Skin care regular tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

Health and Skin Care Tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

Health and Skin Care Tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Saturday 25 May 2019

নারীর পাঁচ স্বাস্থ্য সমস্যা - Health Tips Bangla

নারীর পাঁচ স্বাস্থ্য সমস্যা - Health Tips Bangla
Health Tips Bangla - নারীর পাঁচ স্বাস্থ্য সমস্যা
‘অসুস্থ হওয়ার সুযোগ কই! অসুস্থ হলে সবকিছু কে সামলাবে!’ স্বজনদের কেউ কোনো নারীর কাছে শারীরিক সুস্থতার কথা জানতে চাইলে এরকম অসহায়ত্বই ফুটে ওঠে অনেক নারীর কথায়। নারীরা প্রতিদিন গৃহস্থালি কাজে যে পরিমাণ শ্রম ও সময় দেন সেটা অনেক ক্ষেত্রেই অস্বাভাবিক রকম পরিশ্রমের। আর পেশাজীবী নারী হলে তো কথাই নেই, ঘরে-বাইরে দুই জায়গাতেই খাটতে হয় সমান তালে। ঘর-বাহির সামলাতে গিয়ে অনেক নারীই যেন নিজের শারীরিক-মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকির কথা ভাববার সময় পান না। কিন্তু সব সামলাতে হয় বলেই নিজেকে নিয়ে সচেতন হতে হবে। জিনিউজের প্রতিবেদন অবলম্বনে নারীর শীর্ষ পাঁচ স্বাস্থ্য সমস্যার কথা তুলে ধরা হলো।

হৃদরোগ
হৃদরোগের কথা আসলেই চোখের সামনে যে ছবি ভেসে ওঠে সেটা যেন ‘হৃদরোগাক্রান্ত কোনো পুরুষের ছবি’। কিন্তু বিশ্বে নারীদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হৃৎপিণ্ড ও ধমনীর রোগ বা কার্ডিওভাসকুলার রোগ। বুকে ব্যথা না হলেও কোনো এক হাত বা দুই হাতে ব্যথা, গলা ও ঘাড়ে ব্যথা, চোয়ালে ব্যথা কিংবা পাকস্থলীর সমস্যা হলেও দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান, পরামর্শ নিন।

স্তন ক্যানসার
২০ থেকে ৫৯ বছরের নারীদের ক্যানসারে মৃত্যুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নারী মারা যান স্তন ক্যানসারে। একসময় এটা চল্লিশোর্ধ্ব নারীদের সমস্যা বলে ধরে নেওয়া হলেও এখন তরুণতরদের মধ্যেও স্তন ক্যানসার দেখা যাচ্ছে। পরিবারের অন্য কারও স্তন ক্যানসার থাকা, বিআরসিএ জিন, বুকে তেজস্ক্রিয় রশ্মির থেরাপি, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান, বেশি বেশি লাল মাংস খাওয়া স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া জীবনযাপনে অতিরিক্ত প্রসাধনী নির্ভরতা, বাহুমূলে বেশি মাত্রায় গন্ধনাশকের ব্যবহার থেকেও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

সার্ভিকাল ক্যানসার
বিশ্বজুড়ে নারীদের ক্যানসারে মৃত্যুর চতুর্থ বড় কারণ সার্ভিকাল ক্যানসার। ভারতে নারীমৃত্যুর অন্যতম প্রধান একটি কারণ এ​টি। দেশটিতে প্রতিবছর ৩৩ হাজার নারী এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। হিউম্যান পাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) সার্ভিকাল ক্যানসারের কারণ। বিশেষ যৌন আচরণ থেকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। এ ছাড়া অনিরাপদ যৌন সংস্রবের কারণে হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি) থেকে সার্ভিকাল ক্যানসার হতে পারে।

ইউরেনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন
কিডনি, জরায়ু, মূত্রথলি ও মূত্রনালিতে সংক্রমণের রোগ এটি। ইউরেনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই) পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে দেখা যায়। অন্তত অর্ধেক নারীই জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে এ ধরনের একটি সংক্রমণে আক্রান্ত হয়। নিয়মিত পানি পান না করা এবং প্রস্রাব আটকে রাখা শহুরে নারীদের মধ্যে এমন সংক্রমণের একটি সাধারণ কারণ। এ ছাড়া যৌন সংস্রব এবং পরিবারে অন্য কারও এ রোগ থাকাটাও এ ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি হতে পারে।

বিষাদগ্রস্ততা
বিষাদগ্রস্ততার ঝুঁকিতে অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পুরুষের তুলনায় এগিয়ে থাকেন। সামাজিক কাঠামো ও জীবনযাপনের ধরন বিষাদগ্রস্থতার একটি বড় কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে উচ্চ, মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশ সব জায়গাতেই নারীদের রোগাক্রান্ত হওয়ার একটি বড় কারণ ডিপ্রেশন বা বিষাদগ্রস্ততা। গর্ভধারণের পর (পোস্টাপার্টাম) এবং মাসিক ঋতু বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর (মেনোপজ) অনেক নারী বিষাদগ্রস্ততায় আক্রান্ত হতে পারেন। এ ছাড়া দাম্পত্য সম্পর্ক ও যৌন জীবন বিষাদগ্রস্ততার একটি বড় কারণ হিসেবে বিবেচিত।

Wednesday 22 May 2019

গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?

পেটের উপরের ডানদিকের অংশে জ্বালাসমেত ব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথাধরা, জ্বর, ডায়রিয়া, হলুদ প্রস্রাব হওয়া এসবই হল পিত্তথলির সমস্যার লক্ষণ। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে খাদ্যাভাসের জন্য গলব্লাডার স্টোন প্রায় সাধারণ রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খাবার সহজে হজম না হওয়া, খেতে না পারা, এসবও পিত্তের দুর্বলতার লক্ষণ। পিত্তথলিকে তাই ভালো রাখতেই হবে। কারণ খাবার হজম করানোর জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচক পিত্তথলিই সরবরাহ করে। কীভাবে ভালো রাখবেন আপনার পিত্তথলিকে? তারই কিছু ঘরোয়া টোটকা রইল এই প্রতিবেদনে।

গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?


১। খাদ্যাভাস পরিবর্তন খাওয়াদাওয়ার উপর পিত্তথলির কর্মক্ষমতা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করে।আপনি যত বেশি ফ্যাট জাতীয় খাবার খাবেন, ততই তা পিত্তথলির উপর চাপ সৃষ্টি করবে। তাই এবার থেকে এড়িয়ে চলুন ফ্যাট জাতীয় খাবার। এইধরনের খাবার আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় যা পিত্তথলির পক্ষে ক্ষতিকারক জিনিস। বাদাম, বিনস, টকজাতীয় ফল, মাছ, অলিভ তেল ইত্যাদি জাতীয় খাবার আপনার তালিকায় রাখুন বেশি করে। রক্তে ভিটামিন সরবরাহের কাজটি করে থাকে পিত্তথলি । ফলে পিত্তথলিতে সমস্যা দেখা দিলে আপনার শরীরে ভিটামিনের লেভেলেও তার প্রভাব পড়বে। আপনার খাবারের রুটিনে রাখুন বেশি পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, যা খাবার হজমের কাজে সাহায্য করে। এতে উপকার হবে আপনার পিত্তথলির।
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?

২। ব্যায়াম করুন নিয়মিত: নিয়মিত ব্যায়াম পিত্তথলির যে কোনওরকমের সমস্যা থেকে আপনাকে দূরে রাখবে। আসলে আমাদের অতিরিক্ত ফ্যাট জমলেই তা ক্ষতি করে পিত্তথলির। তাই ব্যায়াম করে ফ্যাট ঝরান। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের মতে দিনে অন্তত ২০ মিনিট ব্যায়াম করা প্রয়োজন। যত ঘাম ঝরাবেন ততই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে ফলে পিত্তথলির মধ্যে পাথর হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?

৩। কাঁচা হলুদ খান পেটের উপরের ডানদিকের অংশে ব্যথা অনুভব করলে খান কাঁচা হলুদ। অনেক সময় দেখা যায় খুব সিরিয়াস কিছু না হলেও পিত্তথলির ক্ষতি হতে শুরু হয়েছে। জ্বালাসমেত হওয়া ব্যথা কমাতে হলে কাঁচা হলুদ খুবই কাজ দেয়। কাঁচা হলুদে থাকা কারকুমিন নামক পদার্থটি জ্বালা ও ব্যথা দুইই কমাতে কার্যকরী। চায়ে দিয়ে এই হলুদ খেতে পারেন। পিত্তরস তৈরি করতেও হলুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়‌। পিত্তরস না তৈরি হলে খাবার হজম হওয়া সম্ভব নয়।
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?

৪। গরম সেঁক দিন পেটের ওই নির্দিষ্ট অংশে ব্যথা হলে পরিস্কার কাপড় গরম জলে ভিজিয়ে ওই অংশে সেঁক দিতে পারেন। অনেকে হটব্যাগ ব্যবহার করেন সেঁক দেওয়ার জন্য যা একইরকম কাজ দেয়। একইভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে হটপ্যাড যা ইলেকট্রিকের সাহায্যে গরম করা যায় ও ব্যথার অংশে সেঁক দেওয়া যায়।
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?

৫। পিপারমিন্ট চা পিপারমিন্ট চা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। পেটের ব্যথা , মাথার ব্যথা দূর করতে এটি অত্যন্ত কাজ দেয়। গলব্লাডারে ব্যথা হলে সে ব্যথা কমাতে আপনি নিয়মিত খেতে পারেন পিপারমিন্ট চা। এর একটি ঠান্ডা প্রভাব আছে যা আপনাকে ব্যথা ভুলে থাকতে সাহায্য করবে।
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?

৬। আপেল সাইডার ভিনিগার আপেল সাইডার ভিনিগারও ব্যথা দূর করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কাজ দেয়। এটি খুব কম দামেই বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। অথবা চাইলে তৈরি করে নিতে পিরেন বাড়িতেই। অল্প গরম জলে দুই চামচ এই ভিনিগার মিশিয়ে অল্প অল্প করে খেতে থাকুন। এটা সরাসরি খেলে এর অ্যাসিড আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে। তাই গরম জলে মিশিয়েই খান। দেখবেন ব্যথা ও জ্বালা দুইই কমে গেছে।










Saturday 4 May 2019

গরমে স্বাস্থ্য সচেতনতার টিপস - Summer health awareness tips

গরমে স্বাস্থ্য সচেতনতার টিপস - Summer health awareness tips

প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। রোদের তাপে পুড়ে যাচ্ছে শরীর। ঘরে থাকলেও এবং বাইরে বের হলেও ঘাম ঝরছেই। তাই এ সময় কিছু অসুখ-বিসুখ আপনাকে ধাওয়া করতে পারে। তবে জেনে নিন সেগুলো সম্পর্কে-

পানিশূন্যতা:
ঘাম হলে শরীর পানিশূন্য হয়। পানিশূন্যতা শরীরকে দুর্বল করে তোলে। রক্তচাপ কমে যায়। অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে কেউ কেউ। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে কিডনিও আক্রান্ত হতে পারে। তাই প্রচুর পানি ও পানিজাতীয় খাবার খেতে হবে।

জ্বর:
আবহাওয়ার চরম ভাবের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। শরীর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়ে ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে।
জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাবেন, প্রচুর পানি ও ফলের রস খাবেন। অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই। প্রতিরোধের উপায় হলো মশা থেকে নিজেকে বাঁচানো। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙাবেন। মশার প্রজনন ক্ষেত্রগুলো ধ্বংস করুন।

পেটের অসুখ:
গরমে পিপাসা মেটাতে অনেকেই এ সময় বাইরের পানি পান করে। রাস্তার পাশের বিভিন্ন ধরনের শরবত খায়। এগুলো পানিবাহিত রোগের অন্যতম উৎস। ফলে টাইফয়েড, আমাশয়, ডায়রিয়া, হেপাটাইটিসের মতো রোগ দেখা যায়। তাই বাইরের পানি বা শরবত পান থেকে বিরত থাকুন। তবে ডাবের পানি পান করতে পারেন।

ত্বকের সমস্যা:
অতিরিক্ত গরমে ত্বকে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। ত্বকে চুলকানি হতে পারে।  এ সময়ে ত্বকের একটি অতি সাধারণ সমস্যা হলো ঘামাচি। এ ছাড়া ঘাম শরীরে জমে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে।

তাই পরামর্শ হল- পর্যাপ্ত পানি পান করুন। তরমুজ, বাঙ্গী, শসা, পেঁপে, বেলসহ অন্যান্য ফল খেতে পারেন। রোদে ছাতা ব্যবহার করুন।

বড় কোনো সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

গো নিউজ২৪/পিআর/এনএফ

মুছে ফেলুন বয়সের ভাঁজ, চার ব্যবহারে করলার কাজ

মুছে ফেলুন বয়সের ভাঁজ, চার ব্যবহারে করলার কাজ
মুছে ফেলুন বয়সের ভাঁজ, চার ব্যবহারে করলার কাজ
বয়স বাড়ছে, শরীরে ভাঁজে ভাঁজে পড়ছে চিহ্ন। বয়স তো কেবল একটা সংখ্যা তা কি আর জোরের সাথে দাবি করা যায়? বয়সের ছাপ তো নানাভাবে চেহারার গড়নে ধরা পড়ে। কিন্তু বয়সকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে যাতে তা চেহারায় থাবা না বসাতে পারে সেদিকে নজর রাখা প্রয়োজন। বয়সের ছাপ চেহারায় যাতে না পড়ে তার জন্য উপাদেয় শাক সবজি এবং এদের মধ্যে উল্লেখ্য হল করলা। রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে করলার গুনে বয়সের ছাপ চেহারায় চোখে পড়বে না।

তবে কিভাবে ব্যবহার করবেন করলা -

১। প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে করলায়। তাই চামড়ার লালিত্য ধরে রাখতে সাহায্য করে এই সবজি। ত্বককে টানটান করে রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই প্রতিদিন সেদ্ধ করলা নুন ও লেবু সহযোগে খান দীর্ঘদিন ত্বকের জৌলুস বজায় রাখতে।

২। করলার বীজ সরিয়ে তা বেটে মুখে লাগান। তিনদিন সপ্তাহে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের যৌবন ফিরবে রাতারাতি।

৩। রক্তের মধ্যের ক্ষতিকর পদার্থকে বিনষ্ট করে রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখে করলা। ত্বক থেকে বয়সের ছাপ সরাতে প্রতিদিন সকালে করলার রস পান করা যেতে পারে।

৪। কমলালেবুর সাথে করলার রস মিশিয়ে মুখে মাখলে উপকার পাওয়া যায়। কিছুক্ষন এই মিশ্রণ লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। তারপর শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এই মিশ্রন মৃতকোষ ঝরিয়ে ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে




নারীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে যা যা প্রয়োজনীয় - It is necessary to keep women healthy

নারীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে যা যা প্রয়োজনীয়
নারীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে যা যা প্রয়োজনীয়
পুরো পরিবারই দেখাশুনা করেন নারীরা। এজন্য তাদেরকে সারাদিনই অনেক পরিশ্রম করতে হয় তাদের। পরিবারের পাশাপাশি নিজের শরীরের একটু যত্ন না নিলে অল্প দিনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। তখন দায়িত্ব পালন আর সম্ভব হয় না। তবে একজন শিক্ষিত মা শুধু পরিবার নয়, নিজের প্রতিও যত্নবান থাকেন। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রতিদিন নিয়ম করে নারীদের কিছু ভিটামিন খাওয়া জরুরি। জেনে নিন কি কি ভিটামিন খাবেন প্রতিদিন-

ভিটামিন এ:- ভিটামিন 'এ' এর অভাবে রাতকানাসহ ঘা, অস্থি-ঝিল্লির প্রদাহ ও ক্যারাটোম্যালেশিয়া রোগ হতে পারে। ভিটামিনটি মাসিক ঋতুচক্র, পিণ্ডময় স্তন, যোনি সংক্রমণের সময় অনেক উপকারী। শুধু তাই নয়, স্তন ক্যান্সারেও ভালো কাজ করে ভিটামিন এ। টাটকা সবুজ সবজি ও লাল পাম তেল ভিটামিন এ এর ভালো উত্‍স।

ভিটামিন বি১:- এই ভিটামিনের অপর নাম হলো থায়ামিন। অপরিহার্য এই ভিটামিনটি দেহের চিনিকে শক্তিতে রুপান্তরিত করে। যেহেতু নারীদের অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয়; তাই এটি তাদের খাওয়া ভালো। চর্বিহীন মাংস, বাদাম ও শস্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১ রয়েছে।

ভিটামিন বি২:- এর অপর নাম হলো রিবোফ্লাভিন। এই ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ব্যস্থাকে সচল রাখে। একইসাথে ত্বক, নখ ও চুলের যত্নেও কাজ করে ভিটামিন বি২। দুধ ও সবুজ শাকসবজিতে প্রয়োজনীয় রিবোফ্লাভিন পাওয়া যায়।

ভিটামিন বি৬:- এই ভিটামিনটি পাইরিডক্সিন নামে পরিচিত। মাসিক ঋতুচক্র থেকে শুরু করে গর্ভাবস্থার আগের সময়ে এই সবজিটি খাওয়া ভালো। এতে শুধু নবজাতক পর্যাপ্ত দুধই পাবে না; একইসঙ্গে গর্ভাবস্থায় আপনার হতাশাও কমিয়ে দিবে এই ভিটামিন। অ্যাভোকাডো, কলা ও বাদাম ভিটামিন বি৬ এর ভালো উত্‍স।

ফলিক অ্যাসিড:- গর্ভাবস্থায় প্রতিটি নারীর ফলিক এসিড গ্রহণ করা জরুরী। আবার যারা মা হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছেন কিংবা সন্তান জন্মদানের সময় বিভিন্ন সমস্যা এড়াতে চান তাদেরও এই ভিটামিন খাওয়া দরকার। সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।

ক্যালসিয়াম:- নারীদের খাদ্য তালিকায় ক্যালসিয়াম প্রথম স্থানে রয়েছে। এর অভাবে অস্টিওপরোসিস রোগ হতে পারে। এই রোগে পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি ভোগে। কাজেই হাড় মজবুত রাখতে নারীদের এটি খাওয়া অবশ্যই জরুরী। দুধের তৈরি খাদ্য ও ডিমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

ভিটামিন ডি:- খাবারের মাধ্যমে আমরা যে ক্যালসিয়াম দেহে নিয়ে থাকি তা ভিটামিন ডি এর মাধ্যমে হাড় দ্বারা শোষিত হয়। মাছ, মাছের তেল, দুধ, সয়া দুধ, ফলমূলে রয়েছে ভিটামিন ডি। সকালে সূর্যের আলোর মাধ্যমেও দেহে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ সম্ভব।

কোলিন:- ভিটামিন বি কমপ্লেক্স গ্রুপের একটি ভিটামিন হলো কোলিন। গর্ভবতী মহিলাদের নিউরাল টিউব অপূর্ণতা প্রতিরোধ করতে এই ভিটামিন অপরিহার্য। এটি লিভারে উত্পাদিত হয়। ডিম এর চমত্‍কার খাদ্য উত্‍স হিসেবে বিবেচিত হয়।

ভিটামিন সি:- সুস্বাস্থ্যের জন্য নারী-পুরুষ উভয়েরই ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। ভিটামিনটি শুধু আপনার বয়স কমাতে সাহায্য করবে না; বরং ত্বক, চুল এবং নখেরও যত্ন নিবে। সাইট্রাস ফল ও কমলালেবু ভিটামিন সি এর সবচেয়ে ভাল উত্স।

ভিটামিন ই:- ভিটামিন ই সমৃদ্ধ সৌন্দয্য পণ্যকে সবসময় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। ত্বককে ভালো রাখায় ভিটামিনটি নারীদের কাছে অনেক বেশি জনপ্রিয়। পাশাপাশি দেরিতে গর্ভাবস্থা এবং মাসিক ঋতুচক্র সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধেও সহায়তা করে ভিটামিনটি। এর ভালো উত্‍স হলো- মাংস, মুরগির মাংস, ডিম ইত্যাদি।

Friday 3 May 2019

SSC Result 2019 will be published on 6th May 2019

SSC Result 2019 will be published on 6th May 2019
SSC Result 2019 will be published on 6th May 2019
SSC Result 2019 Published Date is very important for the students who sit for the SSC, Dakhil, and Vocational Examination in 2019.  In Bangladesh, secondary school certificate exam is very significant for every student. Because students are studying very hard to get a good result in this board examination. Previously it was the first board exam after a student started their student life. Possible SSC result 2019 date is May 6, 2019

SSC, Dakhil and Vocational examinations started on 2nd February 2019 and ended on 5th March 2019. After completing all examinations the authority decided the possible date for publishing the result across the country. There are 11 education boards are holding the Secondary School Certificate exam in 2019.

1) Dhaka Education Board
2) Jessore Education Board, 
3) Chittagong Education Board, 
4) Sylhet Education Board, 
5) Dinajpur Education Board, 
6) Comilla Education Board, 
7) Barishal Education Board, 
8) Mymensingh Education Board, 
9) Madrasah Education Board, 
10) Technical (Vocational) Education Board.

List of Education Boards and Their Website Address
There are total eleven education boards are providing education service in Bangladesh. Among them there are nine general education boards, one Madrasah Education board and one Technical Education board. Here’s the list of them,

Dhaka Education Board : dhakaeducationboard.gov.bd
Rajshahi Education Board : rajshahieducationboard.gov.bd
Comilla Education Board : comillaboard.gov.bd
Jessore Education Board : jessoreboard.gov.bd
Chittagong Education Board : bise-ctg.portal.gov.bd
Barisal Education Board : barisalboard.gov.bd
Sylhet Education Board : sylhetboard.gov.bd
Dinajpur Education Board : dinajpureducationboard.gov.bd
Mymensingh Education Board: mymensingheducationboard.gov.bd
Madrasah Education Board: bmeb.gov.bd
Technical Education Board: bteb.gov.bd

ব্যাকটেরিয়া এবং এন্টিবায়োটিকের কথা


ব্যাকটেরিয়া এবং এন্টিবায়োটিক নিয়ে ফেসবুকে এই লেখাটি নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। পক্ষে-বিপক্ষে অনেকেই অনেক কিছু বলছেন। আমরা চাইছি আমাদের পাঠকেরাও বিষয়টি নিয়ে অবগত থাকুন, তাই এখানে আমরা শেয়ার করলাম।

আজ আপনাদের একটা ভয়ংকর কথা বলব। যে লেখাটা লিখতে বসেও আমি ভয় পাচ্ছি। আমার হাত কাঁপছে। একজন ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়া তথাকথিত সেলিব্রেটি, গল্পলেখক মানুষের বাইরে আমি একজন ডাক্তার। আমার ডাক্তারি চোখে আমি যা দেখছি, নন-ডাক্তার অনেকেই হয়তো সেটা দেখতে পাচ্ছেন না। কারণ যা আমাদের মস্তিষ্কে নেই, তা আমরা কখনোই দেখতে পাই না। এই দৃশ্য শুধু একজন ডাক্তারই দেখতে পায়।

স্ট্যাটাসের ছবিটা হচ্ছে পৃথিবী থেকে মানবজাতি বিলুপ্তির সত্যয়িত সনদপত্র। এই সনদ দিয়েছে বাংলাদেশের শিশুদের চিকিৎসার সর্ববৃহৎ মেডিকেল মহীরুহ, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল । ছবিতে আপনি নিতান্তই কিছু বর্ণ আর শব্দ দেখতে পাচ্ছেন। আমি সেটাকে বর্ণনা করবার পর আপনি বুঝে ফেলবেন-আপনি আর মাত্র কয়েকদিন পৃথিবীতে আছেন। মাত্র পঞ্চাশ বছরের মধ্যে পুরো মানবজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আপনার সাথে আপনার বাবা মা, সন্তান সবাই অতীত হয়ে যাবে। মিলিয়ন বছরের মানবজাতি পৌছেছে সিঁড়ির শেষ ধাপটাতে। আর কোন ধাপ নেই। চাইলেও একধাপ একধাপ করে আর নামার পথ নেই। এখন পড়ে যেতে হবে। মানবজাতিকে হারিয়ে যেতে হবে মহাকালের চোরাস্রোতে।

ছবির রিপোর্টটিকে বলা হয়- কালচার এন্ড সেন্সিটিভিটি টেস্ট। যখন কোন রোগ সনাক্ত করবার পরেও ঔষুধে ভালো হয় না, তখন আমরা ব্যাকটেরিয়াসমৃদ্ধ ব্লাড, পুঁজ বা ইউরিনকে ল্যাবরেটরিতে পাঠাই। উদ্দেশ্য হল- কেন অতি সাধারণ একটা অসুখও ঔষুধ দিয়েও রোগ ভালো হচ্ছে না। ল্যাবে মাইক্রোবায়োলজিস্টরা সেই ব্লাড, ইউরিন বা পুঁজকে কয়েকদিন চাষ করেন। সেখানকার ব্যাকটেরিয়াদের উপর বিভিন্ন প্রকার এন্টিবায়োটিক দিয়ে দেখেন, সেই এন্টিবায়টিক ব্যাকটেরিয়াগুলোক মেরে ফেলতে সক্ষম কী না!
যদি মারতে পারে তখন সেই এন্টিবায়োটিকের পাশে লেখা হয়- S (S for Sensitive). সেন্সিটিভ শব্দের অর্থঃ ঐ এন্টিবায়োটিকটি ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সক্ষম। যদি না পারে তখন আমরা লিখি- R (R for Resistant). অর্থঃ এখন আর এই এন্টিবায়োটিকটি ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সক্ষম নয়। আগে কাজ করলেও ব্যাকটেরিয়া নিজেকে বদলে ফেলেছে। ফলে একই অস্ত্র (এন্টিবায়টিক) দিয়ে ব্যাকটেরিয়াটিকে মেরে ফেলা যাচ্ছে না।

এতে কী দাঁড়ায়?
অতি সাধারণ রোগও আর এন্টিবায়োটিক দিয়ে সারবে না। রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াটি এখন ইচ্ছেমত বাচ্চাকাচ্চা দিতে পারবে। আপনার শরীরে রোগ সৃষ্টি করে বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকবে। আপনি আমি শুধু দেখব দর্শক হয়ে দেখব। এরপর সব সাঙ্গ হবে। একদিন সেই ছোট্ট অসুখটা নিয়েই মানুষটা মারা যাবে।

উপরের ছবিতে দেখুন- রোগীর লিঙ্গ ছেলে। বয়স শুনলে চমকে যাবেন। বয়স মাত্র ৪ বছর। অথচ সব এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট। অর্থাৎ ছেলেটা নিরীহ একটা রোগ নিয়ে এসেছে। ঔষুধ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রোগ সারছে না। এখন কী ঘটবে?
আমরা তাকে আর বাঁচাতে পারব না। ছেলেটা নিশ্চিত মারা যাবে। অথচ আমাদের হাতে শতশত এন্টিবায়োটিক। আমরা চাইলেও প্রয়োগ করে আর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মারতে পারব না। কারণ ব্যাকটেরিয়া নিজের ডিএনএ-কে নিজেনিজেই পরিবর্তন করে ফেলেছে। ফলে সামান্য ব্যাকটেরিয়া মারার জন্য আমাদের হাতে আর কিছু নেই। বাচ্চাটির বাবা মা চেয়েচেয়ে দেখছে ছেলেটার অকাল মৃত্যু। অথচ তার বয়স মাত্র ৪ বছর। এত অল্পবয়সে নিশ্চয় সে নিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়।
দায়ী কারা?
আমরা।
আমাদের সামান্য জ্বর হয়। ফার্মেসীতে গিয়ে দুটো জিম্যাক্স (অ্যাজিথ্রোমাইসিন) খেয়ে ফেলি। একশ ব্যাকটেরিয়াকে মারার জন্য যদি সাত দিনের ডোজ লাগত, আমরা দুইদিন পর ভালো হলে আর ডোজটা পুর্ণ করি না। ৭০ টা ব্যাকটেরিয়া মরলেও বেঁচে থাকা বাকী ৩০ টি ব্যাকটেরিয়া জি-ম্যাক্সকে চিনে ফেলে। ফলে তারা নিজেদের গঠন দ্রুত বদলে ফেলে। তখন আর জি-ম্যাক্স দিয়েও পরেরবার আমরা রোগ সারাতে পারব না। কারণ জি-ম্যাক্সের বিরুদ্ধে সব ধরণের স্থায়ী ব্যবস্থা ব্যাকটেরিয়া নিয়ে ফেলেছে।
এখন এই ব্যাকটেরিয়াওয়ালা মানুষটি যদি আমাদের সামনে আসে, বসে, তার নিশ্বাস-হাঁচি- স্পর্শে আমাদের শরীরে জি-ম্যাক্স রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াটি আমাদের শরীরেও চলে আসে। ফলে কী দাঁড়াল?
কেউ একজন নিজের শরীরে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দিলে। আর আমরা কোনোদিন জি-ম্যাক্স না খেয়েও জি-ম্যাক্সের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া দিয়ে নিজেদের শরীর ভরিয়ে ফেললাম। এইভাবে জি-ম্যাক্স রেজিস্টেন্ট ব্যাকটেরিয়া লাখ লাখ কোটি কোটি মানুষের দেহে সঞ্চারিত হবে। একটা নবজাতক যে কীনা গতকাল জন্মাল সেও আপনার ভুলের কারণে একটা রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াকে নিজের শরীরে ধারণ করল। আপনি যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়ির বাসিন্দা, সে মেসে থাকেন সেই মেসের বোর্ডার, যে নদীতে পা চুবাবেন সেই নদীর অনুকূলের বাসিন্দারাও হয়ে গেল জি-ম্যাক্স রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার অভয়ারন্য সম্পন্ন শরীরের মানুষ।

শুধু জি-ম্যাক্স কেন?
আমাদের কেউকেউ অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্য এন্টিবায়োটিক খাবে। আরেকটি ঔষুধের রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া তৈরি করবে। সে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া ভাগাভাগি করবে সারাদেশের মানুষের সাথে। যেখানেইযাবে, যেখানটায় স্পর্শ করবে, সেখানেই হাচি দিবে, যেখানেই বসবে, যেখানেই খাবে সেখানেই ছড়িয়ে দিবে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া। এভাবে একটা একটা করে সব ব্যাকটেরিয়া আরেকটি ব্যাকটেরিয়ার কাছ থেকে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট শিখে ফেলবে। ফলে সবার কাছ থেকে একটা একটা করে ধার করেও আমাদের দেহের ব্যাকটেরিয়াগুলো হয়ে যাবে সকল এন্টিবায়োটিকের রেজিস্ট্যান্ট। তাকে এখন যে ঔষুধই দিন না কেন, কাজ করবে না। ফলে আপনি ঔষুধের ডিসপেনসারিতে কোটিকোটি টাকার ঔষুধ রেখেও বিনাচিকিৎসায় মারা যাবেন।

ছবির ছেলেটার মত আমার মোবাইলে প্রায় ৩০০ টি মানুষের রিপোর্ট আছে। আমি দীর্ঘ এক বছর থেকে বিভিন্ন ডাক্তারের পোস্ট থেকে রিপোর্টগুলো ডাউনলোড করে সঞ্চয় করছি। যারা সব ধরণের ব্যাকটেরিয়ায় রেজিস্ট্যান্ট। তারা যত ধনীই হোক, দুনিয়ার যে দেশেই চিকিৎসা করাক, সে ঈশ্বরের কাছেই নিজেকে সমর্পণ করুক, সে আর ফিরবে না। তার মৃত্যু অনিবার্য!

ভয়ের কথাটা তাহলে কোথায়?
আপনার শরীর থেকে রক্ত নিয়ে কালচারে পাঠান। দেখুন আপনি নিজেও অলরেডি অর্ধেক এন্টিবায়োটিকের রেজিস্ট্যান্টওয়ালা ব্যাকটেরিয়া নিয়ে বেঁচে আছেন।

আরো ভয়ের কথা কোথায় জানেন?

যে ৩০০ জন মানুষ রেজিস্ট্যান্ট, তাদের ঘরের বাবা-মা সন্তান বন্ধুবান্ধবের অনেকেই অলরেডি রেজিস্ট্যান্ট হয়ে গেছে। কেউ অতি উৎসাহী হয়ে নিজের রক্ত কালচারের জন্য যেদিন হাসপাতালে আসবে সেদিনই তারা ধরে ফেলবে নিজের অজান্তেই এইডসের চাইতেও ভয়ানক একটি ব্যাপার নিয়ে সে এতদিন বেঁচে ছিল। আজ থেকে তার মৃত্যুর কাউন্ট ডাউন শুরু।
কেন এইডসের চাইতে ভয়ানক বললাম?

আপনি একজন এইডস আক্রান্ত রোগীকে আইসোলেট করলেই সে এইডস ছড়াতে পারবে না। কিন্তু একজন রেজিস্ট্যান্ট লোককে আপনি কীভাবে আইসোলেট করবেন? ব্যাকটেরিয়া শুধু হাঁচিতে ছড়ায় না। প্রস্রাবে ছড়ায়-পায়খানায় ছড়ায়, স্পর্শের ছড়ায়। তারা পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, খাবারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। স্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তারা মাটিতে থাকে। বাসের সিটে থাকে। রেস্টুরেন্টের গ্লাসে থাকে। ক্লাশের চেয়ারে থাকে। বন্ধুর কলমে থাকে, প্রেমিকের মোবাইলফোনের গায়ে লেগে থাকে, প্রেমিকার ঠোঁটে থাকে। তারা বাতাসে ভেসে থাকে। মাটিতে পড়ে থাকে। মাটির নিচে কলোনি করে থাকে। আপনি কোথায় গিয়ে বাঁচবেন?

আমাদের শরীরের ব্যাকটেরিয়া যে হারে রেজিস্ট্যান্ট হচ্ছে, সেই হারে এন্টিবায়োটিক তৈরি হচ্ছে না। আমাদের জীবনরক্ষাকারী প্রথম এন্টিবায়োটিক পেনিসিলিন আবিষ্কৃত হয় ১৯৪০ সালে। সবচেয়ে ক্ষমতাধর এন্টিবায়োটিক মেরোপেনেম প্যাটেন্টেড হয় ১৯৮৩ সালে। এর মাঝামাঝি সময়টায় আমরা মৎস্যবহুল নদীতে মাছ শিকারের মত হাজার হাজার এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করে ফেলেছি। কিন্তু ৮৩ এর পর, মেরোপেনেমের মত আর কোন শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক পৃথিবীতে আসেনি।
অথচ ছবিতে দেখুন- ৪ বছরের বাচ্চা ছেলেটির ব্যাকটেরিয়াটি সব ধরণের এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট। মেরোপেনেম সহ (Imipenem)। বাচ্চাটি বেঁচে আছে নাকি অলরেডি মারা গেছে আমার জানা নেই। কিন্তু সে আপনাদের দোষে পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছে। সে কী আমাদের ছেড়ে দিবে? তার শরীর থেকে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া অবশ্যই অনেকের শরীরে (তার বাবা মা-সহ) ছড়িয়ে দিয়ে গেছে। দায়মুক্তি আমাদের হবে। পুরো মানবজাতি নিশ্চিহ্ন হবার পর আমাদের দায়মুক্তি ঘটবে।

প্রায়ই বিজ্ঞানীরা বলেন- পৃথিবী চলে আবে ভীনগ্রহীদের হাতে। এলিয়েনরা পরবর্তী রাজত্ব করবে। বিলিভ মি- এলিয়েন আসার নিশ্চয়তা না থাকলেও এই পৃথিবীর পরবর্তী বাসিন্দা হবে নিতান্তই সাধাসিধে ব্যাকটেরিয়া। লক্ষ লক্ষ বছর সে আমাদের দেহে নিরীহ বসে ছিল। আমরাই তাকে শিখিয়ে ফেলেছি কীভাবে আমাদের দেহে বসেই আমাদের হত্যা করা যায়। আমরা কখনো শিম্পাঞ্জি, কখনো ডোলফিন, কখনো হাতিঘোড়া কুকুরকে বলি মানুষের সমপর্যায়ের বুদ্ধিমান। আমরা কখনো বলি না, আমাদের চাইতে কে বেশি বুদ্ধিমান! ব্যাকটেরিয়া মাইক্রোস্কোপিক হয়েও হাত পা না থাকা স্বত্বেও, মস্তিষ্ক না পেয়েই শিখে ফেলল কীভাবে মানুষদের হত্যা করতে হয়! ভাবুন- কে বেশি বুদ্ধিমান?

বাঁচার উপায়?

শুনতে আপনার খুব খারাপ লাগবে কিন্তু আমাকে বলতেই হবে। আজ এই মুহুর্তে, এই মিনিটটা শেষ হবার আগেই প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে না গিয়েই অফিশিয়াল মিটিং না ডেকেই বলতে হবে- এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্টেন্সির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। দেশের প্রত্যেকটা দোকান-ফার্মেসী-প্রেসক্রিপশন গোয়েন্দা দিয়ে খুঁজে বের করে নতুন করে এক পৃথিবী শুরু করতে হবে। প্রত্যেকটা এন্টিবায়োটিকের গায়ে সাটিয়ে দিতে হবে মোবাইলের মতো IMEI নাম্বার। কোন কোম্পানি বাজারে কয়টা ছেড়েছে, কোন ডাক্তার কয়টা প্রেসক্রিপশন করেছে, কোন রোগী কয়টা খেয়েছে সব হিশেব বের করতে হবে। না পারলেও আগামীকাল থেকে কীভাবে এন্টিবায়োটিক বিক্রি হবে, কীভাবে প্রেসক্রিপশন হবে, কীভাবে রোগী খাবে সেটা নির্ধারণ করতে হবে। যক্ষা নির্মুলের জন্য আমরা DOT প্রোগ্রাম শুরু করেছিলাম। প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্যকর্মী যক্ষা রোগীর বাসায় যাবে। রোগীকে ঔষুধ দিবে। রোগী সেটা স্বাস্থ্যকর্মীর সামনেই খাবে। এন্টিবায়োটিক খাওয়া DOT এর আন্ডারে আনতে হবে। অন্য কোন উপায় নেই।

খুব বেশি নিজেদের বাঁচাতে চাইলে, ফর গ্রেটার গুড… ধর্ষকদের মতোই বিচারবহির্ভূত ক্রসফায়ার চালু করতে হবে, যে লোকটি প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষুধ বিক্রি করবে, যে ফার্মেসীম্যান মহাজ্ঞানী জাহির করে আপনাকে এন্টিবায়টিক বদলে দিবে, নতুন ডোজ বাতিয়ে দিবে, যে রোগীটি অসম্পূর্ণ ডোজ এন্টিবায়োটিক খাবে তাকেও ক্রসফায়ারের আওতায় আনতে হবে। কারণ অসুস্থ রোগীটিই অসম্পুর্ণ ডোজ খেয়ে আরেকটি রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দিচ্ছে। নিজের মৃত্যুর সাথে পুরো মানবজাতিকে নিশ্চিহ্ন করবার কাজটি সেও করছে। এককোটি অজ্ঞ, ঘাড়ত্যাড়া এন্টিবায়োটিক ইউজারের বিনিময়ে হলেও বাকী ১৯ কোটি লোককে বাঁচাতে হবে।
সমস্ত আইনশৃংখলা বাহিনী সমস্ত চোর ডাকাত-ধর্ষক সব ছেড়ে পথে নামতে হবে। এইডসে পৃথিবী বিলুপ্ত হবে না। সোয়াইন ফ্লু, বার্ড ফ্লুতে মানবজাতি নিশ্চিহ্ন হবে না কিন্তু এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস পড়া শেষ হবার সাথে সাথে যদি আপনি প্রতিজ্ঞা না করেন, তাহলে মনে রাখবেন আপনি বেঁচে থাকবেন না আগামী পঞ্চাশ বছরে। আপনার অনাগত সন্তান বেঁচে থাকবে না ২০৭০ সাল দেখবার জন্য।

Thursday 2 May 2019

জেনে রাখুন নারীদের বিশেষ ৩টি স্বাস্থ্য সমস্যার কিছু কথা

জেনে রাখুন নারীদের বিশেষ ৩টি স্বাস্থ্য সমস্যার কিছু কথা


সুস্থ আমরা সবাই থাকতে চাই। কিন্তু আজকাল আমরা যেভাবে জীবনযাপন করি তাতে সুস্থতা চলে যায় অনেক দূরে। অসুস্থ হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণই হল সুস্থ ভাবে জীবনযাপন না করা। কারণ নিজেদের কর্মব্যস্ততার জন্য নিজেকেই আমরা সময় দিতে পারিনা। কর্মস্থল, সংসার সব কিছু সামলে নিজেকে সুস্থ রাখাটা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায় যে কোন নারীর জন্য। সুস্থ থাকতে হলে সবকিছুর আগে নিজের দেহকে গুরুত্ব দেয়া উচিত আমাদের সবারই। কিন্তু আগে থেকেই জেনে রাখা ভালো, একজন নারী হিসেবে আপনিও স্বাস্থ্য সমস্যা বা অবস্থার মুখোমুখি হতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নিই নারীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য কথা।

গর্ভধারণ
গর্ভধারন, প্রতিটি নারীর জীবনের সবচেয়ে জটিল বিষয়। এই সময়টিতে নিজের খুব ভালো করে যত্ন নেয়া, সঠিক চিকিৎসা করা, গর্ভকালীন সময়ে কী কী করতে হবে, কী খেতে হবে, কী করা যাবেনা সবকিছু সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে রাখা খুব জরুরী। এই সময়টিতে প্রতিটি নারীর দেহে দেখা দেয় নানা রকমের পরিবর্তন। তবে কিছু সাধারন লক্ষন সব নারীদের মধ্যেই দেখা দিয়ে থাকে। জেনে রাখুন লক্ষন গুলো সম্পর্কে। -স্তনে অথবা নিপলে পরিবর্তন আসা -ঘন ঘন মূত্র ত্যাগ করা -সকালের দিকে শরীর খুব খারাপ হয়ে যাওয়া -শরীর খুব ক্লান্ত অনুভব করা -বমি বমি ভাব ও মাথা ঘুরানো -মাথা ব্যথা করা -যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া গর্ভকালীন সময়ে উপরের এই ৮ টি কারন নারীদের সবচেয়ে আলোচিত সমস্যা।

স্তন ক্যানসার
নারীর জন্য আরেকটি ভয়ানক অসুখের নাম হলো স্তন ক্যান্সার। স্তন ক্যান্সার হল একটি ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যা স্তনের কোষের মধ্যে হয়ে থাকে। স্তনে ক্যানসার হলেও এর অনেক ধরণ আছে। জেনে রাখুন স্তন ক্যানসার এর বিভিন্ন ধরন সম্পর্কে। -ডাকটাল কার্সিনোমা -ইনভেসিভ ডাকটাল কার্সিনোমা -ইনভেসিভ লবুলার কার্সিনোমা -মিউসিনাস কার্সিনোমা -মিক্সড টিউমারস -মিডুলেরি কার্সিনোমা -ইনফ্লেমটারি ব্রেস্ট ক্যানসার -ট্রিপল নেগেটিভ ব্রেস্ট ক্যানসার স্তনে ক্যানসার হওয়ার কিছু উপসর্গের মধ্যে একটি হল নিপল জ্বালা-পোড়া করা অথবা চারপাশ লাল হয়ে যাওয়া। স্তনে অথবা নিপলে ব্যথা হওয়া, ফুলে যাওয়া কিংবা স্তনের কিছু কিছু জায়গা দেবে যাওয়া। তাই এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে সর্বদা সতর্ক থাকুন। ৪০ বছর বয়সী প্রতিটি নারীর উচিত তাদের স্তনের পরীক্ষা করানো।

মেনোপজ (পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া)
প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর বয়স যখন ৪০ থেকে ৫০ এর কোঠায় থাকে তখনই মেনোপজ সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। নারীদের মেনোপজ হয় তখনই যখন তাদের ওভারি নিজের কার্যক্ষমতা কমে যায়। নারীদের মেনোপজ হওয়ার কিছু লক্ষণ নিম্নরূপ- -অনেক নারীরই মেনোপজ হওয়ার আগে অত্যাধিক রক্তপাত হয়ে থাকে সাধারণ সময়ের তুলনায়। তবে এই সমস্যা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাবার আগে এই সমস্যা দেখা দিতেই পারে -হঠাৎ করেই রাতের বেলাতে শরীর অনেক বেশি গরম হয়ে যায় এবং বিশেষ করে মাথা ও বুক ঘেমে যায়। মেনোপজ হওয়ার খুব সাধারন একটি লক্ষন এটি। -অনেক নারীর এই সময়ে যৌনাঙ্গে সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। যেমন যৌনাঙ্গে চুলকানি হওয়া, শুষ্ক হয়ে যাওয়া, যৌন মিলনের সময় জ্বালা-পোড়া করা অথবা ব্যথা করা।

তথ্য সূত্রঃ healthdigezt.com 

নারীর স্বাস্থ্য সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি - Women's health awareness is very important

নারীর স্বাস্থ্য সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি
নারীর স্বাস্থ্য সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি 
শানু মোস্তাফিজ : রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সুমনা রহমান (২৭) নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিছুদিন থেকে তার হাত-পা ফুলে যাচ্ছে। রক্তচাপও বেড়েছে। মাঝে মাঝে শরীরে খিঁচুনি হয়। ডাক্তারের পরামর্শ নিতে তাই এসেছেন মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সুমনা বললেন, “কিছু দিন থেকে একদম কাজকর্ম করতে পারছি না। মাঝখানে একদিন হঠাৎ খিঁচুনি দেখা দিলে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম।” সুমনা জানান, সংবাদপত্রে স্বাস্থ্যবিষয়ক লেখা পড়ে গর্ভবতী মেয়েদের সমস্যা সম্পর্কে তিনি জেনেছেন। তাছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় ডাক্তারও তাকে খিঁচুনি বা একলামশিয়ার কিছু লক্ষণ বলে দিয়েছেন। তাই এখন শরীরে কোন সমস্যা দেখা দিলে তিনি হাসপাতালে ছুটে আসেন।

সুমনা তার গর্ভের সন্তান ও নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে বেশ সচেতন; কিন্তু আমাদের দেশের বিপুল সংখ্যক নারীর স্বাস্থ্য সচেতনতা নেই। ঢাকায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালের ডা. নাহিদ নাসরিন বললেন, “একটু স্বাস্থ্য সচেতনতা মানুষকে অনেক বড় বিপদ থেকে রেহাই দিতে পারে। এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়। তাই প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার বিষয়গুলো সবার জানা প্রয়োজন।”

আফরোজা বানু (৩২) থাকেন রংপুরের পীরগঞ্জে। তার দেড় বছরের শিশুর প্রচ- ঠা-া লেগেছে। শ্বাসকষ্টও রয়েছে। নিঃশ্বাসের সময় বুকে শব্দ হয়। প্রথমে তিনি গ্রামের হাতুরে ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করান। পরে হাসপাতালে আনলে ডাক্তার তাকে জানান, শিশুটির নিউমোনিয়া হয়েছে। সুস্থ হতে বেশ সময় লাগবে। আফরোজা বললেন, “প্রথমদিকে অবহেলা করেছি। বাচ্চাকে কোন ওষুধ দেইনি। তাই অসুখটা জটিল হয়েছে। তবে ডাক্তার বলেছেন, ভয়ের কিছু নেই।” আফরোজার বাড়ি থেকে হাসপাতাল খুব দূরে নয়। শুধু অবহেলা করে তিনি তার অসুস্থ সন্তানকে হাসপাতালে নেননি। তাছাড়া নিউমোনিয়া সম্পর্কেও তার কোন ধারণা নেই।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের ডা. মুজিবুর রহমান বললেন, “এরকম অনেক পরিবার রয়েছে যাদের সাধারণ স্বাস্থ্য সচেতনতা নেই। ফলে সবধরনের রোগকে তারা জটিল বানিয়ে ফেলেন।” তার মতে, মায়েদের স্বাস্থ্য সচেতনতা অনেক বেশি জরুরি। কারণ শিশুর পরিচর্যা, সঠিক পুষ্টি, সময়মতো টিকা দেয়া ইত্যাদি কাজ এখনও আমাদের দেশে মায়েদের দেখতে হয়। মায়েরা স্বাস্থ্য সচেতন না হলে সন্তান নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আবার কোন বয়সের শিশুকে কি ধরনের পুষ্টিকর খাবার দিতে হবেÑ তাও মায়েদের জানা প্রয়োজন। ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, “একজন নারী তার পুরো পরিবার দেখাশুনা করেন। পানিবাহিত নানা রোগ যেমনÑ ডায়রিয়া, জন্ডিস আমাদের জীবন বিপর্যস্ত করে। কাজেই বিশুদ্ধ পানি পাান ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে মায়েদের সজাগ থাকা উচিত। তবে শুধু পরিবার বা সন্তান নয়; নিজের বিষয়েও সব নারীকে সচেতন থাকতে হয়।”

জনস্বাস্থ্য বিষয়ে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) ২০০৫ সালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের শতকরা ৫০ শতাংশ মহিলা প্রজননতন্ত্রের রোগে ভোগেন। এর অন্যতম কারণ হলোÑ অযতœ, অজ্ঞতা, অপরিচ্ছন্নতা ও দারিদ্র্য। তাছাড়া বাংলাদেশে ৭০ শতাংশ মহিলা অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগেন। গর্ভবতী মায়েদের ৭৪ শতাংশের রক্তশূন্যতা, ৪৭ শতাংশের আয়োডিন ঘাটতি এবং ৬০ শতাংশের ভিটামিন-এ ঘাটতি রয়েছে। রিপোর্টে আরো বলা হয়, গর্ভাবস্থায় সঠিক পুষ্টির অভাবে কম ওজন নিয়ে জন্ম নেয়া শিশুর হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী বাংলাদেশে শতকরা ৯০ ভাগ শিশুই অপুষ্টির শিকার এবং এর মধ্যে মেয়ে শিশুর হার বেশি। পুষ্টি সমস্যার কারণে এদেশের মানুষ দিন দিন খর্বাকৃতি হয়ে যাচ্ছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা দেওয়ান বললেন, “আমাদের দেশের নারীরা নিজের বিষয়ে মোটেও সচেতন নন। ক্যালসিয়াম ঘাটতি, হরমোন সমস্যাসহ নানা রোগ মেয়েদের হয়ে থাকে। প্রায় প্রত্যেক নারীরই রয়েছে এ ধরনের সমস্যা। কিন্তু তারা এর কোন চিকিৎসা করান না।” তিনি বললেন, “অপরিষ্কার থাকার কারণে মহিলাদের জরায়ুতে ক্ষতের (ইনফেকশন) সৃষ্টি হয়। পানি কম খেলেও প্র¯্রাবের রাস্তায় (্ইউরেটায়) সমস্যা দেখা দেয়। ময়লা কাপড় ব্যবহারের কারণে হাত-পায়ে চুলকানি হয়; যা শিশুকেও আক্রান্ত করতে পারে। অথচ এসব ব্যাপারে আমাদের দেশের মহিলারা যথেষ্ট সচেতন নন। তিনি জানান, সন্তানকে ঠিকভাবে বুকের দুধ খাওয়ানো শুধু শিশুর জন্য নয়; মায়েদের জন্যও মঙ্গলজনক। শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।”

ডা. ফারহানা দেওয়ানের মতে, প্রত্যেক মেয়েরই বিয়ের পর ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে পরিবার পরিকল্পনার বিষয়টি ঠিক করা উচিত। নইলে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়। সময়মতো খাওয়া, সঠিক পুষ্টি, পরিচ্ছন্নতা এবং কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার বললেন, “আমাদের দেশের মানুষের পুষ্টি বিষয়ে তেমন ধারণা নেই। আর নারীরা সাধারণত স্বামী-সন্তানকে খাওয়ানোর পরে নিজের খাওয়ার কথা ভাবেন। গর্ভবতী মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সাধারণত তা হয় না। এক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্যদের বিশেষ করে স্বামীকে যতœশীল হতে হয়।” পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য গণমাধ্যমের আরো বেশি সহায়তা নেয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার ও ডা. মুজিবুর রহমান দু’জনই মনে করেন, কেবল স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন মায়েদের পক্ষেই সুস্থ শিশু জন্ম দেয়া সম্ভব। স্বাবলম্বী বা প্রতিষ্ঠিত হতে হলে নারীকে সুস্থ থাকতে হয়। তাই প্রত্যেক নারীকে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন থাকা উচিত।

Source: Daily Inqilab

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে? - Improve baby mental growth

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে? মা-বাবা হিসাবে আপনি তো নিশ্চয় চান যে পড়াশোনায় আপনার বাচ্চা দারুণ কিছু করুক। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছ...