Skin care regular tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

Health and Skin Care Tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

Health and Skin Care Tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Wednesday 15 January 2020

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে? - Improve baby mental growth

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে?

মা-বাবা হিসাবে আপনি তো নিশ্চয় চান যে পড়াশোনায় আপনার বাচ্চা দারুণ কিছু করুক। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কেমনভাবে আপনার বাচ্চা সেই লক্ষে পৌঁছাবে, সে নিয় কিন্তু আপনি কখনও ভাবেন না। শুধু ভাবেন, দিনের বেশিরভাগ সময় বইয়ের সামনে বসিয়ে রাখলেই জুনিয়ার ভাল রেজাল্ট করবেন। আসলে কিন্তু এমনভাবে কোনও লক্ষেই পৌঁছানো সম্ভব নয়। কারণ যতক্ষণ না বাচ্চার মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, ততক্ষণ সে কিন্তু এভারেজ হিসাবেই থেকে যাবে। তাহলে উপায়? এই প্রবন্ধে এমন একটি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে দারুণ কাজে আসে। ছোট বেলা থেকেই বাচ্চার মস্তিষ্কের খেয়াল রাখাটা প্রতিটি বাবা-মার প্রথম কর্তব্য। তাইতো আজ থেকেই এই ঘরোয়া পদ্ধতিটিকে কাজে লাগিয়ে শুরু করে দিন জুনিয়ারের ব্রেনের শক্তি বাড়ানোর প্রক্রিয়া।

যেসব উপকরণগুলি লাগবে:

১. ডিমের কুসুম- ২ চামচ ২. ওটমিল- ৪ চামচ ৩. ডার্ক চকোলেট পাউডার- ১ চামচ ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি দারুণ কাজে আসে। তবে প্রতিদিন খেতে হবে এই ওষুধটি। তাহলেই কিন্তু ভাল কাজ দেবে। প্রসঙ্গত, ৩ বছরের কম বাচ্চাদের এই খাবারটি খাওয়াবেন না।

ডিমের কুসুমে ভিটামিন-ই, মিনারেলস সহ এমন অনেক উপাদান থাকে, যা ব্রেণসেলগুলিকে পুষ্টি প্রদান করে। ফলে বৃদ্ধি পায় সার্বিক মস্তিষ্কের ক্ষমতা। অপরদিকে, ওটমিলে রয়েছে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা বাচ্চার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সেই সঙ্গে ব্রেন সেলগুলির ক্ষমতাও বাড়ায়। আর ডার্ক চকোলেট কী কাজে আসে? এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা মস্তিষ্কের পাশাপাশি শরীরকেও চাঙ্গা রাখে। শুধু তাই নয়, খাবারটিকে সুস্বাদু করতেও ডার্ক চকোলেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কীভাবে বানাবেন এই ঘরোয়া ওষুধটি?

১. পরিমাণ মতো ওটস নিয়ে গরম জলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। যখন দেখবেন ওটসটা নরম হয়ে গেছে তখন জল থেকে তুলে নিন। ২. এবার ডিমের কুসুম এবং ডার্ক চকোলেটটা ওটসের সঙ্গে মেলান। ভাল করে মেশান উপকরণগুলি। ৩. টানা ৩ মাস ব্রেকফাস্টের সঙ্গে বাচ্চাকে এই খাবারটি খাওয়ালে দারুণ ফল পাবেন।

Tuesday 31 December 2019

শরীরের রং ফর্সা করার উপায় কি? ফর্সা হতেই হবে!



মেহজান (ছদ্দনাম) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেছে। একটা ভালো চাকুরিতেও জয়েন করেছে। পরিবার থেকে তার বিয়ের জন্য পাত্র দেখা হচ্ছে। বেশ ভালো ভালো সম্বন্ধ আসে কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না। এ নিয়ে মেহজানের মা দুঃখে একদিন বলেই ফেললেন, মেয়েটা যদি একটু ফর্সা হত এবং রং ফর্সা করার উপায় কি তা জানতাম! এটা শুনে হয়ত আমাদের খারাপ লাগতে পারে।

কিন্তু আমরা যতই বলি, আসলে বেশিরভাগ মানুষই নিজের শরীরের রং নিয়ে সন্তুষ্ট নই। অনেকেই রং-টা আরেকটু হালকা করতে, মানে ফর্সা করতে ছুটাছুটি করেন কসমেটিকস এর দোকানে, কেউ পার্লারে, কেউবা লেজার সেন্টার পর্যন্ত ঘুরে আসেন, তাতে কি হয়? যাষ্ট অনেকগুলো টাকা খরচ হয়। ফালাফল শূন্য। যদিও এতে করে সাময়িক কিছু ফল হয়তো পাওয়া যায়, কিন্তু কিছু দিন পরই সঠিক যত্নের অভাবে ত্বক আগের চেয়েও অনেক সময় খারাপ হয়ে যায়। তাহলে কী কোনো ভাবেই নিজের ত্বকের রং কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে ফর্সা করা সম্ভব নয়?

চিন্তা করবেন না, অসম্ভব নয়, বরং খুব সহজেই সম্ভব। আর এজন্য আমাদের খুব বেশি দৌড়ঝাপও করতে হবে না। শুধুমাত্র ঘরের ফ্রিজেই রয়েছে আমাদের ফর্সা হওয়ার উপকরণ। তাও আবার মুখে-হাতে মেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না, শুধু খেলেই হবে। বিশ্বাস হচ্ছে না তো, আসুন জানি বিস্তারিত।

ত্বকের রং প্লাসে যাবে না মাইনাসে তা নির্ভর করে আসলে আমাদের খাদ্য তালিকার ওপরই। বেশি ফাইবার, মিনারেল, ভিটামিন এবং পরিমাণমতো ফ্যাট ও প্রোটিনযুক্ত খাবার অনায়াসেই ত্বকের রং কয়েক শেড উন্নত করে তোলে। আর এজন্য প্রতিদিনের খাবারে বেশি করে ফল এবং সবজি রাখুন।

অনেক সময় আমরা সবজি-ফলের পরিবর্তে জাঙ্ক ফুড (ফাস্ট ফুড) খেতে বেশি পছন্দ করি। কিন্তু ত্বক ভালো রাখতে চাইলে এই অভ্যাস থেকে পিছু হাটতে হবে।

দিনের প্রতি বেলার খাবারে অবশ্যই অবশ্যই এক বাটি সবজি রাখতে হবে। সঙ্গে অল্প ভাত বা রুটি, ডাল, মাছ বা মাংস রাখতে পারেন। আর প্রতিদিন যে কোনো একটি ফল বাধ্যতামূলক খেতেই হবে।

বন্ধুরা, সবজির মধ্যে পালং শাক, টমেটো, বরবটি, মিষ্টি ‍আলু এবং করলা আমাদের রং ফর্সা করতে বেশ অবদান রাখে। কারণ এতে লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

ডেইরি প্রডাক্টের মধ্যে দুধ, চিজ়, টক দই, আর প্রোটিনের মধ্যে ডিম, মাছ, মাংস খেতে হবে নিয়মিত।

আপেল, কমলা, কলা, পেঁপে, আঙুর, স্ট্রবেরি, আম, বরই আর তরমুজ মানে ফলের ঝুড়িতে রাখা সবক’টা ফলই ত্বকের জন্য উপকারী। কারণ ফল থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেল পায় আমাদের ত্বক।

ডার্ক চকলেট খেতে বলছি, অবাক হচ্ছেন? আসলে চকলেক আমাদের ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে। সেই সঙ্গে রোদে পোড়া ত্বকের ড্যামেজ সারাতেও সাহায্য করে।

তবে মনে রাখতে হবে, খাবারের সঙ্গে সঙ্গে দেহ ও মন সুস্থ রাখতে হবে, থাকতে হবে একদম ফিট আর দুশ্চিন্তামুক্ত। নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার, ব্যায়াম ‍আর প্রচুর পানি পান এগুলো তো আমরা এমনিতেই করি।

বন্ধুরা, নিয়মিত এগুলো মেনে চলুন রং-ফর্সাকারী ক্রিমগুলোর বাজে অভ্যাস দুরে পালিয়ে যাবে।

এ পর্যায়ে একজন পাঠকের প্রশ্নের উত্তরে –
ফর্সা হওয়ার সহজ উপায় কি?

বংশগত কারণে আমাদের অনেকেরই গায়ের রং কালো হয়ে থাকে অথবা দিন যাপনের নানান আয়োজনেও আমাদের গায়ের রংটা ময়লা হয়ে যায়। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, শারীরিক অসুস্থতা, দীর্ঘসময় রান্নাঘরে কাজ করা ইত্যাদি নানান কারণে ত্বক হারিয়ে ফেলে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। হয়ে যায় কালচে ও বিবর্ণ। রং ফর্সাকারী ক্রিমের কদর তাই কমে না কখনোই। এসব রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রণে তৈরি প্রোডাক্টগুলো ত্বকের নানা ক্ষতি করে থাকে। আসুন জেনে নিই প্রাকৃতিক কিছু উপায়ে কীভাবে গায়েব কালো রংকে উজ্জ্বল করা যায়, কীভাবে ফর্সা হওয়া যায়।

– বেসন, লেবুর রস ও কাঠবাদাম একসাথে পেস্ট করে ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। বেসন ও লেবুর রস মুখের মৃত কোষ, কালোদাগ দুর করতে সহায়তা করে। কাজু বাদাম ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।

– কলা ও দুধ একত্রে পেস্ট করে মুখে ও ঘাড়ে ১৫ মিনিট রেখেদিন। তারপরে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক মসৃন করতে কলার কোন জুড়ি নেই।

– মধুর ঔষধি গুনের কথা কে না জানে। ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃন করতেও মধু খুব কার্যকর। দই, মধু ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে ২০ মিনিট ধরে মুখে লাগিয়ে রাখুন। এতকিছু হাতের কাছে না থাকলে শুধু মধুই ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত করলে কিছুদিন পরেই দেখতে পাবেন আপনার ত্বক আগের থেকে অনেক বেশী উজ্জ্বল হয়ে গেছে।

– আলু বা টমেটো শুধু ভাল সবজীই নয় বরং এক একটা রং ফসর্াকারী এজেন্ট। আলু এবং টমেটো পেস্ট প্রতিদিন ব্যবহার করলে আপনি পাবেন দ্যুতিময় ত্বক।

– মসুরের ডাল, দুধ লেবুর রস এবং চালের গুড়া একসাথে পেস্ট করলেই হয়ে যাবে সুন্দর ও কার্যকরী স্ক্রাব। সপ্তাহে তিন দিন ব্যাবহার করুন। আপনার ত্বক হবে আরো পরিষ্কার।

– ডিমের সাদা অংশ ও মধু একসাথে মিশিয়ে ২০ মিনিট মুখে মেখে রাখুন। তার পরে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল ও টান টান ভাব আনতে সাহায্য করবে এই ফরমুলা।

– এক চামচ চিনির সাথে দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে আলতো ভাবে মুখে ডলতে থাকুন যতক্ষন পর্যন্ত চিনি পুরোপুরি গলে না যায়। এমনকি পুরো শরীরেও লাগাতে পারেন।

– শিশুদের মত কোমল ও মসৃন ত্বক পেতে দুই চামচ চিনির মধ্যে তিন চামচ বেবী ওয়েল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে নিয়মিত ব্যবহার করুন।

– মুখে ব্রনের দাগ থাকলে কর্ণফ্লাওয়ার এবং শসার মিশ্রন তৈরী করে প্রতিদিন মাখতে থাকুন। দ্রুত ভাল ফল পাবেন।

– পানি, সবুজ সবজী, ফলের রস, মাছ, ডিম রক্ত পরিষ্কার করে থাকে তাই এইগুলো পর্যাপ্ত পরিমানে খেতে হবে।

Friday 18 October 2019

শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু স্বাস্থ্য টিপস

শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু স্বাস্থ্য টিপস


কত অপেক্ষা সন্তানের জন্য বাবা মায়ের। তারপর একদিন সন্তান পৃথিবীতে আসে। পৃথিবীতে আসার পর বাবা মায়ের দায়িত্ব আরো বেড়ে যায়। কারণ একটাই তা হল সন্তানকে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। প্রত্যেক বাবা-মা ই চান তার সন্তানের যেন সঠিক মানসিক বিকাশ ঘটে। শিশু বয়স থেকেই সন্তানের সুস্থতার জন্য অনেক নিয়ম কানুন বাবা-মাকে মেনে চলতে হয়। কারণ বাবা মা এর একটুখানি অসাবধানতা সন্তানকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিতে পারে এমনকি জীবন বিপন্ন হতে পারে। আপনার ছোট্ট সোনামণির জন্য খুবই দরকারি কিছু টিপস আমরা আজকে আপনাকে দিব।

১। ভুল করেও আপনার সদ্যোজাত নবজাতক শিশুকে বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু খেতে দিবেন না। অনেকে পানি, মধু, চিনির পানি বা মিসরির পানি খেতে দেন না জেনেই। এটার প্রভাব তাৎক্ষণিক ভাবেই পড়তে পারে আপনার শিশুর উপর।

২। শিশু জন্মের পর প্রথম তিন দিন পর্যন্ত শিশুকে গোসল করাবেন না।

৩। শিশু যদি না খেতে চায় তাকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না।

৪। শিশুকে কখনোই একা একা উঁচু স্থানে বসিয়ে রেখে আপনি দূরে কোথাও যাবেন না।

৫। গোসল করিয়ে সাথে সাথে শিশুর শরীরে তেল লাগাবেন না। বরং গোসলের আগে তেল ব্যবহার করতে পারেন।

৬। প্রথম ৬ মাস শিশুকে বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু খেতে দিবেন না।

৭। শিশু কান্না করলে তাকে শান্ত রাখার জন্য মুখে চুষনি দিবেন না।

৮। রাতে ঘুমের মধ্যে বুকের দুধ ছাড়া অন্য কোন খাবার শিশুর মুখে দুধ দেবেন না।

৯। অনেকের ধারণা জ্বর হলে মোটা কাঁথা-কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখলে জ্বর কমে যাবে। ভুলেও এ কাজ করবেন না। শিশু যেভাবে আরাম বোধ করে সেভাবে রাখুন।

১০। ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে স্যালাইন এর পাশাপাশি সব খাবার দিবেন শিশুকে। কোন খাবার বন্ধ করবেন না।

১১। কখনোই অতিরিক্ত কাপড় দিয়ে শিশুর উপর চাপ সৃষ্টি করবেন না।

১২। আপনার শিশুকে বাইরের কোন খাবার, দীর্ঘ দিনের ফ্রিজের খাবার বা বাসি খাবার দেবেন না।নিজে হাতে তৈরি করুন তার খাবার।

১৩। শিশু যতদিন না নিজে নিজে হাঁটতে পারে ততদিন শিশুকে ওয়াকার দিয়ে হাঁটানোর চেষ্টা করবেন না।

১৪। শিশুর যদি শ্বাস কষ্টের জন্য ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে তাকে কখনোই ঘুমের ওষুধ দিবেন না।

১৫ অনেকের ধারনা কলা, কমলা ও অন্যান্য ফলমূল খেলে শিশুর ঠাণ্ডা লাগে বা বেড়ে যায়। এ ধারণা মোটেও ঠিক নয়। সব ফলমূল খেতে দিন আপনার শিশুকে।

১৬। না ধুয়ে কোন ফল খাওয়াবেন না শিশুকে।

১৭। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজে শিশুকে কখনো কোন ওষুধ খাওয়াবেন না।

১৮। শিশু না খেলে বা দুষ্টমি করলে কখনো তাকে ভয় দেখাবেন না। এতে আপনার শিশুর মানসিক সমস্যা হতে পারে।

১৯। শিশুকে কখনো মারবেন না, সে কোন খারাপ কিছু করলে তাকে বুঝিয়ে বলুন।

২০। শিশুর সামনে বসে কখনো ধূমপান করবেন না।

২১। শিশুকে সাথে নিয়ে কোন ধরনের ভয়ের সিনেমা বা নাটক দেখবেন না।

২২। রান্নাঘর বা টয়লেটে একা একা আপনার শিশুকে যেতে দিবেন না।

২৩। কোন ধরনের ধারালো জিনিস যেমন সুই, কাঁচি, ছুরি এগুলো শিশুর সামনে রাখবেন না।

২৪। সমস্যা খুব গুরুতর না হলে শিশুর এক্সরে করবেন না।

২৫। সবরকম ওষুধ শিশুর নাগালের বাইরে রাখুন।

শিশুকে নিরাপদে রাখতে মেনে চলুন সব ধরনের সতর্কতা। ভালো থাকুক আপনার সোনামণি। হাসি থাকুক আপনার মুখে সবসময়।

Friday 6 September 2019

রসুন আর মধু খালি পেটে ১ সপ্তাহ খান, দেখুন কী হয়!

রসুন আর মধু খালি পেটে ১ সপ্তাহ খান, দেখুন কী হয়!

শুধু খাবারের স্বাদ বাড়াতেই নয়, ঔষধি গুণের জন্য রসুনের ​কদর চিরকাল। কাঁচা রসুন খাওয়া অভ্যাস করতে পারলে এড়ানো যায় অসংখ্য রোগভোগ। তবে জেনে রাখতে হবে তার সঠিক প্রয়োগ।

প্রাচীন কাল থেকে রসুনের উপকারিতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী চর্চা। চিকিত্‍সাশাস্ত্রে রসুনের ব্যবহার বহু দিনের। নিয়মিত রসুন খাওয়া রপ্ত করতে পারলে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ এবং উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। হার্ট অ্যাটাক রুখতেও তার জুড়ি মেলা ভার। এমনকি সাধারণ সর্দি-কাশি, ফ্লু, ছত্রাক সংক্রমণ ও ডায়েরিয়া সারাতেও কাজে দেয় রসুন। এছাড়া অস্টিওআর্থারাইটিস, ডায়াবিটিস এবং প্রস্টেটসম্প্রসারণ রোধ করতে কাঁচা রসুন খাওয়ায় উপকারিতা মেলে। শরীরের দূষণ রুখে রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়া মজবুত করতে রসুন অদ্বিতীয়। আবার কেমোথেরাপির বিষক্রিয়া থেকে রক্ষা পেতেও পেঁয়াজ-আদা-রসুনের প্রয়োগ অব্যর্থ।

রসুন কাঁচা খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। আসলে উনুনে বা আভেনে চাপালে রসুনের মূল রাসায়নিক উপাদান অ্যালিসিন-এর গুণাগুণ নষ্ট হয়। খাওয়ার আগে রসুনের কোয়া বেটে বা ফালি করে কেটে নিয়ে ১৫ মিনিট সরিয়ে রাখতে হবে। রসুনের কোয়া বাটার পর যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে তাতে, তাতে অ্যালিসিন সহজে হজম হতে সুবিধা হয়। মনে রাখতে হবে, সবচেয়ে বেশি ফল মিলবে যদি খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়া যায়।

রসুন কাজে লাগিয়ে তৈরি করা যায় বিভিন্ন রোগের টোটকা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক অব্যর্থ দাওয়াইয়ের কিছু উপকরণ প্রণালী।

১) কাঁচা রসুন ও মধু: রসুনের ২-৩টি কোয়া কুচিয়ে নিন। তার সঙ্গে এক টেবিলচামচ মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন এই মিশ্রণ খেলে শরীর ফিট ও এনার্জিতে ভরপবুর থাকবে।

২) রসুনের ফ্লু টনিক: অতিরিক্ত সংবেদনশীল ত্বক হলেল এই টনিক বানানোর সময় হাতে দস্তানা পরে নিন এবং চোখে হাতের ছোঁয়া এড়িয়ে চলুন। জোগাড় করে ফেলুন অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি, ৫ কোয়া রসুন কুচি, ২টি শুকনো লঙ্কা কুচি, ১ টেবিলচামচ আদা কুচি, একটি গোটা পাতিলেবুর রস এবং অ্যাপল সাইডার ভিনিগার।

প্রথমে একটি পাত্রে পেঁয়াজ-রসুন-আদা-শুকনো লঙ্কা কুচি মেশান। আলাদা পাত্রে লেবু চিপে রস তৈরি রাখুন। এবার কুচোনো উপকরণে লেবুর রস মেশান। সব শেষে ভিনিগার ঢেলে মিশিয়ে অন্তত ১ সেন্টিমিটার ফাঁক রেখে পাত্রটি ঢেকে রাখুন। সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা ও ফ্লু সারাতে নিয়মিত ব্যবহার করুন।

সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খেলে কী উপকার পাওয়া যায়?

সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খেলে কী উপকার পাওয়া যায় ?

রসুন কাঁচা খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। আসলে উনুনে বা আভেনে চাপালে রসুনের মূল রাসায়নিক উপাদান অ্যালিসিন-এর গুণাগুণ নষ্ট হয়। সকালে খালি পেটে খেতে হবে এমন নয়৷ বিকেল–দুপুর বা রাতে খেতে পারেন৷ তবে খেতে হবে কাঁচা৷ সাধারণ রসুনেরই একটা কোয়া খেতে পারেন৷ তবে হাই প্রেশার বা কোলেস্টেরল থাকলে খান ৩–৪টি করে৷ এক্ষেত্রে প্রেশার বা কোলেস্টেরলের ওষুধ বন্ধ করবেন না৷ সঠিক খাবার, ব্যায়াম ও চেকআপ চালিয়ে যাবেন৷

খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ শতকে চিন ও ভারতে রক্ত পাতলা রাখার জন্য এর প্রচলন ছিল৷ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস একে ব্যবহার করেছিলেন সারভাইকাল ক্যান্সারের চিকিৎসায়৷ লুই পাস্তুর এর অ্যান্টিফাংগাল ও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণের খবর জানান৷ সময়ের সঙ্গে আরও উপকারের কথা জানা গেছে৷ আর আধুনিক বিজ্ঞানীরা জানালেন, হৃদরোগ প্রতিরোধে এর ভূমিকার কথা৷ ইউনিভার্সিটি অব কানেক্টিকাট স্কুল অব মেডিসিন–এর কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ টিমের মতে, কাঁচা রসুন খেলে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকে৷

চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা রসুন খেলে আরও কী কী উপকার মিলবে-

১. রক্তচাপ কমায়৷ চার কোয়া করে খেলে সে রক্তচাপ কমানোর ওষুধের সঙ্গেও পাল্লা দিতে পারে কিছু ক্ষেত্রে৷

২. টোটাল এবং এলডিএল কোলেস্টেরল প্রায় ১০–১৫ শতাংশ কমে যায়৷ তবে উপকারি কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বাড়াতে ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে এর কোনও ভূমিকা নেই৷

৩. বিপাকীয় ক্রিয়া ও পরিবেশ দূষণের ফলে যে ফ্রি র‌্যাডিক্যালস তৈরি হয় তা হার্ট তথা সমস্ত শরীরের জন্য ক্ষতিকর৷ রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেই ক্ষতি খুব ভাল ভাবে ঠেকাতে পারে৷

৪. যে সমস্ত হৃদরোগী নিয়মিত রসুন খান, তারা অনেক বেশি অ্যাকটিভ থাকেন৷

৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের দৌলতে কমে অ্যালঝাইমার ও ডিমেনসিয়ার প্রকোপ৷ সংক্রমণজনিত অসুখবিসুখ কম হয়, বাড়ে আয়ু৷

৬. ইস্ট্রোজেন লেভেল বেড়ে হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল হয় মেয়েদের৷ তবে এ নিয়ে শেষ কথা বলার সময় এখনও আসেনি৷

৭. লেড টক্সিসিটি কমাতে কাজে লাগে৷

জার্নাল অফ এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত প্রবন্ধে কাঁচা ও শুকনো রসুনের প্রভাব বিচার করেছেন বিজ্ঞানীরা৷ ল্যবরেটরিতে বড় হওয়া দু’দল ইঁদুরের মধ্যে এক দলকে বেশ কিছু দিন ধরে খাওয়ানো হয় টাটকা কাঁচা রসুন, আর এক দলকে শুকনো রসুন৷ এর পর তাদের মধ্যে হালকা হার্ট অ্যাটাক সৃষ্টি করিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেন, কোন গ্রুপের ইঁদুর কী ভাবে সামলাচ্ছে এর ধাক্কা৷ দেখা যায়, হার্ট অ্যাটাকের ফলে অক্সিজেনের অভাবে হার্টের পেশির যে ক্ষতি হয়েছে, দু’দল ইঁদুরই তা সামলেছে প্রায় একই রকম দক্ষতায়৷ তবে যারা কাঁচা রসুন খেয়েছিল, এই বিপর্যয়ের পরেও তাদের হার্টের মূল ধমণী দিয়ে রক্ত সঞ্চালন বেশি ভাল ভাবে হয়েছে ও হার্টের মধ্যে এমন কিছু পরিবর্তন হয়েছে যাতে চট করে রোগের ধকল সামলে উঠেছে তারা৷ এ ব্যাপারে মানুষের ওপর পরীক্ষা এখনও না হলেও মোটামুটি নিশ্চিত করে বলা যায়, কাঁচা রসুনের যত উপকার, প্রক্রিয়াকরণের পরে আর তত থাকে না৷

**রসুনের অপকারিতা ও সতর্কবার্তা:

১/ রসুন যত উপকার ততটা ক্ষতিকর। দিনে দুই কোয়ার বেশি কাঁচা রসুন খাওয়া যাবে না। রান্নায় এটি ব্যবহার হলেও দিনে মাত্র দুই কোয়া রসুন ব্যবহার করতে হবে। যাদের রসুন খাওয়ার ফলে এলার্জি হবার আশঙ্কা থাকে বা হয় তাদেরকে অবশ্যই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

২/ যাদের রসুন খাওয়ার ফলে মাথা ব্যথার সমস্যা হয়, বমির প্রাদুর্ভাব হয় বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাদের জন্য কাঁচা রসুন না খাওয়াই ভাল। আবার অতিরিক্ত খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হতেও পারে তাই বেশি রসুন খাওয়া ঠিক নয়।

৩/ অনেকের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া তাদের জন্য বিপদজনক। কারণ, রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে। ফলে রক্তপাত বন্ধ হতে অসুবিধা হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই উত্তম।

৪/ রসুন খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বোধ করলে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।

৫/ শিশুকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের রসুন না খাওয়াই ভাল। কারণ রসুন খাওয়ার ফলে তা মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুরপাকস্থলীতে ঢুকে শিশুর যন্ত্রণার কারণ ঘটাতে পারে।

৬/ অনেকের রসুনের গন্ধ সহ্য হয় না। এখন রসুনকে ওষধের বড়ি হিসেবে তৈরি করার জন্য তাদের সুপারিশ করা হয়েছে।

৭/ রসুন নরম হয়ে গেলে বা সবুজ রঙ দেখা দিলে সেই রসুন কিনবেন না। কারণ এসব রসুনের কার্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়। কেনার সময় মাঝারি আকারের রসুন কিনতে হবে।

৮/ রসুন বন্ধ পাত্রে না রেখে খোলা পাত্রে রাখা ভাল। ভুলেও রেফ্রিজারেটরে রসুন রাখবেন না। এতে করে রসুন নরম হয়ে যাবে। নরম রসুন স্বাস্থ্যকর নয়। ভাঁজার জন্য বা কারী পেস্টের জন্য রসুন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।



Sunday 25 August 2019

খুব সহজেই দূর করুন ব্রণ এবং ব্রণ এর দাগ - Remove acne and acne scars very easily



আমরা ব্রণ সমস্যায় ভুগি নি এরকম মানুষ খুব কমই আছি। পার্টিতে যাবেন অনেক টাকা খরচ করে সাজগোজ করলেন। কিন্তু আপনার সাজের চেয়ে ব্রণ বা ব্রণের দাগ গুলোই বেশি ফুটে উঠেছে। মনটাই খারাপ হয়ে গেল। এত চেষ্টা করার পর ও কিছুতেই দূর করতে পারছেন ব্রণ আর তার জেদি দাগ গুলো। আপনার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমাধান, একবার চেষ্টা করেই দেখুন।

কাঁচা-হলুদ ও চন্দন কাঠের গুঁড়াঃ সমপরিমাণ কাঁচা হলুদ বাটা এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি এরপর ব্রণ এর উপর লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এরপর শুকিয়ে গেলে মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও খুবই কার্যকরী।

মুলতানি মাটিঃ অনেকের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব ব্রণ এর জন্য অধিকাংশ সময় দায়ী।কারণ তৈলাক্ত গ্রন্থির তেল নিঃসরণ এর কারনে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এ সমস্যা বেশী দেখা যায়। মুলতানি মাটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে।মুলতানি মাটি পানি দিয়ে পেস্ট করুন। মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। যতদিন না ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কেটে যাচ্ছে, নিয়মিত ব্যবহার করুন।

চা-গাছের তেলঃ ব্রণ নিরাময় ও প্রতিরোধে চা গাছের তেল অনন্য। এতে আছে পচনরোধী অ্যান্টি-সেপটিক ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। কয়েক ফোঁটা চা গাছের তেল নরম টিস্যু তে নিয়ে ব্রণ আক্রান্ত স্থানে এবং দাগের মধ্যে আলতো করে লাগান। দেখবেন কয়েকদিনের মধ্যে সেরে উঠেছে।

আপেল ও মধুর মিশ্রনঃ আপেল পেস্ট করুন এবং তাতে ৫/৬ ফোটা মধু মেশান। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। একটু শুষ্ক হয়ে উঠলেই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার করে ১ সপ্তাহ ব্যবহার করুন। এক সপ্তাহ পর পরিবর্তনটা আপনিই লক্ষ করুন।

তুলসী পাতাঃ তুলসী পাতা ব্রনের জন্য খুবই কার্যকরী। এতে রয়েছে আয়ূরবেদিক উপাদান। তুলসী পাতা পেস্ট করে ব্রনের উপর লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ৭ থেকে ৮ দিন নিয়মিত ব্যবহার করুন।

দারুচিনিঃ দারুচিনি গুঁড়ার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট করুন। এটি ব্রনের উপর  লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তাৎক্ষণিক ভাবে ব্রনের ফোলা ভাব এবং ব্যথা দূর করবে। নিয়মিত ব্যাবহারে ব্রণ নির্মূল করে। ৩ দিন ব্যবহার করার পর পরিবর্তন টা আপনি লক্ষ করুন।

ডিমের সাদা অংশঃ ডিমের সাদা অংশের সাথে কিছু লেবুর রস মিশান। মিশ্রণ টি ব্রণ আক্রান্ত স্থানে ম্যাসেজ করুন। আধা ঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ১ সপ্তাহ ব্যবহার করুন।

পুদিনা পাতাঃ আমরা অনেকেই জানিনা পুদিনা পাতা ব্রণ দূর করতে বেশ উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে পেস্ট করুন। ব্রণের উপর ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। যতদিন ব্রণ দূর না হয় ততদিন ব্যবহার করুন।

নিম পাতাঃ কয়েকটি নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে পেস্ট করে নিন। এর মধ্যে এক চামচ মুলতানি মাটি, অল্প গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। প্যাকটা মুখে শুকিয়ে গেলে হালকা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। ৭ থেকে ৮ দিন মুখে ব্যবহার করুন।

ব্রণ হবার একটি অন্যতম কারণ হলো অপরিষ্কার ত্বক। তাই ত্বক রাখতে হবে পরিষ্কার। যারা প্রতিদিন বাইরে বের হন, বাহির থেকে এসেই মুখ ভালোভাবে পরিস্কার করুন। ধুলাবালি মুখের লোমকূপ এর মধ্যে ঢুকে ব্রনের সৃষ্টি হয়। যতটা সম্ভব তেলজাতীয় এবং ফাস্টফুড খাবার পরিহার করুন। প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি পান করুন। আপনার ত্বক থাকবে সতেজ।

আর হ্যাঁ যারা অনেকদিন চেষ্টা করেও ব্রণ দূর করতে পারছেন না, অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায় - Brighten face and skin



আসসালামু আলাইকুম পাঠক

আমি আজকে আলোচনা করবো খুবই গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয় নিয়ে এবং সেটি হচ্ছে মুখের উজ্জলতা বাড়ানোর কিছু ঘরোয়া টিপস :

চলুন দেড়ি না করে শুরু করা যাক।

প্রথমে কিছু কথা :
মুখের উজ্জলতা বেড়ে মুখ ফর্সা ও দাগহীন থাকুক এইটা আমরা সবাই চাই। বিষেশ করে মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যাটি বেশি লক্ষ্য করা যায় এবং এই নিয়ে তারা খুব দুশ্চিন্তা ও করে থাকেন। পার্লারের অনেক প্রসাধনী ব্যাবহার করেন কিন্তু সেগুলো ত্বকের জন্য আরো বেশি ক্ষতিকর হয়ে উঠে। কিন্তু এই সমস্যা সম্পরকে তারা কিছু না বুঝেই নানা প্রসাধনী ব্যবহার করেন।

প্রথমত মুখের উজ্জ্বলতা কতটুকু বাড়বে অথবা কমবে সেগুলো নির্ভর করে আমাদের নিত্যদিনের জীবন যাপনের মাধ্যম গুলোর উপর। আমরা প্রতিদিন আমাদের জীবনে নানা ধরনের কাজের মধ্যে থাকি। তবে সেগুলো পেশা ভিত্তিতে ভাগ করা থাকে।

কেউ বা ব্যাংকার আবার কেউ বা গ্রিহিনী। পেশা যার যেটাই হোক না কেনো মুখের স্কিনের যত্ন নেওয়া  আমাদের প্রতিদিনই  দরকার। কিন্তু কর্ম ব্যস্ততার জন্য তা ঠিক নেওয়া হয় না। যার ফলে ধীরে ধীরে আমাদের মুখের স্কিন অনেক রাফ হয়ে যায়। স্কিনের মস্রিনতা চলে যায় এবং মুখের স্কিন তার সাভাবিক উজ্জ্বলতা হারায়। মুখের রঙ কালো হয়ে যায়,  চেহারাতে দাগ,  ছোপ বেড়ে যায়।

খুব অল্প সময়েই মুখে বলিরেখা দেখা দিতে শুরু করে। তাই এসব কিছু থেকে স্কিনকে রক্ষা করতে প্রতিদিন কিছু ঘরোয়া রুপচর্চা করলে স্কিনের সকল সমস্যা দূর করা সম্ভব। সেই সাথে কিছু ছোট ছোট নিয়ম মেনে চললে স্কিন খারাপ অথবা অমসৃণ হয়ার কোনো সুযোগ বা ভয় থাকবে না।

চলুন কিছু ঘরোয়া রুপচর্চা জেনে নেই :

রুপচর্চা ১ : আলু পেষ্ট 
আলু মুখের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়া আমারা সকলেই জানি আলুর রস চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে অনেক ভালো কাজ করে থাকে।  ঠিক তেমনি মুখের লোম কুপে জমে থাকা ময়লা দূর করে মুখের ত্বক করে তুলে আরো ফরসা ও দাগহীন। ১ টি আলু ভালো করে সিদ্ধ করে তা খোসা ছাড়িয়ে চটকিয়ে তার সাথে ২-৩ চামচ টক দই মিশিয়ে ১ টি ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন।

তারপর মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে তাতে মিশ্রণটি ভালো করে মাসাজ করে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকে জমে থাকা ময়লা,  ধুলো গুলা লোমকূপ থেকে পরিষ্কার হয়ে মুখ আরো উজ্জ্বল ও ফরসা হবে। সেই সাথে মুখে কোনো দাগ থাকলে তা ধীরে ধীরে চলে যাবে। এই উপায়টি সপ্তাহে ৩ দিন করলে খুবই ভালো ফলাফল পাবেন।

রুপচর্চা ২ : মুসুর ডাল পেস্ট 
আমাদের আজকের মুখের উজ্জ্বলতা সমস্যার দিত্বীয় সমধান হচ্ছে মুসুর ডাল। আমরা সবাই জানি মুসুর ডাল আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে অনেকটা কার্যকরী পন্থা। মুসুর ডাল ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তারপর তা বেটে নিয়ে অথবা ব্লেন্ডারে পিশিয়ে নিয়ে তাতে ১ চামচ চন্দন গুড়ো মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট বানিয়ে নিন।

তারপর মুখ পরিষ্কার পানি দিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন অথবা গোলাপ জল দিয়ে ও ধুতে পারেন। মুখ শুকিয়ে নিন তারপর মিশ্রণ টি পুরো মুখে ভালো করে মাসাজ করে লাগান। ৫-৭ মিনিট মাসাজ করুন। তারপর ১৫ মিনিটের জন্য মিশ্রণটি মুখে রেখে দিন। ১৫ মিনিট পর মুখ ভালোকরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন এই উপায়টি অবলম্বন করুন। আশা করি এতে খুব ভালো ফলাফল পাবেন।

রুপচর্চা ৩ : বেকিং সোডা 
বেকিং সোডা খাবারের সাথে আমরা ব্যবহার করে থাকলেও এই বেকিং সোডা আমাদের মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে অনেক টা কার্যকর। বাকিং সোডা মুখের ময়লা দূর করে মুখের উজ্জলতা বাড়ায়। ১ চামচ বেকিং সোডার সাথে ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রন টি ৬-৭ মিনিট রেখে দিন।

এই সুযোগে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন ঠান্ডা পানি দিয়ে। তারপর তুলো দিয়ে গোল আকারের বল বানিয়ে নিন অথবা তুলো সেই মিশ্রনে ৫ মিনিট এর জন্য ভিজিয়ে রাখুন। ৫ মিনিট পর সেই তুলো দিয়ে আলতো করে মুখে মাসাজ করুন। ২ মিনিটের বেশি মাসাজ করার প্রয়োজন নেই। তবে খুব চেপে চেপে মাসাজ করবেন না। ৫ মিনিট মাসাজ করে তারপর মুখ হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই উপায়টি সপ্তাহে ১ দিন করলেই যথেষ্ট।

ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার কিছু উপায় : 
রোদে বের হওয়ার আগে সান্সক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে Lotus Sunscreen lotion / Cream ব্যবহার করতে পারেন। এটি সান্সক্রিন ক্রিম হিসেবে খুব ভালো কাজ করে।
রাতে ঘুমানোর আগে ভালো ব্রান্ডের নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে v7 tonight light cream টি ব্যবহার করতে পারেন। এটি খুব ভালো ব্রান্ডের পাশাপাশি বাজারে খুব অল্প সময়ে বাজার দখল করে নিয়েছে।

বেশি রোদে ছাতা ব্যবহার করুন এতে রোদ থেকে ত্বক রক্ষা পাবে এবং সানগ্লাস ব্যবহার করুন। এতে রোদে চোখে রশ্নি পরবে না।

উপরের নিয়ম গুলো মেনে চললে ত্বকের উজ্জলতা বাড়ার পাশাপাশি ত্বকের সাস্থ্য ও  ভালো হবে।

তেলতেলে ত্বক থেকে মুক্তি পান মাত্র ২ মিনিটে - Oil free skin



আসসালামু আলাইকুম পাঠক

আমি আজকে আলোচনা করবো খুবই গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয় নিয়ে এবং সেটি হচ্ছে মুখের তেলতেলে ভাব দূর  করে ত্বক আরো ফরসা ও লাবন্যময় করে তোলার কিছু ঘরোয়া টিপস :

চলুন দেড়ি না করে শুরু করা যাক।

প্রথমে কিছু কথা :
মুখের দাগ ছোপ বাদ দিয়ে পরিষ্কার এবং ফ্রেশ আমারা সকলেই রাখতে চাই। মুখ ফর্সা ও দাগহীন থাকুক এইটা সবারই কাম্য । তবে, ত্বক যখন খুব তেলতেলে হয় তখন সেক্ষেত্রে সমস্যাটি হয়ে ওঠে ব্যাপক। তবে সমস্যাটি শুধু মহিলাদেরই নয় পাশাপাশি পুরুষের মধ্যেও লক্ষ্য করা যায়। ত্বক যদি বেশি তেলতেলে হয় তবে সেক্ষেত্রে ব্রন,  গোটা এবং নানা ধরনের স্কিন সমস্যা হয়ে থাকেই এবং এই নিয়ে পুরুষ ও মহিলা উভয়ই  খুব দুশ্চিন্তা ও করে থাকেন। পার্লারের অনেক প্রসাধনী ব্যাবহার করেন কিন্তু সেগুলো ত্বকের জন্য আরো বেশি ক্ষতিকর হয়ে উঠে। আর তাছাড়া পার্লারের কোনো প্রসাধনী কি আজও কোনো ভালো সমাধান দিতে পেরেছে???  কখনোই না। বরং এইগুলো আরো বেশি সমস্যার সিষ্টি করে।আর অধিকন্তু মানুষ এই সমস্যা সম্পরকে কিছু না বুঝেই নানা প্রসাধনী ব্যবহার করেন। প্রথমত মুখ তেলতেলে ও ছিপছিপে ভাব হওয়ার বেশ  কিছু কারন রয়েছে। সেগুলো ১ বার দেখে নেওয়া যাক।

কারন : 
১. মুখে অতিরিক্ত লোম থাকা।

২. মুখ পরিষ্কার না রাখা বা ময়লা জমে থাকলে।

৩. মুখ বেশি ঘামলে।

৪. হরমোন জনিত সমস্যা থাকলেও মুখ তেলতেলে  হয়ে থাকে।

৫. অতিরিক্ত ঘাম যাদের হয় তাদের মুখ তেলতেলে থাকে বেশির ভাগ সময়ই এবং তাদের মধ্যেই ব্রনের সমস্যা টি বেশি দেখা দেয় কারন,  ঘাম মুখের লোম কুপের মধ্যে প্রবেশ করে লোম কুপ বন্ধ করে দেয় এবং ময়লা জমে মুখে ব্রনের দেখা দেয়।

উপরের কারন গুলোর জন্যই একজন ব্যক্তির মুখে তেলতেলে ও ছিপছিপে ভাব হয় যা সাধারণত  ব্রন ও অন্যান্য স্কিন সমস্যার  মুল কারন। তাই স্কিন যাতে সবসময় তেলতেলে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং কিছু নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে।

নিচে কিছু করনীয় আছে যেগুলো মেনে চললে তেলতেলে ভাব হওয়ার আশংকা অনেকটা হ্রাস পাবে।

 চলুন করনীয় গুলো এক নজর দেখে নেওয়া যাক।

করনীয় : 
 স্কিন তেলমুক্ত রাখতে হলে অবশ্যই ৩ টি উপায় নিয়মত অবলম্বন করতে হবে।

সেগুলো হলো :

১. স্কিন ক্লিঞ্জিং

২. টোনিং

৩. মোইশ্চরাইজিং।

নিম্নে বিস্তারিত ব্যাখা দেওয়া হল :

১. স্কিন ক্লিঞ্জিং : 
স্কিন ক্লিঞ্জিং বলতে মুলত মুখটাকে পরিষ্কারের ব্যপার টি কে বুঝি। আমরা ঘরোয়া উপায়ে ক্লিঞ্জিং বানিয়ে তা ব্যবহার করবো। তার জন্য আমাদের যা লাগবে তা হল – ১ চামচ বেসন, ১ চামচ মুলতানি মাটি, ১/২ চা  চামচ কাচা হলুদ গুড়া। এই ৩ টি উপাদান ভালো করে মিশিয়ে তাতে ৪ চা চামচ গোলাপ পানি  বা গোলাপ জল মিশিয়ে ১ টি পেস্ট বানিয়ে তা পরিষ্কার মুখে ভালোভাবে মেসেজ করে নিন ৫ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এই সব গুলো উপাদান প্রাকৃতিক এবং এইগুলো তে কোনো পার্শপ্রতিকিয়া নেই বলে এইগুলো আমাদের স্কিনের জন্য উপকারি।

২. টোনিং : 
স্কিন ক্লিঞ্জিং এর পরের ধাপ হচ্ছে স্কিন টোনিং করা। টোনার ও আমরা ঘরোয়া উপায়ে বানিয়ে নিব। আমাদের স্কিন যদি সেন্সিটিভ হয় তাহলে আমরা গ্রিন টি টোনার ব্যবহার করবো। গ্রিন টি গরম পানি তে ১০ মিনিট রেখে দিয়ে তা ঠান্ডা হলে ভালোভাবে ছেকে নিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে তা মুখে স্প্রে করুন এবং শুকাতে দিন এতে করে স্কিন এর ডেড সেলস দূর হবে। স্কিন সতেজ থাকবে। রিংকেলস আসবে না। আর যদি আমাদের স্কিন অয়লি হয় তবে আমাদের জন্য শসা এবং টমেটোর টোনার টি সবচেয়ে কার্যকর। শসার রস এবং টমেটোর রস ভালো করে মিক্স করে স্প্রে বোতলে ভরে মুখে স্প্রে করুন এতে মুখ পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত তেল ও চলে যাবে। আর যদি স্কিন ড্রাই হয় তাহলে গোলাপ জল ও মধুর টোনার টি খুব ভালো হবে। গোলাপ জলের সাথে ১/৩ চা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে স্প্রে করে নিলে মুখের শুষ্কতা কমে যাবে এবং ফেস লাবন্য হবে।

৩. মোয়েশ্চরাইজিং :
মোয়েশ্চরাইজিং বলতে সাধারণত মুখে আমরে যেসকল ক্রিম নাইট ক্রিম ব্যবহার করে থাকি সেগুলো ব্যবহার করাটাই বুঝাচ্ছি। বর্তমানে বাজারে অনেক ভালো ব্রান্ডের ক্রিম বা নাইট ক্রিম পাওয়া যায় যেগুলো মুলত হারবাল। আমরা জানি হারবাল প্রোডাক্ট আমাদের জন্য ক্ষতিকর নয়। কেননা এতে অন্যান্য ব্রান্ডের চেয়ে পার্শপ্রতিক্রিয়া তুলনামূলক সামান্য থাকে যা ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতির আশংখা  থাকে না। যেমন : Lotus Night Cream , V7 tonight Light Cream , Himalaya Night Cream & Patanjali Night Cream , Dove Moistourizing Night Cream ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো অনেক আগে থেকে বাজারে ভালো সুনাম বয়ে আনছে এবং ক্রেতাদের মনও কেড়ে নিয়েছে। এই ক্রিম গুলো রাতে ঘুমাবার আগে মুখে ব্যবহার করুন এবং সকালে মুখ ভালোকরে ধুয়ে ফেলুন।

উপরিউক্ত নিয়মাবলী মেনে চললে এবং ক্ষতিকর উপাদান বা প্রসাধনী  ব্যবহার থেকে বিরত থাকলে মুখের তেলতেলে ভাব কমে যাবে । সেই সাথে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল ও লাবণ্যময়।

আশা করছি আমার লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং ভালো উপকার পাবেন। আপনাদের দোয়ায় আজকে বিদায় নিচ্ছি। তবে আবারো কথা হবে ভিন্ন কিছু সমস্যা এবং তার প্রতিকার নিয়ে।  ভালো থাকুন,  সুস্থ্য থাকুন।

Thursday 15 August 2019

ব্রেইনের জন্য সুখাদ্য: ব্রেইন পাওয়ার বাড়াবেন কিভাবে - Increase brain power



ব্রেইন আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ব্রেইনের যত্ন নেয়ার কথা আমরা তেমন ভাবি না! শুধু অভিযোগ করে যাই আমার মাথা ঠিকমতো কাজ করছে না বা আজকাল আমার কিছুই মনে থাকে না! অন্যান্য অঙ্গের মতো ব্রেইনেরও খাবার, পুষ্টি ও এনার্জি দরকার। টোটাল বডি এনার্জির ২০ শতাংশ ব্রেইন ব্যবহার করে।

তাই আমাদের দৈনিক খাবার মেনু এমন হওয়া উচিত, যেন তা ব্রেইনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও এনার্জি সরবরাহ করতে পারে।
যে খাবার ডায়েট চার্টে রাখতে হবে

স্বাস্থ্যকর ফ্যাট- ব্রেইন গঠন করে

স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হল ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যা ব্রেইনের মেরামত ও নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়া এগুলো আপনাকে নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী করে এবং মানসিকভাবে ভালো অনুভব করায়। ওলিক এসিড ব্রেইনকে ক্ষীপ্র করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট- ব্রেইনকে সুরক্ষা দেয়

খাবারে এ উপাদানের অভাব থাকলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। তাই Antioxidants সমৃদ্ধ খাবারের দিকে নজর দিতে হবে। এর ভালো উৎস হল- সবুজ চা, ব্লুবেরী ও অন্যান্য বেরীজাতীয় ফল, লাল আঙ্গুর, টমেটো, গাজর, রসুন, পালং শাক, whole grains ও সয়া দ্রব্য।

ভিটামিন ও মিনারেলস- ব্রেইনের গঠনকারী ইট

সুনির্দিষ্ট কিছু ভিটামিন ও মিনারেলস ব্রেইনের গঠনে প্রয়োজন। ব্রেইনের কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন হল- Vitamins C, B12 I B6. মিনারেলসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল- ক্যালসিয়াম ও আয়রন। এসব ভিটামিন ও মিনারেলস নিয়মিত খেতে হবে।

আঁশ- ব্রেইনে ফুয়েল সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে

ব্রেইন শুধু গ্লুকোজ থেকেই শক্তি নিতে পারে। রক্তে এ গ্লুুকোজের সরবরাহ ধীর ও নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে আঁশজাতীয় খাবার। ভালো পরিমাণে আঁশ পাওয়া যাবে : শুষ্ক ফল (কিশমিশ, খেজুর, কালো কিশমিশ), বিভিন্ন রকমের শাকসবজি, আস্ত ফল (যেমন- আপেল, কমলা, নাসপতি) whole wheat grains (বার্লি, লাল চাল, বিভিন্ন ধরনের whole wheat pastas and cereals)।

পানি- ব্রেইনকে আর্দ্র রাখে

সামান্য পানিশূন্যতাও মানসিক শক্তি কমিয়ে দেয় এবং স্মৃতিশক্তির ওপর প্রভাব ফেলে।তাই কমপক্ষে ২.৫-৩ লিটার দৈনিক পানি পান করা উচিত।

কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন

কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার serotonin-এর লেভেল ঠিক রাখে। ঘুমের ধরন, মুড, appetite ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্রেইনের কোষ serotonin ব্যবহার করে। এছাড়া অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও নিয়ন্ত্রণ করে serotonin। তাই জটিল কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে।

প্রয়োজন নিয়মিত গ্লুকোজ সরবরাহ

ব্রেইন শুধু গ্লুকোজ থেকেই শক্তি নিতে পারে। নিয়মিত খাবার গ্রহণ না করলে রক্তে গ্লুকোজ লেভেল কমে যায়। ফলে মেমোরি লস হতে পারে। দেখা যায় যারা সকালের নাশতা বাদ দেয় তাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়। খুব তাড়াতাড়ি গ্লুকোজ পাওয়া যাবে আস্ত ফল থেকে, যেমন- আপেল, কমলা, আঙ্গুর ইত্যাদি।

শিম (Fava Beans)

শিমে খুব ভালো পরিমাণে আছে লোভাডোপা। আমাদের ব্রেইন লোভাডোপাকে ডোপামিনে রূপান্তরিত করে।

হার্বস

হার্বস খাবারের স্বাদই শুধু বাড়ায় না, আমাদের চিন্তা-ভাবনায়ও বিশেষ প্রভাব ফেলে। হার্বস স্মৃতিশক্তি উন্নত করে, মানসিক দক্ষতা বাড়ায়, মনোযোগ বাড়ায়, মানসিক সতর্কতা বাড়ায়।

মাছ

প্রোটিন হল নিউরোট্রান্সমিটার তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রয়োজন। মাছ হল প্রোটিনের ভালো উৎস। এছাড়া মাছে আছে essential oils যা ব্রেইনের বর্ধন, সুরক্ষা ও কাজের জন্য প্রয়োজন।

বিভিন্ন রকমের বাদাম ও বীজজাতীয় খাবার ফুলকপি, ব্রোকলি, বাঁধাকপি ব্রেইনের জন্য উপকারী।

মুখে ঘা বা ঠোঁটে ঘা হলে করণীয়: মুখে ঘা বা ঠোঁটে ঘা হলে কী করবেন?


চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, প্রায় দুশো রোগের প্রাথমিক লক্ষণ প্রকাশ পায় মুখগহ্বরের ঘা-এর মাধ্যমে। মুখের ভেতরের মাংসে বা জিহ্বায় ঘা হয়, ব্যথা করতে থাকে, কিছু খেতে গেলে জ্বলে… মোটামুটি এগুলোই হচ্ছে মুখে ঘা এর প্রাথমিক লক্ষণ। অনেকেরই এ সবের সঙ্গে সঙ্গে মুখ ফুলে যাওয়া বা পুঁজ বের হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সাধারণত, মুখে গালের ভেতরের অংশে বা জিভে ঘা হয় কোনওভাবে কেটে ছিড়ে গেলে। আবার শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলেও এ সমস্যা দেখা দেয় অনেকেরর। খুব গরম পানীয় পান করলে বা কিছু চিবাতে গিয়ে গালের ভেতরে কামড় লাগলেও ঘা হতে পারে। মুখের ভেতরের অংশে বা ঠোঁটে আলসার বা ঘা হলে ———–

কীভাবে সাবধানে থাকবেন-

১. মুখে আঘাতের বিষয়ে সাবধানে থাকবেন। দাঁত ব্রাশের সময় সতর্ক থাকবেন। দাঁত আঁকাবাঁকা থাকলে সেটার চিকিৎসা করান।

২. এ সমস্যা রোধের জন্য পরিমিত খাবার, ঘুম, মানসিকভাবে চাঙা থাকার চেষ্টা করবেন।

কী করবেন ঘা হলে-

যষ্টিমধু
যষ্টিমধু মুখের ঘা দূর করতে বেশ কার্যকরী একটি উপাদান। এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দুই কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এটি দিয়ে কয়েকবার কুলি করুন। উপকার পাবেন।

ধনে পাতা
ধনে পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করুন। দিনে কয়েকবার করে করলে আরাম পাবেন।

অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জেল বা অ্যালোভেরার রস মুখের ঘা কমিয়ে দিতে পারে। অ্যালোভেরা জেল প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক, যার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফিংগাল, অ্যান্টিভাইরাল উপাদান ক্ষত কমিয়ে দিতে পারে।

নারকেল দুধ
এক টেবিল চামচ নারকেল দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ দিনে তিন থেকে চারবার ঘায়ের জায়গায় লাগান। মধু ছাড়া শুধু নারকেলের দুধ দিয়েও ক্ষত স্থানে মালিশ করতে পারেন। এবং ক্ষত দ্রুত সেরে যাবে।

তুলসি
তুলসির পাতায় অনেক ওষুধি গুণ থাকে। মুখে ঘা হলে কয়েকটি তুলসির পাতা চিবিয়ে নিন। তুলসি পাতার রসে ঘা সেরে যাবে।বা কয়েকটি তুলসি পাতাসহ পানি দিনে তিন থেকে চারবার পান করুন। এটি দ্রুত মুখের ঘা প্রতিরোধ করে দেবে এবং মুখের ঘা হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেবে।

টি ব্যাগ
দ্রুত ব্যথা এবং জ্বালা দূর করতে টি ব্যাগ খুবই কার্যকর। একটি টি ব্যাগ ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে সেটি ঘায়ের জায়গায় লাগান। ব্যথা এবং ক্ষত দ্রুত সেরে যাবে।

টমাটো
খাবারের সঙ্গে পাতে কাঁচা টমাটো খাওয়া অভ্যাস করুন। কয়েক দিন খেলেই মুখের ভেতরের ঘা সেরে যাবে।

বরফ বা ঠাণ্ডা পানি
মুখের ঘায়ের ব্যথা বেশি হলে এক টুকরা বরফ নিয়ে ঘায়ের স্থানে রাখুন। অথবা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। লবণ-পানি দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন, এটি মুখের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।

মধু
একটি তুলোর বলে মধু লাগিয়ে নিতে হবে। এবার এটি মুখের ঘায়ের স্থানে লাগান। এছাড়া মুখের ঘায়ের স্থানে গ্লিসারিন, ভিটামিন ই অয়েল লাগাতে পারেন।প্রয়োজনে বিডি হেলথ খাঁটি মধু কিনুন।
লবণ
এক কাপ গরম পানিতে এক চিমটি লবণ ফেলে কুলকুচি ও গার্গল করুন। এতে ঘা হওয়া জায়গাটি তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে। খাওয়ার আগে কুলকুচি করলে বেশি ফল পাবেন।

লবঙ্গের রস

এক টুকরা লবঙ্গ মুখে দিয়ে রাখুন বা লবঙ্গের রস দিয়ে ক্ষত স্থানটিতে লাগাতে পারেন। উপকার পাবেন।
হলুদ
হলুদ গুঁড়ো নিয়ে তাতে সামান্য মধু মিশিয়ে সেই মিশ্রণ মুখের ভেতরে হওয়া ঘা-এ লাগান।

পানি দিয়ে গার্গল
প্রথমে গরম পানি গার্গল করে সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা পানিতে গার্গল করতে পারেন। এই টোটকা কাজে দেবে। কয়েকবার পাল্টে পাল্টে করলে উপকার পাবেন।

বেকিং সোডা
বেকিং সোডা ক্ষারীয় তাই এসিডকে নিরপেক্ষ করে ও মুখের ঘা কে বিরক্ত করে এবং ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে ঘা নিরাময়ে সাহায্য করে। ১/২ কাপ উষ্ণ গরম পানিতে ১ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।

ফিটকিরি
মুখের ঘা যেহেতু সব সময় আদ্র থাকে তাই এই ঘা সারানোটা একটু কঠিন। আচার বানানোর জন্য ও শশা থেকে পানি বের করার জন্য ফিটকিরি পাউডার ব্যবহার করা হয়। ঠিক তেমনি মুখের ঘা শুকানোর জন্য ও ফিটকিরি পাউডার কাজ করে। ফিটকিরির একটা ছোট টুকরা সরাসরি মুখের ঘা এর মধ্যে লাগান। ১ মিনিট এভাবে রেখে দিন। এটা স্বাদে তিক্ত তাই ভালো লাগবেনা, রসটুকু গিলে ফেলবেন না। ৬০ সেকেন্ড পরে লালা সহ ফিটকিরি বাহির করে ফেলুন। তবে মুখ ধুয়ে ফেলবেন না। এতে করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ব্যথা কমে যাবে। আপনার আলসারটি যেতে হয়তো দুই বা তিন দিন সময় লাগবে তবে ব্যথা চলে যাবে তাড়াতাড়ি। যদি ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যথা না যায় তাহলে প্রক্রিয়াটি আবার অনুসরণ করুন।

সতর্কতা – এক আউন্স ফিটকিরি মানুষের জন্য বিষের মত কাজ করে। গর্ভবতী ও শিশুদের জন্য এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা নিষেধ।

এছাড়াও আরও কিছু টিপস

১) বাইরের পানীয় থেকে বিরত থাকা। মসলা যুক্ত খাবার পরিহার করা।

২) রাতে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমান।

৩) ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নেওয়া।

৪) নরম দাঁত ব্রাশ ব্যবহার করা, মুখে কোন চাপ না দেওয়া।

৫) মোটামুটি ভাবে ৭ দিনের মধ্যে এই ঘা ভালো হয়ে যায়। যদি ভালো না হয় অথবা ব্যথা থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ মাফিক carmellose sodium, benzocaine gels যুক্ত পেস্ট ও জেল মুখে লাগানো যায়। Chlorhexidine mouthwash মাউথ অয়াশ মুখের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। বাজারে Bongel cream, viodin mouthwash, riboflabin পাওয়া যায়, যেটা মুখের ঘা এর জন্য ভালো।

৬) মিল্ক অব ম্যাগনেসিয়ার এন্টাসিড উপাদান মুখের এসিডকে নিষ্ক্রিয় করে যা মুখের ঘা এর তীব্রতা বাড়ায়। একটি কটন বলে মিল্ক অব ম্যাগনেসিয়া লাগিয়ে মুখের ঘায়ে লাগাতে পারেন দিনে ৩-৪ বার।

৭) অ্যান্টাসিড ট্যাবলেট মুখের ঘা এ লাগিয়ে রেখে দিলে ব্যথা কমে যাবে ও নিরাময় হবে।

৮) হাইড্রোজেন পারক্সাইড দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ঘা ভালো হয়।

৯) প্রতিদিন টকদই খান।

১০) মুখের আলসার হলে এসিডিক খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এসিড মুখের ঘা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

এবার ডাক্তারদের ফি নির্ধারণ করে দিবে সরকার,থাকছে জেল-জরিমানা


প্রায় ৩৪ বছর পর ডাক্তারদের চিকিৎসা বাবদ ফি নির্ধারণ করতে যাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়াও করা হয়েছে, যা বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইন ২০১৬ নামে অভিহিত হবে। নতুন আইন অনুযায়ী অফিস সময়ে কোনো ডাক্তার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কিংবা ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখতে পারবেন না। ছুটির দিনে নিজ জেলার বাইরে গিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখতে পারবেন না। উল্লিখিত নিময় না মানলে ওই ডাক্তারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হবে। এছাড়া আদালত উপযুক্ত মনে করলে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানের সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন।

 এছাড়া নতুন এ আইনে ডাক্তাররা সরকার নির্ধারিত ফি’র তালিকা চেম্বারের সামনে দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে বাধ্য থাকবেন। আদায় করা ফি বাবদ রোগীকে রসিদ দিতে হবে। রশিদের মুড়ি ডাক্তার নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করতে বাধ্য থাকবেন। কোনো ডাক্তার স্বীকৃত, অনুমোদিত সার্টিফিকেট কোর্স, ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি ছাড়া কোনো যোগ্যতার বিবরণ সাইনবোর্ড, নামফলক কিংবা ভিজিটিং কার্ডে ব্যবহার করতে পারবেন না। মুক্তিযোদ্ধা ও দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের জন্য বিনামূল্যে শতকরা ১০ ভাগ শয্যা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

ডাক্তারের বিরুদ্ধে চিকিৎসাসংক্রান্ত যে কোনো ধরনের অবহেলার অভিযোগ তদন্ত করবে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল। ওই সংস্থার তদন্তে কোনো ডাক্তার দোষী হলে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। পক্ষান্তরে কোনো ব্যক্তি ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে মারা গেলে কিংবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভাংচুর করলে এবং এর ফলে কোনো ডাক্তার কিংবা বেসরকারি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হলে আক্রমণকারীকে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হবে। এছাড়া অতিরিক্ত ফি আদায় করলে ডাক্তারের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।

আইনের খসড়া নিয়ে মঙ্গলবার এক বৈঠক শেষে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ১৯৮২ সালে এ সংক্রান্ত একটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ওই আইন চলে আসছে। তবে যুগের পরিবর্তনের কারণে আইনটি প্রতিপালন হচ্ছে না। তাই নতুন করে একটি আইনের খসড়া তৈরি করে সমন্বয় সভা করা হয়েছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

বৈঠক শেষে স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ইকবাল আর্সনাল বলেন, নতুন আইন প্রণয়নের প্রাথমিক কাজ চলছে। ডাক্তরদের ফি এখনও নির্ধারণ হয়নি। তবে আইনটি চূড়ান্ত করা হলে তাতে ডাক্তারের ফি ও চিকিৎসাসংক্রান্ত অন্যান্য চার্জ উল্লেখ থাকতে পারে। এর বাইরে আর কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

আইনের খসড়া থেকে জানা যায়, সরকার সময়ে সময়ে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ডাক্তারদের ফি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষাসংক্রান্ত চার্জ নির্ধারণ করে দেবে। কোনো ডাক্তার সেবাসংক্রান্ত কোনো ধরনের মিথ্যা প্রত্যয়নপত্র প্রদান করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে কোনো অর্থকড়ি নেয়া যাবে না। বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে অথবা ডাক্তারের ব্যক্তিগত চেম্বারে বাধ্যতামূলকভাবে রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করতে হবে। চিকিৎসাসংক্রান্ত সব তথ্য রেজিস্টারে লিখে রাখতে হবে। ওই রেজিস্ট্রার গোপনীয় দলীল হিসেবে গণ্য হবে। রোগীকে রোগের বিবরণ জানাতে হবে। প্রয়োজনীয় ও বিকল্প চিকিৎসা, চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, চিকিৎসা পদ্ধতি এবং অস্ত্রোপচারের জটিলতা সম্পর্কে রোগীকে অবহিত করতে হবে। এমনকি খাতওয়ারি চিকিৎসা ব্যয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিতে হবে। সন্দেহজনক মৃত্যু, আত্মহত্যা, বিষ প্রয়োগ, বেআইনি গর্ভপাত, অগ্নিদগ্ধ হওয়া, দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতি, লাঞ্ছিত ও প্রহৃত ক্ষতি, অন্যের দ্বারা যে কোনো ধরনের আঘাতজনিত ক্ষতির ক্ষেত্রে চিকিৎসককে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করতে হবে। ডাক্তারের বিরুদ্ধে অপরাধগুলোর তদন্ত ও বিচার ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৫নং আইনের আওতায় পরিচালিত হবে। ডাক্তারের অপরাধের ফলে রোগীর মৃত্যু হলে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি-১৮৬০ এর ৪৫নং আইনের বিধান প্রযোজ্য হবে। এছাড়া সরকারি লাইসেন্স ছাড়া বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করলে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

বেসরকারি কোনো চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষমতাপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা পরিদর্শন, চিকিৎসাসংক্রান্ত যন্ত্রপাতি, কাগজপত্র পরীক্ষা করতে পারবেন। সরকারি নিয়মনীতি লঙ্ঘিত হয়েছে- প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যাবে। চিকিৎসক আইন না মানলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিদর্শনকালে যদি প্রমাণ হয় জনস্বার্থেই এ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া দরকার, তাহলে সরকার যে কোনো বেসরকারি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দিতে পারবেন। এমনকি লাইসেন্সও বাতিল করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ১৫ দিনের সময় দিয়ে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। লাইসেন্স বাতিল হলে বেসরকারি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে চিকিৎসারত ব্যক্তিদের ওই প্রতিষ্ঠান নিজ খরচে অন্য চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে। এ আইন কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্য মেডিকেল প্রাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ রেগুলেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৮২ বাতিল বলে গণ্য হবে।

Saturday 27 July 2019

সত্যিই কি স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল?

Health and Skin Care Tips
Health and Skin Care Tips


যার স্বাস্থ্য ভালো থাকে তার মধ্যে আশা থাকে, আর যার মধ্যে আশা থাকে তার মধ্যে সবকিছুই থাকে - থমাস কারলেইল

পরিচিত কারও সাথে দেখা হলে সচরাচর আমরা জিজ্ঞেস করি, কেমন আছেন? মূলত যে বিষয়টার খবর আমরা জানতে চাই, তা হলো স্বাস্থ্য। শরীরটা ভালো যাচ্ছে তো? কোনো অসুখ-বিসুখ দানা বেঁধেছে কি না! আবার পুরোনো অসুখ থাকলে সেগুলো স্থিতিশীল বা ভালোর দিকে যাচ্ছে কি না। আমি আপনাকে একই প্রশ্ন করছি, আপনার শরীর ভালো তো?

তবে শরীর ভালো থাকা বা কোনো অসুখ-বিসুখ না থাকাকে সুস্বাস্থ্য বোঝায় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, শারীরিক সুস্থতা নয়, স্বাস্থ্য বলতে একজন ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক অবস্থার সামগ্রিক কল্যাণকর অবস্থাকে বোঝায়।

এর থেকে দেখা যাচ্ছে স্বাস্থ্য= শারীরিক+মানসিক+সামাজিক, এই তিনটি অবস্থার সুষম অবস্থাকে বোঝায়। অর্থাৎ স্বাস্থ্যের সাথে আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সবকিছুই জড়িত। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে কোনোকিছুই ভালো থাকে না। সাফল্য, মানসিক প্রশান্তি তাদের মধ্যে অন্যতম। একারণেই বলা হয়ে থাকে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।

ধর্ম ও দর্শন শাস্ত্রেও শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মধ্যযুগে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করত, অসুস্থতা হচ্ছে পাপের জন্য মানুষকে ঈশ্বরের দেওয়া শাস্তি। দেহকে ধরা হতো ‘টেম্পল অব গড’। বিধাতা দেহ দান করেছেন, সুতরাং তার পরিচর্যা করা মানুষের ধর্মীয় দায়িত্ব।

আধুনিক যুগে শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা এসেছে। কিন্তু স্বাস্থ্য ভালো রাখার গুরুত্ব কোনো অংশে কমেনি; বরং বেড়েছে।

আগের প্রশ্নে ফিরে আসি, আপনার স্বাস্থ্য কেমন চলছে? আপনি বলবেন, “হ্যাঁ, ভালো আছি, বেশ ভালো”।

গুড! ভালো থাকলেই ভালো। এরকমটাই চাওয়া। আচ্ছা, সেই ভালো থাকাটা কতটুকু ভালো একটু খেয়াল করে দেখেছেন কি? স্বাস্থ্যের সাথে জড়িয়ে একটা শব্দ বলা হয় ‘ফিটনেস’। খেলোয়াড়দের বেলায় বেশি শোনা যায়। অমুকের তো শারীরিক ফিটনেস নেই, তাকে দলে রাখার কোনো মানে হয় না। খালি চোখে ভালো বা সুস্থ দেখালেও ফিটনেসে রয়েছে অধিকাংশ মানুষের সাংঘাতিক ঘাটতি।

আপনার অনুসন্ধানী মন সচল করুন। ছোট একটি পর্যবেক্ষণ করি। আপনার শ্রেণির বা কর্মক্ষেত্রের অন্তত পাঁচজনকে গভীরভাবে খেয়াল করুন। অথবা বাসে, ট্রেনে কোথাও যাচ্ছেন, আশপাশের পাঁচজন অপরিচিত মানুষকে মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করুন। তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস লক্ষ করুন, গলার স্বর ভালো করে শুনুন, কতবার হাঁচি-কাশি দেয়, হিসাব রাখুন। এরপর তাদের আলাপ শুনুন। কতবার তারা বলছে, ভালো লাগছে না, বিরক্ত লাগছে, বিমর্ষ লাগছে, দুর্বল লাগছে, খেয়াল করুন। আরও দেখুন তাদের চোখ, চোখের নিচের অংশ, নাক, ঠোঁট, শ্বাসের ওঠানামা, শারীরিক আকার-আকৃতি।

এবার আপনি বলুন, যে পাঁচজন মানুষকে পর্যবেক্ষণ করলেন, তাদের ফিটনেস কেমন? ১০০ নম্বরের মধ্যে কে কত পাবে? তাদের গড় নম্বর কত?

এই পরীক্ষাটা আপনি আপনার নিজের স্বাস্থ্যের জন্য অথবা পরিবার, পরিচিতদের জন্যও করতে পারেন।

আমি যত জনকে এভাবে দেখেছি, তাদের গড় নম্বর ৫০ থেকে ৬০ এর মধ্যে ছিল। এর বেশি দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাহলে বলেন, দেহ যদি আপনার গাড়ির ইঞ্জিন হয়, আর সেই ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা যদি সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ হয়, তবে ফলাফল কেমন হবে?

এখন পর্যন্ত যা কিছুই শিখেছেন, বুঝেছেন, কোনোটাই ফলপ্রসূ প্রয়োগ করতে পারবেন না; যদি আপনার শরীরটা ভালো না থাকে। বই পড়ে কী হচ্ছে? আপনার চিন্তার জগতে আঘাত হানছে। তার মানে সাফল্যের জন্য আপনার চিন্তাকে শাণিত করতে হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, শুধু চিন্তা করেই চিন্তাকে শাণিত করা যায় না। বাইরে থেকে কিছু করতে হবে, যাতে আপনার চিন্তার উন্নতি হয়। সেই বাইরের পথটা হলো আপনার দেহ। নিজেকে দিয়েই পরখ করে দেখুন, যেদিন আপনার শরীরটা চনমনে থাকে, কাজ করতে কেমন লাগে? আউটপুট কেমন হয়?

শারীরিক অসুস্থতা কি পড়ালেখা ও মানসিক স্বাস্থ্যের সুস্থতার ওপর কোনো প্রভাব বিস্তার করে? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৬০০ ছাত্রছাত্রী নিয়ে একটি গবেষণা করি। প্রতিষ্ঠিত মনোবৈজ্ঞানিক স্কেলের মাধ্যমে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য, আত্মমর্যাদাবোধ, ইনটারনেট-আসক্তি পরিমাপ করা হয়। সেই সাথে তারা কোনো ধরনের শারীরিক অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে কি না, সেটাও জানা হয়। ফলাফল বিশ্লেষণ করে আমরা দেখতে পাই, যাদের কোনো না-কোনো ধরনের শারীরিক অসুস্থতা ছিল, তাদের সম্মান ফাইনাল সিজিপিএ শারীরিকভাবে সুস্থদের তুলনায় কম। শুধু রেজাল্টই নয়, তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও আত্মমর্যাদাবোধ সুস্থ ছাত্রছাত্রীদের তুলনায় অনেক খারাপ।

শুধু গরিব বা গ্রামের অশিক্ষিত লোকজনের মধ্যেই না, শিক্ষিত সচ্ছল মানুষরাও সমানভাবে ফিটনেসের ঘাটতিতে রয়েছে।

এই ফিটনেস না থাকার কারণে ক্লাসে ছেলেমেয়েরা মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না, পরীক্ষায় সমানভাবে ভালো লিখতে পারে না। অফিসের লোকজন শতভাগ দিতে পারেন না। ফিটনেসের কারণে যে তারা ভালোভাবে কাজ করতে পারছেন না, এটাও স্বীকার করেন না। নানা অজুহাত অভিযোগ আর ফাঁকি দেওয়ার ফন্দি আঁটেন। অথচ মানুষটার ভেতরে রয়েছে অপরিসীম সম্ভাবনা।

এবার কর্মক্ষেত্রের একটা ঘটনা বলি। আপনি হয়তো অনেক শুনে এসেছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা পাঠান। কিন্তু জানেন কি, বাংলাদেশ থেকে কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশিরা রেমিট্যান্স হিসেবে পাঠায়? বিভিন্ন দেশ থেকে রেমিট্যান্স পাওয়ার দিক দিয়ে ভারত সবার ওপরে। সিপিডির গবেষণা মতে, ভারতের রেমিট্যান্স আসার তৃতীয় সর্বোচ্চ উৎস দেশ হলো বাংলাদেশ।

২০১৩ সালে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ভারতে পাঠিয়েছে বাংলাদেশে কর্মরত ভারতীয়রা। ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আসলেই কত টাকা? পদ্মা সেতু বানানোর খরচটা তুলনা করলেই বোঝা যাবে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে খরচ হবে খুব বেশি হলে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ভারতীয়রা রেমিট্যান্স হিসেবে প্রতিবছর একটা করে পদ্মা সেতুর চেয়ে বেশি টাকা তাদের দেশে পাঠাচ্ছে। কে বলে বাংলাদেশ গরিব?

আমি খোঁজ করলাম, কী এমন কাজ ভারতীয়রা বাংলাদেশে করে, যা বাংলাদেশীদের দিয়ে হয় না? কেনইবা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো ভারতীয়দের কাজ দিচ্ছে? ভারতীয়দের সাথে কাজ করে, এরকম বেশ কয়েকজন বাংলাদেশীর সাথে আলাপ করে জানতে পারলাম এর উত্তর। অনেক ফ্যাক্টর আছে। ফর্মুলা সহজ, আপনি তাকেই কাজে নেবেন দিন শেষে যে আপনাকে বেশি আউটপুট দেবে। গড়ে ভারতীয়দের কাজের আউটপুট বাংলাদেশিদের চেয়ে ভালো। তারা ছুটি কম নেয়। শারীরিকভাবে ফিট থাকে। সময়ের কাজ সময়ে শেষ করে।

বিছানায় ঝিম মেরে শুয়ে থাকলেই ঘুম হলো না, আসল ঘুম দিতে হবে

সত্যিই তো, লক্ষাধিক টাকা বেতন দিয়ে আপনাকে রাখবে, আর প্রতি মাসে যদি জ্বর, সর্দি, ছুটি চাই, শাশুড়ির অপারেশন, ছুটি চাই, একদিন ছুটি লাগবে ইত্যাদি চলতে থাকে, তবে কার পক্ষে আপনাকে রাখা সম্ভব? আবার প্রতিদিনের কাজের মধ্যেও আছে নানা সমস্যা। লাঞ্চের পর শরীরটা ম্যাজম্যাজ করছে, একটু রেস্ট নিই। নামাজ আছে, দেড় ঘণ্টা গায়েব! এগুলো কি সত্যিই একজন দক্ষ পরিশ্রমী চাকুরের কাজ? দেশের কোন মসজিদে দেড় ঘণ্টা ধরে নামাজ পড়ায়, আমার জানা নেই।

এসব ঝামেলা এড়াতেই মূলত বহুজাতিক কোম্পানিগুলো উচ্চ পর্যায়ের প্রায় সব পদে ভারতীয় না হয় শ্রীলঙ্কানদের দিয়ে ভরিয়ে রেখেছে। কার দোষ, বলেন?

ফিটনেসের বিষয়টা আরও পরিষ্কার হবে যদি আপনি কোন ইউরোপিয়ান, কোরিয়ান, চীন বা জাপানের নাগরিকের সাথে মেলামেশা করেন। একটি কর্মক্ষম মানুষ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সমানভাবে কাজ করবে। এটাই স্বাভাবিক, এটাই প্রত্যাশিত। দুপুরের পর ঝিমিয়ে পড়বে না। চাঙা থাকবে সারা দিন।

এত বয়ানের সারমর্ম হলো আপনাকে স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন করে তোলা। পর্যাপ্ত ফিট না থাকলে আপনি আপনার স্বপ্নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন না। আমি জানি, স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের রয়েছে সীমাহীন আলসেমি। ইংল্যান্ডে স্বাস্থ্য মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার ফলে দেখেছি স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা কতটা উদাসীন। বিশেষ করে ছেলেরা। এজন্য পৃথিবীতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের গড় আয়ু বেশি।

ছেলেদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মেয়েদের থেকে কয়েকগুণ বেশি, অথচ সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবার অধিকাংশই ব্যবহার করে মেয়েরা। মজার ব্যাপার হলো, ছেলেদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেশি থাকলেও তারা সেটা বিশ্বাস করে না। ফলে স্বাস্থ্যসেবা বা নিজের যত্ন নিতে যায় না। তাড়াতাড়ি মরে যায়।

ফিট থাকার জন্য কী করবেন?

আমি শরীরের ডাক্তার না, তাই শরীরের অসুখ-বিসুখ নিয়ে কোনোকিছুই বলতে পারবো না। তবে সাধারণ কিছু টনিক আছে, যা আমাদের ফিটনেসের জন্য জাদুর কাঠির মতো কাজ করবে।

১। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান

এর মানে আপনাকে প্রতিদিন মাছ, গোশত, পোলাও-কোর্মা খেতে হবে, তা না। এগুলো কম খেলেই বরং ভালো। নিশ্চিত করেন আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি, ফলমূল খাচ্ছেন। ফলমূল বলতে শুধু আপেল কমলাকেই বোঝায় না। বাজারে, রাস্তাঘাটে খেয়াল করেন, প্রতি সিজনে কিছু না কিছু ফলমূল আসে। সেগুলো খাবার অভ্যাস করুন।

২। ঘুমান আরাম করে

দিনে অন্তত ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান। ঘুমানোর সময়টা একটি নির্দিষ্ট রুটিনের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। কেননা, সেভাবে আমাদের শরীর তার কার্যক্রম ঠিক করে নেবে। নাম শুনেছেন, দেহঘড়ি? হ্যাঁ, দেহেরও ঘড়ি আছে। কোন সময়ে কোন রাসায়নিক উপাদান নিঃসৃত করবে, দেহ তা নিয়ম মেনে করে। সেই নিয়মটা হবে আপনার দেওয়া রুটিনের ওপর ভিত্তি করে।

সুতরাং ঘুমের, খাবারের সময় যেন প্রতিদিন একই থাকে, সেটা নিশ্চিত করুন। বিছানায় ঝিম মেরে শুয়ে থাকলেই ঘুম হলো না, আসল ঘুম দিতে হবে। সকালে উঠে আপনার চোখ, মুখ দেখে যেন বোঝা যায়, রাতে জম্পেশ ঘুম হয়েছে। একটা ভালো ঘুম আপনার দিনটাই বদলে দেবে। সারা দিন জমে থাকা ক্ষতিকর কেমিক্যাল বিলুপ্ত করে আপনার ব্রেনকে করবে তরতাজা।

৩। পর্যাপ্ত পানি পান করুন

পর্যাপ্ত পানি না পেলে শরীর ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। আপনি জানেন, দেহটার অধিকাংশই তরল জাতীয় পদার্থে ভরা। গাছের মতো, পর্যাপ্ত এবং সময়মতো পানি দেবেন, তরতাজা থাকবে। তরল বলতে শুধু বিশুদ্ধ পানির কথাই বলছি। কোকা-কোলা, পেপসি, মোজো, টাইগার, চা-কফিসহ আরও যা কিছু আছে, যদি শারীরিক উপকারের কথা ধরেন, বিশুদ্ধ পানির কাছে সেগুলো কিছুই না। ওগুলোর গুরুত্ব শুধু জিহ্বা পর্যন্ত।

দৈনিক কতটুকু পানি পান করবেন তা নির্ভর করছে আপনার শারীরিক ওজন আর কী কাজ করেন তার ওপর। আপনার কাজে যদি অনেক ঘাম ঝরে তাহলে আপনাকে সেই মতো তরল পান করতে হবে। সাধারণত ৬০ কেজি ওজনের একজন মানুষের দৈনিক তিন থেকে চার লিটার পানি পান করা উচিত।

৪। কায়িক পরিশ্রম করুন

কায়িক পরিশ্রম বলতে এমন কিছু করা বোঝায়, যাতে আপনার শরীর থেকে অন্তত কিছুটা ঘাম ঝরে, শ্বাস-প্রশ্বাসের ওঠানামা হয়। এটা হতে পারে আপনার দৈনিক কাজের মধ্যেই অথবা কাজের বাইরে কিছু করা। যেমন- ব্যায়াম, খেলাধুলা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা। আমরা যারা ঢাকায় থাকি, কায়িক পরিশ্রম করার সুযোগ যেন দিন দিন হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কিন্তু আপনার নিজের মর্যাদাপূর্ণ জীবনের জন্য শারীরিক সুস্থতা জরুরি। শারীরিক সুস্থতার জন্য কায়িক পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। এখন আপনি কী করবেন, সেটা আপনার মর্জি।

বুঝলেন তো, স্বাস্থ্য কেন সকল সুখের মূল? দেরি না করে শুরু করে দিন আজই!

Saturday 25 May 2019

নারীর পাঁচ স্বাস্থ্য সমস্যা - Health Tips Bangla

নারীর পাঁচ স্বাস্থ্য সমস্যা - Health Tips Bangla
Health Tips Bangla - নারীর পাঁচ স্বাস্থ্য সমস্যা
‘অসুস্থ হওয়ার সুযোগ কই! অসুস্থ হলে সবকিছু কে সামলাবে!’ স্বজনদের কেউ কোনো নারীর কাছে শারীরিক সুস্থতার কথা জানতে চাইলে এরকম অসহায়ত্বই ফুটে ওঠে অনেক নারীর কথায়। নারীরা প্রতিদিন গৃহস্থালি কাজে যে পরিমাণ শ্রম ও সময় দেন সেটা অনেক ক্ষেত্রেই অস্বাভাবিক রকম পরিশ্রমের। আর পেশাজীবী নারী হলে তো কথাই নেই, ঘরে-বাইরে দুই জায়গাতেই খাটতে হয় সমান তালে। ঘর-বাহির সামলাতে গিয়ে অনেক নারীই যেন নিজের শারীরিক-মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকির কথা ভাববার সময় পান না। কিন্তু সব সামলাতে হয় বলেই নিজেকে নিয়ে সচেতন হতে হবে। জিনিউজের প্রতিবেদন অবলম্বনে নারীর শীর্ষ পাঁচ স্বাস্থ্য সমস্যার কথা তুলে ধরা হলো।

হৃদরোগ
হৃদরোগের কথা আসলেই চোখের সামনে যে ছবি ভেসে ওঠে সেটা যেন ‘হৃদরোগাক্রান্ত কোনো পুরুষের ছবি’। কিন্তু বিশ্বে নারীদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হৃৎপিণ্ড ও ধমনীর রোগ বা কার্ডিওভাসকুলার রোগ। বুকে ব্যথা না হলেও কোনো এক হাত বা দুই হাতে ব্যথা, গলা ও ঘাড়ে ব্যথা, চোয়ালে ব্যথা কিংবা পাকস্থলীর সমস্যা হলেও দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান, পরামর্শ নিন।

স্তন ক্যানসার
২০ থেকে ৫৯ বছরের নারীদের ক্যানসারে মৃত্যুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নারী মারা যান স্তন ক্যানসারে। একসময় এটা চল্লিশোর্ধ্ব নারীদের সমস্যা বলে ধরে নেওয়া হলেও এখন তরুণতরদের মধ্যেও স্তন ক্যানসার দেখা যাচ্ছে। পরিবারের অন্য কারও স্তন ক্যানসার থাকা, বিআরসিএ জিন, বুকে তেজস্ক্রিয় রশ্মির থেরাপি, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান, বেশি বেশি লাল মাংস খাওয়া স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া জীবনযাপনে অতিরিক্ত প্রসাধনী নির্ভরতা, বাহুমূলে বেশি মাত্রায় গন্ধনাশকের ব্যবহার থেকেও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

সার্ভিকাল ক্যানসার
বিশ্বজুড়ে নারীদের ক্যানসারে মৃত্যুর চতুর্থ বড় কারণ সার্ভিকাল ক্যানসার। ভারতে নারীমৃত্যুর অন্যতম প্রধান একটি কারণ এ​টি। দেশটিতে প্রতিবছর ৩৩ হাজার নারী এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। হিউম্যান পাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) সার্ভিকাল ক্যানসারের কারণ। বিশেষ যৌন আচরণ থেকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। এ ছাড়া অনিরাপদ যৌন সংস্রবের কারণে হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি) থেকে সার্ভিকাল ক্যানসার হতে পারে।

ইউরেনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন
কিডনি, জরায়ু, মূত্রথলি ও মূত্রনালিতে সংক্রমণের রোগ এটি। ইউরেনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই) পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে দেখা যায়। অন্তত অর্ধেক নারীই জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে এ ধরনের একটি সংক্রমণে আক্রান্ত হয়। নিয়মিত পানি পান না করা এবং প্রস্রাব আটকে রাখা শহুরে নারীদের মধ্যে এমন সংক্রমণের একটি সাধারণ কারণ। এ ছাড়া যৌন সংস্রব এবং পরিবারে অন্য কারও এ রোগ থাকাটাও এ ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি হতে পারে।

বিষাদগ্রস্ততা
বিষাদগ্রস্ততার ঝুঁকিতে অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পুরুষের তুলনায় এগিয়ে থাকেন। সামাজিক কাঠামো ও জীবনযাপনের ধরন বিষাদগ্রস্থতার একটি বড় কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে উচ্চ, মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশ সব জায়গাতেই নারীদের রোগাক্রান্ত হওয়ার একটি বড় কারণ ডিপ্রেশন বা বিষাদগ্রস্ততা। গর্ভধারণের পর (পোস্টাপার্টাম) এবং মাসিক ঋতু বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর (মেনোপজ) অনেক নারী বিষাদগ্রস্ততায় আক্রান্ত হতে পারেন। এ ছাড়া দাম্পত্য সম্পর্ক ও যৌন জীবন বিষাদগ্রস্ততার একটি বড় কারণ হিসেবে বিবেচিত।

Wednesday 22 May 2019

গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?

পেটের উপরের ডানদিকের অংশে জ্বালাসমেত ব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথাধরা, জ্বর, ডায়রিয়া, হলুদ প্রস্রাব হওয়া এসবই হল পিত্তথলির সমস্যার লক্ষণ। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে খাদ্যাভাসের জন্য গলব্লাডার স্টোন প্রায় সাধারণ রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খাবার সহজে হজম না হওয়া, খেতে না পারা, এসবও পিত্তের দুর্বলতার লক্ষণ। পিত্তথলিকে তাই ভালো রাখতেই হবে। কারণ খাবার হজম করানোর জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচক পিত্তথলিই সরবরাহ করে। কীভাবে ভালো রাখবেন আপনার পিত্তথলিকে? তারই কিছু ঘরোয়া টোটকা রইল এই প্রতিবেদনে।

গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?


১। খাদ্যাভাস পরিবর্তন খাওয়াদাওয়ার উপর পিত্তথলির কর্মক্ষমতা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করে।আপনি যত বেশি ফ্যাট জাতীয় খাবার খাবেন, ততই তা পিত্তথলির উপর চাপ সৃষ্টি করবে। তাই এবার থেকে এড়িয়ে চলুন ফ্যাট জাতীয় খাবার। এইধরনের খাবার আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় যা পিত্তথলির পক্ষে ক্ষতিকারক জিনিস। বাদাম, বিনস, টকজাতীয় ফল, মাছ, অলিভ তেল ইত্যাদি জাতীয় খাবার আপনার তালিকায় রাখুন বেশি করে। রক্তে ভিটামিন সরবরাহের কাজটি করে থাকে পিত্তথলি । ফলে পিত্তথলিতে সমস্যা দেখা দিলে আপনার শরীরে ভিটামিনের লেভেলেও তার প্রভাব পড়বে। আপনার খাবারের রুটিনে রাখুন বেশি পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, যা খাবার হজমের কাজে সাহায্য করে। এতে উপকার হবে আপনার পিত্তথলির।
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?

২। ব্যায়াম করুন নিয়মিত: নিয়মিত ব্যায়াম পিত্তথলির যে কোনওরকমের সমস্যা থেকে আপনাকে দূরে রাখবে। আসলে আমাদের অতিরিক্ত ফ্যাট জমলেই তা ক্ষতি করে পিত্তথলির। তাই ব্যায়াম করে ফ্যাট ঝরান। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের মতে দিনে অন্তত ২০ মিনিট ব্যায়াম করা প্রয়োজন। যত ঘাম ঝরাবেন ততই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে ফলে পিত্তথলির মধ্যে পাথর হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?

৩। কাঁচা হলুদ খান পেটের উপরের ডানদিকের অংশে ব্যথা অনুভব করলে খান কাঁচা হলুদ। অনেক সময় দেখা যায় খুব সিরিয়াস কিছু না হলেও পিত্তথলির ক্ষতি হতে শুরু হয়েছে। জ্বালাসমেত হওয়া ব্যথা কমাতে হলে কাঁচা হলুদ খুবই কাজ দেয়। কাঁচা হলুদে থাকা কারকুমিন নামক পদার্থটি জ্বালা ও ব্যথা দুইই কমাতে কার্যকরী। চায়ে দিয়ে এই হলুদ খেতে পারেন। পিত্তরস তৈরি করতেও হলুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়‌। পিত্তরস না তৈরি হলে খাবার হজম হওয়া সম্ভব নয়।
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?

৪। গরম সেঁক দিন পেটের ওই নির্দিষ্ট অংশে ব্যথা হলে পরিস্কার কাপড় গরম জলে ভিজিয়ে ওই অংশে সেঁক দিতে পারেন। অনেকে হটব্যাগ ব্যবহার করেন সেঁক দেওয়ার জন্য যা একইরকম কাজ দেয়। একইভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে হটপ্যাড যা ইলেকট্রিকের সাহায্যে গরম করা যায় ও ব্যথার অংশে সেঁক দেওয়া যায়।
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?

৫। পিপারমিন্ট চা পিপারমিন্ট চা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। পেটের ব্যথা , মাথার ব্যথা দূর করতে এটি অত্যন্ত কাজ দেয়। গলব্লাডারে ব্যথা হলে সে ব্যথা কমাতে আপনি নিয়মিত খেতে পারেন পিপারমিন্ট চা। এর একটি ঠান্ডা প্রভাব আছে যা আপনাকে ব্যথা ভুলে থাকতে সাহায্য করবে।
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?
গলব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়ে সামলাবেন কী করে?

৬। আপেল সাইডার ভিনিগার আপেল সাইডার ভিনিগারও ব্যথা দূর করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কাজ দেয়। এটি খুব কম দামেই বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। অথবা চাইলে তৈরি করে নিতে পিরেন বাড়িতেই। অল্প গরম জলে দুই চামচ এই ভিনিগার মিশিয়ে অল্প অল্প করে খেতে থাকুন। এটা সরাসরি খেলে এর অ্যাসিড আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে। তাই গরম জলে মিশিয়েই খান। দেখবেন ব্যথা ও জ্বালা দুইই কমে গেছে।










Saturday 4 May 2019

গরমে স্বাস্থ্য সচেতনতার টিপস - Summer health awareness tips

গরমে স্বাস্থ্য সচেতনতার টিপস - Summer health awareness tips

প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। রোদের তাপে পুড়ে যাচ্ছে শরীর। ঘরে থাকলেও এবং বাইরে বের হলেও ঘাম ঝরছেই। তাই এ সময় কিছু অসুখ-বিসুখ আপনাকে ধাওয়া করতে পারে। তবে জেনে নিন সেগুলো সম্পর্কে-

পানিশূন্যতা:
ঘাম হলে শরীর পানিশূন্য হয়। পানিশূন্যতা শরীরকে দুর্বল করে তোলে। রক্তচাপ কমে যায়। অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে কেউ কেউ। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে কিডনিও আক্রান্ত হতে পারে। তাই প্রচুর পানি ও পানিজাতীয় খাবার খেতে হবে।

জ্বর:
আবহাওয়ার চরম ভাবের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। শরীর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়ে ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে।
জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাবেন, প্রচুর পানি ও ফলের রস খাবেন। অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই। প্রতিরোধের উপায় হলো মশা থেকে নিজেকে বাঁচানো। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙাবেন। মশার প্রজনন ক্ষেত্রগুলো ধ্বংস করুন।

পেটের অসুখ:
গরমে পিপাসা মেটাতে অনেকেই এ সময় বাইরের পানি পান করে। রাস্তার পাশের বিভিন্ন ধরনের শরবত খায়। এগুলো পানিবাহিত রোগের অন্যতম উৎস। ফলে টাইফয়েড, আমাশয়, ডায়রিয়া, হেপাটাইটিসের মতো রোগ দেখা যায়। তাই বাইরের পানি বা শরবত পান থেকে বিরত থাকুন। তবে ডাবের পানি পান করতে পারেন।

ত্বকের সমস্যা:
অতিরিক্ত গরমে ত্বকে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। ত্বকে চুলকানি হতে পারে।  এ সময়ে ত্বকের একটি অতি সাধারণ সমস্যা হলো ঘামাচি। এ ছাড়া ঘাম শরীরে জমে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে।

তাই পরামর্শ হল- পর্যাপ্ত পানি পান করুন। তরমুজ, বাঙ্গী, শসা, পেঁপে, বেলসহ অন্যান্য ফল খেতে পারেন। রোদে ছাতা ব্যবহার করুন।

বড় কোনো সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

গো নিউজ২৪/পিআর/এনএফ

মুছে ফেলুন বয়সের ভাঁজ, চার ব্যবহারে করলার কাজ

মুছে ফেলুন বয়সের ভাঁজ, চার ব্যবহারে করলার কাজ
মুছে ফেলুন বয়সের ভাঁজ, চার ব্যবহারে করলার কাজ
বয়স বাড়ছে, শরীরে ভাঁজে ভাঁজে পড়ছে চিহ্ন। বয়স তো কেবল একটা সংখ্যা তা কি আর জোরের সাথে দাবি করা যায়? বয়সের ছাপ তো নানাভাবে চেহারার গড়নে ধরা পড়ে। কিন্তু বয়সকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে যাতে তা চেহারায় থাবা না বসাতে পারে সেদিকে নজর রাখা প্রয়োজন। বয়সের ছাপ চেহারায় যাতে না পড়ে তার জন্য উপাদেয় শাক সবজি এবং এদের মধ্যে উল্লেখ্য হল করলা। রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে করলার গুনে বয়সের ছাপ চেহারায় চোখে পড়বে না।

তবে কিভাবে ব্যবহার করবেন করলা -

১। প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে করলায়। তাই চামড়ার লালিত্য ধরে রাখতে সাহায্য করে এই সবজি। ত্বককে টানটান করে রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই প্রতিদিন সেদ্ধ করলা নুন ও লেবু সহযোগে খান দীর্ঘদিন ত্বকের জৌলুস বজায় রাখতে।

২। করলার বীজ সরিয়ে তা বেটে মুখে লাগান। তিনদিন সপ্তাহে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের যৌবন ফিরবে রাতারাতি।

৩। রক্তের মধ্যের ক্ষতিকর পদার্থকে বিনষ্ট করে রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখে করলা। ত্বক থেকে বয়সের ছাপ সরাতে প্রতিদিন সকালে করলার রস পান করা যেতে পারে।

৪। কমলালেবুর সাথে করলার রস মিশিয়ে মুখে মাখলে উপকার পাওয়া যায়। কিছুক্ষন এই মিশ্রণ লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। তারপর শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এই মিশ্রন মৃতকোষ ঝরিয়ে ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে




নারীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে যা যা প্রয়োজনীয় - It is necessary to keep women healthy

নারীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে যা যা প্রয়োজনীয়
নারীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে যা যা প্রয়োজনীয়
পুরো পরিবারই দেখাশুনা করেন নারীরা। এজন্য তাদেরকে সারাদিনই অনেক পরিশ্রম করতে হয় তাদের। পরিবারের পাশাপাশি নিজের শরীরের একটু যত্ন না নিলে অল্প দিনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। তখন দায়িত্ব পালন আর সম্ভব হয় না। তবে একজন শিক্ষিত মা শুধু পরিবার নয়, নিজের প্রতিও যত্নবান থাকেন। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রতিদিন নিয়ম করে নারীদের কিছু ভিটামিন খাওয়া জরুরি। জেনে নিন কি কি ভিটামিন খাবেন প্রতিদিন-

ভিটামিন এ:- ভিটামিন 'এ' এর অভাবে রাতকানাসহ ঘা, অস্থি-ঝিল্লির প্রদাহ ও ক্যারাটোম্যালেশিয়া রোগ হতে পারে। ভিটামিনটি মাসিক ঋতুচক্র, পিণ্ডময় স্তন, যোনি সংক্রমণের সময় অনেক উপকারী। শুধু তাই নয়, স্তন ক্যান্সারেও ভালো কাজ করে ভিটামিন এ। টাটকা সবুজ সবজি ও লাল পাম তেল ভিটামিন এ এর ভালো উত্‍স।

ভিটামিন বি১:- এই ভিটামিনের অপর নাম হলো থায়ামিন। অপরিহার্য এই ভিটামিনটি দেহের চিনিকে শক্তিতে রুপান্তরিত করে। যেহেতু নারীদের অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয়; তাই এটি তাদের খাওয়া ভালো। চর্বিহীন মাংস, বাদাম ও শস্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১ রয়েছে।

ভিটামিন বি২:- এর অপর নাম হলো রিবোফ্লাভিন। এই ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ব্যস্থাকে সচল রাখে। একইসাথে ত্বক, নখ ও চুলের যত্নেও কাজ করে ভিটামিন বি২। দুধ ও সবুজ শাকসবজিতে প্রয়োজনীয় রিবোফ্লাভিন পাওয়া যায়।

ভিটামিন বি৬:- এই ভিটামিনটি পাইরিডক্সিন নামে পরিচিত। মাসিক ঋতুচক্র থেকে শুরু করে গর্ভাবস্থার আগের সময়ে এই সবজিটি খাওয়া ভালো। এতে শুধু নবজাতক পর্যাপ্ত দুধই পাবে না; একইসঙ্গে গর্ভাবস্থায় আপনার হতাশাও কমিয়ে দিবে এই ভিটামিন। অ্যাভোকাডো, কলা ও বাদাম ভিটামিন বি৬ এর ভালো উত্‍স।

ফলিক অ্যাসিড:- গর্ভাবস্থায় প্রতিটি নারীর ফলিক এসিড গ্রহণ করা জরুরী। আবার যারা মা হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছেন কিংবা সন্তান জন্মদানের সময় বিভিন্ন সমস্যা এড়াতে চান তাদেরও এই ভিটামিন খাওয়া দরকার। সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।

ক্যালসিয়াম:- নারীদের খাদ্য তালিকায় ক্যালসিয়াম প্রথম স্থানে রয়েছে। এর অভাবে অস্টিওপরোসিস রোগ হতে পারে। এই রোগে পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি ভোগে। কাজেই হাড় মজবুত রাখতে নারীদের এটি খাওয়া অবশ্যই জরুরী। দুধের তৈরি খাদ্য ও ডিমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

ভিটামিন ডি:- খাবারের মাধ্যমে আমরা যে ক্যালসিয়াম দেহে নিয়ে থাকি তা ভিটামিন ডি এর মাধ্যমে হাড় দ্বারা শোষিত হয়। মাছ, মাছের তেল, দুধ, সয়া দুধ, ফলমূলে রয়েছে ভিটামিন ডি। সকালে সূর্যের আলোর মাধ্যমেও দেহে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ সম্ভব।

কোলিন:- ভিটামিন বি কমপ্লেক্স গ্রুপের একটি ভিটামিন হলো কোলিন। গর্ভবতী মহিলাদের নিউরাল টিউব অপূর্ণতা প্রতিরোধ করতে এই ভিটামিন অপরিহার্য। এটি লিভারে উত্পাদিত হয়। ডিম এর চমত্‍কার খাদ্য উত্‍স হিসেবে বিবেচিত হয়।

ভিটামিন সি:- সুস্বাস্থ্যের জন্য নারী-পুরুষ উভয়েরই ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। ভিটামিনটি শুধু আপনার বয়স কমাতে সাহায্য করবে না; বরং ত্বক, চুল এবং নখেরও যত্ন নিবে। সাইট্রাস ফল ও কমলালেবু ভিটামিন সি এর সবচেয়ে ভাল উত্স।

ভিটামিন ই:- ভিটামিন ই সমৃদ্ধ সৌন্দয্য পণ্যকে সবসময় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। ত্বককে ভালো রাখায় ভিটামিনটি নারীদের কাছে অনেক বেশি জনপ্রিয়। পাশাপাশি দেরিতে গর্ভাবস্থা এবং মাসিক ঋতুচক্র সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধেও সহায়তা করে ভিটামিনটি। এর ভালো উত্‍স হলো- মাংস, মুরগির মাংস, ডিম ইত্যাদি।

Friday 3 May 2019

SSC Result 2019 will be published on 6th May 2019

SSC Result 2019 will be published on 6th May 2019
SSC Result 2019 will be published on 6th May 2019
SSC Result 2019 Published Date is very important for the students who sit for the SSC, Dakhil, and Vocational Examination in 2019.  In Bangladesh, secondary school certificate exam is very significant for every student. Because students are studying very hard to get a good result in this board examination. Previously it was the first board exam after a student started their student life. Possible SSC result 2019 date is May 6, 2019

SSC, Dakhil and Vocational examinations started on 2nd February 2019 and ended on 5th March 2019. After completing all examinations the authority decided the possible date for publishing the result across the country. There are 11 education boards are holding the Secondary School Certificate exam in 2019.

1) Dhaka Education Board
2) Jessore Education Board, 
3) Chittagong Education Board, 
4) Sylhet Education Board, 
5) Dinajpur Education Board, 
6) Comilla Education Board, 
7) Barishal Education Board, 
8) Mymensingh Education Board, 
9) Madrasah Education Board, 
10) Technical (Vocational) Education Board.

List of Education Boards and Their Website Address
There are total eleven education boards are providing education service in Bangladesh. Among them there are nine general education boards, one Madrasah Education board and one Technical Education board. Here’s the list of them,

Dhaka Education Board : dhakaeducationboard.gov.bd
Rajshahi Education Board : rajshahieducationboard.gov.bd
Comilla Education Board : comillaboard.gov.bd
Jessore Education Board : jessoreboard.gov.bd
Chittagong Education Board : bise-ctg.portal.gov.bd
Barisal Education Board : barisalboard.gov.bd
Sylhet Education Board : sylhetboard.gov.bd
Dinajpur Education Board : dinajpureducationboard.gov.bd
Mymensingh Education Board: mymensingheducationboard.gov.bd
Madrasah Education Board: bmeb.gov.bd
Technical Education Board: bteb.gov.bd

ব্যাকটেরিয়া এবং এন্টিবায়োটিকের কথা


ব্যাকটেরিয়া এবং এন্টিবায়োটিক নিয়ে ফেসবুকে এই লেখাটি নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। পক্ষে-বিপক্ষে অনেকেই অনেক কিছু বলছেন। আমরা চাইছি আমাদের পাঠকেরাও বিষয়টি নিয়ে অবগত থাকুন, তাই এখানে আমরা শেয়ার করলাম।

আজ আপনাদের একটা ভয়ংকর কথা বলব। যে লেখাটা লিখতে বসেও আমি ভয় পাচ্ছি। আমার হাত কাঁপছে। একজন ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়া তথাকথিত সেলিব্রেটি, গল্পলেখক মানুষের বাইরে আমি একজন ডাক্তার। আমার ডাক্তারি চোখে আমি যা দেখছি, নন-ডাক্তার অনেকেই হয়তো সেটা দেখতে পাচ্ছেন না। কারণ যা আমাদের মস্তিষ্কে নেই, তা আমরা কখনোই দেখতে পাই না। এই দৃশ্য শুধু একজন ডাক্তারই দেখতে পায়।

স্ট্যাটাসের ছবিটা হচ্ছে পৃথিবী থেকে মানবজাতি বিলুপ্তির সত্যয়িত সনদপত্র। এই সনদ দিয়েছে বাংলাদেশের শিশুদের চিকিৎসার সর্ববৃহৎ মেডিকেল মহীরুহ, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল । ছবিতে আপনি নিতান্তই কিছু বর্ণ আর শব্দ দেখতে পাচ্ছেন। আমি সেটাকে বর্ণনা করবার পর আপনি বুঝে ফেলবেন-আপনি আর মাত্র কয়েকদিন পৃথিবীতে আছেন। মাত্র পঞ্চাশ বছরের মধ্যে পুরো মানবজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আপনার সাথে আপনার বাবা মা, সন্তান সবাই অতীত হয়ে যাবে। মিলিয়ন বছরের মানবজাতি পৌছেছে সিঁড়ির শেষ ধাপটাতে। আর কোন ধাপ নেই। চাইলেও একধাপ একধাপ করে আর নামার পথ নেই। এখন পড়ে যেতে হবে। মানবজাতিকে হারিয়ে যেতে হবে মহাকালের চোরাস্রোতে।

ছবির রিপোর্টটিকে বলা হয়- কালচার এন্ড সেন্সিটিভিটি টেস্ট। যখন কোন রোগ সনাক্ত করবার পরেও ঔষুধে ভালো হয় না, তখন আমরা ব্যাকটেরিয়াসমৃদ্ধ ব্লাড, পুঁজ বা ইউরিনকে ল্যাবরেটরিতে পাঠাই। উদ্দেশ্য হল- কেন অতি সাধারণ একটা অসুখও ঔষুধ দিয়েও রোগ ভালো হচ্ছে না। ল্যাবে মাইক্রোবায়োলজিস্টরা সেই ব্লাড, ইউরিন বা পুঁজকে কয়েকদিন চাষ করেন। সেখানকার ব্যাকটেরিয়াদের উপর বিভিন্ন প্রকার এন্টিবায়োটিক দিয়ে দেখেন, সেই এন্টিবায়টিক ব্যাকটেরিয়াগুলোক মেরে ফেলতে সক্ষম কী না!
যদি মারতে পারে তখন সেই এন্টিবায়োটিকের পাশে লেখা হয়- S (S for Sensitive). সেন্সিটিভ শব্দের অর্থঃ ঐ এন্টিবায়োটিকটি ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সক্ষম। যদি না পারে তখন আমরা লিখি- R (R for Resistant). অর্থঃ এখন আর এই এন্টিবায়োটিকটি ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সক্ষম নয়। আগে কাজ করলেও ব্যাকটেরিয়া নিজেকে বদলে ফেলেছে। ফলে একই অস্ত্র (এন্টিবায়টিক) দিয়ে ব্যাকটেরিয়াটিকে মেরে ফেলা যাচ্ছে না।

এতে কী দাঁড়ায়?
অতি সাধারণ রোগও আর এন্টিবায়োটিক দিয়ে সারবে না। রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াটি এখন ইচ্ছেমত বাচ্চাকাচ্চা দিতে পারবে। আপনার শরীরে রোগ সৃষ্টি করে বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকবে। আপনি আমি শুধু দেখব দর্শক হয়ে দেখব। এরপর সব সাঙ্গ হবে। একদিন সেই ছোট্ট অসুখটা নিয়েই মানুষটা মারা যাবে।

উপরের ছবিতে দেখুন- রোগীর লিঙ্গ ছেলে। বয়স শুনলে চমকে যাবেন। বয়স মাত্র ৪ বছর। অথচ সব এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট। অর্থাৎ ছেলেটা নিরীহ একটা রোগ নিয়ে এসেছে। ঔষুধ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রোগ সারছে না। এখন কী ঘটবে?
আমরা তাকে আর বাঁচাতে পারব না। ছেলেটা নিশ্চিত মারা যাবে। অথচ আমাদের হাতে শতশত এন্টিবায়োটিক। আমরা চাইলেও প্রয়োগ করে আর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মারতে পারব না। কারণ ব্যাকটেরিয়া নিজের ডিএনএ-কে নিজেনিজেই পরিবর্তন করে ফেলেছে। ফলে সামান্য ব্যাকটেরিয়া মারার জন্য আমাদের হাতে আর কিছু নেই। বাচ্চাটির বাবা মা চেয়েচেয়ে দেখছে ছেলেটার অকাল মৃত্যু। অথচ তার বয়স মাত্র ৪ বছর। এত অল্পবয়সে নিশ্চয় সে নিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়।
দায়ী কারা?
আমরা।
আমাদের সামান্য জ্বর হয়। ফার্মেসীতে গিয়ে দুটো জিম্যাক্স (অ্যাজিথ্রোমাইসিন) খেয়ে ফেলি। একশ ব্যাকটেরিয়াকে মারার জন্য যদি সাত দিনের ডোজ লাগত, আমরা দুইদিন পর ভালো হলে আর ডোজটা পুর্ণ করি না। ৭০ টা ব্যাকটেরিয়া মরলেও বেঁচে থাকা বাকী ৩০ টি ব্যাকটেরিয়া জি-ম্যাক্সকে চিনে ফেলে। ফলে তারা নিজেদের গঠন দ্রুত বদলে ফেলে। তখন আর জি-ম্যাক্স দিয়েও পরেরবার আমরা রোগ সারাতে পারব না। কারণ জি-ম্যাক্সের বিরুদ্ধে সব ধরণের স্থায়ী ব্যবস্থা ব্যাকটেরিয়া নিয়ে ফেলেছে।
এখন এই ব্যাকটেরিয়াওয়ালা মানুষটি যদি আমাদের সামনে আসে, বসে, তার নিশ্বাস-হাঁচি- স্পর্শে আমাদের শরীরে জি-ম্যাক্স রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াটি আমাদের শরীরেও চলে আসে। ফলে কী দাঁড়াল?
কেউ একজন নিজের শরীরে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দিলে। আর আমরা কোনোদিন জি-ম্যাক্স না খেয়েও জি-ম্যাক্সের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া দিয়ে নিজেদের শরীর ভরিয়ে ফেললাম। এইভাবে জি-ম্যাক্স রেজিস্টেন্ট ব্যাকটেরিয়া লাখ লাখ কোটি কোটি মানুষের দেহে সঞ্চারিত হবে। একটা নবজাতক যে কীনা গতকাল জন্মাল সেও আপনার ভুলের কারণে একটা রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াকে নিজের শরীরে ধারণ করল। আপনি যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়ির বাসিন্দা, সে মেসে থাকেন সেই মেসের বোর্ডার, যে নদীতে পা চুবাবেন সেই নদীর অনুকূলের বাসিন্দারাও হয়ে গেল জি-ম্যাক্স রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার অভয়ারন্য সম্পন্ন শরীরের মানুষ।

শুধু জি-ম্যাক্স কেন?
আমাদের কেউকেউ অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্য এন্টিবায়োটিক খাবে। আরেকটি ঔষুধের রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া তৈরি করবে। সে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া ভাগাভাগি করবে সারাদেশের মানুষের সাথে। যেখানেইযাবে, যেখানটায় স্পর্শ করবে, সেখানেই হাচি দিবে, যেখানেই বসবে, যেখানেই খাবে সেখানেই ছড়িয়ে দিবে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া। এভাবে একটা একটা করে সব ব্যাকটেরিয়া আরেকটি ব্যাকটেরিয়ার কাছ থেকে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট শিখে ফেলবে। ফলে সবার কাছ থেকে একটা একটা করে ধার করেও আমাদের দেহের ব্যাকটেরিয়াগুলো হয়ে যাবে সকল এন্টিবায়োটিকের রেজিস্ট্যান্ট। তাকে এখন যে ঔষুধই দিন না কেন, কাজ করবে না। ফলে আপনি ঔষুধের ডিসপেনসারিতে কোটিকোটি টাকার ঔষুধ রেখেও বিনাচিকিৎসায় মারা যাবেন।

ছবির ছেলেটার মত আমার মোবাইলে প্রায় ৩০০ টি মানুষের রিপোর্ট আছে। আমি দীর্ঘ এক বছর থেকে বিভিন্ন ডাক্তারের পোস্ট থেকে রিপোর্টগুলো ডাউনলোড করে সঞ্চয় করছি। যারা সব ধরণের ব্যাকটেরিয়ায় রেজিস্ট্যান্ট। তারা যত ধনীই হোক, দুনিয়ার যে দেশেই চিকিৎসা করাক, সে ঈশ্বরের কাছেই নিজেকে সমর্পণ করুক, সে আর ফিরবে না। তার মৃত্যু অনিবার্য!

ভয়ের কথাটা তাহলে কোথায়?
আপনার শরীর থেকে রক্ত নিয়ে কালচারে পাঠান। দেখুন আপনি নিজেও অলরেডি অর্ধেক এন্টিবায়োটিকের রেজিস্ট্যান্টওয়ালা ব্যাকটেরিয়া নিয়ে বেঁচে আছেন।

আরো ভয়ের কথা কোথায় জানেন?

যে ৩০০ জন মানুষ রেজিস্ট্যান্ট, তাদের ঘরের বাবা-মা সন্তান বন্ধুবান্ধবের অনেকেই অলরেডি রেজিস্ট্যান্ট হয়ে গেছে। কেউ অতি উৎসাহী হয়ে নিজের রক্ত কালচারের জন্য যেদিন হাসপাতালে আসবে সেদিনই তারা ধরে ফেলবে নিজের অজান্তেই এইডসের চাইতেও ভয়ানক একটি ব্যাপার নিয়ে সে এতদিন বেঁচে ছিল। আজ থেকে তার মৃত্যুর কাউন্ট ডাউন শুরু।
কেন এইডসের চাইতে ভয়ানক বললাম?

আপনি একজন এইডস আক্রান্ত রোগীকে আইসোলেট করলেই সে এইডস ছড়াতে পারবে না। কিন্তু একজন রেজিস্ট্যান্ট লোককে আপনি কীভাবে আইসোলেট করবেন? ব্যাকটেরিয়া শুধু হাঁচিতে ছড়ায় না। প্রস্রাবে ছড়ায়-পায়খানায় ছড়ায়, স্পর্শের ছড়ায়। তারা পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, খাবারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। স্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তারা মাটিতে থাকে। বাসের সিটে থাকে। রেস্টুরেন্টের গ্লাসে থাকে। ক্লাশের চেয়ারে থাকে। বন্ধুর কলমে থাকে, প্রেমিকের মোবাইলফোনের গায়ে লেগে থাকে, প্রেমিকার ঠোঁটে থাকে। তারা বাতাসে ভেসে থাকে। মাটিতে পড়ে থাকে। মাটির নিচে কলোনি করে থাকে। আপনি কোথায় গিয়ে বাঁচবেন?

আমাদের শরীরের ব্যাকটেরিয়া যে হারে রেজিস্ট্যান্ট হচ্ছে, সেই হারে এন্টিবায়োটিক তৈরি হচ্ছে না। আমাদের জীবনরক্ষাকারী প্রথম এন্টিবায়োটিক পেনিসিলিন আবিষ্কৃত হয় ১৯৪০ সালে। সবচেয়ে ক্ষমতাধর এন্টিবায়োটিক মেরোপেনেম প্যাটেন্টেড হয় ১৯৮৩ সালে। এর মাঝামাঝি সময়টায় আমরা মৎস্যবহুল নদীতে মাছ শিকারের মত হাজার হাজার এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করে ফেলেছি। কিন্তু ৮৩ এর পর, মেরোপেনেমের মত আর কোন শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক পৃথিবীতে আসেনি।
অথচ ছবিতে দেখুন- ৪ বছরের বাচ্চা ছেলেটির ব্যাকটেরিয়াটি সব ধরণের এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট। মেরোপেনেম সহ (Imipenem)। বাচ্চাটি বেঁচে আছে নাকি অলরেডি মারা গেছে আমার জানা নেই। কিন্তু সে আপনাদের দোষে পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছে। সে কী আমাদের ছেড়ে দিবে? তার শরীর থেকে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া অবশ্যই অনেকের শরীরে (তার বাবা মা-সহ) ছড়িয়ে দিয়ে গেছে। দায়মুক্তি আমাদের হবে। পুরো মানবজাতি নিশ্চিহ্ন হবার পর আমাদের দায়মুক্তি ঘটবে।

প্রায়ই বিজ্ঞানীরা বলেন- পৃথিবী চলে আবে ভীনগ্রহীদের হাতে। এলিয়েনরা পরবর্তী রাজত্ব করবে। বিলিভ মি- এলিয়েন আসার নিশ্চয়তা না থাকলেও এই পৃথিবীর পরবর্তী বাসিন্দা হবে নিতান্তই সাধাসিধে ব্যাকটেরিয়া। লক্ষ লক্ষ বছর সে আমাদের দেহে নিরীহ বসে ছিল। আমরাই তাকে শিখিয়ে ফেলেছি কীভাবে আমাদের দেহে বসেই আমাদের হত্যা করা যায়। আমরা কখনো শিম্পাঞ্জি, কখনো ডোলফিন, কখনো হাতিঘোড়া কুকুরকে বলি মানুষের সমপর্যায়ের বুদ্ধিমান। আমরা কখনো বলি না, আমাদের চাইতে কে বেশি বুদ্ধিমান! ব্যাকটেরিয়া মাইক্রোস্কোপিক হয়েও হাত পা না থাকা স্বত্বেও, মস্তিষ্ক না পেয়েই শিখে ফেলল কীভাবে মানুষদের হত্যা করতে হয়! ভাবুন- কে বেশি বুদ্ধিমান?

বাঁচার উপায়?

শুনতে আপনার খুব খারাপ লাগবে কিন্তু আমাকে বলতেই হবে। আজ এই মুহুর্তে, এই মিনিটটা শেষ হবার আগেই প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে না গিয়েই অফিশিয়াল মিটিং না ডেকেই বলতে হবে- এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্টেন্সির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। দেশের প্রত্যেকটা দোকান-ফার্মেসী-প্রেসক্রিপশন গোয়েন্দা দিয়ে খুঁজে বের করে নতুন করে এক পৃথিবী শুরু করতে হবে। প্রত্যেকটা এন্টিবায়োটিকের গায়ে সাটিয়ে দিতে হবে মোবাইলের মতো IMEI নাম্বার। কোন কোম্পানি বাজারে কয়টা ছেড়েছে, কোন ডাক্তার কয়টা প্রেসক্রিপশন করেছে, কোন রোগী কয়টা খেয়েছে সব হিশেব বের করতে হবে। না পারলেও আগামীকাল থেকে কীভাবে এন্টিবায়োটিক বিক্রি হবে, কীভাবে প্রেসক্রিপশন হবে, কীভাবে রোগী খাবে সেটা নির্ধারণ করতে হবে। যক্ষা নির্মুলের জন্য আমরা DOT প্রোগ্রাম শুরু করেছিলাম। প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্যকর্মী যক্ষা রোগীর বাসায় যাবে। রোগীকে ঔষুধ দিবে। রোগী সেটা স্বাস্থ্যকর্মীর সামনেই খাবে। এন্টিবায়োটিক খাওয়া DOT এর আন্ডারে আনতে হবে। অন্য কোন উপায় নেই।

খুব বেশি নিজেদের বাঁচাতে চাইলে, ফর গ্রেটার গুড… ধর্ষকদের মতোই বিচারবহির্ভূত ক্রসফায়ার চালু করতে হবে, যে লোকটি প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষুধ বিক্রি করবে, যে ফার্মেসীম্যান মহাজ্ঞানী জাহির করে আপনাকে এন্টিবায়টিক বদলে দিবে, নতুন ডোজ বাতিয়ে দিবে, যে রোগীটি অসম্পূর্ণ ডোজ এন্টিবায়োটিক খাবে তাকেও ক্রসফায়ারের আওতায় আনতে হবে। কারণ অসুস্থ রোগীটিই অসম্পুর্ণ ডোজ খেয়ে আরেকটি রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দিচ্ছে। নিজের মৃত্যুর সাথে পুরো মানবজাতিকে নিশ্চিহ্ন করবার কাজটি সেও করছে। এককোটি অজ্ঞ, ঘাড়ত্যাড়া এন্টিবায়োটিক ইউজারের বিনিময়ে হলেও বাকী ১৯ কোটি লোককে বাঁচাতে হবে।
সমস্ত আইনশৃংখলা বাহিনী সমস্ত চোর ডাকাত-ধর্ষক সব ছেড়ে পথে নামতে হবে। এইডসে পৃথিবী বিলুপ্ত হবে না। সোয়াইন ফ্লু, বার্ড ফ্লুতে মানবজাতি নিশ্চিহ্ন হবে না কিন্তু এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস পড়া শেষ হবার সাথে সাথে যদি আপনি প্রতিজ্ঞা না করেন, তাহলে মনে রাখবেন আপনি বেঁচে থাকবেন না আগামী পঞ্চাশ বছরে। আপনার অনাগত সন্তান বেঁচে থাকবে না ২০৭০ সাল দেখবার জন্য।

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে? - Improve baby mental growth

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে? মা-বাবা হিসাবে আপনি তো নিশ্চয় চান যে পড়াশোনায় আপনার বাচ্চা দারুণ কিছু করুক। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছ...