Skin care regular tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

Health and Skin Care Tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

Health and Skin Care Tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Saturday 30 March 2019

এসেছে চিকেন পক্সের দিন; যেসব নিয়ম মানা জরুরি | Baby health care tips in bangla

এসেছে চিকেন পক্সের দিন; যেসব নিয়ম মানা জরুরি

শীতের শেষে ঋতুরাজ বসন্তের আগমন মানেই আবহাওয়া পরিবর্তন। এ সময়েই সব রকম অসুখের সঙ্গে চিকেন পক্সের হানা দেয়। ভ্যারিসেল্লা ভাইরাসের আক্রমণে ঘটা এই অসুখ অত্যন্ত সংক্রামক। তাই এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীকে বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। বায়ুবাহিত অসুখ হওয়ায় এই রোগকে আটকানোর তেমন কোনো উপায় থাকে না ঠিকই, তবে আক্রান্ত রোগী থেকে যতটা সম্ভব দূরে থেকে ও এই সময়টা বাইরে বেরলে মাস্ক ব্যবহার করে অসুখকে কিছুটা রুখে দেওয়া যায়।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ গৌতম গুপ্তর মতে, এই অসুখ থেকে বাঁচতে ভাল না হওয়া পর্যন্ত রোগীকে হাওয়া-বাতাস চলাচল করে এমন পরিষ্কার ঘরে রাখুন এবং তাঁর ব্যবহৃত সব জিনিসপত্রও আলাদা করুন। রোগীর শ্বাস, হাঁচি-কাশি থেকে ছড়ায় এই অসুখ। সারা শরীরে জল-সমেত ফোস্কা দেখলে সচেতন হন। এই অবস্থায় বাইরে বের হওয়া একেবারেই উচিত নয়।

এই অসুখের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়াতে ও রোগ প্রতিরোধ করতে প্রতিদিন স্নানের জলে নিমপাতা ফেলে এবং গায়ে হলুদ মেখে স্নান করুন। খাবার পাতে তেল-মশলা ও ফ্যাট-জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। বরং তার পরিবর্তে তেতো রাখুন বেশি করে, এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

তবে এই অসুখ হলে বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। রোগীর যত্নেও সেই ছাপ না থাকলে তা সারতে যেমন দেরি হয়, তেমনই ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও থাকে। দেখে নিন যেসব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে:

► প্রথমেই মনে রাখতে হবে এই অসুখ কিন্তু কারও ক্ষেত্রেই পুরোপুরি সারে না। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে একে রুখে সুস্থ হওয়া যায়। তবে এই রোগ হলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চললে সহজেই সুস্থ হতে পারবেন।

► রোগীকে কখনও নোংরা বা স্যাঁতসেঁতে ঘরে রাখবেন না। বরং তার ঘরে যেন যথেষ্ট আলো-বাতাস চলাচল করে ও পরিষ্কার হয়।
এই সময় নিজের ইচ্ছামতো যখনতখন ওষুধ কিনে খাবেন না। শরীরে জ্বরের সঙ্গে বেদনাদায়ক ফোস্কা থাকায় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দিন।

► ত্বকের প্রদাহ কমাতে ক্যালামাইন লোশন লাগান। কখনও রোগীর শারীরিক অবস্থা বুঝে কিছু অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ খেতে হতে পারে। তবে যে কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করবেন।

► ​রোগীর হাতের নখ কেটে দিন। ঘুমের মধ্যে বা অসাবধানে ফোস্কায় নখ লেগে গেলে তা থেকে রক্তপাত হতে পারে। সংক্রমণও ছড়াবে এমন হলে। প্রদাহ শুকানোর সময় ফোস্কার চামড়া ওঠার সময় সেই স্থান চুলকায়। কিন্তু নখ বা ধারাল-ভোঁতা কিছু দিয়েই চুলকানো বা খোঁটা যাবে না কখনওই। বরং আরাম পেতে ক্যালামাইন লোশন ও অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ খান।

► বাড়িতে শিশুদের অবশ্যই পক্স থেকে বাঁচার ভ্যাক্সিন নেওয়াতে হবে। বড়রাও যারা এই অসুখের শিকার হননি তারা ভ্যাক্সিন নিন।
খাবারদাবার খুব হালকা রাখুন, তেল-মশলা এড়িয়ে তেতো খান বেশি করে।

► বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে এই অসুখ হলে অনেক সময় তা থেকে নিউমোনিয়া বা এনসেফেলাইটিস হতে পারে। তাই সাবধান হোন ও রোগ কমানোর জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

► ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী, গর্ভবতী বা ক্রনিক ফুসফুস ও চর্মরোগে আক্রান্তদের চিকেন পক্স হলে অ্যাসাইক্লোভির জাতীয় অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ দেওয়া হয়। এতে পক্সের কষ্ট অনেকটা তাড়াতাড়ি কমিয়ে দেওয়া যায়। তবে এই ওষুধ খাওয়ার আগেও অবশ্যই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সন্তান নিতে চাইলে যেসব খাবার খাবেন | Health and Skin Care tips

সন্তান নিতে চাইলে যেসব খাবার খাবেন | Health and Skin Care tips

বিবাহিত দম্পতিদের পরম আকাংখিত ধন সন্তান। শুধু বংশ বিস্তার নয় বরং জীবনের পরিপূর্ণতার জন্য সন্তানকে অপরিহার্য মনে করেন সবাই। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বন্ধ্যাত্বের হার বাড়ছে। সন্তানের বাবা মা হতে চাচ্ছেন কিন্তু সন্তান আসছে না, এমন দম্পতির পরিমাণ আমাদের আশে পাশে কম নয়। কেন সন্তান আসছে না এমন প্রশ্নের জবাবে অনেক কথাই বলা যায়।

তবে চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে সন্তান গর্ভধারণের জন্য খাদ্যাভ্যস ও লাইফস্টাইলের মান কেমন তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি সন্তান নিতে চান তাহলে কোন ধরনের খাবার খাবেন বা কোন কোন খাবারগুলো বেশী খাওয়া উচিত আমরা আজ একুশে টেলিভিশন অনলাইনের পাঠকদের জন্য সেসব বিষয়ে আলাপ করব।

চিকিৎসা বিজ্ঞান জানাচ্ছে, ব্যস্ত জীবনযাপন, অনিয়মিত ডায়েট এবং স্ট্রেসের কারণে দিন দিন মানুষের শুক্রানু বা স্পার্মের পরিমাণ কমছে। দিন দিন এই সমস্যা বাড়ছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। পাশাপাশি বীর্যে শুক্রানুর পরিমাণ বাড়াতে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন এই খাবারগুলো।

ডিম

বন্ধ্যাত্ব মোকাবিলায় খুবই উপকারী ডিম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই যা শুধু শুক্রাণুর সংখ্যাই বাড়ায় না, কার্যকারিতাও বৃদ্ধি করে। নিউট্রিশনিস্টদের মতে, নিয়মিত ডিম খেলে শুক্রাণুর সক্রিয়তাও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।

পালং শাক

সক্রিয় শুক্রাণুর জন্য জরুরি ফোলিক অ্যাসিড। শরীরে ফোলেটের মাত্রা কমতে থাকলে শুক্রাণুর সংখ্যাও কমে যায়। নিউট্রিশনিস্টদের মতে, পালং শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফোলিক অ্যাসিড যা শুক্রাণু কার্যকারিতা অনেক বাড়ায়। তা ছাড়া পালং শাক খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তিও অনেক বৃদ্ধি পায়।

কলা

বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, নারীদের উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধির জন্য যেমন প্রয়াস করা হয়, তেমনটা পুরুষদের জন্য করা হয় না। অথচ পরিসংখ্যান বলছে ৩০-৫০ শতাংশ বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ি পুরুষেরাই। নিউট্রশনিস্টদের মতে, পুরুষদের উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধির জন্য কলা উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন বি১ ও সি যা হেলদি স্পার্ম তৈরি করতে সাহায্য করে।

ডার্ক চকোলেট

জানেন কি, শুক্রাণুর কর্মক্ষমতা বাড়ায় ডার্ক চকোলেট? এতে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড এল-আর্জিনিন এইচসিএল যা শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায়। পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব দূর করতে যা বিশেষ ভূমিকা নেয়।

ব্রোকোলি

পুরুষ হোক বা নারী, উর্বরতা শক্তি বাড়াতে ব্রোকোলির জুড়ি নেই। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি৯ বা ফোলিক অ্যাসিড যা শুক্রাণুর কর্মক্ষমতা বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত ব্রোকোলি খেলে স্পার্ম কাউন্ট প্রায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

বেদানা

বেদানায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলার পাশাপাশি শুক্রাণুর সক্রিয়তাও বাড়ায়। নিউট্রিশনিস্টরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন বেদানার রস খেলে পুরুষ ও নারীদের উর্বরতা শক্তি অনেক বৃদ্ধি পায়।

আখরোট

আখরোটে রয়েছে ওমেগা ৩-ফ্যাটি অ্যাসিড এবং আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড বা সংক্ষেপে এএলএ। এএলএ-র মতো ওমেগা অ্যাসিডের পাশাপাশি আখরোটে আছে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বহু মূল্যবান মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস। পুরুষদের উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করে এই সব উপাদনগুলি।

(লেখক: ডায়েটেশিয়ান ও নিউট্রিশিয়ানিস্ট, বিআরবি হাসপাতাল, পান্থপথ, ঢাকা।

বেশি দিন সুস্থ ভাবে বাঁচতে চাইলে আজই বাদ দিন এই ৪টি কাজ !

বেশি দিন সুস্থ ভাবে বাঁচতে চাইলে আজই বাদ দিন এই ৪টি কাজ !

সব মানুষই চায় সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন।এর জন্য যে কাজ গুলো করতে হয় তা করতে গিয়ে অনেকেই হোঁচট খান। মানুষ ভবিষ্যতের লাভের জন্য বর্তমানের আনন্দকে ত্যাগ করাটা খুব কঠিন মনে করে। বর্তমান শতাব্দীতে উন্নত ঔষধ, উন্নত স্যানিটেশন, নিরাপত্তা, কাজের পরিবেশ ও ব্যাক্তি সতর্কতার ফলে বিশ্বের প্রথম সাড়ির দেশ গুলুতে গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।

বর্তমানে একজন পুরুষের গড় আয়ু ৬৮.৫ বছর এবং একজন মহিলার গড় আয়ু ৭৩.৫বছর। শুধুমাত্র দীর্ঘ জীবন নয় সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন পাওয়ার জন্য কতগুলো পন্থা অবলম্বন করা প্রয়োজন। আসুন জেনে নেই সেই পন্থা গুলো ও এগুলো অনুসরণের মাধ্যমে সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন লাভ করি:

১। প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ বন্ধ করুন: প্রক্রিয়াজাত খাবারে অনেক বেশি চিনি, লবণ ও ফ্যাট থাকে এবং এইসব খাবারে ফাইবার/ আঁশ কম থাকে। প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে হার্ট অ্যাটাক, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।তাই আপনার খাদ্য তালিকা থেকে প্রসেসড ফুড বাদ দিয়ে শাকসবজি, ফলমূল ও আঁশ জাতীয় খাবার খান,ধূমপানের অভ্যাস থাকলে বাদ দিন এবং প্রচুর পানি পান করুন।

২। নেতিবাচক চিন্তা বাদ দিন: নেতিবাচকতা আপনার ভেতরের শক্তিকে নষ্ট করে দেয় এবং আপনার স্ট্রেস লেভেল বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে রাগ, হতাশা, বিষণ্ণতা ও উদ্বিগ্নতা বৃদ্ধি পায় এবং অধিক খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। তাই নেতিবাচকতা পরিহার করে ইতিবাচক হোন।

আপনার জীবনের লক্ষ্য ঠিক করুন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করুন এতে আপনার স্ট্রেস কমবে ফলে আপনি দীর্ঘজীবী হবেন।

৩। একভাবে বসে থাকবেন না: বর্তমানের একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, ব্যায়ামের মাধমে দীর্ঘমেয়াদি অসুখ যেমন- ক্যান্সার ও স্থূলতা র সম্ভাবনা কমায়। দিনে ৩০ মিনিটের ব্যায়াম আপনার সুস্থতা বাড়িয়ে দেবে।

২০১১ সালে The Lancet e প্রকাশিত গবেষণা পত্রে দেখা গেছে যে, দিনে ১৫ মিনিটের ব্যায়াম যারা করেছেন তাদের আয়ু ৩ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যারা দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করেছেন তাদের আয়ু ৪ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। তাইওয়ানের ৪১৬০০০ নারী ও পুরুষ কে নিয়ে এই গবেষণাটি করা হয়। তাই দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা লাভের জন্য সারাদিনের কিছুটা সময় বেছে নিন ব্যায়ামের জন্য।

৪। রাতের ঘুম ছাড় দেবেন না: ঘুমের ব্যাপারে কার্পণ্য করবেন না। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এর জন্য প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন । ২০০৭ সালে ঘুম বিষয়ক একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা পত্র থেকে জানা যায় যে , ঘুমের হ্রাস বৃদ্ধি মানুষের মৃত্যু হারের উপর প্রভাব বিস্তার করে।

নিয়মিত কম ঘুমালে হৃদরোগ,ডায়াবেটিস ও স্থূলতার মতো মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আর নিয়মিত ভালো ঘুম হলে স্ট্রেস, ডিপ্রেশন ও হার্ট ডিজিজ দ্রুত ভালো হয়।

বড় কোন পরিবর্তন নয় ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজের জীবনযাপনের ধরণের পরিবর্তন করুন। আপনার বাবা বা দাদা অনেকদিন বেঁচে ছিলেন বলে আপনিও অনেকদিন বেঁচে থাকবেন তাই সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন লাভের জন্য আপনাকে কোন চেষ্টা করতে হবেনা এমনটা ভাববেন না।

আবার আপনার পূর্ব পুরুষ রা দীর্ঘায়ু লাভ করেন নি বলে আপনি ও দীর্ঘজীবী হতে পারবেন না এই ধরণের ধারণা বা ভয় ও লালন করা ঠিক না। ইতিবাচক ভাবে চিন্তা করুন এবং জীবনে সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু লাভ করে জীবনকে পরিপূর্ণ ভাবে উপভোগ করুন।

যেভাবে পেটের মাত্র ছয় দিনে কমবে মেদ

যেভাবে পেটের মাত্র ছয় দিনে কমবে মেদ

পেটের মেদ নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়েন। জানেন কি, পেটের মেদ কমাতে লেবু বেশ উপকারী? লেবু ব্যবহার করে মাত্র ছয় দিনে আপনি পেটের মেদ অনেকটাই কমাতে পারেন। পেটের মেদ কমাতে লেবু পানীয়ের বিষয়ে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ডেমিক। পেটের মেদ কমাতে যেভাবে তৈরি করবেন লেবু পানীয় ছয়টি লেবুকে ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার লেবুগুলো কেটে নিন। একটি পাত্রের মধ্যে লেবুগুলোর রস চিপড়ে নিন।

এবার একটি প্যানে দুই লিটার পানি নিন। পানি কিছুটা গরম হয়ে এলে লেবুর খোসাগুলো এর মধ্যে দিয়ে দিন। লেবুর খোসা ৩০ মিনিট সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ হয়ে এলে একে ঠান্ডা হতে দিন। এবার পাত্র থেকে লেবুর খোসাগুলো তুলে নিয়ে এর মধ্যে লেবুর রস দিন। লেবুর রস পানির মধ্যে ভালোভাবে মেশান। দিনে চারবার খাওয়ার আগে এই পানীয় পান করুন।

উপকার

লেবুর রস ও হালকা গরম পানি শরীরকে আর্দ্র করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি শরীরে ইলেকট্রোলাইট ঠিকঠাক রাখতে উপকারী। লেবুর রস ও হালকা গরম পানি প্রতিদিন সকালে খেলে শরীরে পিএইচের ভারসাম্য রক্ষা হয়। এই পানীয় জয়েন্ট ও পেশির ব্যথা কমাতে কাজ করে। হজম ভালো করতে সাহায্য করে; ঠান্ডা কাশি কমায়।


এই পদ্ধতি জানা থাকলে ফ্রিজে কাঁচা মাছ রেখেও স্বাদ থাকবে অটুট!

এই পদ্ধতি জানা থাকলে ফ্রিজে কাঁচা মাছ রেখেও স্বাদ থাকবে অটুট!

যারা মাসের বাজার বা সপ্তাহের বাজার একবারে করে রাখেন তাদের অনেক সময়ই ডীপ ফ্রিজে কাঁচা মাছ রাখতে হয়। যার ফলাফল কিছুদিন ফ্রিজে মাছ রেখে দিলেই মাছের স্বাদ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। খেতে শুকনো লাগে এবং আঁশটে গন্ধ বেশি লাগে।

ফ্রিজে কাঁচা মাছ বেশীদিন রেখে দিলে মাছ খাওয়াই যায় না, ফেলে দিতে হয়। কিন্তু এই সমস্যার রয়েছে খুবই সহজ ছোট্ট একটি সমাধান। আপনি চাইলেই মাছের তাজা ভাব ফিরিয়ে আনতে পারেন খুব সহজ একটি পদ্ধতিতে। জানতে চান কীভাবে ?

মাছের তাজা স্বাদ পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে গরুর দুধ। প্রথমে ফ্রিজ থেকে মাছ বের করে বরফ বা ঠাণ্ডা ছাড়িয়ে নিন। এরপর মাছের পিসগুলো একটি বড় বাটিতে দুধ মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন প্রায় ৩০-৪০ মিনিট। তারপর স্বাভাবিক ভাবে ধুয়ে রান্না করুন। দেখবেন মাছের তাজা স্বাদ ফিরে এসেছে এবং আঁশটে গন্ধও নেই একেবারেই। দারুণ, পদ্ধতি তাই না?


ভুল করেও তরমুজের বিচি ফেলবেন না! তরমুজের বিচির রয়েছে যেসব অবিশ্বাস্য স্বাস্থ্যগুণ

ভুল করেও তরমুজের বিচি ফেলবেন না! তরমুজের বিচির রয়েছে যেসব অবিশ্বাস্য স্বাস্থ্যগুণ

ভুল করেও তরমুজের বিচি ফেলবেন না! আমেরিকার কৃষি দফতর জানিয়েছে, তরমুজের বিচির রয়েছে অসাধারণ গুণ। তরমুজের বিচি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অজ্ঞতার কারণেই মানুষ এটি ফেলে দেয়। তাদের পরামর্শ, আপনি বুদ্ধিমান হলে তরমুজের বিচি ফেলবেন না, যারা ফেলে দেন তারা নিরেট বোকা!

নিরামিষ তরিতরকারিতে তরমুজের খোসা ছাড়ানো সাদা দানা আমরা খেলেও, তরমুজের বিচি খাওয়ার চল নেই। আমেরিকার কৃষি দফতর পরামর্শ দিচ্ছে, তরমুজের দানা ফেলবেন না। তরমুজ কাটার সময় দানাগুলো একজায়গায় জড়ো করে, ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে রেখে দিন। দিনে যখন খুশি যেভাবে খুশি খেয়ে ফেলুন। কিন্তু কেন খাবেন?

প্রোটিন: তরমুজের বিচির উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ। একজন ব্যক্তির সারাদিনে যে পরিমাণ প্রোটিন প্রয়োজন পড়ে, তার ৬০% আপনি পাবেন এককাপ (৩০.৬ গ্রাম) তরমুজের বিচিতে। শরীরের পক্ষে প্রয়োজনীয় নানা ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। তার মধ্যে একটা আর্গিনাইন। যার কাজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ। করোনারি হার্ট ডিজিজের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এটা একটা জরুরি উপাদান। এ ছাড়াও গ্লুটামিক অ্যাসিড, লাইসিন, ট্রিপ্টোফানের মতো প্রোটিন রয়েছে তরমুজের বিচির মধ্যে।

ভিটামিন-বি: বিভিন্ন ভিটামিন বি-ও রয়েছে তরমুজের বিচিতে। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, খাবারকে এনার্জিতে পরিণত করতে সাহায্য করে ভিটামিন বি। এ ছাড়াও নানাবিধ জৈবিক প্রক্রিয়াতেও ভিটামিন বি-এর একটা গুরুত্ব আছে। নিয়াসিনের মতো জরুরি ভিটামিন বি আপনি পাবেন তরমুজের বিচিতে। যার কাজ হলো স্নায়ুতন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রকে রক্ষণাবেক্ষণ করা। এমনকী ত্বক ঠিক রাখতেও নিয়াসিন জরুরি। রয়েছে থিয়ামিন, রাইবোফ্লাবিন, ভিটামিন বি৬-ও।

মিনারেলস: খনিজের মধ্যে আপনি পাবেন ম্যাগনেসিয়াম। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ জানাচ্ছে, ম্যাগনেসিয়াম ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়াও কার্বোহাইড্রেটের বিপাকে সাহায্য করে। ফলে, ব্লাডসুগার এড়াতে তরমুজের বিচির গুরুত্ব রয়েছে। এ ছাড়াও ফসফরাস, আয়রন, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও জিঙ্ক রয়েছে।

ফ্যাট: এককাপ শুকনো তরমুজের দানায় ৫১ গ্রাম ফ্যাট রয়েছে। এর ১১% হল স্যাচুরেটেড ফ্যাট। বাকিটা পলিস্যাচুরেটেড, মনোস্যাচুরেটেড এবং ওমেগা -৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন জানাচ্ছে, মনো এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করতে সাহায্য করে। ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তবে, মাথায় রাখতে হবে, এককাপ তরমুজের শুকনো বিচিতে রয়েছে ৬০০ ক্যালোরি।


পেট থেকে গ্যাস দূর করার ঘরোয়া টোটকা, গাদা গাদা গ্যাসের ওষুধ ছাড়ুন, Bangla Health & Skin Care Tips

পেট থেকে গ্যাস দূর করার ঘরোয়া টোটকা, গাদা গাদা গ্যাসের ওষুধ ছাড়ুন

পেট থেকে গ্যাস দূর করার- গ্যাসের যন্ত্রণায় যারা ভোগেন তারাই ভাল জানেন কতটা অস্বিস্তিকর। একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াত, পার্টিতে মসলাযু্ক্ত খাবার খেলে তো শুরু হয়ে যায় অস্বস্তিকর গ্যাসের সমস্যা। ফাস্ট ফুড, ব্যস্ত জীবনযাত্রার যুগে গ্যাস, পেটের অসুখ এখন ঘরোয়া।

যেকোনো মানুষের বাসায় গেলেই আর যাই হোক গ্যাস্ট্রিকের ১ পাতা ওষুধ অবশ্যই পাওয়া যায়। তবে কী গাদা গাদা গ্যাসের ওষুধে এ সমস্যা দূর হয়! কিন্তু ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যেগুলো প্রয়োগ করলে গ্যাস, বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যায়।

জেনে নেওয়া যাক:

শসা: শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।

দই: দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।

পেঁপে: পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।

কলা ও কমলা: কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।

আদা: আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।

ঠাণ্ডা দুধ: পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।

দারুচিনি: হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।

জিরা: জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে। দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে।

লবঙ্গ: ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

এলাচ: লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে থাকে।

পুদিনা পাতার পানি: এক কাপ পানিতে ৫টা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই।

মৌরির পানি: মৌরি ভিজিয়ে সেই পানি খেলে গ্যাস থাকে না।

এ ছাড়াও খাবারে সরষে যোগ করুন: সরষে গ্যাস সারাতে করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন খাবারের সাথে সরষে যোগ করা হয় যাতে সেইসব খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে না পারে। নজর রাখতে হবে নিজের খাওয়া-দাওয়ার প্রতি। জেনে নিতে হবে কোনটি খাওয়া উচিত হবে কোনটি হবে না।

প্রেশার বেড়ে ঘাড় ব্যথা হলে তৎক্ষণাৎ যা করবেন; নয়ত বয়ে আনতে পারে চরম পরিণতি

উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার মুহূর্তেই বয়ে আনতে পারে চরম পরিণতি। উচ্চ রক্তচাপের কারণে করোনারি হার্ট ডিজিজ, হার্টফেল, স্ট্রোক ও কিডনি অকেজো হয়ে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেন হাই ব্লাড প্রেসার হয়, হলে করণীয় কি?

জানাচ্ছেন বাংলাদেশ আকুপ্রেশার সোসাইটির আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ মনোজ সাহা রক্ত চাপ যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তখন উচ্চ রক্তচাপ হয়। মস্তিষ্ক মেরুজল হৃৎপিণ্ডের তৃতীয় অংশ থেকে ওপরে উঠে স্নায়ুতন্ত্রে প্রবেশ করে।

যখন মস্তিষ্ক মেরুজলে লবণের পরিমাণ বেড়ে যায়, তখন বহির্গত নালির বাল্বের ভেতরে অবস্থিত চুলের মতো সূক্ষ কোষগুলো শক্ত হয়ে যায়। এর ফলে মস্তিষ্ক মেরুজলের প্রবাহ ব্যাহত হয়।

হৃৎপিণ্ডের তৃতীয় অংশে এই মস্তিষ্ক মেরুজলকে ওপরে ঠেলার জন্য যে চাপের সৃষ্টি হয় তাই উচ্চ রক্তচাপ। অনেক সময় দুশ্চিন্তাজনিত কারণ থেকেও এটি হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের ফলে করোনারি হার্ট ডিজিজ, হার্টফেল, স্ট্রোক, কিডনি অকেজো ইত্যাদি মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়।

লক্ষণ – মাথাব্যথা, বিশেষ করে পেছনের দিকে ব্যথা। অনেক সময় সকালে ঘুম থেকে উঠার পর ব্যথা অনুভূত হয়। দু-চার ঘণ্টা পর কমে যায়, মাথা ঘোরা, বুক ধড়ফড় করা, মনোযোগের অভাব, অল্পতে হাঁপিয়ে যাওয়া, মাংসপেশির দুর্বলতা, পা ফোলা, বুকে ব্যথা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, ক্লান্তিবোধ, ঘাড় ব্যথা।

কারণ, ধূমপান, ওজন বেশি, অলস জীবন-যাপন, খাবারের সঙ্গে বেশি লবণ গ্রহণ, নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন, বংশগত কারণে, ক্রনিক কিডনি রোগ, অ্যাড্রেনাল ও থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা।

পথ্য – এক মাস সকাল ও সন্ধ্যায় দুই চামচ করে থানকুনি পাতার রস সেবন করুন। অথবা রসুন ১ কোয়া করে দুবেলা ভাতের সঙ্গে ১৫ দিন খান।৪টি তুলসীপাতা ও ২টি নিমপাতা ১ চা চামচ পানিতে চটকিয়ে খেয়ে নিন। ১০০ গ্রাম পানিতে মাঝারি আকারের অর্ধেকটা লেবু চিপে দিনে ২-৩ বার পান করতে হবে।

যা করবেন – ওজন কামানো, লবণ ও সোডিয়ামযুক্ত খাদ্য কম গ্রহণ, হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা ও শারীরিক পরিশ্রম করা, রেড মিট বর্জন করা। রিফ্লেক্সো্লজি বিন্দুসমূহ ৩, ৪, ৮, ২৫, ২৮, ৩৬, NP, MF উচ্চ রক্তচাপের জন্য ওপরের প্রতিটি পয়েন্টে ৭০ থেকে ৮০ বা ২ মিনিট একটি সুচালো ভোঁতা কাঠি দ্বারা চাপ প্রয়োগ করতে হয়।

প্রতি ১ সেকেন্ডে ১টি করে চাপ দিতে হবে। ৬ ঘণ্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৩-৪ বার রিফ্লেক্সোলজি করা যায়। একেবারে খালি পেটে অথবা ভরা পেটে রিফ্লেক্সোলজি করা ঠিক নয়। খাওয়ার আধ ঘণ্টা পরে করা যাবে। রোগের বয়স যত দিন তার ১ : ১০ ভাগ সময়কাল পর্যন্ত থেরাপি করলে রোগ নিরাময় সম্ভব।

টিপস উচ্চ রক্তচাপ হলে চোখ বন্ধ করে দুই হাতের কনিষ্ঠ আঙুল কানের মধ্যে দিয়ে ২-৩ মিনিট কান ঝাঁকুনি দিন। ঘাড়ে ব্যথার কারণ ও প্রতিকার: আমাদের বেশির ভাগ মানুষই জীবনের কোনো এক সময় ঘাড়ের ব্যাথায় ভোগেন।

মেরুদণ্ডের ঘাড়ের অংশকে মেডিক্যাল ভাষায় সারভাইক্যাল স্পাইন বলে। মেরুদণ্ডের ওপরের সাতটি কশেরুকা ও দুই কশেরুকার মাঝখানের ডিস্ক, পেশি ও লিগামেন্ট নিয়ে সারভাইক্যাল স্পাইন বা ঘাড় গঠিত। মাথার হাড় (স্কাল) থেকে মেরুদণ্ডের সপ্তম কশেরুকা পর্যন্ত ঘাড় বিস্তৃত।

আট জোড়া সারভাইক্যাল স্পাইন নার্ভ (স্নায়ু) ঘাড়, কাঁধ, বাহু, নিচু বাহু এবং হাত ও আঙুলের চামড়ার অনুভূতি ও পেশির মুভমেন্ট প্রদান করে। এ জন্য ঘাড়ের সমস্যায় রোগী ঘাড়, কাঁধ, বাহু ও হাত বা শুধু হাতের বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ঘাড়ের সমস্যা পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি হয়। ঘাড়ে দুই ধরনের ব্যথা হয়ঃ

১. লোকাল বা স্থানীয় ব্যথা,
২. রেফার্ড পেইন বা দূরে ছড়িয়ে যাওয়া ব্যাথা।, ঘাড়ব্যথার কারণঃ অনেকগুলো কারণে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১. সারভাইক্যাল স্পনডাইলোসিস,
২. সারভাইক্যাল স্পনডাইলাইটিস,
৩. সারভাইক্যাল স্পনডাইলিসথেসিস,
৪. সারভাইক্যাল রিবস,
৫. সারভাইক্যাল ক্যানেল স্টেনোসিস বা স্পাইনাল ক্যানাল সরু হওয়া,
৬. সারভাইক্যাল ডিক্স প্রলেপস বা হারনিয়েশন, যেখানে হারনিয়াটেড ডিস্ক নার্ভের ওপর চাপ প্রয়োগ করে,
৭. মাংসপেশী, হাড়, জোড়া, লিগামেন্ট, ডিস্ক (দুই কশেরুকার মাঝখানে থাকে) ও স্নায়ুর রোগ বা ইনজুরি,
৮. অস্বাভাবিক পজিশনে নিদ্রা বা অনিদ্রা,, ৯. উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ,
১০. হাড় ও তরুণাস্থির প্রদাহ ও ক্ষয়,
১১. অস্টিওপরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা রোগ,
১২. হাড় নরম ও বাঁকা হওয়া,
১৩. রিউমাটয়েড-আর্থ্রাইটিস ও সেরো নেগেটিভ আর্থ্রাইটিস,
১৪. সারভাইক্যাল অস্টিও-আর্থ্রাইটিস,
১৫. ফাইব্রোমায়ালজিয়া,

উপসর্গঃ

১. ঘাড়ব্যথা এবং এই ব্যথা কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে,
২. কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুলে অস্বাভাবিক অনুভূতি বা অবশ ভাব, ৩. বাহু, হাত ও আঙুল দুর্বল হতে পারে,
৪. সব সময় ঘাড় ধরে বা জমে (স্টিফনেস) আছে এবং আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে,
৫. ঘাড়ের মুভমেন্ট ও দাঁড়ানো অবস্থায় কাজ করলে ব্যথা বেড়ে যায়, ল্যাবরেটরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা: ঘাড়ব্যথার চিকিৎসা দেয়ার আগে কারণ নির্ণয় করার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি পরীক্ষা করতে হবে।

চিকিৎসা: ঘাড়ব্যথার চিকিৎসা এর কারণগুলোর ওপর নির্ভর করে। চিকিৎসার মূল লক্ষ হল,

১. ব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গ নিরাময় করা
২. ঘাড়ের মুভমেন্ট স্বাভাবিক করা।

কনজারভেটিভ চিকিৎসা:

১.অ্যান্টিইনফ্যামেটরি ওষুধ সেবন,

২.ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা এটিই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি। বিভিন্ন ধরনের ফিজিওথেরাপিচিকিৎসা কারণগুলোর উপর নির্ভর করে।

এখানে বিভিন্ন ম্যানুয়াল বাম্যানুপুলেশন থেরাপি, থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ এবং এই চিকিৎসাই ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রোমেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট; যেমন- ইন্টারফ্যারেনশিয়াল থেরাপি, অতি লোহিত রশ্মি, মাইক্রো-ওয়েভ ডায়াথারমি,আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি, শর্টওয়েভ ডায়াথার্মি ও ইন্টারমিটেন্ট ট্র্যাকশন, ট্রান্সকিউটেনিয়াস ইলেক্ট্রিক্যাল স্টিমুলেশন ইত্যাদি।

এবং কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে দুই-তিন সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থেকে চিকিৎসা নিতে হয়। সার্জিক্যাল চিকিৎসা, কনজারভেটিভ বা মেডিক্যাল চিকিৎসায় ভালো না হলে, ব্যথা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকলে, স্নায়ু সমস্যা দেখা দিলে, বাহু, হাত ও আঙুলে দুর্বলতা এবং অবশ ভাব দেখা দিলে এবং প্রস্রাব বা পায়খানার নিয়ন্ত্রণ না থাকলে দ্রুত সার্জিক্যাল চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে বিভিন্ন ধরনের সার্জিক্যাল চিকিৎসা কারণগুলোর উপর নির্ভর করে।

করণীয়:

১. সামনের দিকে ঝুঁকে দীর্ঘক্ষণ কাজ করবেন না।
২. মাথার ওপর কোনো ওজন নেবেন না।
৩. প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিতে হবে।
৪. শক্ত বিছানায় ঘুমাবেন।
৫. শোবার সময় একটা মধ্যম সাইজের বালিশ ব্যবহার করবেন, যার অর্ধেকটুকু মাথা ও অর্ধেকটুকু ঘাড়ের নিচে দেবেন।
৬. তীব্র ব্যথা কমে গেলেও ঘাড় নিচু বা উঁচু করা, মোচড়ানো (টুইসটিং) পজিশন বন্ধ করা।
৭. অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম কমাতে হবে।
৮. সেলুনে কখনোই ঘাড় মটকাবেন না।
৯. কাত হয়ে শুয়ে দীর্ঘক্ষণ পড়বেন না বা টেলিভিশন দেখবেন না।
১০. কম্পিউটারে কাজ করার সময় মনিটর চোখের লেভেলে রাখবেন।

Wednesday 27 March 2019

কোঁকড়া চুলের যত্ন - care of curly hair

কোঁকড়া চুলের যত্ন - care of curly hair

কোঁকড়া চুলের যত্ন - care of curly hair 

কোঁকড়া চুলের যত্ন - care of curly hair 

মেঘবরণ কুঞ্চিত কালো কেশ বা ঢেউ খেলানো চুল— কোঁকড়া চুলের এসব উপমা যত সুন্দরই হোক না কেন, এ ধরনের চুলের যত্ন নেওয়াটা ঝামেলার ব্যাপার। কারণ প্রকৃতিগতভাবেই কোঁকড়া চুল খুব ঘন ও শক্ত হয়ে থাকে। আর চুলগুলো কোঁকড়ানো হওয়ার কারণে গরমের এই সময়টায় চুলের গোড়ায় বাতাস ঢুকতে না পারায় চুলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া কোঁকড়া চুলে সব সময়ই জট লেগে থাকে। এ কারণে চুলগুলোকে আঁচড়ানোও বেশ কষ্টকর হয়ে পড়ে। ঘরে বসেই কোঁকড়া চুলের এসব সমস্যা কীভাবে সমাধান করবেন.......

যাদের মাথায় কোঁকড়া চুল আছে, তাদের অবশ্যই মাথার তালু পরিষ্কার রাখতে হবে। যেহেতু এ ধরনের চুলের গোড়ায় বাতাস পৌঁছাতে পারে না, তাই মাথার ত্বক পরিষ্কার না রাখলে চুলের গোড়ায় ফুসকুড়ি ওঠা, খুশকিসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

গোসল করার পর কোঁকড়া চুল ভালো করে না শুকালে চুলের গোড়ায় পানি জমে থাকে। তাই গোসল শেষে চুলগুলো ভালো করে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এরপর ফ্যানের বাতাসে দুই হাত দিয়ে চুলগুলো ফাঁক ফাঁক করে শুকিয়ে নিন। কোঁকড়া চুলের ধরন খুবই রুক্ষ। তাই চুল শুকাতে কখনোই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না।
যেহেতু এ ধরনের চুলে খুব জট লেগে থাকে, তাই চুল শুকানোর পর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়াতে হবে।
মেথি গুঁড়া, টক দই, ত্রিফলার রস (আমলকী, হরীতকী, বহেরা) একসঙ্গে মিশিয়ে এক ঘণ্টা রাখুন। এই মিশ্রণ চুলে দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের জট অনেকটা কমবে।

চুলের গোড়ায় ঘাম জমে চুল পড়ে যায়। তাই চুল পড়া বন্ধ করতে চুলে ভাতের মাড় মেখে এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এ ধরনের চুলে প্রয়োজন প্রোটিন হেয়ার ট্রিটমেন্ট। তাই ১৫ দিনে একবার ডিম, টক দই, নিমপাতা বাটা, পেঁয়াজের রস, মেথি গুঁড়া মিশিয়ে মাথায় ৩০ থেকে ৩৫ মিনিটের মতো রাখতে হবে। পুরোপুরি শুকানোর আগেই ধুয়ে ফেলতে হবে।

একইভাবে চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট নিতে ডিম ও কলার মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন।

গরমে মাথার তালুতে অনেক সময় ফুসকুড়ি ওঠে। দূর্বাঘাসের মুথা ও স্বর্ণলতা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন।

শীতকালে খুশকি দূর করতে মেহেদিপাতার সঙ্গে ঘৃতকুমারী, অ্যালোভেরা মিশিয়ে লাগাতে পারেন চুলে।
এ ছাড়া প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর এক কাপ চায়ের লিকারের সঙ্গে (দুই টেবিল চামচ করে ভিনেগার, কফি, সেদ্ধ বিটের রস) একসঙ্গে মিশিয়ে কন্ডিশনার হিসেবে চুলে ব্যবহার করতে পারেন।

চুলে রক্ত সঞ্চালনের জন্য নারকেল তেলের ম্যাসাজ খুবই উপকারী। নারকেল তেল গরম করে হাতে নিয়ে আঙুল দিয়ে বৃত্তাকারভাবে মালিশ করতে হবে। এরপর গরম পানিতেই তোয়ালে ভিজিয়ে ভালোভাবে চিপে মাথায় পেঁচিয়ে ধরতে হবে। এতে চুলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুলের গোড়া শক্ত হয়।

এ ধরনের চুল যাদের রয়েছে তাদের প্রচুর পরিমাণে ফলমূল ও পানি খেতে হবে। পাশাপাশি খেতে হবে সামুদ্রিক মাছ। কারণ সামুদ্রিক মাছ খেলে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। 

Tuesday 26 March 2019

সুস্থ থাকতে অদ্ভুত কৌশল - Strong tactics to stay healthy

সুস্থ থাকতে অদ্ভুত কৌশল - Strong tactics to stay healthy
সুস্থ থাকতে অদ্ভুত কৌশল - Strong tactics to stay healthy
সুন্দর স্বাস্থ্যের জন্য মানুষের চেষ্টার শেষ নেই। পুষ্টিকর খাবার, ব্যয়াম, পুষ্টিবিদের পরামর্শ ইত্যাদি অনেক কিছুই অনুসরণ করে থাকেন। তবে বেশ কিছু অদ্ভুত অভ্যাস রয়েছে যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হলেও আমাদের অনেকেরই তা অজানা।

স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে উপকারি এমনই কয়েকটি অভ্যাসের বিষয় উল্লেখ করা হয়।

ভালো ঘুমে সহায়ক কফি
কাজের অতিরিক্ত চাপে মাঝে মাঝে খানিকটা বিশ্রাম নিয়ে নিতে হয়। সেক্ষত্রে, ঘুমের আগে ১ কাপ কফি (২০০ মিলিগ্রাম) পান করে ২০ মিনিট ঘুমিয়ে নিলে মস্তিষ্ক সতেজ হয়ে কাজ করার ক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

গবেষণায় জানা যায়, ক্যাফেইন মস্তিষ্কের ভিতরে থাকা অ্যাডিনসিন অণু পরিষ্কার করে মস্তিষ্ককে কর্মচঞ্চল করে তুলে। আর মস্তিষ্কে অ্যাডিনসিনের পরিমাণ বেড়ে গেলেই আমরা অবসাদ বা ক্লান্ত অনুভব করি।
সুস্থ থাকতে অদ্ভুত কৌশল - Strong tactics to stay healthy
সুস্থ থাকতে অদ্ভুত কৌশল - Strong tactics to stay healthy

খাওয়ার পর ব্রাশ না করা
খাবার এবং পানীয় পান করার পর দাঁত ব্রাশ করা ঠিক না। বিশেষ করে খাবার বা পানীয় যদি এসিডিক হয়।  যেমন লেবুজাতীয় ফল, টমেটো, সোডা ইত্যাদি এসিডিক খাবারে এসিডিক পদার্থ বেশি থাকে। আর এগুলো দাঁতের এনামেল নরম করে ফেলে। ফলে খাবার খাওয়ার পর ব্রাশ করা হলে এসিড দাঁতের এনামেলে আরও বেশি পরিমাণে ছড়িয়ে যেতে পারে এবং দাঁতের নীচের স্তর ক্ষয় করে ফেলতে পারে। তাই খাবার বা পানীয় পান করার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পর দাঁত ব্রাশ করা উচিত।

বেশি খাওয়ার জন্য কম খাওয়া
অনেক সময় ১০০ ক্যালরি কুকিজ বা নোনতা বিস্কুট খাওয়ার পর আমরা ভাবি তেমন কিছু খাওয়া হয় নি। মজার ব্যাপার হচ্ছে এতে ক্ষুধা লাগার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি অল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ কমে যাবে সত্যি তবে আরও কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ইচ্ছা জাগবে। তাই প্রোটিনজাতীয় খাবার যেমন: চীনাবাদামের তৈরি মাখন, পনিরের সঙ্গে খাবার খাওয়া ভালো। এতে বিদ্যমান প্রোটিন এবং চর্বি যেমন তাড়াতাড়ি পেট ভরাবে তেমনি অনেক্ষণ পর্যন্ত খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
সুস্থ থাকতে অদ্ভুত কৌশল - Strong tactics to stay healthy
সুস্থ থাকতে অদ্ভুত কৌশল - Strong tactics to stay healthy

ক্লান্ত হলে এনার্জি ড্রিংক নয়
কফির তুলনায় এনার্জি ড্রিংক্সে ৫ গুণ বেশি ক্যাফেইন থাকে। তবে এর কার্যক্ষমতা খুব স্বল্প সময়ের জন্য স্থায়ী থাকে এবং বিভিন্ন ধরণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেমন— বিরক্তি, ঘাবরে যাওয়া, দ্রুত হৃদস্পন্দন, অবসাদ ইত্যাদি বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রতি ক্যান এনার্জি ড্রিংক্স পান করার পর দেহে চিনির মাত্রা ৫০ গ্রাম বেড়ে যায়। তাই যতটা সম্ভব এ ধরনের পানীয় এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

ডায়েট সোডা পরিহার করা
অতিরিক্ত চিনি, ক্যালরি বা ফ্যাট এড়াতে অনেকেই সাধারণ সোডার বদলে ডায়েট সোডা পান করে থাকেন। তবে স্বাভাবিক সোডার তুলনায় ডায়েট সোডাতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকে এবং খুব দ্রুত ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে এটি অনেকেরই জানা নেই। তাই ওজন কমানোর আশায় ডায়েট পানীয় পান না করাই ভালো।
সুস্থ থাকতে অদ্ভুত কৌশল - Strong tactics to stay healthy
সুস্থ থাকতে অদ্ভুত কৌশল - Strong tactics to stay healthy

গরম পানীয় পান
সাধারণত অনেক দেশেই গ্রীষ্মের গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পানীয় হিসেবে আইস-কফি, ঠান্ডা পানীয়, স্মুদি ইত্যাদি পান করতে পছন্দ করেন। তবে গরমে শরীর ঠান্ডা করতে গরম চা বা অন্য পানীয় বেশি কার্যকর। গরম পানীয় পান করলে দেহের তাপমাত্রার পরিবর্তন হয় এবং বেশি পরিমাণে ঘাম হতে থাকে। শরীর থেকে ঘাম বের হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিকভাবে শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়।


ক্লান্তির সময় ব্যায়াম
সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর ব্যায়াম করলে শারীরিক এবং মানসিক শক্তি বাড়ে। নিয়মিত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করলে হতাশা কমে যায় এবং মন ভালো থাকে। ব্যায়াম করার সময় মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবারহ বেড়ে যায়। ফলে কাজ করার ক্ষমতা বেড়ে যায়।

সকালের দুর্বলতা কাটানোর ঘরোয়া উপায়, Domestic way to do the morning vulnerabilities

সকালের দুর্বলতা কাটানোর ঘরোয়া উপায়, Health & Skin Care tips
সকালের দুর্বলতা কাটানোর ঘরোয়া উপায়, Health & Skin Care tips
সকালে ঘুম থেকে উঠে অসুস্থ বোধ বা ‘মর্নিং সিকনেস’ কাটানোর জন্য রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান।
সাধারণত দুর্বলতা থেকে অনেকের এরকম হয়। আবার গর্ভাবস্থায় ষষ্ঠ সপ্তাহ থেকে এই সমস্যা দেখা দেয়।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে সকালের দুর্বলতা কাটানোর ঘরোয়া কিছু উপায় এখানে দেওয়া হল।

আদা

বমি বমিভাব কমানোর প্রাকৃতিক উপায় হল আদা। আদার রসে এমন এক ধরনের উপাদান আছে যকৃতকে শান্ত রাখে।

পদ্ধতি: সকালের অস্বস্তি দূর করতে এক চা-চামচ আদার রস পান করুন। চাইলে আদা চা বা আদার তৈরি চকোলেটও খেতে পারেন।

পুদিনা

পুদিনা সতেজকারক ও ঠাণ্ডা রাখে, এছাড়াও এটা বমিভাব কমায় ।

পদ্ধতি: কয়েকটি পুদিনা-পাতা চিবিয়ে নিন অথবা এর ঘ্রাণ গ্রহণ করুন। এতে ঝিমানো বা নির্জিবভাব দূর হবে।

লেবুর রস

টক-জাতীয় বা সিট্রাস ফলের রস দুর্বলভাব দূর করতে সাহায্য করে। এর টক স্বাদ বমি বমি ও গা গোলানোভাব কমায়।

পদ্ধতি: লেবুর রসে এক চিমটি লবণ ও চিনি মিশিয়ে পান করুন। চাইলে আদা ও লেবু সাধারণ পানিতে মিশিয়ে পান করতে পারেন, ভালো লাগবে।

গোলাপ জল ও দুধ

আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, গোলাপ জল ও দুধ এক সঙ্গে পান করলে সকালের দুর্বলভাব দূর হয়।

পদ্ধতি: এক গ্লাস দুধে এক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। কুসুম গরম অবস্থায় পান করুন। চাইলে এভাবে গোলাপ জল মেশানো এক কাপ দুধের সঙ্গে এক চা-চামচ ঘি মিশিয়ে রাতে পান করতে পারেন।

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার

নানান রোগ সারানোর ক্ষমতা রয়েছে অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের। ঔষধি গুণ থাকার পাশাপাশি এতে রয়েছে সুগন্ধি ও সংরক্ষক ক্ষমতা।

পদ্ধতি: এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে পান করুন সকালের দুর্বলভাব দূর হবে। 

ডাবের পানি

এটা ভিটামিন, খনিজ ও আঁশ সমৃদ্ধ। ডাবের পানির রয়েছে নানান স্বাস্থ্যগুণ। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং গ্যাসের কারণে হওয়া হৃদপিণ্ডের জ্বালাপোড়াভাব।

পদ্ধতি: এক চা-চামচ লেবুর রস এক গ্লাস ডাবের পানিতে মিশিয়ে প্রতি ১৫ মিনিট পর পর অল্প চুমুকে পান করুন।

মসলা

মৌরির গুঁড়া, দারুচিনি এবং জিরা বমিভাব কমায়। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, এই তিন মসলা সকালের দুর্বলভাবের জন্য ভালো।

‘যেতে হবে অনেক দূর’ - Health & Skin Care tips

‘যেতে হবে অনেক দূর’ - Health & Skin Care tips
‘যেতে হবে অনেক দূর’ - Health & Skin Care tips
জন্মের ৪৮ বছর পেরিয়ে বাংলাদেশ একটি শক্ত ভিতের উপর দাঁড়ালেও যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গোটা জাতি, তা পূরণে আরও বহু পথ পাড়ি দেওয়ার কথা মনে করিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপ্রধান মো. আবদুল হামিদ।

আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সেই ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২৫ মার্চ কালরাত স্মরণ করে একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের পর মঙ্গলবার গৌরবময় স্বাধীনতা দিবস পালন করছে বাংলাদেশ।

জাতীয় এই দিবসের বাণীতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান।

২৩ বছরের শোষণ থেকে বাঙালির মুক্তির আন্দোলনের শ্বাসরোধ করতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, চলেছিল গণহত্যা।

এই আক্রমণ বাংলাদেশের প্রতিরোধ যুদ্ধের পথ তৈরি করে দেয়; পাকিস্তানের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করে দেন, বাংলাদেশ এখন স্বাধীন।

পাকিস্তানিরা বন্দি করলেও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই শুরু হয় মুক্তির সংগ্রাম, মুজিবনগর সরকারের পরিচালনায় নয় মাসের সশস্ত্র সেই সংগ্রামে বাঙালির বিজয় বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটায় নতুন দেশ বাংলাদেশের।

স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে ষড়যন্ত্রের জালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ঘটে। এরপর বাংলাদেশের উল্টোযাত্রা শুরু হলেও কয়েক দশক বাদে ক্ষমতায় ফিরে বাংলাদেশকে পথে ফেরানোর দায়িত্ব নেয় স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগ।

উচ্চ প্রবৃদ্ধি, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠা, দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নানা সূচকে অগ্রগতির পর বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের কাতারে পৌঁছানো।

এই অগ্রগতি মনে রেখেই স্বাধীনতা দিবসের বাণীতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, “স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। উন্নয়নকে জনমুখী ও টেকসই করতে সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।”

৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে আরও অর্থবহ করতে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

জনকল্যাণে সরকারের উন্নয়ন ভাবনাসমূহের বাস্তবায়নে সবার সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার উপরও জোর দিয়েছেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, “আমরা আজ জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করছি। গত ১০ বছরে আমরা দেশের প্রতিটি খাতে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করেছি। আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল।

“আসুন, দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করি। গড়ে তুলি জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। আজকের এ ঐতিহাসিক দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।”

সদ্যসমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বড় জয়ে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশের মানুষ যে দৃঢ় আস্থা রেখেছে, আমরা তার পরিপূর্ণ মূল্যায়ন করব।”

মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে অর্থপূর্ণ করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানায় গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নানা আয়োজন

স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে প্রতি বছরের মত এবারও জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রত্যুষে ঢাকাসহ সারা দেশে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে এ দিবসের সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেন।

এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধারা স্মৃতিসৌধে ফুল দেন। পরে সবার জন্য খুলে দেওয়া হয় স্মৃতিসৌধের দুয়ার।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় সকাল ৮টায়। একই সময় সারাদেশে একযোগে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের এই শিশু-কিশোর সমাবেশে ১০-১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত শুদ্ধসুরে জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা ২০১৯ এর বিজয়ী দলসমূহকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

সাধারণ এই ছুটির দিনে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলোও সাজানো হয়েছে পতাকায়।

মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত নাট্যমঞ্চ থেকে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা এবং সদরঘাট থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত নৌ পথে শিল্পীরা দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করবেন।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছে।

এছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করেছে। দেশের সব শিশুপার্ক ও জাদুঘরগুলো থাকবে উন্মুক্ত।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে ।

দেশের সকল হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশুদিবা যত্নকেন্দ্রগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলা  ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজগুলো বেলা ২টা হতে ঐদিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

দেশের সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলা সদরে সকালে কুচকাওয়াজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করবে।

Sunday 24 March 2019

রঙিন চুল রঙিনই থাকুক Colorful hair color - Health & Skin Care tips

রঙিন চুল রঙিনই থাকুক Colorful hair color - Health & Skin Care tips
রঙিন চুল রঙিনই থাকুক Colorful hair color - Health & Skin Care tips 


রঙিন চুল রঙিনই থাকুক

চেহারায় রাতারাতি পরিবর্তন আনতে পারে চুলের পরিবর্তিত রূপ। নতুন কাটের পাশাপাশি চুলে রং করলেও ব্যক্তিত্বে যোগ হয় আত্মবিশ্বাস। তবে এ সবই ইতিবাচক প্রভাব আনবে যদি চুল রং করার আগে–পরের নিয়ম মানা হয় ঠিকভাবে। নয়তো আসবে বিপরীত ফলাফল। ফ্যাশনে এসেছে অনেক ধারা। চুল রং করার নকশা জানা দরকার। তেমনি চুল রং করার আগে ও পরে চুলের যত্ন নেওয়াটাও বাধ্যতামূলক।

রং মিলিয়ে

চুলে রং করার ফ্যাশনে এসেছে নানা রকম পরিবর্তন। চুল রঙিন করার ধরন ও রং বাছাই—দুটি এখন অনেক রুচিশীল। বয়স, ব্যক্তিত্ব, রুচি সবকিছু মিলিয়েই কিন্তু এখন চুলের রং বেছে নিচ্ছেন সবাই। এমনটাই জানালেন পারসোনার পরিচালক নুজহাত খান।
রং করার ধারায় যে রংগুলো আছে তা হলো অ্যাশি সিলভার, স্ট্রবেরি হানি, রিচ কপার, মাশরুম ব্রাউন, ক্রিমি ব্লন্ড, জেট ব্ল্যাক, ব্লেন্ডেড রুটস। চুল রঙিন করার আগে ত্বকের রঙের বিষয়টি নিয়ে রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি জানালেন, কোন ত্বকের রঙের সঙ্গে কোন চুলের রং ভালো লাগবে, তা অনেকটা নির্ভর করে চুলে রং প্রয়োগের ওপর। সাধারণত যাঁরা একটু শ্যাম বর্ণের তাঁরা পুরো চুল রং করতে পারবেন না। চুলের গোড়া থেকে চার–পাঁচ ইঞ্চি চুল বাদ দিয়ে শেড করে রং করলে ভালো লাগবে। অর্থাৎ গাঢ় রং থেকে হালকা শেডে পুরো চুল রং করা যায়। আবার খুব উজ্জ্বল রংও তাঁদের ত্বকের সঙ্গে মানাবে না। এ ছাড়া হাইলাইট, স্টিক, ক্যাটস্টিক নকশায় রং করলে বেশ ভালো লাগবে।
তবে যাঁদের ত্বকের রং একটু উজ্জ্বল তাঁরা পুরো চুলে চাইলে রং করতে পারেন। তবে চুলের ওপরের অংশে নয়, নিচের দিকে এটি ভালো লাগবে। ব্লন্ড, বারগেন্ডি, গাঢ় বাদামি, মেরুন রং সহজেই মানাবে তাঁদের।

রঙিন চুল রঙিনই থাকুক Colorful hair color - Health & Skin Care tips
রঙিন চুল রঙিনই থাকুক Colorful hair color - Health & Skin Care tips


যত্নে

স্বাভাবিক, শুষ্ক ও তৈলাক্ত রঙিন চুলে প্রথম দুই মাস প্রতিদিন হালকা ও রং প্রতিরোধক শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। রং করা চুল রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের কারণে শুষ্ক হয়ে যায়, তাই স্মুদিং করাতে হবে। এ ছাড়া স্বাভাবিক চুলে ডিমের সাদা অংশ ও মধু ব্যবহার উপকারী হবে। শুষ্ক চুলে গরম তেল মালিশে লেবুর রস ব্যবহার করা যাবে না। তৈলাক্ত চুলে সপ্তাহে এক দিন গরম তেল মালিশ করতে হবে। প্রতিদিন শ্যাম্পু করার আগে খালি হাতে মাথার ত্বক মালিশ করুন। আবার শ্যাম্পুর সঙ্গে হালকা লবণ মিশিয়ে ব্যবহার করলে চুলে ঘনত্ব চলে আসবে, তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে এবং চলে যায়। তবে তখন খুব সুন্দর করে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। চুল বাড়লেই রং করা যায়। তবে ব্লিচজাতীয় রং ছয় মাসের আগে না করাই ভালো।

সমস্যাটি একান্তই কিশোরীর The problem is the teenager - Health & Skin Care tips

সমস্যাটি একান্তই কিশোরীর The problem is the teenager - Health & Skin Care tips
সমস্যাটি একান্তই কিশোরীর The problem is the teenager - Health & Skin Care tips
বয়ঃসন্ধিতে একজন কিশোরীর শরীর ও মনে ঘটে যায় নানা পরিবর্তন। এর মধ্যে অন্যতম হলো মেনার্ক বা মাসিকের সূত্রপাত। এ সময় এই বয়সে ৫ থেকে ১০ শতাংশ কিশোরী মাসিকের সময় তলপেটে অসহ্য ব্যথার অভিযোগ করে থাকে। কেউ কেউ স্কুল বা কাজকর্ম ছেড়ে প্রায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে। মাসিক শুরুর প্রথম এক-দুই বছরে এ সমস্যা সবচেয়ে প্রকট থাকে।

মাসিকের সময় জরায়ুর পেশির অস্বাভাবিক সংকোচন এই ব্যথার জন্য দায়ী।

কিশোরীরা মাসিক শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে তলপেটে ব্যথা, যা কোমর ও ঊরুর ওপর অংশে ছড়ায়, সঙ্গে বমি ভাব, অরুচি, দুর্বলতা, মাথাব্যথা, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদিতে আক্রান্ত হয়। কারও এক-দুই দিনের ডায়রিয়াও হতে পারে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ, যেমন আসন্ন পরীক্ষা, ভ্রমণ ইত্যাদি এই উপসর্গ বাড়িয়ে দেয়।

দুশ্চিন্তার কিছু নেই

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক কমে যেতে থাকে এবং বেশির ভাগ উপসর্গ কমে আসে। এ ছাড়া সন্তান প্রসবের পর জরায়ুমুখ প্রসারিত হলেও ব্যথা চলে যায়। এ সমস্যার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার তেমন কোনো প্রয়োজন নেই। চিকিৎসার প্রথম ধাপ হলো বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নেওয়া ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা। পুষ্টিকর খাবার ও প্রচুর তরল খাবার দিন এ সময়। স্বাভাবিক কাজকর্মে উৎসাহ দিন। তবে ব্যথা প্রচণ্ড ও দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

l   স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, বারডেম হাসপতাল।

মাসিকের সময় ব্যথা Pain during menstrual period - Health & Skin Care tips

মাসিকের সময় ব্যথা  Pain during menstrual period - Health & Skin Care tips

মাসের বিশেষ সময়ে মাত্রাতিরিক্ত পেট ও পিঠ ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করা যেতে পারে গরম পানি ভর্তি ব্যাগ এবং এড়িয়ে চলুন কিছু খাবার।

মাসিকের সময় তল পেট এবং পিঠে ব্যথা হলে গরম পানি ‘হট ওয়াটার ব্যাগ’য়ে ভরে কিছুক্ষণ চেপে রাখলে আরাম পাওয়া যায়, এমনটাই জানান দিল্লির ইরেনে আইভিএফ সেন্টারের পরিচালক ইন্দিরা গনেশান।

তিনি এই ব্যথা উপশমের জন্য আরও কিছু পরামর্শ দেন।

– তল পেটে এবং পিঠের নিচের অংশে গরম পানি ভর্তি হট ওয়াটার ব্যাগ চেপে ধরে রাখলে ব্যথা অনেকটাই কমে আসবে। তাছাড়া বেশি অসুস্থ বোধ করলে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিলেও উপকার পাওয়া যাবে।

– আদা চা, জেসমিন টি, ক্যামমাইল টি শুধু যে ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে তা নয়, রক্ত ক্ষরণের ফলে শরীরের পানির ভারসাম্যও রক্ষা করতে সাহায্য করবে।

– এ সময় প্রচুর ভিটামিন বি, ই, সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এই উপাদানগুলো মাসিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

– আঁশ সমৃদ্ধ খাবার, প্রচুর ফল ও সবজি খেতে হবে। কারণ এই খাবারগুলোতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাছাড়া এ সময় ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা রসের শরবত ও পেঁপে খেলেও ব্যথায় আরাম পাওয়া যাবে।

– অতিরিক্ত দুগ্ধজাত খাবার, মাংস এবং শুঁটিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

– অতিরিক্ত চা ও কফি, অর্থাৎ ক্যাফেইন এড়িয়ে চলতে হবে। তাছাড়া এ সময় ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ এড়িয়ে চলতে হবে।

– হালকা ব্যয়াম এ সময় ব্যথা উপশমে বেশ কার্যকর। তাছাড়া যে কোনো এসেনশিয়াল তেল দিয়ে হালকা মালিশেও ব্যথা কমে আসবে।

– অতিরিক্ত ব্যথা হলে ব্যথা কমানোর ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। তবে ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


Saturday 2 March 2019

Keep these foods away during pregnancy - গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি

গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি
গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি

গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি

আমাদের মানবজীবনে চার অধ্যায়। শৈশব, কৈশোর, যৌবন আর বার্ধক্য। চার অধ্যায়ে নানা উত্থান পতন, টানাপোড়েনে জীবন নিজের মত করে চলতে থাকে। আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করি নানা বিষয়ে। ছেলেদের ক্ষেত্রে এটা চার অধ্যায়ে সীমাবদ্ধ হলেও মেয়েরা কিন্তু আরো একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যায়। এক বিশেষ সময়। প্রেগন্যান্সি বা গর্ভাবস্থা। চিকিৎসাশাস্ত্রে এর মেয়াদ ১০ মাস ১০ দিন হলেও এই সময় একটা মেয়ে অনেক কিছু দেখে এবং শেখে। নতুন করে এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। এক নতুন জীবন জন্ম দেওয়ার জন্যে নানান দায়িত্ব তার কাঁধে এসে পড়ে। যে আসছে তার ভালো থাকার জন্যে নিজের ভালো থাকাটাও যে অনেক জরুরী, এই বোধ একটা মেয়েকে এই সময় সচেতন করে তোলে। দায়িত্ববোধ আর কর্তব্যের মেলবন্ধন তাকে বারবার নতুন নতুন ভালো কিছু শিখতে সাহায্য করে।

এই সময়টা একটা মেয়ের কাছে খুব গুরত্বপূর্ণ। ভালো থাকার জন্যে নানা বিধি নিষেধ মেনে চলতে হয়। পরিবারের বড়রা তাকে গাইড করার জন্যে থাকলেও নিজের ব্যাপারে নিজের কিছু কিছু জিনিস জেনে রাখা জরুরি। হাঁটাচলা, ঘুম সমস্ত কিছুর পাশাপাশি খাওয়া দাওয়ার উপরেও সমান ভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। অনেক কিছু পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত, আবার অনেক কিছু খাওয়া উচিত নয়। আজকের বিষয়ে আলোচনা করবো কী কী গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত নয়।

গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি
গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি 

১. চিজ থেকে দূরে থাকুন: চীজ অনেকেই খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু আনপ্রসেসড চীজ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। কারণ এতে লিস্টেরিয়া নামক ব্যাক্টেরিয়া থাকে। একই ভাবে নরম চীজ এ জল বেশি থাকে যাতে ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ বেশি হয়।


গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি
গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি 

২. কাঁচা ডিম ভুলেও না: কাঁচা ডিম বা হাফ সিদ্ধ ডিম খেতে যারা ভালোবাসেন, এবার সময় এসেছে এগুলোকে না বলার। একই ভাবে প্রসেসড মিট বা রোস্ট খাওয়াকেও না বলুন। এক্ষেত্রে টকসোপ্লাজমা ব্যাক্টেরিয়া শরীরের মধ্যে গেলে শরীরের ক্ষতি করতে পারে। সি ফিশ বা সমুদ্রের মাছ খাওয়া ভালো, এতে ওমেগা -৩ থাকে। তবে সেই মাছও খান পরিমিত পরিমাণে।

গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি
গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি 

৩. মাল্টিভিটামিনের আগে ডাক্তারের পরামর্শ: অনেক খাবার আমরা এই সময় খেয়ে থাকি যাতে ভিটামিনের অভাব শরীরে না হয়। এমন কোনো খাবার খাবেন না যাতে বেশি পরিমাণে ভিটামিন-A আছে। এমনকি মাল্টি ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ার আগেও ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে খান।

গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি
গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি 

৪. বাসি স্যালাড বা কাটা ফল খাবেন না: সবুজ স্যালাড স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। অবশ্যই স্যালাড খান কিন্তু কখনোই অনেকক্ষন আগের কেটে রাখা স্যালাড খাবেন না। বাইরের কাটা স্যালাডকেও এখন না বলুন। অনেক আগের কাটা স্যালাডে লিষ্টেরিয়া প্যারাসাইট থাকে।

গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি
গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি 

৫. ধুমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন: কোনো রকম নেশাকে না বলুন। ধূমপান বা অ্যালকোহল কোনোটাই এই সময় নেওয়া উচিত না। অতিরিক্ত ডোপামিন হরমোন ক্ষরণ এই সময় বাচ্চার ক্ষতি করে।

গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি
গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি 

৬. বেশি চা, কফি খাবেন না: অনেকের মধ্যেই চা বা কফি খাওয়ার প্রবণতা আছে। স্ট্রেস কমাতে অনেকে এক কাপ চা বা কফি বেছে নেন। চেষ্টা করুন এই প্রবণতা কমানোর। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরে গেলে মিসক্যারেজের সম্ভাবনা বা কম ওজনের শিশু হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।

গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি
গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি 

৭. পেঁপে ও কলা থেকে দূরে: ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো। এই সময় ফল বা ফলের রস শরীরের পক্ষে উপকারী। কিন্তু ফলের ক্ষেত্রেও একটু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কলা বা পেঁপে এমনি সময় স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী হলেও গর্ভাবস্থায় না খাওয়া উচিত। কলা বা পেঁপে তে যে ফাইবার থেকে তা দেহের তাপ বাড়িয়ে তোলে। তেঁতুলে ভিটামিন - সি থাকলেও এই ভিটামিন এই সময় শরীরে অতিরিক্ত যাওয়া উচিত নয়।

গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি
গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি 

৮. ঠান্ডা পানীয়কে না বলুন: অনেকেই আছেন যারা বাজার চলতি ঠান্ডা পানীয় খেতে ভালোবাসেন। খাওয়ার পর বা যে কোনো সময় একটু গলা ভিজিয়ে আরাম পান। অনেকে কাজের চাপে খেতে চান এনার্জি ড্রিংক। চেষ্টা করুন এগুলো এই সময়ে এড়িয়ে চলার। কারণ এতে থাকে সংরক্ষক বা preservatives, যা শরীরের জন্যে ক্ষতিকারক।

গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি
গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি 

৯. অ্যালার্জি হয় এমন খাবার খাবেন না: বাইরে বা অন্য কোথাও গেলে খাবার খাওয়ার আগে জেনে নিন খাবারে এমন কিছু দেওয়া আছে কিনা যা থেকে আপনার অ্যালার্জি হয়।

গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি
গর্ভাবস্থায় দূরে রাখুন এই খাবারগুলি

১০. ডাক্তারের পরামর্শ জুরুরি: ভালো ডক্টরের সঙ্গে পরামর্শ করে নিজের ডায়েট বেছে নিন।

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে? - Improve baby mental growth

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে? মা-বাবা হিসাবে আপনি তো নিশ্চয় চান যে পড়াশোনায় আপনার বাচ্চা দারুণ কিছু করুক। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছ...