Skin care regular tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

Health and Skin Care Tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

Health and Skin Care Tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Tuesday 30 April 2019

জরায়ুর টিউমার নিয়ে যত বিভ্রান্তি

জরায়ুর টিউমার নিয়ে যত বিভ্রান্তি
জরায়ুর টিউমার নিয়ে যত বিভ্রান্তি
মহিলাদের প্রজননক্ষম বয়সে জরায়ুতে সবচেয়ে বেশি যে টিউমারটি হতে দেখা যায় তা হলো ফাইব্রয়েড বা মায়োমা। জরায়ুর পেশির অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে এই টিউমারের সৃষ্টি হয়। ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে নারীদের মধ্যে ২০ শতাংশই এই সমস্যায় আক্রান্ত। ফাইব্রয়েড এক ধরনের নিরীহ টিউমার, এটি ক্যানসার বা বিপজ্জনক কিছু নয়।

তবে দুটো সমস্যার কারণে সুচিকিৎসা দরকার। এক. এর ফলে অতিরিক্ত মাসিক হওয়া এবং তার জন্য রক্তশূন্যতা হতে পারে। দুই, এটিকে বন্ধ্যাত্বের একটি অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ ধারণা সব সময় সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না-ও হতে পারে। কেননা ২৫ শতাংশ ফাইব্রয়েড টিউমার আজীবন কোনো সমস্যাই করে না। মোটামুটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কমবেশি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা অনিয়মিত মাসিক বা তলপেট ভারী বোধ হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ হয়।

২৭ থেকে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রেই কেবল এটি বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে উঠতে পারে, যদি নিচের ঘটনাগুলো ঘটে:

১. যদি ফাইব্রয়েডের কারণে জরায়ু অতিরিক্ত বড় হয়ে যায়, ২. জরায়ুর ভেতরের দেয়ালে রক্তনালির সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভ্রূণ ঠিকমতো বেড়ে উঠতে পারে না, ৩. জরায়ু ও ফ্যালোপিয়ান টিউবের সংযোগস্থলে বা এমন কোনো জায়গায় টিউমারটির অবস্থান হয়, যা ভ্রূণকে সুস্থিত হতে বাধা দেয়।

যাঁদের বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা দেখা যাচ্ছে বা বারবার গর্ভপাত হচ্ছে, তাঁদের ফাইব্রয়েড থাকলেও বন্ধ্যাত্বের অন্য কারণগুলোকে শনাক্ত করা উচিত। কারণ, মূল সমস্যাটি ফাইব্রয়েড না-ও হতে পারে। মায়োমেকটমি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ফাইব্রয়েডকে জরায়ুর দেয়াল থেকে তুলে এনে আবার তা সেলাই করে দেওয়া হয়। জরায়ু কেটে ফেলার প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে এই অস্ত্রোপচার পেট কেটে বা ছিদ্র করে উভয় পদ্ধতিতেই করা হয়। তবে অস্ত্রোপচার দরকার হোক বা না হোক, কিছু বিষয় জেনে রাখা জরুরি।

যেমন: ১. এই অস্ত্রোপচারে বেশ রক্তপাত হতে পারে। ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের সময় জরায়ু কেটে ফেলে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। ২. অস্ত্রোপচারের পর আবার ফাইব্রয়েড হওয়ার সম্ভাবনা ১০ থেকে ১৫ ভাগ। ৩. অস্ত্রোপচারের পর গর্ভধারণের সম্ভাবনা ৪০ থেকে ৬০ ভাগ। এটি নির্ভর করে ফাইব্রয়েড টিউমারের সংখ্যা, আকার এবং অস্ত্রোপচারের সফলতার ওপর। ফাইব্রয়েড অস্ত্রোপচারের পর গর্ভধারণ করলে অবশ্যই ভালো সুযোগ-সুবিধা আছে এমন হাসপাতালে সন্তান প্রসব করাতে হবে।

ডা. উম্মে রুমান
স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ২১, ২০১৩

রজঃ নিবৃত্তি মানে সবকিছু শেষ নয়

রজঃ নিবৃত্তি মানে সবকিছু শেষ নয়
রজঃ নিবৃত্তি মানে সবকিছু শেষ নয় 
মেনোপজ বা রজঃ নিবৃত্তি মানে সবকিছু শেষ নয়, বরং নতুন করে শুরু। ৪৫ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে নারীদের এই পরিবর্তন শুরু হয়। এ সময় ডিম্বাশয় ডিম্বাণু তৈরির ক্ষমতা হারাতে থাকে, হরমোনের ঘাটতি হয় এবং মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। ৫০ বছর বা তারপরে মাসিক বন্ধ হলে তা স্বাভাবিক মেনোপজ, ৪০ বছরের আগে হলে প্রিম্যাচিউর মেনোপজ আর যদি অস্ত্রোপচারের কারণে মাসিক বন্ধ হয় তাকে বলে সার্জিক্যাল মেনোপজ।

উপসর্গ

হট ফ্লাশ মানে হঠাৎ শরীরের বিভিন্ন অংশ গরম-গরম বোধ হওয়া, হঠাৎ রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়া, প্রচুর ঘাম, মনমেজাজের নিয়ন্ত্রণহীনতা, বিষণ্নতা, অবসাদ এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অন্যতম একটি সমস্যা হলো খিটখিটে মেজাজ এবং অল্পতে রেগে যাওয়া। যোনিপথের শুষ্কতা, বারবার প্রস্রাব হওয়া এবং প্রস্রাব জমে আছে বলে মনে হওয়া-জাতীয় সমস্যা হতে পারে। মেনোপজের পর বারবার প্রস্রাব সংক্রমণ হতে পারে।

জটিলতা

নারীদের মেনোপজের পর নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা বিষয়ে সচেতন হতে হবে। যেমন: এ সময় হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপোরোসিস শুরু হয়। প্রস্রাব ধরে রাখার সমস্যা ও সংক্রমণ হয় বেশি। মেনোপজের পর নারীদের হৃদ্‌রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে গিয়ে পুরুষের সমান হয়ে যায়। ওজন বেড়ে যেতে পারে। যৌন সম্পর্কে সমস্যা হতে পারে।

তাই মেনোপজের পর নিজের দিকে আলাদা করে নজর দেওয়া জরুরি। কোনো সমস্যা প্রকট মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হট ফ্লাশ কমানোর জন্য নানা ধরনের চিকিৎসা আছে। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি খান। সুষম খাদ্যাভ্যাস মেনে চলুন। হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিগুলো (রক্তের শর্করা, চর্বি ইত্যাদি) পরীক্ষা করুন ও কমান। স্তন বা জরায়ুর রস স্ক্রিনিং পরীক্ষা করুন নিয়মিত। শরীরের পরিবর্তনগুলো স্বাভাবিকভাবে নিন।

ডা. শারমিন আব্বাসি
সহকারী অধ্যাপক, প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগ, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
সোর্স – প্রথম আলো

গর্ভধারণে বিলম্ব - Pregnancy delay

গর্ভধারণে বিলম্ব - Pregnancy delay
গর্ভধারণে বিলম্ব - Pregnancy delay
অধিকাংশ দম্পতি বিয়ের পর একটা নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে সন্তানের আশা করে থাকেন। কিন্তু নানা কারণে গর্ভধারণ বাধাগ্রস্ত বা দেরি হতে পারে। অনেক সময় একটি সন্তান জন্মের পর আরেকটি সন্তানের জন্য চেষ্টা করে বিফল হন অনেক দম্পতি। গর্ভধারণের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই বেশ কিছু শারীরিক ও মানসিক বিষয় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।

নারীর ক্ষেত্রে ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু তৈরি বা পরিপক্ব হতে সমস্যা, ডিম্বাশয় থেকে জরায়ুতে পৌঁছতে সমস্যা, নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুতে যুক্ত না হওয়া কিংবা জরায়ুতে সঠিক পরিবেশে বাড়তে না পারার ফলে গর্ভধারণজনিত সমস্যা হতে পারে। প্রজনন অঙ্গের জন্মগত ত্রুটি, প্রজনন অঙ্গের অন্য কিছু সমস্যা (যেমন টিউমার, সিস্ট বা পলিপ), জীবাণুর সংক্রমণ, ডায়াবেটিস, পুষ্টিহীনতা, অতিরিক্ত ওজন, থাইরয়েড কিংবা অন্য কোনো হরমোনের তারতম্য, বেশি বয়স, রক্তরোগ এবং কিছু ওষুধের কারণে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে।

পুরুষের ক্ষেত্রেও এ রকম কিছু কারণ রয়েছে। যেমন শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া, প্রজনন অঙ্গের কোনো প্রতিবন্ধকতা যা শুক্রাণুকে বাধাগ্রস্ত করে কিংবা ত্রুটিপূর্ণ শুক্রাণু। এ ছাড়া জন্মগত ত্রুটি, যৌনরোগ, প্রজনন অঙ্গে জীবাণুর সংক্রমণ, অতিরিক্ত ওজন, বেশি বয়স, ধূমপান, মদ্যপান, ক্যানসার, কিছু ওষুধ, তেজস্ক্রিয়তা, অতিরিক্ত গরমে কাজ করা ইত্যাদি কারণে সমস্যা হতে পারে।

একজন নারীর বয়স ৩৫ পেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁর গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমতে থাকে এবং গর্ভপাতের আশঙ্কা বাড়ে। তবে বড় ধরনের ত্রুটি না থাকলে সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যেই প্রায় ৮০ শতাংশ রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়। তবে এসব চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি, সময় লাগতে পারে ৩৬ মাস থেকে ৪৮ মাস পর্যন্ত। গর্ভধারণে সমস্যা হলে স্ত্রী ও স্বামী উভয়েরই সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো করিয়ে নেওয়া উচিত।

কোনো কোনো নারীর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। পুরুষের ক্ষেত্রে শুক্রাশয়ের বায়োপসি পরীক্ষাও লাগতে পারে। কোনো দম্পতির ক্ষেত্রে টেস্টটিউব বেবির মতো জটিল পদ্ধতিরও প্রয়োজন হতে পারে।

ডা. ফাহমিদা তুলি
স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
সোর্স – প্রথম আলো।

ডায়াবেটিসকে অবহেলা নয় - Don't neglect about Diabetes

ডায়াবেটিসকে অবহেলা নয় -  Don't neglect about Diabetes
ডায়াবেটিসকে অবহেলা নয় -  Don't neglect about Diabetes

আমাদের চারপাশে প্রতি ১০ জন নারীর একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সাধারণ ডায়াবেটিসের পাশাপাশি নারীরা বিশেষ ধরনের গর্ভকালীন ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত হন, যার চিকিৎসাপদ্ধতি ও জটিলতা ভিন্ন। রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা পাওয়ার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে ডায়াবেটিস জনিত মৃত্যুর হারও নারীদের মধ্যে পুরুষদের তুলনায় বেশি।

*  অল্প বয়সেই বিপুলসংখ্যক নারী গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থান ভেদে এই সংখ্যা ৮ থেকে ১৪ শতাংশ। ওজনাধিক্য, পারিবারিক ইতিহাস, কায়িক শ্রমহীনতা, বেশি বয়সে সন্তান জন্মদান ইত্যাদি এর ঝুঁকি বাড়ায়। আগের সন্তানের বেলায় ডায়াবেটিস থাকলে বা আগে গর্ভপাত বা গর্ভে সন্তান মৃত্যুর ঘটনা থাকলে ঝুঁকি আরও বেশি। গর্ভধারণের ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা জরুরি।

* যাঁদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়েছে, তাঁদের আবার একটা বিরাট সংখ্যা পরে ডায়াবেটিক রোগীতে পরিণত হন। সন্তান জন্মের ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর আবার গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট করে এ বিষয়ে নিঃসন্দেহ হতে হবে।

* বন্ধ্যাত্ব, গর্ভপাত, গর্ভে সন্তানের মৃত্যু বা নবজাতক মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটলে ডায়াবেটিসের কথা মাথায় রাখা উচিত। যাঁরা আগে থেকেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাঁরা সন্তান নেওয়ার আগে ভালো করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, ওষুধের পরিবর্তে ইনসুলিন গ্রহণ করে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।

* ডায়াবেটিসের কারণে বারবার প্রস্রাবে সংক্রমণ, যোনিপথের ছত্রাক সংক্রমণ ইত্যাদি সমস্যা নারীকে পর্যুদস্ত করে দেয়। এ ছাড়া ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি।

ডা. তানজিনা হোসেন
হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ
সোর্স – প্রথম আলো।


Sunday 28 April 2019

ডায়াবেটিক গাছ Gynura Procumbens – For Diabetic patients

ডায়াবেটিক গাছ Gynura Procumbens – For Diabetic patients
ডায়াবেটিক গাছ Gynura Procumbens – For Diabetic patients

Product Description:

আশ্চর্য এক গাছের পাতা আপনার ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখবে । আমরা সবরাহ করছি ।
আমাদের উদ্দেশ্য বেবসা নয়, সারা বাংলার মানুষের সেবার জন্য এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। সবার বাড়িতে একটি গাছ থাকুক এটাই চাই ।
————————————————————————————————————
চীনে একটা গাছ খুব প্রসিদ্ধ। এই গাছ সারা বিশ্বে বিপুল জনপ্রিয় ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে Gynura procumbens (গায়নুরা প্রোকাম্বেনস ) ঔষধী গাছ । খালি পেটে ২টি পাতা খেলে নাকি ডায়াবেটিস ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রনে থাকে।

বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে বিপুল জনপ্রিয় ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে Gynura procumbens (গায়নুরা প্রোকাম্বেনস ) ঔষধ গাছ ।এটা এক ধরনের হার্বাল গাছ এটা বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে ।

আজকাল এটাকে Diabetes, HTN and elevated levels of cholesterol and trigycerides. এর জন্য ওয়ান্ডার হারব বলে মনে করা হয় ।ইদানিং এটির গুনের নাম ডাক সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পডেছে । চীন দেশে এটির ব্যবহার এন্টি ভাইরাস হিসেবেও খুব পরিচিত ।

এই গাছ এর আয়ুস্কাল ২৫-৩০ বছর। মাত্র ৩ ফুটের মত লম্বা হবে ও একটা ঝোপে পরিনত হবে। ছাদে, বারান্দায়, উঠানে বা টবে লাগানো যাবে ।

বোটানিক্যাল নামঃ→ Gynura Procumbens
চাইনিজ নামঃ→ Jian Feng Wei
ইংরেজি নামঃ→ sabunga

উপকারিতা:
*. গাছটির ২ টি পাতা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে সেবনে শুধু সুগার এবং কলস্টেরল নিয়ন্তণই নয় তরতাজা রাখে কিডনি ও লিভার এবং রোধ করে ব্ল্যাড প্রেসার ।। এই গাছের রস এবং পাতার গুড়া চায়ের মতো সেবনে ডায়াবেটিস ও প্রেশার থাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।
*. সুগার স্বাভাবিক মাত্তার তুলনায় আরো কমিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার বিপদ ডেকে আনে না।

ব্যবহারবিধিঃ
যাদের ডায়াবেটিস, প্রেশার এবং কোলস্টেরল আছে, তাদের প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২টি পাতা সেবন করতে হবে। ইনসুলিন ব্যবহারকারী এবং গ্যাস্ট্রিক আক্রান্তদের ক্ষেত্রে সকালে খালি পেটে ২টি পাতা ও রাতে শোবার আগে ২টি পাতা সেবন করতে হবে।

পরিচর্যা ও রোপণ পদ্ধতি:
গাছটি খুবই অল্প জায়গা নেয়। টবেই অনায়াসে রোপণ করা সম্ভব। সর্বনিন্ম ১০ ইঞ্চি টবে গোবরের সার ও মাটি মিশিয়ে চারা রোপণ করতে হবে এবং প্রতিদিন নিয়মিত সকাল-বিকাল পানি দিতে হবে। মাঝে মাঝে সেদ্ধ চা-পাতা মেশাতে পারেন। বছরে অন্তত দু’বার মিশ্র সার ব্যবহার করতে পারেন।

আমরা এই গাছ অনলাইনের মাধ্যমে সবার কাছে বিক্রি করছি।
সারা দেশে যে কোন যায়গায় আমরা বিশেষ পদ্ধতিতে কুরিয়ার করছি।
অর্ডার দিতে ১০০/= আডভান্স বিকাশ করতে হবে।

Sunday 14 April 2019

চুল রং করার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, Tips For Hair Color

চুল রং করার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
চুল রং করার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
চুল রং করার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তা আজ আপনাদের জানাব। হেয়ার কালার করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে না হলে আপনার চুল হয়ে যেতে পারে রুক্ষ।

পছন্দমতো চুল রাঙাতে বা পাকা চুল ঢাকতে হেয়ার কালার অনেকেরই পছন্দ। রঙিন চুলের যত্ন নিয়ে রেড বিউটি স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীনের পরামর্শ শুনে লিখেছেন নাঈম সিনহা।

চুল রং করার ক্ষেত্রে রাসায়নিক কৃত্রিম রংই বেশি জনপ্রিয়। এমন চুলের যত্নটাও তাই হবে ভিন্ন। অনেকেই ভুল করে এমন চুলে হারবাল ট্রিটমেন্ট করে থাকেন। যেমন মেহেদি বা ঘরে তৈরি ভেষজ প্যাক। এতে চুলে আসে রুক্ষ ভাব। তাই চুল নষ্ট হতে শুরু করে। রং করালে চুলে একটা বাড়তি সৌন্দর্য চলে আসে। অনেকেই চুলের এই উজ্জ্বলতায় মুগ্ধ হয়ে পরিচর্যার কথা ভুলে যান। কিছুদিন পরেই চুল রুক্ষ হতে শুরু করে। বোধোদয় হয় তখন। চুলের বাড়তি যত্ন নেওয়া শুরু হয়। দরকার আগে থেকেই প্রস্তুতি। প্রতি সপ্তাহে নিতে হবে স্পা ও প্রোটিন ট্রিটমেন্ট।

প্রথমে সম্পূর্ণ চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। মাথার ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করুন। এরপর টাওয়াল দিয়ে চেপে চুলের পানি শুষে নিন। শুকনো চুলে লাগাতে হবে প্রোটিন প্যাক। বাজারে কয়েক ধরনের প্রোটিন প্যাক পাওয়া যায়। এর মধ্যে এগ প্রোটিন জনপ্রিয়। প্রোটিন দেওয়ার পর চুলে ক্রিম লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ রেখে পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

চুলের স্পা

চুলের রং ধরে রাখতে সপ্তাহে এক দিন স্পা করতে পারেন। স্পা করতে চুলে ভালো করে উষ্ণ গরম তেল ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এই ম্যাসাজ চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করবে। এরপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এরপর টাওয়াল দিয়ে চুলের পানি শুষে ব্লো ড্রাইয়ারে চুল শুকিয়ে নিন। চুলের রং ঝকঝকে রাখতে সপ্তাহে এক দিন এ ট্রিটমেন্ট দরকার। সপ্তাহে এক দিন চুলে তেল ব্যবহার করতে হবে। প্রতিদিন রঙিন চুলে তেল না দেওয়াই ভালো।

চুল রং করার টিপস (Tips For Hair Color)


  • চুলে রং করার আগেই চুল স্বাস্থ্যকর ও ময়েশ্চারাইজড করার চেষ্টা করুন। সেটি অন্তত তিন থেকে চার সপ্তাহ আগে থেকেই।
  • চুল শক্ত করতে এবং ভলিউম বাড়াতে কালার করানোর আগে নিয়মিত ডিপ কন্ডিশন করুন। ডিম, কলা ও টক দই সমান পরিমাণে একত্রে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই হেয়ার প্যাকটি চুলের গোড়ায় এবং পুরো চুলে ভালো করে লাগিয়ে রাখুন এক ঘণ্টা। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল নরম ও ময়েশ্চারাইজড করে।
  • রং করা চুলের জন্য বিশেষ কালার প্রোটেক্ট শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এসব শ্যাম্পু চুলের কালার ঠিক রাখে এবং চুল ময়েশ্চারাইজড করে।
  • যতটা সম্ভব হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার বা চুলে আয়রন করা থেকে বিরত থাকুন। এতে চুল রুক্ষ ও ক্ষয়িষ্ণু হয়।


চোখের নিচের কালো দাগ কমানোর ঘরোয়া উপায়, Domestic way to reduce dark circles under your eyes

চোখের নিচের কালো দাগ কমানোর ঘরোয়া উপায়
চোখের নিচের কালো দাগ কমানোর ঘরোয়া উপায়
মানুষের মুখমণ্ডলে সবচেয়ে সুন্দর ও স্পর্শকাতর অঙ্গ হলো এক জোড়া চোখ। কিন্তু যদি সেই সুন্দর দুটি চোখের নিচে কালো দাগ বা আন্ডার আই ডার্ক সার্কেল (Dark Circle) দেখা দেয় তা হলে পুরো সৌন্দর্যেই ভাটা পড়ে। অনেক কারণেই চোখের নিচে কালো দাগ পড়তে পারে। তার মধ্যে রাতে জেগে থাকা বা ঘুম কম হওয়া, কাজের বাড়তি চাপ, খাবারে অনীহা, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, বার্ধক্যজনিত কারণ, রক্ত শূন্যতা, বিষণ্ণতা উল্লেখযোগ্য।

এ ছাড়াও কিছু শারীরিক সমস্যা যেমন-এলার্জি, শ্বাস কষ্ট, যকৃতের সমস্যা, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি কারণেও চোখের নিচে কালো দাগ হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ছোট বেলা থেকে কোনো কারণ ছাড়াই চোখের নিচে কালো দাগ দেখা যায়।

চোখের নিচের কালো দাগ কমানোর ঘরোয়া উপায়


  •     চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে ওষুধের চেয়ে যত্ন ও কিছু নিয়ম কানুন কার্যকরী।
  •     প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে।
  •     দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
  •     ধূমপান থেকে যতটা সম্ভব বিরত থাকতে হবে।
  •     পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
  •     রোদে বাইরে বের হলে রোদ চশমা বা সান ব্লক ব্যবহার করতে হবে।
  •     প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
  •     কারো কারো অনেক দিন চশমা ব্যবহারের জন্য চোখের নিচে কালো দাগ ও ফোলা ভাব দেখা যায়।
  •     সেই ক্ষেত্রে প্রতিদিন কাজের ফাঁকে ১০ মিনিট চোখ বন্ধ করে চোখকে বিশ্রাম দিতে হবে এবং
  •     রাতে ঘুমানোর সময় উঁচু বালিশ ব্যবহার করতে হবে।


মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহারের সময় যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এখন বাজারে অনেক ধরনের আন্ডার আই ডার্ক সার্কেল ক্রিম পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহারে কিছুটা ডার্ক সার্কেল হালকা হয়। এ ছাড়া ডায়মন্ড পিলিংয়ের মাধ্যমেও ডার্ক সার্কেল কমানো যায়। তবে চোখের নিচে কালো দাগের সমস্যা অনেক দিন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

স্বপ্নদোষ কি ? Out sperm when dream time

স্বপ্নদোষ কি ? Out sperm when dream time
স্বপ্নদোষ কি ? Out sperm when dream time

স্বপ্নদোষ হলো একজন পুরুষের ঘুমের মধ্যে বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা। এটাকে ‘ভেজাস্বপ্ন’ও বলা হয়।
১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ খুব সাধারণ। তবে বয়ঃসন্ধিকালের পরে যেকোনো সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। এটার সাথে যৌন উত্তেজক স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে, আবার নাও পারে। আবার পুরুষদের উত্থান ছাড়াই স্বপ্নদোষ ঘটতে পারে। ঘুম থেকে জাগার সময় কিংবা সাধারণ ঘুমের মধ্যে যে স্বপ্নদোষ হয়, তাকে কখনো কখনো ‘সেক্স ড্রিম’ বলে। মহিলাদের ঘুমের মধ্যে চরম পুলক লাভের অভিজ্ঞতা ঘটতে পারে।

স্বপ্নদোষের মাত্রা
স্বপ্নদোষের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হয়। কিছু পুরুষের টিনএজারদের মতো বেশিসংখ্যক স্বপ্নদোষ হয়, আবার অনেক পুরুষের একবারও হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের ৮৩ শতাংশ পুরুষের জীবনে কখনো না কখনো স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা ঘটে। পশ্চিমা দেশগুলোর বাইরের দেশগুলোতে ৯৮ শতাংশ পুরুষের স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা ঘটে। অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে, ১৫ বছর বয়সী ছেলেদের সপ্তাহে ০.৩৬ বার থেকে শুরু করে ৪০ বছর বয়সী পুরুষদের সপ্তাহে ০.১৮ বার স্বপ্নদোষ হয়। বিবাহিত পুরুষদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের সপ্তাহে ০.২৩ বার থেকে ৫০ বছর বয়সী পুরুষদের সপ্তাহে ০.১৫ বার হয়।

কিছু পুরুষ কেবল একটা নির্দিষ্ট বয়সে এ ধরনের স্বপ্ন দেখেন, পক্ষান্তরে অন্য বয়ঃসন্ধিকালের পর থেকেই সারাজীবন এ ধরনের স্বপ্ন দেখতে থাকেন। ঘন ঘন স্বপ্নদোষের সাথে ঘনঘন হস্তমৈথুন করার সুনিশ্চিত সম্পর্ক নেই। বিশ্বখ্যাত যৌন গবেষক আলফ্রেড কিনসে দেখেছেন, ‘ঘনঘন হস্তমৈথুন এবং ঘনঘন যৌন উত্তেজক স্বপ্নের মধ্যে কিছুটা সম্পর্ক থাকতে পারে। সাধারণভাবে যেসব পুরুষের ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়, তারা কম হস্তমৈথুন করেন। এসব পুরুষের কেউ কেউ গর্বিত হন এই ভেবে যে, তাদের ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়, এ কারণে তারা হস্তমৈথুন করেন না। অথচ এদের বেলায় উল্টোটা সত্যি। তারা হস্তমৈথুন করেন না কারণ তাদের ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।’

একজন পুরুষের স্বপ্নদোষের মাত্রা বেড়ে যায় যদি তিনি টেস্টোসটেরনসমৃদ্ধ ওষুধ গ্রহণ করেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কিছুসংখ্যক বালক টেস্টোসটেরনের মাত্রা বাড়ানোর ফলে তাদের স্বপ্নদোষের মাত্রাও মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। ১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ শতাংশে।

বয়ঃসন্ধিকালে ১৩ শতাংশ পুরুষের প্রথম বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা ঘটে স্বপ্নদোষ হিসেবে। তবে অনেকেই প্রথম বীর্যপাত ঘটায় হস্তমৈথুনের মাধ্যমে।

স্বাভাবিকভাবে বীর্যপাতের পরে পুরুষাঙ্গ শিথিল হয়ে যায়। তবে স্বপ্নদোষের ক্ষেত্রে, বীর্যপাতের পরও পুরুষাঙ্গ শক্ত থাকে।
যদিও স্বপ্নদোষ প্রতিরোধ করতে কিংবা বন্ধ করতে বেশকিছু চিকিৎসা রয়েছে, তবে অনেকেই সেই চিকিৎসার মধ্যে যান না। হিক্কার মতো স্বপ্নদোষেরও অনেক ধরনের ঘরোয়া প্রতিষেধক রয়েছে, তবে তার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তা ছাড়া স্বপ্নদোষ কোনো শারীরিক ক্ষতি করে না বলে এবং কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে না করে বলে সাধারণত চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয় না।

মহিলাদের ক্ষেত্রে কিনসে দেখেছেন, ৫ হাজার ৬২৮ জন মহিলার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ মহিলা তাদের ৪৫ বছর বয়সের সময় কমপক্ষে একবার স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। ওই সব মহিলা কিনসের সাথে এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৮৫ শতাংশ মহিলা তাদের ২১ বছর বয়সের সময় স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা লাভ করেন। কেউ কেউ ১৩ বছর বয়সে পড়লে এ অভিজ্ঞতা লাভ করেন। যেসব মহিলা ঘুমের মধ্যে চরম পুলক লাভ করেন, সাধারণত তাদের বছরে কয়েকবার এটা হয়। মহিলাদের রতিমোচন হিসেবে ঘুমের মধ্যে যৌন উত্তেজনা জাগে যার মাধ্যমে তারা রতিমোচনের অভিজ্ঞতা লাভ করেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে তাদের স্বপ্নদোষ নির্ণয় করা সহজ, কারণ হলো বীর্য। মহিলাদের যোনিপথে নিঃসরণ রাগ মোচন ছাড়াই যৌন উত্তেজনার চিহ্ন হতে পারে।

স্পারম্যাটোরিয়া
১৮ ও ১৯ শতকে, যদি একজন রোগীর ঘনঘন অনৈচ্ছিক বীর্যপাত হতো কিংবা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণ বীর্য বের হতো তখন তার রোগ নির্ণয় করা হতো স্পারম্যাটোরিয়া বা ‘ধাতুদৌর্বল্য’ বলে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ এবং অন্যান্য চিকিৎসা যেমনন্ধ খৎনা করার পরামর্শ দেয়া হতো। বর্তমানে কিছু হার্বাল ওষুধ দিয়ে অনেকেই এর চিকিৎসা করলেও তার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

প্রচলিত ধারণা
অনেক রোগী স্বপ্নদোষ হওয়াকে মারাত্মক রোগ বলে মনে করেন। তাদের ধারণা, যৌবনে এটা একটা প্রধান যৌন সম্পর্কিত রোগ। কেউ কেউ নানা ধরনের চিকিৎসা করানন্ধ এমনকি স্বপ্নদোষ ও হস্তমৈথুনের জন্য প্রচলিত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করান। এদের অজ্ঞতার সুযোগ নেন অনেকে। স্বপ্নদোষকে ভয়াবহ রোগ হিসেবে অভিহিত করে রোগীর মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন।

Friday 5 April 2019

এসিডিটির সহজ সমাধান, Simple solution acidity

এসিডিটির সহজ সমাধান
এসিডিটির সহজ সমাধান
বর্তমানে এসিডিটির সমস্যা একটি সাধারণ সমস্যা। যাকে আমরা পেটে গ্যাসের সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করি। দীর্ঘদিন খাবারে অনিয়মের ফলে এসিডিটি দেখা দেয়। এছাড়াও অবশ্য আরও অনেক কারণ আছে। সাধারনত অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার পেটে গ্যাস উৎপাদন করে।

পেটে গ্যাসের আক্রমণ কেন হয়, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকলে আপনি সহজেই অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে পারেন। আঁশযুক্ত খাবার ও শাকসবজি বেশি খেলে পাকস্থলী তার সবটা সহজে পরিপাক করতে পারে না। কিছু খাবার অপরিপাক অবস্থায় চলে যায় ক্ষুদ্রান্ত্রে। সেখানে কিছু ব্যাকটেরিয়া ওসব খাবার খায়। এদের আয়ু খুব কম। মৃত ব্যাকটেরিয়াগুলো থেকে গ্যাস তৈরি হয়। আর অস্বস্তির কারণ এটাই।

সম্পূর্ণ গম বা আটা দিয়ে তৈরি খাবারগুলো পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে। আটা বা ময়দা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পিঠা, বিস্কিট ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য পরিত্যাগ করুন।

ফল এবং সবজি কাঁচা খাওয়ার পরিবর্তে সেদ্ধ বা রান্না করে খান। পেটের গ্যাস এতে কমে যাবে অনেকটাই।

পেটে গ্যাস হলে তরকারিতে সামান্য বেশি পরিমাণে হলুদ দিন। হলুদ পেটের গ্যাস কমাতে খুবই সাহায্য করে।

এছাড়া গ্যাস সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যা যা খাবেন :

শসা শসা পেট ঠান্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।

দই দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।

পেঁপে পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।

কলা ও কমলা কলা ও কমলা পাকস্থলীর অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও কলার স্যলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে।

আদা আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।

জিরা পাকস্থলীর এসিডকে নিরপেক্ষ করে পেটের ব্যাথা দূর করতে এবং হজমক্রিয়ায় জিরা চমৎকার কাজ করে। দেড়কাপ পানিতে এক চা চামচ করে জিরা, ধনে ও মৌরী গুঁড়া এবং সামান্য চিনি মিশিয়ে খালি পেটে খেতে পারেন অথবা এক গ্লাস পানিতে সামান্য জিরার গুঁড়া মিশিয়ে বা ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে প্রতিবেলা খাবার পর খেতে পারেন।

আপেল সাইডার ভিনেগার

এর ক্ষারধর্মী প্রভাব পাকস্থলীর এসিডিটির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ১-২ চা চামচ অশোধিত ভিনেগার এক কাপ পানিতে মিশিয়ে খাবার আগে বা দিনে এক বা দুইবার খেতে পারেন।

মাঠা এতে থাকা ল্যাক্টিক এসিড পাকস্থলির এসিডকে স্বাভাবিক করে। সারাদিনে কয়েকবার শুধু মাঠা খেলে বা সাথে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়া অথবা এক চা চামচ ধনেপাতার রস মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায় আবার আধা থেকে এক চা চামচ মেথি সামান্য পানি দিয়ে পেস্ট করে এক গ্লাস মাঠার সাথে মিশিয়ে খেলে অ্যাসিডিটির পেট ব্যথা দূর হয়।

খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পানি পান করতে হবে, এতে খাদ্যনালী সচল হবে ও পাকস্থলী খাবার গ্রহণের উপযোগী হবে। সকালে খালি পেটে ইসপগুলের সরবত পেটের গ্যাসের সমস্যার জন্য উপকারী।

খাওয়ার পর সামান্য হাঁটাহাঁটি করলে পেটের গ্যাস সিস্টেমের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। ধূমপান, এলকোহল ও চুইংগাম চিবানো বাদ দিতে হবে।

এছাড়া মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। নিয়মিত রাতে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। যেসব খাবার পেট ঠাণ্ডা রাখে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সে রকম খাবার রাখতে হবে। খাবার পরিবর্তনের পরও যদি পেটের সমস্যা সমাধান না হয়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

তেঁতুলের কথা শুনলে জিভে পানি আসে কেন, আর এর উপকারিতা কি?

তেঁতুলের কথা শুনলে জিভে পানি আসে কেন, আর এর উপকারিতা কি?
তেঁতুলের কথা শুনলে জিভে পানি আসে কেন, আর এর উপকারিতা কি?
তেঁতুল সুবৃহৎ ও সুদৃশ্য চিরসবুজ বৃক্ষ। গাছ প্রায় ২৪ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। তেঁতুলগাছের পাতা, ছাল, ফলের শাঁস(কাঁচা ও পাকা), পাকা ফলের খোসা, বীজের খোসা সব কিছুই ব্যবহার হয়ে থাকে।

তেঁতুলে শাঁসে টারটারিক এসিড থাকায় এরূপ টক স্বাদ হয়। তেঁতুলের আদি নিবাস আফ্রিকার সাভানা অঞ্চল ও দক্ষিণ এশিয়া। ধারণা করা হয় সুদান থেকেই তেঁতুল বাংলাদেশের মাটিতে এসেছে।

তেঁতুল বা টক জাতীয় খাবারের কথা শুনলেই মানব মনে এক ধরনের উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। খাবার টক হয় জৈব এসিডের উপস্থিতির কারনে। টক খাবারের স্বাদের অভিজ্ঞতা আমাদের মস্তিষ্কের অনিয়ন্ত্রনযোগ্য অংশের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।

টক খাবার আমাদের স্যালিভা স্যাকরেশন বাড়ায় যা লালাগ্রন্থী কে লালা ক্ষরণ করার নির্দেশ দেয়। তাই জিভে পানি আসে।

তাহলে এবার আসুন জেনে নেই এর উপকারী দিক গুলো।

১. এটি পরিপাকবর্ধন ও রুচিকারক। তেঁতুলের কছিপতপায় রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে এমাইনো এসিড।

২. পাতার রসের শরবত সর্ধি-কাশি, পাইল্স ও প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ায় বেশ কাজে দেয়।

৩. তেঁতুল চর্বি কমানোয় বেশ বড় ভূমিকা রাখে। তাবে তা দেহের কোষে নয়, রক্তে। এতে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্রাইসেরাইডের মাত্রা এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

৪. দেখা যায় পুরোনো তেঁতুলের কার্যকারিতা বেশি। যদি পেট ফাঁপার সমস্যা থাকে এবং বদহজম হয়, তাহলে পুরোনো তেঁতুল এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে সামান্য লবণ, চিনি বা গুড় দিয়ে খেলে অসুবিধা দূর হবে।
 আবার হাত-পা জ্বালা করলেও এই শরবতে উপকার পাওয়া যায়।

৫. তেঁতুলের বীজও বিভিন্ন শিল্পে কাজে লাগে।

৬. পাকা ফলের শাঁস শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়।

৭. তেঁতুলের পাতা বেটে মরিচ ও সামান্য লবণ দিয়ে বড়া তৈরি করে পান্তাভাতের সাথে খেলে শরীরে এমাইনো এসিড পাওয়া যায়।

৮. তেঁতুলের সাথে রসুন মেশানো যায়, এটি রক্তের চর্বি কমানোর কাজে লাগে।

৯. তেঁতুল এমনই এক ভেষজ, যার সব অংশই কাজে লাগে।

* তেঁতুল  বা তিন্তিড়ী হল একপ্রকার টক ফলবিশেষ। হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে খুব উপকারী তেঁতুল বসন্তকালের ফল হলেও সারা বছরই পাওয়া যায়। অনেকেরই ধারণা তেঁতুল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং রক্ত পানি করে।

 এ ধারণা সম্পূর্ণ ভূল।

 তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর ভেষজ ও পুষ্টিগুণ। তেঁতুল দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী। ভেষজবিদদের মতে, নিয়মিত তেঁতুল খেলে শরীরে সহজে মেদ জমতে পারে না।

* এতে টারটারিক এসিড থাকায় হজমে সহায়তা করে। পেটের বায়ু, হাত-পা জ্বালায় তেঁতুলের শরবত খুব উপকারী। তাই সরাসরি তেঁতুল না খেয়ে তিন-চার দানা পুরনো তেঁতুলের এক কাপ রসের সঙ্গে চিনি বা লবণ মিশিয়ে খাওয়া ভালো।
 যাদের পেটে গ্যাস জমে তারা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তেঁতুলের শরবত খেলে পেটে গ্যাস জমা থেকে রক্ষা পাবেন। হাঁপানি ও দাঁত ব্যথায় তেঁতুলগাছের ছাল চুর্ণের রস খেলে উপশম পাওয়া যায়।

Thursday 4 April 2019

এই গরমে শিশুকে সুস্থ রাখবেন যেভাবে, How to keep the baby healthy in this summer

এই গরমে শিশুকে সুস্থ রাখবেন যেভাবে
এই গরমে শিশুকে সুস্থ রাখবেন যেভাবে
আবাহাওয়াতে চলছে তীব্র গরম হাওয়া। এই সময় বড়দের শরীর ঠিক রাখায় দুষ্কর। সেখানে ছোটদের অবস্থা আরও শোচনীয়। তারা অল্পতেই অসুস্থ হয়ে যায়। এ সময় শিশুর খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে গোসল ও পোশাক নির্বাচনেও বিশেষ যত্নবান হতে হবে।

গরমে শিশুরা বড়দের তুলনায় অনেক বেশি ঘেমে যায়। তবে শিশুর প্রতি বিশেষ যত্নবান হলে এসব সমস্যা সহজেই এড়ানো সম্ভব। গরমে শিশুদের সাধারণত যে সমস্যাগুলো বেশি হয়ে থাকে তা হচ্ছে জলবসন্ত, র‌্যাশ বা ফুসকুড়ি, পেট খারাপ, ত্বকের অসুখ, ঠাণ্ডার সমস্যা বা হামস।

* জলবসন্ত
এ সময়টায় শিশুদের জলবসন্ত হয়ে থাকে। এটা সাধারণত এক থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের বেশি হয়। তবে চিকেন পক্সের টিকা নেয়া থাকলে এ রোগটি হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়। এ অসুখের সময় শিশুর বিশেষ যত্ন নিতে হবে। তাকে নরম সুতি কাপড় পরাতে হবে। টাটকা এবং তরল জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। বেশি করে পানি খাওয়াতে হবে। এর সঙ্গে অবশ্যই মায়ের দুধ অব্যাহত রাখতে হবে।

* ত্বকে ফুসকুড়ি
শিশুদের ক্ষেত্রে এ সমস্যাটা বেশি দেখা যায়। এটা সাধারণত ঘামাচি বা চামড়ার ওপরে লাল দানার মতো ফুসকুড়ি হয়ে থাকে। এই কারণে শিশুকে অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে। ফুসকুড়ির জায়গাগুলোতে বেবি পাউডার লাগাতে পারেন। এছাড়া প্রতিবার কাপড় বদলানোর সময় শিশুকে নরম ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে পাউডার লাগিয়ে দিতে হবে। অনেক সময় ডায়াপারের কারণেও শিশুর ফুসকুড়ি হতে পারে। তাই খেয়াল রাখতে হবে, ভেজা ডায়াপার যেন শিশুর গায়ে বেশিক্ষণ না থাকে। অনেক সময় র‌্যাশ বেশি হয়ে গেলে ঘা হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

* পেট খারাপ
গরমের সময় সাধারণত শিশুদের বেশি পেট খারাপ হয়ে থাকে। শিশুর পেট খারাপ হলে তাকে ঘন ঘন স্যালাইন খাওয়াতে হবে। সেইসঙ্গে পানি অথবা ডাবের পানি খাওয়াতে হবে। একই সঙ্গে তাকে তরল খাবারও দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত শিশুর পায়খানা স্বাভাবিক না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন শিশুর পানিশূন্যতা না হয়। তার প্রস্রাবের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকতে হবে।

* ঠাণ্ডার সমস্যা
গরমে শিশুদের ক্ষেত্রে ঠাণ্ডার সমস্যাটাও বেশি হতে দেখা যায়। গরমে অতিরিক্ত ঘামের ফলে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। তাই শিশু ঘেমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তার শরীর মুছে দিয়ে কাপড় বদলে দিতে হবে। এ সময় ঠাণ্ডা লেগে শিশুর হামস হতে পারে। হামস অনেক সময় অল্প দিনে সেরে যায়। কিন্তু বেশি দিন গড়ালে শিশুকে এমএমআর ইঞ্জেকশন দেয়া হয়। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো ব্যবস্থা নিতে হবে।

* শিশুর চুলের যত্ন
এই গরমে শিশুর চুলের দিকেও নজর দিতে হবে। গরমে চুলের গোড়া ঘেমে যায়, সঙ্গে ধুলাবালির আক্রমণ তো রয়েছেই। তাই রোগ প্রতিরোধে প্রথমেই শিশুদের চুলের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। অনেক সময় অতিরিক্ত গরমে চুলের ত্বকে খুশকি বা ঘামাচি বের হয়। তাই গরমের শুরুতেই চুল ছেঁটে ছোট করে দিতে হবে। এতে চুলের গোড়া ঘামওে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।

শুক্রানুই সন্তানের সুস্বাস্থ্যের নির্ধারক, Good health determinant of sperm child

শুক্রানুই সন্তানের সুস্বাস্থ্যের নির্ধারক

একটি নতুন সমীক্ষা দেখিয়েছে যে সব শুক্রানু ডিম্বানুকে নিষিক্তকরণের আগে বেশি সময় বেঁচে থাকে, তারা বাকি শুক্রানুর তুলনায় অনেক স্বাস্থ্যবান সন্তানের জন্ম দিতে পারে।

যে শুক্রাণুর আয়ু বেশি সে অনেক বেশি সুস্থ সবল সন্তানের জন্ম দিতে পেরেছে। সুইডেনের ইস্ট অ্যাঙ্গলিয়া এবং উপ্পাসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষা দেখিয়েছে।

সমীক্ষায় গবেষকেরা একটি পুরুষ জেব্রাফিশের উপরে পরীক্ষা করে দেখিয়েছেন, যে এই ব্যবস্থা মানব প্রজনন ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও একইভাবে কাজ করে।

এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুখ্য গবেষক ডা. সিমলার বলেন একজন পুরুষ প্রতি বার কয়েক হাজার মিলিয়ন শুক্রানু মুক্ত করেন। তার মধ্যে থেকে যে কোনও একটি শুক্রাণু শেষ পর্যন্ত ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করতে পারে।

সিমলার আরো বলেন প্রতিবার মুক্ত হওয়া শুক্রাণু শুধুমাত্র আকার এবং পারফর্ম্যান্সের দিক থেকেই নয়, জেনেটিক দিক থেকেও পৃথক পৃথক বৈশিষ্ট্য বহন করে।

এতদিন পর্যন্ত ভাবা হতো যে কোন শুক্রানু ডিম্বানু কে নিষিদ্ধ করলো তাতে কিছু আসে যায় না শুধুমাত্র নিষিক্তকরণটাই জরুরি। তবে এখন দেখা যাচ্ছে যে কোন নির্দিষ্ট শুক্রানু ডিম্বানুকে নিষিক্ত করবে তার উপরেই নির্ভর করে সন্তানের স্বাস্থ্য কেমন হবে। সূত্র: এনডিটিভি।

হাজারও রোগ থেকে মুক্তি দেবে সজনে ডাঁটা, Thousands of Rinse stems will be released from the disease

হাজারও রোগ থেকে মুক্তি দেবে সজনে ডাঁটা

সজনে ডাঁটা আমরা কমবেশি সবাই চিনি। সজনে ডাঁটা ও সজনে গাছের সবুজ কচিপাতা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ঢাকা বা ঢাকার বাইরে সব জায়গায় বাজারে পাবেন সজনে।

সজনে আমরা সবাই চিনি। তবে সজনের গুণাগুণ আমাদের অনেকেরই অজানা। সজনে ডাঁটা বা পাতা যাই বলুন না কেন এর বহুদিন রোগ সারানোর ঔষধি গুণ রয়েছে।

আমেরিকান জার্নাল অব নিউরোসায়েন্স জানাচ্ছে পুরুষদের লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা বা উদ্দীপনার ঘাটতিতে খুব ভালো কাজ করে শজনে ডাঁটা। প্রতিদিনের ডায়েট রাখতে পারেন সজনে ডাঁটা। অথবা এক গ্লাস দুধে শজনে ফুল, নুন ও গোলমরিচ মিশিয়ে প্রতিদিন খেলেও উপকার পাবেন।

চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন এই সজনে ডাঁটা খাওয়ার জন্য। তবে অনেকে এর গুণাগুণ জানেন না বলে খেতে চান না। এখন বাজারে হাত বাড়ালেই পাবেন সজনে। এই সজনে আপনার হাজারো রোগ থেকে মুক্তি দেবে।

পুষ্টিবিদ মালবিকা দত্তের মতে, সুষম খাবার বলতে যা বোঝায় সজনে হলো সে রকম একটি খাবার।

সজনেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন রয়েছে। রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডান্টও। তাই ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শজনে খান।

আসুন জেনে নেই সজনের গুণাগুণ।

১. জলবসন্ত, ডায়েরিয়া, লিভারজনিত বিভিন্ন রোগপ্রতিরোধ করে সজনে।

২. সজনেতে ফসফরাস থাকার কারণে হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে।

৩. সজনের খেলে হার্ট সুস্থ থাকে।

৪. সজনের মধ্যে হাঁপানি উপশমের উপাদানও চিহ্নিত করা গেছে।

৫. সজনে খেলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৬. যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন তারা সজনে খেতে পারেন। এছাড়া রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখতেও সজনে খেতে পারেন।

তবে যারা সজনে খেতে পছন্দ করেন না তারা সজনে ফুল দিয়ে বড় খেতে পারেন। এই মৌসুমে বাজারের হাত বাড়ালেই পানে ফুল বা সজনে ডাঁটা।

Wednesday 3 April 2019

দাঁতে পাথর হওয়া ও তার প্রতিকার Tooth stone and its remedy

দাঁতে পাথর হওয়া ও তার প্রতিকার
দাঁতে পাথর হওয়া ও তার প্রতিকার
আমাদের অনেকের দাঁতে এক ধরনের হলুদ বা বাদামি রঙয়ের প্রলেপ দেখা যায়। এটাকেই দাঁতে পাথর পড়া বলে। ইংরেজিতে এটাকে বলে টার্টার। আপনি চাইলে ঘরে বসেও সমস্যাটির সমাধান করতে পারবেন।

টার্টার পরিষ্কার করতে যা লাগবে বেকিং সোডা, ডেন্টাল পিক, লবণ, হাইড্রোজেন পেরোক্সাইড, পানি, টুথব্রাশ, কাপ, অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ।

প্রথম ধাপ
কাপে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে ১/২ চা চামচ লবণ মেশান। এবার গরম পানিতে টুথব্রাশ ভিজিয়ে বেকিং সোডা ও লবণের মিশ্রণ দিয়ে পাঁচ মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ করুন। সবশেষে কুলকুচি করে নিন।

দ্বিতীয় ধাপ
এক কাপ হাইড্রোজেন পারোক্সাইডের সঙ্গে ১/২ কাপ হালকা গরম পানি মেশান। এই পানি মুখে নিয়ে এক মিনিট রাখুন। এরপর ১/২ কাপ পানি দিয়ে কুলকুচি করে ফেলুন।

তৃতীয় ধাপ
ডেন্টাল পিক দিয়ে দাঁতের হলুদ টার্টার ধীরে ধীরে ঘষে তুলুন। মাড়ির ক্ষতি এড়াতে ডেন্টাল পিক ব্যবহারের সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।

চতুর্থ ধাপ
অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করুন।

ঝকঝকে দাঁতের জন্য আরও যা করতে পারেন-

স্ট্রবেরি ও টমেটো ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ বলে স্ট্রবেরি ও টমেটো দাঁতের জন্য ভালো। টার্টার পরিষ্কার করতে স্ট্রবেরি বা টমেটো দাঁতে ঘষে পাঁচ মিনিট রাখুন। এতে টার্টার নরম হবে। এবার বেকিং সোডা মেশানো হালকা গরম পানি দিয়ে কুলি করে ফেলুন। স্ট্রবেরি বা টমেটো ছাড়াও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ক্যাপসিকাম, লেবু, পেঁপে ও কমলালেবু ব্যবহার করা যাবে।


এমন ৫টি খাবার, যা বাড়াবে আপনার কামশক্তি, 5 a meal, which will increase your libido

এমন ৫টি খাবার, যা বাড়াবে আপনার কামশক্তি
এমন ৫টি খাবার, যা বাড়াবে আপনার কামশক্তি
কামশক্তি বাড়াতে চান? সেটা তো আর টুক করে হয়ে যাবে না। কিছু না কিছু করতে হবে আপনাকে। না, না, ভয় পাবেন না। তেমন কিছু পরিশ্রমের কাজ করতে হবে না। নিয়ম করে কিছু জিনিস খেলেই বাড়বে আপনার কামশক্তি। শরীরে আসবে উত্তেজনার চোরাস্রোত। তাহলে আর দেরি না করে, ঝট জলদি জেনে নিন, কী কী নিয়ম করে খেলে, আপনি হতে

পারেন, যথার্থ কামুক পুরুষ। তাহলে জেনে নিন নিচের পাঁচ খাবারের নাম।

১) বিট- হ্যাঁ, শীতকাল তো এসেই গেল। বিট-গাজর পেতে আপনার কোনও অসুবিধার কথা নয়। রোজই বাজারে পাবেন মেরুন আর কমলা রঙের এই দুই সবজি। তাই নিয়ম করে বাজার থেকে বিটটা রোজ কিনে আনবেন। আর অবশ্যই খাবেন। দেখবেন, বিছানাতেও আপনি আগের থেকে কত চনমনে।

২) তরমুজ - অবশ্যই তরমুজ খাবেন। এমনিতেই গ্রীষ্মকালে তরমুজ খেতে সকলেরই খুব ভাল লাগে। ফলটা দেখতে যেমন সুন্দর, গরমে শরীর ঠাণ্ডা করতেও এর তুলনা নেই। আর থাকল পড়ে, কামউত্তেজনার কথা? উহু, তরমুজ আপনাকে উপরে চিরসবুজ, ভিতরেও চিরসবুজ রাখবে।

৩) টমেটো - এই সবজিটিও খেতে ভালবাসে না, এমন মানুষ কম পাওয়া যায়। পেট ভরে খাবার পর, একটু টমেটোর চাটনি হলে তো কোনও জবাবই নেই। এতদিন শুধু মুখের স্বাদের জন্য খেতেন। এবার নিয়ম করে একটু পাকা টমেটো, রান্না না করে কাঁচা খান। দেখবেন, আপনার যৌনক্ষমতাও কেমন টইটম্বুর হবে।

৪) কলা - কলা খেতেও নিশ্চয়ই আপনার খুবই ভাল লাগে। কলা তো যৌনতার পপ্রতীকও কখনও কখনও। আর কলায় থাকে প্রচুর পরিমান সোডিয়াম। যা আপনার শরীরকে রাখে সতেজ। আর কলা আপনার রক্তচাপকেও নিয়ন্ত্রণ করে। তাই দুর্বল লাগবে না একদম।

৫) চকোলেট - এটা খেতে তো আপনাকে কেউ হারাতেই পারবে না। হয়তো এতটাই চকোলেট খেতে ভালবাসেন আপনি। শুধু মুখের স্বাদের জন্যই হরদম চকোলেট খেয়ে এসেছেন এতদিন। এবার সঙ্গীকে খুশি করতেও চকোলেট খান।

ব্যস, আর কী? এবার থেকে নিয়ম করে এই পাঁচ খাবার মুখে তুলুন। আর থাকুন কাম উত্তেজনায় ভরপুর।

১০ মিনিটে জানা যাবে শরীরে ক্যান্সার আছে কিনা, In 10 minutes, it is known that there is no cancer in the body

১০ মিনিটে জানা যাবে শরীরে ক্যান্সার আছে কিনা
১০ মিনিটে জানা যাবে শরীরে ক্যান্সার আছে কিনা
দেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি। প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার রোগ তেমন ধরা পড়ে না। তাই এই রোগের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের একদল গবেষকের দাবি, মাত্র ১০ মিনিটে জানা যাবে। কারো শরীরে ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে কিনা। যাদের অন্যতম বাংলাদেশি গবেষক ড. আবু আলী ইবনে সিনা। জানালেন, কয়েক বছরের মধ্যেই এটি সহজলভ্য হবে।

সব প্রাণীর শরীর অসংখ্য ছোট ছোট কোষের মাধ্যমে তৈরী। এই কোষগুলো নির্দিষ্ট সময় পর মারা যায়। সেই জায়গা পূরণ করে নতুন কোষ। এই কোষগুলো যখন কোনো কারণে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে তখনই ত্বকের নিচে দেখা যায় মাংসের দলা বা চাকা। যাকে টিউমার বলে। এই টিউমার হতে পারে বিনাইন বা ম্যালিগন্যান্ট। আর ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকেই ক্যান্সার বলে।
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার গবেষণা বলছে, এ বছর বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারে মারা যেতে পারে ১ কোটি মানুষ। আক্রান্ত হতে পারে আরও ১ কোটি ৮১ লাখ।

তবে সম্প্রতি গবেষণার মাধ্যমে একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়েছে, যেখানে প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ মিনিটেই ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব। ফলে অনেক আগে থেকেই বোঝা যাবে কারো শরীরে ক্যান্সার দানা বাঁধছে কিনা। গবেষণাটি প্রকাশ হয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সাময়িকীতে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, হার্টের সবচেয়ে শক্তিশালী ওষুধ বিয়ে

হার্টের সবচেয়ে শক্তিশালী ওষুধ বিয়ে

হার্টের শক্তিশালী ওষুধ বিয়ে। সম্প্রতি দ্য জার্র্নাল অব হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল বিহেভিয়ার-এ প্রকাশিত হয়েছে এক গবেষণা প্রতিবেদন। এতে বলা হয়েছে, হার্টের বাইপাস সার্জারির পর তিন মাস পর্যন্ত বিবাহিতদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অবিবাহিতদের চেয়ে তিনগুণ বেশি।

তাছাড়া এই তিন মাস আক্রান্ত না হওয়ার পাশাপাশি সার্জারির পর পাঁচ বছর পর্যন্ত বিবাহিতদের হার্টের সুরক্ষামূলক প্রভাব কার্যকর থাকে। গবেষণাটির মূল গবেষক ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী এলেন ইডলার বলেন, সার্জারি পরবর্তী সঙ্কটজনক সময়ে বিবাহিতদের সারভাইভ করার অনুপাত একটা নাটকীয় ব্যাপার।

এলেন বলেন, বিয়েটা এক্ষেত্রে একটি সফল অনুঘটক। রোগী পুরুষ হোক বা মহিলা এতে কোন ভেদাভেদ নেই। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সর্বোপরি অবিবাহিতদের মৃত্যুর অনুপাত বিবাহিতদের চেয়ে দ্বিগুণ। গবেষণায় স্বাস্থ্য সঙ্কটের সময় স্বামী-স্ত্রী’র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকার কথা তুলে ধরা হয়।

এলেন আরো বলেন, এক্ষেত্রে স্ত্রী’র মতো স্বামীও ভাল গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে। এতে উল্লেখ করা হয়, বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া দীর্ঘজীবন পাওয়ার উপায় হিসেবে স্বীকৃত ১৮৫৮ সাল থেকে।

ওই সময় উইলিয়াম ফার প্রমাণ করেছিলেন, ফ্রান্সে কম বয়সে মারা যাওয়ার প্রবণতা রোধ করছিল বিয়ে। গবেষণাটিতে বলা হয়- বিধবা, চিরকুমার ও ডিভোর্সিদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি। এলেন বলেন, আমরা ৫শ’ সার্জারি ও ইমারজেন্সি রোগীর উপর গবেষণা করে এটি তৈরি করেছি।

কেন বিয়ে সঙ্কটময় মুহূর্তের ঝুঁকি কমিয়ে আনে তাও বলা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়, বিবাহিতরা সার্জারিতে অনেক বেশি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে যায়। যা অবিবাহিতরা পারে না। ব্যথা সহ্য করা, আরাম ছেড়ে কষ্ট তুলে নেয়া ও সার্জারি সম্পর্কে দুশ্চিন্তার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে- বিবাহিতরাই ইতিবাচক জবাব দেয়।

এতে বলা হয়, অবিবাহিতরা সার্জারির পর ৫ বছরের মধ্যে ৭০ ভাগ পর্যন্ত মারা যায়। যেটা বিবাহিতদের ক্ষেত্রে অনেক কম। এতে বিবাহিত জুটিদের মধ্যে ধূমপান কম হওয়ার কথাও বলা হয়। যেটা একটা উপকারী দিক। সব শেষে পরামর্শ দেয়া হয় বিষয়টি যখন হার্ট সংক্রান্ত, বিয়েই হবে শক্তিশালী ওষুধ। এখন সিদ্ধান্ত আপনার হাতে বিয়ে করবেন নাকি তাড়াতাড়ি মরবেন।

Tuesday 2 April 2019

দাঁতকে ঝকঝকে সাদা করার কিছু ঘরোয়া উপায় There are some domestic ways to whiten the tooth

দাঁতকে ঝকঝকে সাদা করার কিছু ঘরোয়া উপায়
দাঁতকে ঝকঝকে সাদা করার কিছু ঘরোয়া উপায়
মানুষের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে ঝকঝকে সাদা দাঁত অন্যতম। আর সুন্দর দাঁত মানেই আত্মবিশ্বাস। সামান্য একটু মুক্তা ঝরা হাসিতে যেমন কারও মন কেড়ে নেয়া নিমিষে, তেমনি হলদে দাঁতের হাসি বিরূপ ধারণা তৈরি করে এক মূহূর্তেই। তাই একটু আলাদা করেই যেন নিতে হয় দাঁতের যত্ন।

তবে ঝকঝকে সাদা দাঁত পেতে হলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে–এই ধারণাটা ঠিক নয়। ঘরোয়া কিছু উপাদান ব্যবহার করে আপনি নিজেই আপনার দাঁতকে করতে পারেন মুক্তার মত সুন্দর আর উজ্জ্বল। তাই এখনই জেনে নিন দাঁতকে ঝকঝকে সাদা করার কিছু ঘরোয়া উপায়।

লেবুর ব্যবহার : প্রতিদিন দুই বেলা দাঁত ব্রাশ করার পর পরিষ্কার দাঁতে এক টুকরো লেবু নিয়ে ঘষতে থাকুন । এভাবে ৫/৬ মিনিট ধরে ঘষতে থাকলে ৭ দিনের মধ্যে উত্তম রেজাল্ট পাবেন। এতে শুধু আপনার দাঁত পরিষ্কার হবে তা নয় বরং দাতেঁর রংও ফিরবে।

লবনের ব্যবহার: আপনি প্রতি রাতে যখন দাঁত ব্রাশ করেন। এরপর লেবুর ব্যবহার করতে হবে। লেবুর ব্যবহার শেষ করে হাতে লবন নিন। লবন আঙ্গুলের মাথায় নিয়ে ৫/৭ মিনিট ঘষুন তারপর কুলি করে ফেলুন। এভাবে এটিও ৭ দিন নিয়মিত করেন। এতে দাঁতের গোড়া হবে শক্ত ও মজবুদ। এখন অনেক টুথপেস্টেও লবনের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

কলার খোসার ব্যবহার : কলা খাওয়ার পর খোসাটি না ফেলে সেটি একাকী দাতেঁ ঘষতে থাকুন। প্রতিদিন এভাবে দুটি কলা খান এবং খোসাটি ঘসুন ৫ মিনিট ধরে । ৭ দিন হওয়ার আগেই এর ফলাফল পাবেন। ঝকঝকে সাদা দাঁত। এছাড়া কলার খোসা দিয়ে আপনার রুপ চর্চাও করতে পারেন।

বেকিং সোডা : বেকিং সোডার সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে দাঁতে লাগিয়ে ১ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে দাঁত ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।

কমলার খোসা কিংবা কলার খোসা : কমলা এবং কলার খোসায় আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম যা দাঁত সাদা করতে সহায়তা করে। এই ফলগুলো খেয়ে খোসা ফেলে না দিয়ে দাঁতে ঘষে নিন। তাই সপ্তাহে অন্তত দুইবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করুন। ব্যবহারের কিছুক্ষণ পর দাঁত ব্রাশ করে ফেলুন।

আপেল, গাজর এবং দুধ : ঝকঝকে সাদা দাঁত পেতে হলে খাবার তালিকায় নিয়মিত গাজর, আপেল এবং দুধ রাখতে হবে। এই খাবারগুলো দাঁতের এনামেলকে ঠিক রাখে।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার : আঙ্গুলের ডগায় অ্যাপেল সিডার ভিনেগার লাগিয়ে কিছুক্ষণ দাঁতে ঘষে নিন। এভাবে প্রতিদিন ব্যবহারে দাঁতের হলদে ভাব কমে যাবে।

সঠিক নিয়মে ব্রাশ করা : আমরা বেশির ভাগ মানুষই সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করি না। চিকিৎসকদের মতে, দিনে অন্তত দুইবার দুই মিনিট সময় নিয়ে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। দাঁত ব্রাশের সময়ে অবশ্যই নরম ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত। শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করলে মাড়ি এবং দাঁতের এনামেলের ক্ষতি হয়। এছাড়াও নিয়মিত ফ্লসিং করতে হবে।

হৃদরোগ উপশমে অর্জুন Arjuna in relieving heart disease

হৃদরোগ উপশমে অর্জুন
হৃদরোগ উপশমে অর্জুন
অর্জুন গাছের অনেক গুন রয়েছে। বৃহদাকৃতির বহুবর্ষজীবী এই উদ্ভিদটি প্রায় ১৮-২৫ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট হয়ে থাকে। ছাল খুব মোটা এবং ধূসর বর্ণের। গাছ থেকে সহজেই ছাল উঠানো যায়। শীতের শেষেই সাধারণত গাছ নিষ্পত্র হয়ে যায় এবং বসন্তে নতুন পাতায় গাছ ভরে যায়।

হৃদরোগ উপশমে অর্জুন ছাল ব্যবহৃত হয়। রক্তে নিম্ন চাপ থাকরে অর্জুনের ছালের রস সেবনে উপকার হয়। রক্তক্ষরণে ৫-৬ গ্রাম ছাল রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেকে পানি খেলে আরোগ্য হয়।

শ্বেত বা রক্ত প্রদরে ছাল ভিজানো পানি আধ চামট কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খেলে রোগের উপশন হয়। এই ছাল মুখ, জিহ্বা ও মাড়ির প্রদাহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, এটি মাড়ির রক্তপাত বন্ধ করে।

এটি সংকোচন ও জ্বর রোধক হিসেবেও কাজ করে। এছাড়া চর্ম ও যৌন রোগে অর্জুন ব্যবহুত হয়।

অর্জুন খাদ্য হজম ক্ষমতা বাড়ায়। খাদ্যতন্ত্রের ক্রিয়া স্বাভাবিক স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

কালো জিরার ৫ আশ্চর্য ওষধি গুণ Black Zerca 5 wonders medicinal properties

কালো জিরার ৫ আশ্চর্য ওষধি গুণ
কালো জিরার ৫ আশ্চর্য ওষধি গুণ
আমাদের নানা রকমের রান্নাবান্নায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হল কালো জিরা তবে শুধু রান্নার স্বাদ বাড়াতেই নয়, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাতেও প্রাচীন কাল থেকেই এর ব্যবহার হয়ে আসছে। কালো জিরাতে রয়েছে ফসফেট, ফসফরাস আর আয়রন। এই সব খনিজ উপাদান শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

কালো জিরাতে রয়েছে একাধিক আশ্চর্য স্বাস্থ্যগুণ, যেগুলি হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা। আসুন কালো জিরার আশ্চর্য সব স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক-

১) পেটের সমস্যায় খাবারের পাতে রাখুন কালো জিরা। ভাজা কালো জিরা গুঁড়ো করে আধা কাপ দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে তা পেটের অনেক সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে।

২) কালো জিরাতে থাকা ফসফরাস শরীরের রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। শরীরে যে কোনও জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে কালো জিরা অত্যন্ত কার্যকরী।

৩) অনেকেরই বর্ষাকালে মাথা যন্ত্রণা বা মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে। এ ক্ষেত্রে একটা কাপড়ে কালো জিরা বেঁধে তা রোদে শুকোতে দিন। এরপর তা নাকের কাছে ধরলে মাথায়, বুকে জমে থাকা শ্লেষ্মা সহজেই বেরিয়ে যায়। আর মাথা যন্ত্রণার অস্বস্তিও কমে যায়।

৪) কালো জিরাতে থাকা আয়রন আর ফসফেট শরীরে অক্সিজেনের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পথ্য হিসেবে কালো জিরা খুবই কার্যকরী।

৫) কালো জিরা দুর্দান্ত অ্যান্টি টক্সিনের কাজ করে। তাই নিয়মিত ও পরিষ্কার প্রস্রাবের জন্য পাতে রাখুন কালো জিরে। মুত্রথলির সংক্রমণ ঠেকাতেও কালো জিরা খুবই কার্যকরী!

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে? - Improve baby mental growth

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে? মা-বাবা হিসাবে আপনি তো নিশ্চয় চান যে পড়াশোনায় আপনার বাচ্চা দারুণ কিছু করুক। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছ...