Skin care regular tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

Health and Skin Care Tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

Health and Skin Care Tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Friday 28 December 2018

ফুসফুস ভালো রাখার চার উপায় - Four ways to keep the lungs good

ফুসফুস ভালো রাখার চার উপায়

Four ways to keep the lungs good

ধূমপান করলে শরীর ৯০ ভাগ নিকোটিন শোষণ করে। ধূমপান ছাড়ার পরও এর প্রভাব অনেক দিন থেকে যায়। আবার ধুলাবালি, পরিবেশদূষণ ইত্যাদিও ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।


তবে কিছু বিষয় মেনে চললে ফুসফুস অনেকটাই ভালো থাকে। ফুসফুস ভালো রাখার কিছু উপায়ের কথা জানিয়েছে ইউ আর গর্জিয়াস।

১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় ফল

ফুসফুস ভালো রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। যেমন : লেবু, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি। এসব খাবার বিপাক ক্ষমতা বাড়াবে এবং ক্ষত কমাতে কাজ করবে।

২. হলুদ চা

ফুসফুস ভালো রাখতে হলুদের চা পান করতে পারেন। এই চা তৈরিতে লাগবে চারশ গ্রাম কুচি করা পেঁয়াজ, ছোট একটি আদার টুকরো, দুই টেবিল চামচ হলুদ।

দুই কাপ পরিমাণ ফুটন্ত পানিতে একে একে সব উপকরণ মেশান। কিছুক্ষণ সেদ্ধ করার পর চুলা থেকে নামিয়ে হালকা গরম থাকতে থাকতে পান করুন। দুদিনে একবার এই চা পান করতে পারেন।

হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ কমাতে কাজ করে। আর ধূমপান ছাড়ার কারণে যে বমি বমি ভাব হয়, সেটি কমাতে কাজ করে আদা।

৩. পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান

পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা কিডনি ও লিভারের বর্জ্য পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।

৪. নিয়মিত ব্যায়াম

এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে কাজ করে এবং ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে। কেবল ফুসফুস ভালো রাখতেই নয়, শরীরকে সুস্থ রাখতেও ব্যায়াম উপকারী।

Thursday 27 December 2018

ডায়াবেটিক? নিয়মিত খান মাশরুম - Diabetes? Need regular taking Mushroom

ডায়াবেটিক? নিয়মিত খান মাশরুম


Health and skin care, Diabetes? Need regular taking Mushroom


সাদা বোতাম মাশরুম আখেরে আমাদের অন্ত্রের জন্য ভীষণই উপকারী। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমনটাই প্রমাণিত। দৈনন্দিন মাশরুম খেলে অন্ত্রে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নতি করতে পারে এমন উপকারী জীবাণুর সংখ্যা বাড়ে। গ্লুকোজের নিয়ন্ত্রণের ফলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে।  পেনসিলভ্যানিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্গারিটা টি ক্যান্টোর্নার কথা অনুযায়ী, গবেষণার জন্য ইঁদুরদের নিয়মিত মাশরুম খাইয়ে দেখা গিয়েছে তাদের অন্ত্রে মাইক্রোবস বা মাইক্রোবায়োটার কম্পোজিশন পালটে গিয়েছে। আরও বেশি পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড উৎপাদিত হয়েছে, বিশেষ করে সুসিনেট ও প্রোপায়োনেট।

আগের গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, সুসিনেট ও প্রোপায়োনেট গ্লুকোজ উৎপাদন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জিনের অভিব্যক্তি ঘটায়।

"অন্যান্য বিপাকীয় রোগের পাশাপাশি, ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে গ্লুকোজ পরিচালনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।" ক্যান্টর্না উল্লেখ করেন।

জার্নাল অফ ফাংশানাল ফুডস-এর গবেষণায় প্রধাণত দুই ধরনের ইঁদুর ব্যবহার করা হয়েছে, এঁদের রোজই মাশরুম খাওানো হত। একটি গ্রুপে ছিল মাইক্রোবায়োটা, অন্যরা ছিল জিরাম মুক্ত।

মাশরুম অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া মধ্যে এক টানা বিক্রিয়া সৃষ্টি করে। যার ফলে প্রিভোটেলার উৎপাদন বেড়ে যায়। প্রিভোটেলা হল এমন এক ব্যাকটেরিয়া যা প্রোপায়োনেট আর সুসিনেট উৎপাদন করে। এই অ্যাসিড গুলি মস্তিষ্কে এবং অন্ত্রের মধ্যবর্তী পথের জিনের অভিব্যক্তি ঘটায়। যা আবার গ্লুকোজ, বা গ্লুকোনিওজেনেসিসের উৎপাদন পরিচালনা করতে সাহায্য করে। মাশরুম, এই ক্ষেত্রে একটি প্রিবায়োটিক হিসাবে পরিবেশন করা। এমন একটি পদার্থ যা অন্ত্রে আগে থেকেই উপস্থিত উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কাজে লাগে। প্রোবায়োটিক গুলি হল উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা পাচনতন্ত্রের মধ্যে থেকে যায়।

মাশরুমের এই প্রোবায়োটিক গুরুত্ব ছাড়াও এই গবেষণায় প্রমাণিত যে, খাদ্য এবং মাইক্রোবায়োটার মধ্যে নিবিড় যোগও রয়েছে। ক্যান্টর্নার কথায়, "এটা খুব স্পষ্ট যে খাবারে ছোটখাটো কোনও পরিবর্তন হলেই মাইক্রোবায়োটা পরিবর্তিত হয়।"

Wednesday 26 December 2018

নিরামিষ ডায়েটে শরীরে যা যা বদল হবে - The changed in the diet of the vegetarian diet

নিরামিষ ডায়েটে শরীরে যা যা বদল হবে


দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে মানুষের খাদ্যাভাস। এখন অনেকেই মনে করছেন, নিরামিষ খাওয়ার চাইতে আমিষ খাওয়া ভালো। সেটা যে শুধু শরীরের কারণে, তাই নয়, 'অ্যানিমাল ক্রুয়েলটি'র বিরুদ্ধে অনেকেই এখন সচেতন, সেই কারণেই নিরামিষ খাওয়ার ঝোঁক বাড়ছে। তাছাড়া চিকিৎসা বিজ্ঞানিদের অনেকের মতেও নিরামিষ খাওয়ার উপকারিতা অনেক। সে যাক, একেক জনের খাদ্যাভাস একেকক রকম হতেই পারে। কিন্তু আমিষ থেকে শুধু মাত্র নিরামিষাসি হয়ে যাওয়ার সময় শরীরে যে কয়েকটি পরিবর্তন হয়, তা বলাই বাহুল্য। তেমনই কয়েকটি জেনে রাখা দরকার আগে থেকে।


 Health & Skin Care

১। ত্বকের পরিবর্তন মিশ্র ডায়েট বা অমনিভোরাস ডায়েট থেকে নিরামিষ ডায়েটে গেলে প্রথমেই পরিবর্তন ধরা পড়বে ত্বকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেহেতু শরীরে ভিটামিনের পরিমাণ বাড়বে, তাই ত্বকের ঔজ্জ্বল্য স্বাভাবিক ভাবেই বাড়বে। সমস্ত নিরামিষাসিদেরই ত্বক উজ্জ্বল- এমনটা নয়। কিন্তু মিশ্র ডায়েটে থাকা অবস্থার চেয়ে নিরামিষ ডায়েটে পৌঁছলেই ত্বকের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে।
 Health & Skin Care

২। স্বাদবদল মাছ আর রেড মিটে জিংক তাকে বেশি পরিমাণে। এই জিংক টেস্টবাড বা স্বাদকোরক এবং শ্রবন ইন্দ্রিয়ের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিরামিষ খাবারে জিংক সেই পরিমাণে থাকে না। তাই এই দুটো ইন্দ্রিয়ের শক্তি একটু হলেও কমে। কিন্তু জিংক সাপ্লিমেন্ট নিয়ে তার মোকাবিলা করা যায়।
 Health & Skin Care

৩। শক্তি বাড়বে নিরামিষ খাবারে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকায় শরীরের শক্তির পরিমাণ বাড়বে। ক্লান্তিকে দূরে রাখা যাবে অনেক ক্ষণ। সারা দিন চনমনে থাকার প্রবণতা দেখা যাবে নিরামিষ ডায়েটে যাওয়ার পর থেকেই।
 Health & Skin Care

৪। ওজন কমবে প্রাণিজ প্রোটিন এবং চর্বির পরিমাণ শরীরে আসার পথ বন্ধ হয়ে যাবে নিরামিষ খাবার খেতে শুরু করার পর থেকেই। তাই এই ডায়েটে ঢুকে পড়লেই ওজন কমবে। এবং হজম ক্ষমতাও বাড়বে। সেই কারণে চর্বি জমবে কম।
 Health & Skin Care

৫। বদলাবে মলত্যাগের অভ্যাস অনেক বিশেষজ্ঞের মতেই মিশ্র ডায়েট থেকে নিরামিষ ডায়েটে পরিবর্তন হলেই শরীরের খাদ্যতন্ত্রে বদল আসে। প্রথম প্রথম মলত্যাগের মধ্যে কোনও নিয়ম থাকে না। কোনও দিন কোষ্ঠে ভুগছেন, তো কোনও দিন পেটের গণ্ডগোল বেঁধে গেল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীর এই খাবারে মানিয়ে নেবে। তখন আগের থেকে পেট আরও ভালো পরিষ্কার হবে। কারণ এই খাবারে ফাইব্রয়েডের পরিমাণ অনেক বেশি।
 Health & Skin Care

৬। পেশির পরিবর্তন প্রাণিজ প্রোটিন শরীরে আসা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে পেশির পরিবর্তন হয়। আগে আঘাত পেলে আপনার পেশি যত তাড়াতাড়ি সেরে উঠত, এখন সময় লাগবে তার চেয়ে বেশি। যাঁরা জিমে যান, বা ভারি ওজন নিয়ে একসারসাইজ করেন, বা ভারি বস্তু ওঠানো-নামানোর মতো কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে নিরামিষ ডায়েটে পেশির আঘাত সারতে সময় নেবে বেশি। কারণ নিরামিষ ডায়েটে প্রোটিনের পরিমাণ কম, এবং পুরোটাই উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। তাই বাইরে থেকে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট দিতে হতে পারে।
 Health & Skin Care

৭। ক্যালসিয়ামের অভাব যাঁরা নিরামিষাসি বা ভেজিটেরিয়ান তাঁধের ক্ষেত্রে এই সমস্যা অতটা না হলেও, যারা ভেগান, তাঁদের ক্ষেত্রে এটা মারাত্মক সমস্যা। কারণ তাঁরা দুধও খান না। সেক্ষেত্রে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘণত্ব কমে যায়। তবে সাপ্লিমেন্টে এর সমাধান করা যায়।
 Health & Skin Care

৮। হৃদযন্ত্রের উপকার যাঁরা নিরামিষ খান, তাঁদের কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা অনেক কম হয়- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, শরীরে উদ্ভিজ্জ পুষ্টিগুণের কারণে কমে যায় হৃদযন্ত্রের আশঙ্কা।




Tuesday 20 November 2018

একসঙ্গে একাধিক ওষুধ খাওয়ার আগে - Before eating multiple medicines together

** একসঙ্গে একাধিক ওষুধ খাওয়ার আগে **

বয়স বাড়ছে আর শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির আধিক্য, তার সঙ্গে হয়তো আছে হৃদ্‌রোগ বা স্নায়ুর সমস্যা। কারও হয়তো আছে থাইরয়েডের সমস্যা, কেউ ডিপ্রেশনের ওষুধ খান। যেকোনো সময় কারও লাগতে পারে অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথার ওষুধ বা অ্যালার্জির ওষুধ। ওষুধের কৌটায় ওষুধের ছড়াছড়ি। কিন্তু এত ওষুধের ভিড়ে একটা আরেকটার সঙ্গে কোনো প্রতিক্রিয়া বা বিক্রিয়া করছে কি না, তা কখনো ভেবে দেখেছেন কি?

চিকিৎসাবিজ্ঞান ও ঔষধবিজ্ঞানে ড্রাগ ইন্টারেকশন বা বিভিন্ন ওষুধ একসঙ্গে খাওয়ার ফলে সৃষ্ট প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। একসঙ্গে বিভিন্ন ওষুধ খেলে একে অপরের কার্যকারিতা যেমন কমিয়ে দিতে পারে, তেমনি অতিরিক্ত বাড়িয়েও দিতে পারে। একই ঘটনা ঘটতে পারে নানা খাবারের কারণেও। দু-একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। থাইরক্সিন বা থাইরয়েড হরমোনের সঙ্গে অ্যান্টাসিড বা আয়রন ট্যাবলেট খেলে এর শোষণ কমে যেতে পারে, ফলে কাঙ্ক্ষিত ফল না-ও পেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে এ জাতীয় ওষুধ অন্তত দুই ঘণ্টা বিরতি দিয়ে খেতে হবে। আবার যক্ষ্মার চিকিৎসা চলাকালে কোনো নারী রোগীর জন্মবিরতিকরণ পিলের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। তখন পিল খাওয়া অবস্থাতেই তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়তে পারেন। এ রকম পরিস্থিতি এড়াতে যাঁরা নানা ধরনের ওষুধ খান, তাঁদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে।

■ যখনই কোনো কারণে চিকিৎসক একটি নতুন ওষুধ দেবেন, তখন আপনি নিয়মিত কী কী ওষুধ খাচ্ছেন, সেই তালিকা দেখান।

■ অনেকে বিভিন্ন রোগের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে প্রত্যেককে আলাদা করে অন্যদের ব্যবস্থাপত্র দেখান। একই গোত্রের দুটি ওষুধ দুজন চিকিৎসক খাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার কারণে দুটিই একসঙ্গে চলতে থাকার নজির প্রায়ই পাওয়া যায়।

■ ওষুধের দোকানদার বা আত্মীয় ও প্রতিবেশীর পরামর্শে নিজে নিজে কোনো ওষুধ পরিবর্তন করবেন না। যেমন আপনি হয়তো একটি উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খাচ্ছেন, আপনার স্বামী আরেকটি খাচ্ছেন। সেই ওষুধ আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে, এমন কোনো কথা নেই।

■ মনে রাখবেন বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট বিভিন্ন ওষুধের সঙ্গে নানা ধরনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া করে। তাই চিকিৎসককে দেখিয়ে নিন।

■ নতুন ওষুধ খাওয়ার আগে না পরে, তা ভালো করে জেনে নিন। কেননা অনেক খাবারও ওষুধের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে।

■ চিকিৎসকের কাছে অনেকে প্রায়ই জন্মবিরতিকরণ পিল, ঘুমের ওষুধ, মানসিক রোগের ওষুধ বিষয়ে তথ্য গোপন করেন বা লজ্জায় বলেন না, এমনটা করবেন না।

Friday 16 November 2018

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম - Baby breast-feeding rules

** শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম **

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম জেনে নিন। অনেকেই জানেন না কিভাবে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হয়। এই পোস্ট এ আপনার জানতে পারবেন কিভাবে, কখন থেকে কতবার শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।

বুকের দুধ শিশুর অধিকার। জন্মের পর একজন শিশুর যা খাবার দরকার তার সবই মায়ের দুধে আছে। বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য যা মা ও পরিবারের সবার জানা দরকার।

শিশুর প্রথম খাবার কি হবে

শিশুর প্রথম এবং একমাত্র খাবার হবে মায়ের বুকের দুধ, একজন মা যখন গর্ভধারণ করেন তখন দিনে দিনে গর্ভের শিশু বড় হবার সাথে মা যাতে শিশুকে জন্মের পর শিশুকে দুধ দিতে পারেন সেভাবে স্তনে পরিবর্তন হয়। জন্মের পর শিশুকে মায়ের শাল দুধ খেতে দিতে হবে। শিশুর জন্য প্রথমে প্রয়োজন এই শাল দুধ। শাল দুধে থাকে নবজাত শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরণের ভিটামিন ও অন্যান্য উপাদান। এই দুধ একটু হাল্কা কসের মত বের হয়, আর প্রথম দু’তিন দিন শিশুর জন্য এইটাই যথেষ্টো। এখনও অনেকে জন্মের পর শিশুকে মধু, মিস্রির পানি, চিনির পানি দিয়ে থাকেন, যা একেবারেই উচিত নয়।

শিশু কতদিন বুকের দুধ খাবে

শিশু ছয় মাস বয়স পর্যন্ত ও দু’বছর পর্যন্ত বুকের দুধের পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য খাবার খাবে। শিশু ছয় মাস পর্যন্ত বুকের দুধই যথেষ্ট। এই সময় অন্য কোন খাবার এমনকি পানিরও প্রয়োজন হয় না। বুকের দুধ পরিবতনশীল, মানে সময়ের সাথে শিশুর প্রয়োজন ও বয়স অনুযায়ী দুধের পরিবর্তন হয়। মানে একদিন বয়সের শিশুর প্রয়োজন আর এক বছরের শিশুর প্রয়োজন আলাদা এবং আল্লাহ মায়ের দুধে এই প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন রকম দুধ প্রস্তুত করে দেন। শিশুর ছয় মাস পর শুধু বুকের দুধ খেয়ে শিশুর বৃদ্ধি সম্ভব না, এজন্য এই সময় অন্যান্য খাবার দিতে হবে।

খাবার পর শিশু কান্নাকাটি করলে

অনেকে মনে করেন দুধ খাবার পর শিশু কাদলে সে যথেস্টো দুধ পাচ্ছে না, তা কিন্তু নয়। শিশুও তো একটা মানুষ, তার শীত-গরম, ভালো লাগা, খারাপ লাগা বিভিন্ন অনুভূতি আছে। শিশুর প্রথম কান্নার কারণ হল মাকে কাছে পাওয়ার, মা কাছে থাকলে সে নিশ্চিন্ত অনুভব করে। তাছাড়া তার গরম-ঠান্ডা লাগলে, কাপড় ভিজে গেলে, পায়খানা-প্রস্রাব করলে, দুধ খেতে খেতে পেটে বাতাস জমে গেলে ইত্যাদি নানা কারণে কাঁদতে পারে। একজন অভিজ্ঞ মা সহজেই বুঝতে পারেন কেন শিশু কাঁদছে। শিশুর পেটে যাতে বাতাস জমতে না পারে সেজন্য প্রতিবার দুধ দেবার পর ঘাড়ের উপর নিয়ে শিশুর পিঠে হাল্কা করে থাপ্পড় দিতে হবে, বাতাস বের হয়ে গেলে শিশু আর কান্নাকাটি করবে না।

শিশুর দুধ পাচ্ছে কিনা বুঝার উপায়

একটা বাচ্চা শুধু মাত্র দুধ খেয়ে সারাদিন হেসে খেলে থাকে, তার ওজন যদি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং সে যদি দিনে রাতে ২৪ ঘন্টায় অন্তত: ৪ বার প্রস্রাব করে তাহলে বুঝতে হবে সে যথেষ্ট পরিমাণ দুধ পাচ্ছে। অনেক মাই খেয়াল করবেন বাচ্চা আরও বেশি বার প্রস্রাব করে থাকে। সে যদি শুধুমাত্র বুকের দুধ খেয়ে অন্তত:৬-৮ বার প্রস্রাব করে তাহলে মায়ের আর ঠিক মত দুধ পাচ্ছে কিনা এব্যাপারে চিন্তার কিছু নেই।

সঠিবভাবে দুধ খাওয়ানোর উপায়

জন্মের পর পর শিশুকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বুকের দুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে সাহায্য করতে হবে। এজন নিকট আত্মীয় বা একজন নার্স এব্যাপারে সাহায্য করতে পারে। নবজাতক ও মাকে একই বিছানায় একই সাথে থাকতে হবে। মা কোলে নিয়ে বা বসে শিশুকে খাওয়াতে পারেন, কোলে নেবার সময় শিশুর পেটের সাথে পেট ও স্তনের বোটার চারপাশের কাল অংশ যতদুর সম্ভব শিশুর মুখের ভিতর দিয়ে খাওয়াতে হবে। মাকে পর্যাপ্ত দুধ আসার জন্য অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি খেতে দিতে হবে। শিশুর সঠিক ভাবে বেড়ে উঠার জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার সব কিছুই মায়ের দুধে আছে। বুকের দুধ খেলে শিশুর বৃদ্ধি বাড়ে, সুস্থ থাকে, সহজে রোগাক্রান্ত হয় না। যেসব শিশু মায়ের দুধ খায় তাদের ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও অন্যান্য সংক্রামক রোগ কম হয়। তাদের মধ্যে মেধাও বেশি থাকে যেসব শিশু বুকের দুধ খায়নি তাদের চেয়ে। তাই আসুন আমরা সবাই শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে সাহায্য করি।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীরা ১বছর পর্যন্ত উপশম পাবে জানাল ডাক্তাররা - Type 2 diabetes patients will get relief for up to 1 year

** টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীরা ১বছর পর্যন্ত উপশম পাবে জানাল ডাক্তাররা **

প্রতি বছর ১৪ই নভেম্বর মানুষের মধ্যে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়।বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে বুধবার কলকাতা শহরের ডাক্তাররা জানালেন টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীরা মেডিকেল নিউট্রিশন থেরাপি অক্ষরে অক্ষরে পালন করলে এক বছর পর্যন্ত রোগের কবল থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারবে।

ক্রনিক রোগের ক্ষেত্রে রেমিসন বা উপশম বলতে ডাক্তারি ভাষায় রোগের লক্ষণগুলোর হাত থেকে মুক্তিকেই বোঝায়।

ডায়াবেটলজিস্ট ডক্টর কোভিল পিটিআই-কে জানিয়েছেন প্রায় ৫০% টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগী ইনটেনসিভ ইনসুলিন থেরাপি চার সপ্তাহ করানোর পর এক বছর পর্যন্ত সুস্থ থেকেছে।



এছাড়াও, স্বল্প ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার প্রায় চার মাস নিয়মিত গ্রহণ করলে এবং  তারপর প্রায় দুই-তিন মাস অন্যান্য খাবারও পরিমিত গ্রহণ করলে ও নিজের দৈহিক ওজন ১০-১৫% কমিয়ে ফেললে রোগের উপশম হতে সুবিধা হয় বলে তিনি জানিয়েছেন।

তবে কোভিল আরও জানিয়েছেন, হেলদি লাইফস্টাইল মেনে না চললে উপশম পাওয়া যায় না।

যে সকল মানুষের ওবেসিটিও আছে, তারা বেরিয়াট্রিক সার্জারি করেও টাইপ ২ডায়াবেটিস থেকে উপশম পেতে পারেন।

আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন (এডিএ) এবং ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফোর দ্য স্টাডি অব ডায়াবেটিস (ইএএসডি) এর একটা সাম্প্রতিক গবেষণা হয়েছিল হাইপারগ্লাইসেমিয়া ম্যানেজমেন্ট নিয়ে। সেখানে বলা হয়েছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা অত্যন্ত প্রয়োজন।

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত চাপ শিশুর প্রাপ্তবয়সে তৈরি করতে পারে জটিল সমস্যা

দীর্ঘদিন রক্তশর্করার পরিমাণ বেশি থাকলে ডায়াবেটিস মেলিটাস বা মধুমেহ রোগ হয় যার ফলে মেটাবলিজমে সমস্যা সৃষ্টি হয়।

টাইপি ১ ডায়াবেটিসের সম্পূর্ণ উপশম সম্ভব কি না জিজ্ঞাসা করা হলে পেডিয়াট্রিক এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডাক্তার সুব্রত দে বলেন এখনও পর্যন্ত ঠিকভাবে জানা না গেলেও এই নিয়ে প্রচুর গবেষণা চলছে।

টাইপি ১ ডায়াবেটিসের একমাত্রচিকিৎস হল ইনসুলিন এবং তার পাশাপাশি লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে সুঅভ্যাস গড়ে তোলা ও নিয়মিত শরীরচর্চা করা।

ডাক্তার অয়ন রায় (ডায়াবেটিস অ্যান্ড জয়েন্ট) গ্যাসট্রোএনট্রোলজিস্ট জানান ডায়াবেটিস হলে ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দেয় এবং জয়েন্টের ওপর চাপ পড়ে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন।

হু এর ২০১৫ সালের রিপোর্টে জানা যায়, ভারতের ৬৯.২ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে ৮.৭% মানুষের ডায়াবেটিস রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৬ মিলিয়ন মানুষ কোনও চিকিৎসা করে না।

প্রতি বছর ১৪ই নভেম্বর মানুষের মধ্যে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়।

পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের জন্য 4টি উপকারী হার্ব বিশেষ - Four beneficial harbors are special for men's sexual health

** পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের জন্য 4টি উপকারী হার্ব বিশেষ **

পুরুষদের যৌন অক্ষমতার জন্য দায়ী হল তাঁদের অস্বাস্থ্যকর জীবনশৈলী যেমনকি ধুম্রপান করা বা সুরাপান করা


যখনই আমরা যৌন স্বাথ্য বা প্রাচুর্য্যের কথা বলি, তখনই আমাদের মাথায় মহিলাদের কথায় বেশি করে আসেI আমরা ভাবি যে গর্ভধারণ করার জন্য মহিলাদের উৎপাদনশীলতা জরুরি, কিন্তু আসলে তা নয়, পুরুষদেরও ভূমিকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণI তাই তাদের যৌন স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করাটাও খুবই জরুরি এবং যেইভাবে দেখা যাচ্ছে নিম্ন স্পার্ম গুণমান, কম স্পার্ম সংখ্যা এবং অন্যান্য অসুবিধে, তাই পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের প্রতি এবার গম্ভীর ভাবে চিন্তন করা দরকারI পুরুষদের যৌন অক্ষমতার জন্য দায়ী হল তাঁদের অস্বাস্থ্যকর জীবনশৈলী যেমনকি ধুম্রপান করা বা সুরাপান করা I যদিও বা চটকরে এইগুলো না ঠিক হতে পারে তবে যৌন স্বাস্হ্য উন্নত নিশ্চই হতে পারেI একটু ছোট পদক্ষেপও আপনার গর্ভধারণের সুযোগ অল্প হলেও বাড়িয়ে দেবে এবং তাঁর জন্য আমরা কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করার কথা বলছিI

এই রইলো 4টি গাছড়া যা পুরুষ যৌন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো

1. জিনসেং 

পুরুষদের মধ্যে সাধারণত দুটি উপসর্গ দেখা যায়, একটা হলো শুক্রাণুর নিম্ন সক্রিয়তা (মানে ডিম্বাশয় পর্যন্ত না পৌঁছেতে পারা ) এবং শুক্রাণুর কম সংখ্যা . এই দুটো কারণের জয় জিনসেং অনেক উপযোগীI যৌন স্বাস্থ্যের জন্য এই করে:
কামুক উদ্বেগ বৃদ্ধি করে
যৌন ক্রিয়া উন্নত করে
ইরেক্টাইল ডিসফানকশন ঠিক করে
শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে
শুক্রাণুর গুনমাণ বাড়ায়
জিনসেংএর দুটি বিকল্পের মধ্যে আমেরিকান জিনসেং উত্তমI আপনি জিনসেং সাপ্লিমেন্ট খাবারে ব্যবহার করতে পারেন নাহলে জিনসেং চা পান করতে পারেনI

আমেরিকান জিনসেং অনেক উপযোগী
ফটোর সৌজন্যে : আইস্টক

2. মাকা​

মাকা মহিলাদের যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারীই এটি মহিলাদের হরমোন ঠিক করতেও কাজে আসেI শুধু তাই নয়, এই ঔষধি পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারীI এক গবেষণার মতে যেই পুরুষেরা মাকা সেবন করেন ওনাদের   শুক্রাণু বেশি সক্রিয় থাকেI

মাকা পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী

3. ট্রিবুলাস​

আয়ুর্বেদের বিশেষজ্ঞরা বলেন যে পুষ্টিকর খাবার আর ভালো ব্যায়ামের সাথে যদি ট্রিবুলাস সেবন করা হয় তাহলে পুরুষদের শুক্রাণু সংখ্যা বৃদ্ধি হয় এবং সেইগুলো সক্রিয় হয়ে উঠেI তাছাড়া আরও অনেক গুণের এই ঔষধি বিশেষ:
পুরুষদের মধ্যে টেস্টস্টেরণ বেশি হওয়া
এন্টি-স্পার্ম এন্টিবডি নাশ করা
ইরেক্টাইল ডিসফানকশন ঠিক করা

4. অশ্বগন্ধা​

অশ্বগন্ধা যুগ যুগান্তর ধরে যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বা হচ্ছেI এইটা এন্ডক্রাইন প্রণালীর জন্য অত্যন্ত লাভকারীI তাই জন্য এইটা শরীরের হরমনগুলোকে ব্যালান্স করেI পুরুষদের মধ্যে এইটা শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করেI এইটা শক্তিবর্ধক ও যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করেI

অশ্বগন্ধা শক্তিবর্ধক ও যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
ফটো সৌজন্যে: আই স্টক

দাবি পরিত্যাগী: উপদেশ সহ এই সামগ্রী কেবল সাধারণ তথ্য সরবরাহ করে। এটি কোনও উপযুক্ত মেডিকেল মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একটি বিশেষজ্ঞ বা আপনার নিজের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন

Tuesday 13 November 2018

উর্বর সময় (ফারটাইল পিরিওড) ও নিরাপদ সময় (সেফ পিরিওড) - Fertile Period and Safe Period

** উর্বর সময় (ফারটাইল পিরিওড) ও নিরাপদ সময় (সেফ পিরিওড) **

মাসিক ঋতুচক্রের মাঝামাঝি (অর্থাৎ ১৪ দিনের মাথায়) লুটিনাইজিং হরমোন (LH) ক্ষরণের ৩৬-৩৮ ঘন্টার মধ্যে ডিম্বকোষ (Ovum) নির্গত হয়। এই বেরুনর পর ডিম্বকোষ যদি ৩৬ ঘন্টার মধ্যে উপযুক্ত সংখ্যক শুক্রকোষ পায় তবে তার একটির সাথে মিলিত হয়ে সন্তান দিতে পারে। তবে ডিম্বকোষটি জীবিত থাকে আরো প্রায় ৩৬ ঘন্টা অর্থাৎ ডিম্বকোষের আয়ু সর্বমোট ৭২ ঘন্টা বা তিনদিন। অন্যদিকে শারীরিক মিলনের পর জরায়ু তথা ডিম্বনালীতে প্রবেশের পর শুক্রকোষও (spermatorza) জীবিত থাকতে পারে সর্বাধিক ৭২ ঘন্টা। তাই ২৮ দিনের মাসিক ঋতুচক্রের মাঝামাঝি মোট প্রায় ১২০ ঘন্টা (৫দিন) হচ্ছে উর্বর সময়,–এই সময় শারীরিক মিলন হলে সন্তানের জন্ম হতে পারে। মোটামুটি মাসিকের ১৪ দিনের মাথায় ডিম্বকোষ হচ্ছে ধরে নিয়ে তার ২-৩ দিন আগে ও ২-৩ দিন পরে হচ্ছে এই উর্বর সময়।

তবে যারা সন্তান নিতে চান না, তাদের এটিও জেনে রাখা দরকার যে, এই ডিম্বকোষের নির্গমনের (ovalution) দিনটি প্রচণ্ড পালটায়। তাই এর সঙ্গে আগে ও পরে আরো দু’একদিন যোগ করা ভাল।

তবু মাসিক ঋতুচক্রের ৯ম দিনের আগের ও ২০শ দিনের পরেকার সময়কে মোটামুটি নিরাপদ সময় বলে ধরা যায়। এই সময় শারীরিক মিলন ঘটলে তার থেকে সন্তান ধারণের তথা গর্ভবতী হওয়ার সম্বাবনা থাকে না, কারণ এই সময় ডিম্বকোষ বেরোয়ই না।

কিন্তু বিরল হলেও এটিও দেখা গেছে যে, মাসিক চক্রের যে কোনওদিন (তথাকথিত ঐ নিরাপদ সময়ের দিনগুলিসহ) মাত্র একবারের শারীরিক মিলনেও নারী গর্ভবতী হতে পারে অর্থাৎ বিরল ক্ষেত্রের মাসিক চক্রের যে কোন সময়ই ডিম্বকোষ বেরুতে পারে। তাই এই হিসাবে তথাকথিত নিরাপদ সময় বলে কিছু নেই। তবে এটি নেহাৎই ব্যতিক্রম।

সাধারণভাবে ৯ম দিনের আগে ও ২০শ দিনের পরের সময়টি নিরাপদ সময় এবং ৯ম-২০শ দিনের মধ্যকার সময়টিকে উর্বর সময় হিসাবে ধরা যায়, আর এর মধ্যেও দ্বাদশ থেকে ষোড়শ (মতান্তরে ১৩ম থেকে ১৭ম) দিনটি উর্বরতম সময়।

শিশু যখন বড় হচ্ছে - When the baby is growing up

** শিশু যখন বড় হচ্ছে **

শিশুর মুখে আধো আধো বোল, প্রথম মা-বাবা ডাক, প্রথম বসতে শেখা, প্রথম হাঁটা—পরিবারের সবার জন্য এ এক পরম আনন্দের ও কৌতূহলের বিষয়। অনেক মা-বাবা এই বিশেষ দিনগুলোকে ডায়েরি বা অ্যালবামে স্মৃতি হিসেবে রেখে দেন। জেনে রাখুন, এ বিষয়গুলো কবে কখন কীভাবে ঘটেছে, তা সংরক্ষিত রাখাই ভালো। কেননা, চিকিৎসকেরাও এতে বুঝতে পারেন শিশুটির যথাযথ বিকাশ হচ্ছে কি না।

একটি শিশুর বিকাশ ও বৃদ্ধি যেকোনো সময় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমন হতে পারে যে ৮ বা ৯ বছর পর্যন্ত সব ঠিক ছিল, কিন্তু তারপর আর সব ঠিকঠাক হচ্ছে না। কারও কৈশোর প্রাপ্তিতে দেরি হয়ে যায়। তখনই আমাদের জানার প্রয়োজন পড়ে আগে কী হয়েছিল।

* ৭ মাস বয়সে একটি শিশু কোনো রকম সাহায্য ছাড়াই বসতে শেখে। এ সময়েই সে অন্যের চেহারা, ভাবভঙ্গি দেখে নিজের আবেগ যথাযথ প্রকাশ করতে পারে। আবেগ অনুভূতির সঠিক ধারণা পেতে প্রায় ৯ মাস লেগে যায়। ৯ মাসের দিকেই সে আঙুল দিয়ে কোনো বস্তু ধরার ও বসে যেকোনো দিকে ঘুরে তাকানোর দক্ষতা অর্জন করে বলে নানা বিষয়ে কৌতূহলী হয়ে ওঠে।

* ৮ মাস বয়সে কোনো কোনো শিশু হামাগুড়ি দিতে শেখে ও কারও হাত ধরে দাঁড়াতে পারে। প্রথম জন্মদিনের আগে-পরে সে নিজ থেকে হাঁটতে শেখে। এই লক্ষণগুলো তার স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ কতটা পরিণত হচ্ছে তা নির্দেশ করে।

সঠিক সময়ে হাঁটতে না পারা বা কথা বলতে না পারা মানেই যে শিশু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তা কিন্তু নয়। নানা কারণেই এই বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এর অনেকগুলোর সুচিকিৎসাও আছে।

অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের বিকাশের ধাপগুলোর দিকে লক্ষ রাখা। বিকাশ ধীর মনে হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারেন। ৬ মাস অন্তর শিশুর উচ্চতা ও ওজন মেপে তা লিখে রাখা ভালো। এতে তার বৃদ্ধির হার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। অপুষ্টি থেকে শুরু করে নানা ধরনের দীর্ঘমেয়াদি রোগ, হরমোনের সমস্যা, জিনগত ত্রুটি ইত্যাদির কারণে শিশুর বৃদ্ধি পদে পদে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তার কারণ অনুসন্ধানের সময় আপনার শিশুর এই ছোটবেলার বৃদ্ধি দিনলিপি কাজে লাগবে। তাই বাড়িতে এ রকম একটা অ্যালবাম বা ডায়েরি থাকা মন্দ নয়।

আপনার বয়স যদি ২৫-৪০ এর মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে লবঙ্গ চা! - If you are between the age of 25-40, then you have to drink tea, cloves tea!

আপনার বয়স যদি ২৫-৪০ এর মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে খেতেই হবে, লবঙ্গ চা!

গ্রিন টি, লিকার টি, মিল্ক টি, এমনকি লেমন টি-এর কথাও শুনেছি। কিন্তু লবঙ্গ চা...সেটা কি মশাই? আরে বন্ধু চা বানান কীভাবে? গরম জলে চামচ দুই চা পাতা ফেলে ফুটিয়ে নিলেই খেল খতম। কি তাই তো? এক্ষেত্রেও একই নিয়ম। প্রথমে পরিমাণ মতো লবঙ্গ নিয়ে বেঁটে নিতে হবে। তারপর সেই লবঙ্গের গুঁড়ো এক কাপ জলে মিশিয়ে কম করে ৫-১০ মিনিট ফোটাতে হবে। যখন দেখবেন জলটা ফুটতে শুরু করেছে, তখন তাতে হাফ চামচ চা পাতা ফেলে দেবেন। আর কিছু সময় অপেক্ষা করে জলটা ছেঁকে নিলেই ব্যাস লবঙ্গ টি রেডি।



চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে যারা চর্চা করেন তাদের মতে প্রতিদিন দুবার করে লবঙ্গ চা খাওয়া শুরু করেল শরীরে প্রবেশ ঘটতে শুরু করে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন কে, ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্য়াঙ্গানিজ সহ আরও একাধিক উপকারি উপাদান, যা নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। যেমন ধরুন...

১. দেহের অন্দরে প্রদাহের মাত্রা হ্রাস পায়: নানা কারণে অনেক সময়ই আমাদের শরীরের অন্দরে প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন রেট এতটাই বেড়ে যায় যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের উপর খারাপ প্রভাব পরে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানা রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। আর এমনটা কিন্তু যে কারও সঙ্গে হতে পারে। কিন্তু যদি চান আপনার সঙ্গে না ঘটুক, তাহলে নিয়মিত লবঙ্গ চা খেতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে প্রদাহের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আর কোনও আশঙ্কাই থাকে না

২. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে: লবঙ্গের অন্দরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ক্যান্সার এজেন্ট। তাই তো প্রতিদিনের ডায়েটে লবঙ্গ চা জায়গা করে নিলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের অন্দরে ক্যান্সার নিরোধক উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে দেহের ইতিউতি ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।

৩. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে: সরকারি এবং বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত এক দশকে আমাদের দেশে যে হারে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়েছে, তাতে আমাদের দেশ সারা বিশ্বের মধ্যে ডায়াবেটিস ক্যাপিটালে পরিণত হয়েছে। আর সবথেকে ভয়ের বিষয় হল প্রতি বছর নতুন করে এই মারণ রোগে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগেরই বয়স ৪০ এর নিচে। এমন পরিস্থিতিকে যুব সমাজদের সুস্থ রাখতে পারে একমাত্র লবঙ্গ চা। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে উপস্থিত নিগেরিয়াসিন, শরীরে প্রবেশ করার পর ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাকে এতটাই বাড়ায়ে দেয় যে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সুযোগই পায় না।

৪. স্ট্রেস লেভেল নিমেষে কমে যায়: ডায়াবেটিসের পর যে সমস্যাটা গত কয়েক বছরে বেশ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তা হল স্ট্রেস। পরিসংখ্যান বলছে আমাদের দেশের যুব সমজারে সিংহভাগই স্ট্রেসের শিকার। আর ভয়ের বিষয় হল যে কটা মারণ রোগ এখন এদেশে দাপাদাপি করছে, তার প্রায় সবকটির সঙ্গেই স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই তো বলি বন্ধু এমন মারণ পরিস্থিতির খপ্পরে পরতে যদি না চান, তাহলে প্রতিদিন লবঙ্গ চা খেতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই পানীয়টির অন্দরে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র "ফিল গুড" হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্ট্রেস লেভেল কমতে একেবারে সময় লাগে না।

৫. চটজলদি আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা কমে: লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ এই ধরনের হাড়ের রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে এক কাপ লবঙ্গ চা বানিয়ে কয়েক ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। তারপর সেই ঠান্ডা চা ব্যথা জায়গায় কম করে ২০ মিনিট লাগালে দেখবেন যন্ত্রণা একেবারে কমে গেছে। প্রসঙ্গত, জয়েন্ট পেন কমানোর পাশাপাশি পেশির ব্যথা এবং ফোলা ভাব কমাতেও এই ঘরোয়া ঔষধিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৬. জ্বরের চিকিৎসায় কাজে আসে: লবঙ্গে থাকা ভিটামিন কে এবং ই, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে শরীরে উপস্থিত ভাইরাসেরা সব মারা পরে। ফলে ভাইরাল ফিবারের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হয়ে যাওয়ার পর সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।

৭. দাঁতের ব্যাথা নিমেষে কমে যায়: লবঙ্গতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু বিক্রিয়া করে যে নিমেষে দাঁতের যন্ত্রণা কমে যায়। তাই তো এবার থেকে দাঁতে অস্বস্তি বা মাড়ি ফোলার মতো ঘটনা ঘটলে এক কাপ গরম গরম লবঙ্গ চা খেয়ে নেবেন। দেখবেন উপকার পাবেন।

৮. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: লাঞ্চ বা ডিনারের আগে লবঙ্গ দিয়ে বানানো এক কাপ গরম গরম চা খেলে হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে পেটের দিকে রক্ত প্রবাহেরও উন্নতি ঘটে। ফলে খাবার হজম হতে সময় লাগে না। তাই যাদের কম ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খেলেও বদ-হজম হয়, তারা লবঙ্গ চা পান করে একবার দেখতে পারেন। এমনটা করলে উপকার যে মিলবে, তা হলফ করে বলতে পারি।

৯. নিমেষে করবে সংক্রমণের চিকিৎসা: এবার থেকে কোনও ধরনের ত্বকের সংক্রমণ হলেই চোখ বুজে ক্ষতস্থানে লবঙ্গ চা লাগাতে ভুলবেন না। এমনটা করলে দেখবেন কষ্ট কমতে একেবারে সময়ই লাগবে না। আসলে লবঙ্গে উপস্থিত ভোলাটাইল অয়েল শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে জীবাণুদেরও মেরে ফেলে। ফলে সংক্রমণজনিত কষ্ট কমতে একেবারেই সময় লাগে না।

১০. সাইনাসের প্রকোপ কমে: মাঝে মধ্য়েই কি সাইনাসের আক্রমণ সহ্য করতে হয়? তাহলে তো বলতে হয় এই প্রবন্ধটি আপনার জন্যই লেখা। কারণ লবঙ্গ যে এই ধরনের সমস্যা দূর করতে কাজে আসতে পারে, সে বিষয়ে কি জানা ছিল? আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির শরীরে উপস্থিত ইগুয়েনাল নামে একটি উপাদান সাইনাসের কষ্ট কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা আজও এই ধরনের অসুখের চিকিৎসায় লবঙ্গের উপরই ভরসা করে থাকেন।


Monday 12 November 2018

চলে এসেছে 'স্মার্ট কনডম' - 'Smart condom' has arrived

চলে এসেছে 'স্মার্ট কনডম'

স্মার্ট ডিভাইস যৌন সংক্রামিত সংক্রমণ সনাক্ত করতে পারে এবং এমনকি বিছানায় আপনার পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন করতে পারে.






এই কনডম এর প্রস্তুতকর্তা অবশেষে এটি মত চেহারা হবে কি প্রকাশ. স্মার্ট ডিভাইস যৌন সংক্রামিত সংক্রমণ সনাক্ত করতে পারে এবং এমনকি বিছানায় আপনার পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন করতে পারে. এটা যৌনতা যখন আপনি পোড়ানো কত ক্যালোরি প্রকাশ করবে. এটা আমি কন স্মার্ট কনডম হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে. এটি ৮০$ খরচ করে এবং আপনার লিঙ্গ বেস এ স্থাপন করা হয়. আমি অন্যান্য যৌন খেলনা এবং এটা একটি রিং-আকৃতির পরিধেয় ডিভাইস.

স্মার্টফোন-সংযুক্ত ডিভাইসটি একজন ব্যক্তির যৌন জীবনের জন্য প্রচুর সুফল প্রদান করে, এটি সন্দেহ করা হচ্ছে যে এই এক আপনার ঘনিষ্ঠ মুহুর্তে গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারে.

ডিভাইসটি সমস্ত ডেটা রেকর্ড করবে এবং এটি বেনামী রাখবে. আপনি বিশ্বের সাথে আপনার পরিসংখ্যান ভাগ করতে ইচ্ছুক হলে, আপনি যে খুব করতে পারেন.

আই কনজার্ভেটারের দাবি অনুযায়ী ৯০০ হাজার লোক ইতোমধ্যে ডিভাইসটি চালু করেছে যা এই বছরের শেষের দিকে বাজারে ছেড়ে দেওয়া হবে এবং $৮০.৯৯ এ মূল্য নির্ধারণ করা হবে.

যৌনতার ইচ্ছা কমে যাচ্ছে ? এই ৬টি খাবারে ফিরে পেতে পারেন আপনার যৌন উদ্দীপনা - Is sex desire decreasing?

যৌনতার ইচ্ছা কমে যাচ্ছে ? এই ৬টি খাবারে ফিরে পেতে পারেন আপনার যৌন উদ্দীপনা 

আপনার যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য, কিছু খাবার আছে যা নিয়মিত খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

লিবিডো বাড়ানোর কিছু সুপারফুড

* ডার্ক চকলেট লিবিডো বাড়ায় - 
* পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারে বাড়ে সেক্স ড্রাইভ -
* চাপ এবং উদবেগ যৌন ইচ্ছা কমায় -

বর্তমান শহুরে জীবনধারা মানসিক চাপ বাড়ায় একথা তো জানা সকলেরই, কিন্তু একই সাথে তা যৌন ইচ্ছে কমানোর জন্যও দায়ী। মানসিক বা শারীরিক চাপ যত বাড়ে লিবিডো বা যৌনতার ইচ্ছা তত হ্রাস পায়। যদি দীর্ঘদিন ধরে আপনি যৌনতা না করে থাকেন বা যৌনতার ইচ্ছাই না জন্মায় তাহলে কিন্তু সতর্ক হওয়াই ভালো। যদি আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করেন, সুস্থ খাবার খাচ্ছেন এবং মানসিক চাপও খুব কম হয় তাহলে আপনার যৌন জীবনও সুন্দর। কিন্তু অতিরিক্ত চাপ, উদ্বেগ, শারীরিক ক্লান্তি এবং খিটখিটে মেজাজ যত বাড়বে আপনার লিবিডো কমবে ততই। আপনার যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য, কিছু খাবার আছে যা নিয়মিত খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

আপনার যৌন ইচ্ছাকে বাড়াতে পারে এমন কয়েকটি খাবারের কথা জেনে নিন:

1. তরমুজ

তরমুজ শুধু শরীরে জলের মাত্রা বাড়ানো ও ওজন কমাতেই সাহায্য করে না যৌন ইচ্ছা বাড়াতেও একই রকম সাহায্য করে এই মরশুমি ফল। এই ফলের মধ্যে রয়েছে সিট্র্রোলিন অ্যামিনো অ্যাসিড যা লিবিডোর মাত্রা বাড়ায়।

2. কফি

সীমিত পরিমাণে খাওয়া হলে, কফি সেক্স ড্রাইভ বৃদ্ধির জন্য দারুণ উপকারী পানীয়। গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের ক্ষেত্রে দিনে দু থেকে তিন কাপ কফি লিবিডো বাড়াতে সাহায্য করে।

3. আমন্ড এবং পেস্তা বাদাম

আমন্ডস ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। গবেষণায় দেখা যায় যে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারগুলি হরমোনের উৎপাদনের জন্য ভালো, যা আবার লিবিডো বাড়াতেও সাহায্য করে। বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে। আপনার লিবিডো বাড়াতে চাইলে আমন্ড পেস্তা বাদাম খেতে শুরু করুন। পেস্তা তামা, ম্যাঙ্গানিজ এবং জিঙ্কের একটি প্রাকৃতিক উৎস। শুক্রাণুর গুণমান উন্নত করতেও সাহায্য করে বাদাম।

4. পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার

শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপও দেখা দিতে পারে। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য উপকারী। কলা, আভোকাডো, শুকনো খুবানি এবং নারকেল জল সবই পটাশিয়ামের সমৃদ্ধ খাবারের উদাহরণ যা লিবিডো বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

5. জাফরান

যৌনতার ইচ্ছার অনুঘট হিসেবে কাজ করে জাফরান। এটি প্রাকৃতিক উপাদান বলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম। খাবারে জাফরান দিলে তা চাপ কমাতে সাহায্য করে, যৌনতার ইচ্ছাও বাড়ায়। এটি রক্তে ইস্ট্রোজেন, সেরোটোনিন এবং অন্যান্য ফিল-গুড হরমোন উৎপাদন বৃদ্ধি করে। জাফরান উদ্বেগ হ্রাসে সহায়তা করে।

6. ডার্ক চকলেট

লিবিডোকে জাগানোর জন ডার্ক চকোলেট হল দারুণ উপকারী। এতে থাকা এল-আর্জিনিন অ্যামিনো অ্যাসিড যৌনতার ইচ্ছা বাড়াতে সাহায্য করে। ডার্ক চকোলেট আপনার অঙ্গ প্রত্যঙ্গে রক্ত ​প্রবাহ বাড়ায়।

Thursday 8 November 2018

শুচিবায়ুগ্রস্ততার চিকিৎসায় কী করবেন? - What will you do in the treatment of albinism?

শুচিবায়ুগ্রস্ততার চিকিৎসায় কী করবেন?

শুচিবায়ুগ্রস্ততার চিকিৎসা দুভাবে করা হয়। ওষুধ দিয়ে এবং  মাধ্যমে। শুচিবায়ুগ্রস্ততার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৪৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. দেওয়ান আবদুর রহীম।

ডা. দেওয়ান আবদুর রহীম বর্তমানে বিআরবি হাসপাতালে মনোরোগ বিদ্যা বিভাগে জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : কী ধরনের চিকিৎসা রয়েছে এর, কতদিন ধরে চলতে থাকে?

উত্তর : রোগীকে ওষুধ খাওয়াতে হবে। রোগী মনে করে, আমার কোনো রোগ নেই, আমি কেন চিকিৎসকের কাছে যাব? আমি কেন ওষুধ খাব? সুতরাং পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব নিতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধ খেতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অন্তত নয় মাস, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এক বছর, কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরো বেশি। তো ধীরে ধীরে এতে ডোজটা বাড়াতে হয়। এরপর ওই ব্যবস্থাপনায় অনেক দিন খেতে হয়, এরপর যখন লক্ষণ সম্পূর্ণ ভালো হয়, তখন কমিয়ে আনতে হয়। কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে। তাকে একটু পরামর্শ দেওয়া।

প্রশ্ন : বিহেভিয়ার থেরাপির মধ্যে তার যে প্রতিদিনের কাজগুলো এগুলোতে কি তাকে ঠিকঠাক করা হয়?

উত্তর : করা হয়। তবে তারা বুঝে কম এটা। তারপরও বারবার করলে তারা বোঝে। তাকে পরামর্শ দিলে, ওষুধ খেলে ভালো হয়ে যায়।
প্রশ্ন : চিকিৎসা করা না হলে জটিলতা কী রয়েছে?

উত্তর : তার লেখাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কাজকর্ম কমে যাবে। তার কর্মক্ষমতা কমে যাবে। তার স্বাভাবিক জীবন যাত্রা থাকবে না।

ভুঁড়ি কমানোর সার্জারি অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি - Abdominoplasty Surgery Reduction pot-belly

** ভুঁড়ি কমানোর সার্জারি অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি **

ভুঁড়ি নিয়ে অনেকেই বিব্রত থাকেন। তবে এখন ভুঁড়ি কমানো সহজ। সার্জারির মাধ্যমে এটি কমানো যায়। এই সার্জারিকে বলা হয় অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি।

অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টির বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৪৮তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ইকবাল আহমেদ। বর্তমানে তিনি শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজের প্লাস্টিক ও কসমেটিক সার্জারি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি কী?

উত্তর : অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি হলো পেটের সৌন্দর্য বাড়ানোর সার্জারি। আমাদের দেশে মানুষের যে খাদ্যাভ্যাস, আমরা খুব ভাত খাই। শর্করা জাতীয় খাবার আমরা খুব পছন্দ করি। ভাত, মিষ্টি এগুলো কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের খুবই প্রিয় খাবার। এতে হয় কি, আমাদের শরীরে, বিশেষ করে পেটে খুব চর্বি জমে। পেটে চর্বি জমার একপর্যায়ে পেটটা খুব ঝুলে যায়। পেটের ভেতরের যে মাংসপেশি রয়েছে বা মাংসপেশির যে পর্দা রয়েছে, সেটি ঝুলে যায়। এর সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা যে সার্জারিটা করি, সেটি হলো অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি।

মূলত, যেটিকে আমরা ভুঁড়ি বলি, সেটি আগের অবস্থায় যেন নিয়ে আসতে পারি, সে জন্য যে সার্জারি করা হয়, সেটিকে অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি বলা হয়।

প্রশ্ন : রোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো খেয়াল করেন?

উত্তর : সাধারণত আমাদের কাছে যে রোগীগুলো বেশি আসে, নারীরা খুব বেশি আসে। দেখা যায় যে একটি বা দুটো গর্ভাবস্থার পরে তারা আসে। নারীদের গর্ভধারণের জন্য অনেক দিন যখন পেটটা স্ফীত থাকে, তখন পেটের পেশির দেয়ালের যে পর্দাটা থাকে, সেটি নমনীয়তা হারিয়ে ফেলে। নমনীয়তা হারালে হয়তো আর ফিরে না। তার পেটটা হয়তো অনেক সুন্দর ছিল, গর্ভাবস্থার পরে পেটটা ঝুলে গেছে। অনেক চর্বি জমা হয়েছে। অনেকে ব্যায়ামের পরেও হয়তো এটি ফিরে আসার কথা নয়। ঝুলে যায় যেটি, এটি আর হয়তো কখনো ফিরে আসে না। তো নারীরাই মূলত এই চিকিৎসা নিতে আসে বেশি।

পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেক ওজন ছিল, ব্যায়াম করে ওজন কমিয়েছে, তবে পেটের চামড়াটা ঝুলে গেছে। এরা বিশেষ করে অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি করতে আসে।

Friday 15 June 2018

নবজাতকদের সুস্থ রাখতে হেল্থ গাইড - Baby skin conditions

নবজাতকদের সুস্থ রাখতে হেল্থ গাইড!

শিশু মাত্রই সে স্পর্শকাতর। বিশেষত শিশুদের ত্বক নরম হওয়ায় খুব সহজেই তাঁরা নানারকম সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে পরে। বিশেষ করে জন্মের পরের কয়েক মাস বেশিরভাগ শিশুই নানাবিধ ত্বকের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই তো মা-বাবাদের সেদিকে সব সময় নজর রাখা উচিত। তবে কোনও কোনও সময় বেশ কিছু ত্বকের সমস্যা এতটাই বেড়ে যায় যে চিন্তার কারণ হয়ে ওঠে। সেই কারণেই তো মা-বাবাদের তাদের শিশুদের ত্বকের সমস্যা সম্পর্কে সাধারণ কিছু ধারণা থাকা একান্ত প্রয়োজন, যাতে আক্রান্ত শিশু সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পেতে পারে। কচিকাঁচাদের এমনই কিছু ত্বকের সমস্যা নিয়ে আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদন। ত্বক হল শরীরের একটি অন্যতম অঙ্গ, যা নানা রকমের জীবাণুকে শরীরে ঢুকতে বাধা দেয়। তবে ত্বকের বেশীরভাগ অংশই যেহেতু উন্মুক্ত থাকে, তাই অনেকক্ষেত্রেই মারাত্মক ধরণের কিছু জীবাণুকে আটকানো স্কিনের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। তখন ত্বক নানা রকম সমস্যা দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পরে। আর এমনটা যদি শিশুদের সঙ্গে হয়, তাহলে তো কথাই নেই! সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। প্রসঙ্গত, যে যে স্কিনের রোগে নবজাতকেরা বেশি মাত্রায় আক্রান্ত হয়ে থাকে, সেগুলি হল...

ব্রণ বা ফুসকুড়ি: 
ব্রণর সমস্যা শুধুই যে বড়দের হয়, এমন নয়। এই ধরনের ত্বকের রোগ শিশুদেরও হতে দেখা যায়। অনেক সময় নতুন পরিবেশ, কখনও আবার মায়ের হরমোনের সমস্যা দেখা দিলেও তা শিশুর ত্বকে আক্রমণ করে বসে। কারণ শিশুরা মায়ের দুধের ওপরই বেশীরভাগ সময় নির্ভরশীল থাকে। এছাড়াও জন্মের সময়ই অনেক শিশুর ত্বকে অ্যাকনে বা ফুসকুড়ি দেখা যায়। সেক্ষেত্রে এই ধরণের সমস্যা জন্মের প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যেও দেখা যেতে পারে। শিশুদের গাল, পিঠ এবং কপালেই প্রধানত অ্যাকনে দেখা যায়। অ্যাকনে হওয়ার নানা কারণও আছে। যেমন, মায়ের দুধ পান করার থেকে হতে পারে, আবার খুব শক্ত এবং খসখসে কাপড় ব্যবহার করলেও হতে পারে। এমনকি খুব ক্ষার জাতীয় ডিটারজেন্ট বা সাবান দিয়ে শিশুদের জামাকাপড় ধুলেও তার থেকে এই ধরণের ত্বকের সমস্যা হতে পারে।

 চিকেন পক্স: 
 শিশুদের ক্ষেত্রে চিকেন পক্স হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। মাথা যন্ত্রণা, জ্বর, খিদের অভাব, বমি বমি ভাব এবং গায়ে ব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গ দিয়েই শুরু হয় চিকেন পক্স। শিশুরা তাদের কষ্ট বলে বোঝাতে পারে না বলে তাদের এই ধরণের সমস্যাগুলি বোঝা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে শিশুদের শরীর লক্ষ্য করে দেখতে হয় যে, কোনও জল ভরা ফুসকুড়ির মতো হয়েছে কিনা। এটি সাধারণত আকারে ছোট এবং লালচে হয়। এই ফুসকুড়িগুলো যন্ত্রণাদায়ক হয় না ঠিকই, কিন্তু চিকেন পক্স সেরে ওঠার সময় এগুলো চুলকানির সৃষ্টি করে। প্রসঙ্গত, চিকেন পক্স মূলত ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। যদিও কয়েকদিনের মধ্যে সেরেও যায়। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এই ধরণের সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া একান্ত জরুরি। এছাড়াও গায়ের চুলকানি ভাব কমাতে ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে এই সময় শিশুকে সঠিক আহার এবং যত্নের মধ্যে রাখতে হয়।

ক্র্যাডেল ক্যাপ: 
ক্র্যাডেল ক্যাপ শিশুদের একটি খুব সাধারণ সমস্যা। এটি শিশুদের মাথাতেই হয়ে থাকে। ক্র্যাডেল ক্যাপ দেখতে একদম খুশকির মতো হয়। ক্র্যাডেল ক্যাপের ক্ষেত্রে মাথার ত্বক প্রথমে লালচে হয়ে যায়। তারপর হলদে বর্ণ ধারণ করে। এরপর সেটি শুষ্ক এবং শক্ত হয়ে প্রায় গুঁড়োতে পরিণত হয়। এই সময় প্রচুর মাত্রায় চুল ঝরে যায়। মাথা ছাড়াও মুখ, নাক, গলা, পশ্চাৎদেশ এবং বগলেও এমন রোগ দেখা দিতে পারে। প্রসঙ্গত, এই ধরণের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন মাথা এবং চুল পরিষ্কার করতে হবে। সেই সঙ্গে নরম চিরুনির দ্বারা ধীরে ধীরে খুব সহজে ক্র্যাডেল ক্যাপ পরিষ্কার করতে হবে।

একজিমা: 
শিশুদের ত্বকের আরও একটি সমস্যা হল একজিমা। শরীরের যে কোনও অংশে, বিশেষত হাত, ভুরু, গলা, মুখ এবং হাঁটুর পিছনের দিকে এই ধরনের চর্ম রোগ হয়ে থাকে। একজিমা মূলত লালচে রঙের, শুষ্ক গোলাকার আকৃতি বিশিষ্ট হয়। বেশিরভাগ সময় চুলকানি দেখা যায় এক্সিমার ক্ষেত্রে। কিছুদিন পরে এগুলি থেকে পুঁজ বেরোতে থাকে, কখনও কখনও রক্তও বেরোয়। যদিও শিশুরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপনা আপনি এই ধরণের সমস্যা ঠিক হতে শুরু করে।

হাম: 
ছোটবেলায় হাম হয়নি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। শিশুদের যে ধরণের ত্বকের সমস্যায় বেশি ভুগতে দেখা যায়, তার মধ্যে অন্যতম হল হাম। এই রোগের সূত্রপাত ঘটে খুব সাধারণ ভাবেই। যেমন, নাক দিয়ে জল পড়া, জ্বর, চোখ ফুলে যাওয়া এবং চোখের চারপাশে কালশিটে পড়া, সর্দি এবং মুখের ভেতরে সাদা রঙের ফুসকুড়ি হওয়া ইত্যাদি। এর কিছুদিন পরেই শরীরের বেশ কিছু অংশ, যেমন মুখ, গলা, কানের পিছনে লালচে দাগ বিশিষ্ট ছোট ছোট অসংখ্য অ্যাকনের মতো দেখা দেয়। ৫-৬ দিন থাকার পর এগুলি ধীরে ধীরে ঠিক হতে শুরু করে। যদিও এই সময় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই দরকার।

মিলিয়া: 
সদ্যজাতরা এই রোগে খুব ভুগে থাকে। এটিও বাকি ত্বকের সমস্যার মতোই হঠাৎ করে শুরু হয়। এক্ষেত্রে শিশুদের মুখমণ্ডলে সাদা রঙের অ্যাকনের মতো দেখতে মিলিয়া গাল, কপাল, থুতনি, নাক এবং চোখের চারপাশে দেখা যায়। কিছু কিছু সময় এই অ্যাকনে গুলি আকারে বড় হতে শুরু করে এবং ভীষণই নরম হয়। তবে শিশুদের এই ধরণের ত্বকের সমস্যায় ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ ৬ সপ্তাহের মধ্যে অ্যাকনেগুলি মিলিয়া যেতে শুরু করে।

ন্যাপি র‍্যাশ: 
এই ধরনের ত্বকের রোগ সাধারণত শিশুদের শরীরের নিম্নভাগে দেখা যায়। অর্থাৎ ন্যাপি দ্বারা শরীরের যে অংশ ঢাকা থাকে, সেখানেই মূলত ন্যাপি র‍্যাশ হয়। ন্যাপি র‍্যাশের উপসর্গ হল, নিতম্ব এবং জননেন্দ্রিয়ের পাশে লালচে ব্রণর মতো হয়ে থাকে। কোনও কোনও সময় এগুলি শুষ্ক অথবা জলীয় পদার্থে ভরা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। সদ্যোজাত থেকে এক বছর বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে ন্যাপি র‍্যাশের সমস্যা সবথেকে বেশী দেখা যায়। ন্যাপি র‍্যাশ হওয়ার প্রধান কারণই হল ডায়াপার। ভেজা ডায়াপার পরিয়ে রাখলে শিশুদের এই ধরণের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই খেয়াল করে ভেজা ডায়াপার বদলে ফেলে শিশুর ত্বক প্রতিনিয়ত শুকনো রাখাই উচিত।

Noticeable symptoms of baby boy - ছেলে সন্তান হোক এমনটা চান নাকি?

ছেলে সন্তান হোক এমনটা চান নাকি? তাহলে লক্ষ করুন এই লক্ষণগুলি প্রকাশ পাচ্ছে কিনা!

"ছেলে হবে, না মেয়ে "- এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া কি আদৌ সম্ভব? যদি বলি অবশ্যই সম্ভব, তাহলে কী বলবেন! আসলে কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে প্রসবের আগেই জেনে নেওয়া যায় ছেলে হতে চলেছে না মেয়ে। তবে এই ধরনের পরীক্ষা করা একেবারেই বেআইনি। তাহলে উপায়! কোনও চিন্তা নেই, একবার এই প্রবন্ধটি পড়ে ফেলুন। তাহলেই দেখবেন সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। সাধারণত ছেলে সন্তান হওয়ার আগে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে। যেমন ধরুন...


মর্নিং সিকনেস: একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ঘোরা, বমি-বমি ভাব এবং আরও সব সমস্যা দেখা দিলে মনে কোনও সন্দেহ রাখবেন না যে ছেলে সন্তান হতে চলেছে।

কোন দিকে ফিরে ঘুমাচ্ছেন খেয়াল করুন: এই সময় মা এতটাই ক্লান্ত থাকেন যে শোয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুম চলে আসে। তারপক্ষে এটা বোঝা সম্ভবই হয় না যে কোন দিকে ফিরে তিনি ঘুমাচ্ছেন। এক্ষেত্রে এই কাজটি করতে হবে স্বামীকে। যদি দেখেন আপনার স্ত্রী বাঁদিকে ফিরে ঘুমচ্ছে, তাহলে আশা রাখতে পারেন যে আপনাদের ছেলেই হবে।

পেটের অবয়ব: আপনার পেট কি নিচের দিকে বেশি ঝুঁকে গেছে? এমনটা হলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

হার্ট রেট ওঠা-নামা করবে: গর্ভাবস্তায় চিকিৎসকেরা প্রায়শই বাচ্চার হার্ট রেট মেপে থাকেন। এই সময় যদি দেখা যায় বাচ্চার হার্ট রেট ১৪০ বিট/ প্রতি মিনিট রয়েছে, তাহলে মনে কোনও সন্দেহ রাখবেন না যে ছেলে বাচ্চাই জন্ম নিতে চলেছে।

ইউরিন কালার: একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে গর্ভাবস্তায় মায়ের প্রস্রাবের রং যদি গাড় হলদেটে হয়, তাহলে বুঝতে হবে ছেলে সন্তান হতে চলেছে। আর যদি দেখেন উজ্জ্বল হলুদ রঙের প্রস্রাব হচ্ছে, তাহলে এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ রাখবেন না যে আপনি মেয়ে সন্তানের মা হতে চলেছেন।

হাতের তালু বারে বারে শুকিয়ে যাবে: প্রেগন্যান্সির সময় বারে বারে হাতের তালু শুকিয়ে যাওয়ার অর্থ হল ছেলে সন্তান জন্ম নিতে চলেছে।

ব্রণর প্রকোপ বাড়বে: প্রেগন্যান্সির সময় একাধিক হরমোনের ক্ষরণ ঠিক মতো হয় না। যে কারণে এমনিতেই বিভিন্ন রকমের ত্বকের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু যদি দেখেন ব্রণর সমস্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে তাহলে জানবেন আপনার পেটে ছেলে সন্তান বড় হয়ে উঠছে।

খাবার খাওয়ার ইচ্ছা বাড়বে: ভাবি মায়ের ক্ষিদে কি খুব বেড়ে গেছে? অল্প সময় অন্তর অন্তরই মনে হচ্ছে পেটে যেন ছুঁচো দৌড়াচ্ছে? তাহলে তো অভিনন্দন জানাতে হয়। কারণ ছেলে সন্তান হওয়ার আগে এমনই সব লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে।

ব্রেস্টের মাপ: গর্ভাবস্তায় ভাবী মায়ের ব্রেস্টের মাপ এমনিতেই বেড়ে যায়। কারণ এই সময় মায়ের শরীরে দুধের সঞ্চয় হতে শুরু করে। সাধারণত এই সময় ডান দিকের থেকে বাঁদিকের ব্রেস্ট একটু বেশি মাত্রায় ভারি হয়ে যায়। কিন্তু যদি উল্টো ঘটনা ঘটতে দেখেন তাহলে নিশ্চিত থাকবেন আপনার ছেলে হতে চলেছে।

ওজন বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে: মায়ের পেটে ছেলে সন্তান থাকলে দৈহিক ওজন স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেড়ে যায় এবং পেটটা একটু অতিরিক্ত মাত্রায় ফোলা মনে হয়। প্রসঙ্গত, মেয়ে সন্তান পেটে থাকলে সাধারণ মায়ের সারা শরীরেই মেদের হার বৃদ্ধি পায়, এমনকী মুখেও। এই ভাবেই অনেকাংশে বুঝতে পারা সম্ভব হয় যে ছেলে হতে চলেছে না মেয়ে।

পায়ের পাতা ঠান্ডা হয়ে যাবে: এমন ধরনের লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটলে মনে কোনও সন্দেহ রাখবেন যে ছেলে সন্তানের জন্ম হতে চলেছে।

চুলের ঘনত্বে পরিবর্তন আসবে: মায়ের চুলের বৃদ্ধির হার দেখেও বলে দেওয়া সম্ভব ছেলে হতে চলেছে না মেয়ে। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে মায়ের চুলের গ্রোথ যদি স্বাভাবিকের থেকে বেশি হয়, তাহলে কোনও সন্দেহই থাকে না যে আসন্ন বাচ্চা ছেলে হতে চলেছে।

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে? - Improve baby mental growth

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে? মা-বাবা হিসাবে আপনি তো নিশ্চয় চান যে পড়াশোনায় আপনার বাচ্চা দারুণ কিছু করুক। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছ...