্যয়ের হিসাব করুন। প্রয়োজনে সঞ্চয় করতে থাকুন। ভবিষ্যতের যেকোনো প্রয়োজন; যেমন-চিকিৎসা, সন্তানের শিক্ষা, বিয়ে ইত্যাদি বিষয়ে আর্থিক প্রস্তুতি নিন।

আত্মিক ও সামাজিক বিষয়ে মনোযোগী হোন
নিজের আত্মার তৃপ্তির জন্য নৈতিকভাবে জীবনযাপন করুন। নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন। সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিন।

নেতিবাচক পথ পরিহার করুন
নেশায় আসক্ত হয়ে যাওয়া, অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া থেকে বিরত থাকুন। যদি মনে করেন এমন কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছেন, তবে আপনার স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি কী ভাবলেন, সেটা না ভেবে আপনি কীভাবে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন, সেটা নিয়ে আলোচনা করুন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।

কৈশোর বা বয়ঃসন্ধির মতো মধ্যবয়সও একটি বিশেষ সময়, যখন মানুষ নিজেকে আগের চেয়ে আলাদা করে চিনতে শেখে। এই সময়টাকে যতই সংকটের কাল বা ক্রাইসিস বলা হোক না কেন, যদি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে চলা যায়, তবে মধ্যবয়স থেকেই শুরু হতে পারে জীবনের নতুন টার্নিং পয়েন্ট। উজ্জ্বলতা আর উচ্ছলতায় ভরিয়ে তুলতে পারেন নিজেকে। পরিবার আর কর্মক্ষেত্রে হয়ে উঠতে পারেন সবার প্রিয় অনুসরণযোগ্য একজন। তাই মধ্যবয়সকে সংকটের বয়স বলা ঠিক নয়, জীবনকে ইতিবাচকভাবে দেখুন, মধ্যবয়সকে গড়ে তুলুন সম্ভাবনার সময় হিসেবে।

কেন এই সংকট

শারীরিক পরিবর্তন
শরীরে আগের মতো তেজস্বিতা থাকে না। হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। পুরুষের ক্ষেত্রে কারও কারও যৌনক্ষমতা বা চাহিদা কমতে থাকে।

কর্মক্ষেত্রের চাপ
কর্মক্ষেত্রে এই বয়সে বেশির ভাগ পুরুষ তাঁর ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে অবস্থান করেন। নিজের সবচেয়ে সেরাটাই তিনি দিতে চান। কিন্তু সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতা তাঁকে কখনো হতাশ করে তোলে।

সময়েরচাপ
এই বয়সে মানুষ মনে করে তার সময় বুঝি ফুরিয়ে আসছে, যা কিছু করার তাড়াতাড়ি করে ফেলতে হবে। ফলে সে নিজের মধ্যে একধরনের চাপ অনুভব করে।

বাবা-মাকে হারানো
অনেক ক্ষেত্রেই মধ্যবয়সীদের মা-বাবা মৃত্যুবরণ করেন। ফলে তাঁর মধ্যে একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়।

সন্তানেরা দূরে চলে যায়
কখনো পড়ালেখা বা বিয়ে ইত্যাদি কারণে সন্তানেরা দূরে চলে যায়। ফলে শূন্যতা আরও বাড়ে।

দাম্পত্যসংকট
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্যসংকট হতে পারে। তৃতীয় কারও অনুপ্রবেশ দাম্পত্য সম্পর্ককে সংকটাপন্ন করে তোলে।

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে? - Improve baby mental growth

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে? মা-বাবা হিসাবে আপনি তো নিশ্চয় চান যে পড়াশোনায় আপনার বাচ্চা দারুণ কিছু করুক। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছ...