Skin care regular tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

Health and Skin Care Tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

Health and Skin Care Tips

You can get "Health and Skin care regular tips.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Saturday 21 October 2017

মাত্র ১ মাসে চুল পড়া কমাবে এই ছোট্ট গোপন ফর্মুলা! - This little secret formula will reduce hair fall in just 1 month

মাত্র ১ মাসে চুল পড়া কমাবে এই ছোট্ট গোপন ফর্মুলা!

মাথা থেকে খুব দ্রুত কমে যাচ্ছে চুল? আশঙ্কা হচ্ছে শীঘ্রই একটা চকচকে টাক দেখা দেবে মাথায়? এই রকম হলে আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাই বলবো।

টাক সমস্যা সমাধান হয়তো চিকিৎসকই করতে পারেন। তবে আপনার চুল পড়া কমানোর জন্য আমরা আপনাকে প্রাকৃতিক উপায়ে একটি কন্ডিশনার তৈরির পদ্ধতি বলে দিতে পারি যা সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করলে আপনার চুল পড়া কমে যাবে একমাসে শতকরা ৭০ ভাগেরও বেশি।

তাহলে জেনে নিন সেই গোপন ফর্মুলা!

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

• দশটি জবা ফুল
• একটা পাকা কলা
• আধা কাপ নারকেল তেল
• এক টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল
• এক টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস
• দুইটি ডিমের কুসুম
• এক টেবিল চামচ লেবুর রস
• এক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
• এক টেবিল চামচ ঘৃতকুমারী পাতার নির্যাস
• দুই ফোটা ল্যাভেন্ডার বা গোলাপের সুগন্ধ


তৈরি পদ্ধতি ও ব্যবহার:


সবগুলো উপকরণ এক সাথে নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ভালো ভাবে মেশাবেন। প্রয়োজনে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। পেস্ট তৈরি হওয়ার পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিয়ে চুলের গোড়া থেকে ভালো ভাবে পেস্টটা মাখিয়ে নিন। পেস্ট চুলে যত্ন নিয়ে মেখে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন।


এইভাবে সপ্তাহে দুই দিন করে এক মাস ব্যবহার করে দেখুন। দেখবেন আপনার চুলপড়া কমে যাবে শতকরা ৭০ ভাগেরও বেশি। আর হ্যাঁ; পুষ্টিকর খাবার, শাকসবজি, ফলমূল খাওয়া, পরিমান মতো পানি পান আর নিয়মিত ঘুম ও হালকা ব্যায়ামের কথা ভুলে যাবেন না। আপনার হোক স্বাস্থ্যকর চুল। সুস্থ্য থাকুন


আমাদের পেজে লাইক দিতে ভুলবেন না।

চুল খুব দ্রুত ঘন ও কালো করার ঘরোয়া উপায় - The domestic way of making the hair very fast and black

চুল খুব দ্রুত ঘন ও কালো করার ঘরোয়া উপায়

ঘন কালো সুন্দর চুল সকলেরই বেশ পছন্দের। সেই প্রাচীনকাল থেকে মেয়েদের সৌন্দর্যের বর্ণনায় চুলের উপমা দেয়া হয়ে থাকে। ঘন কালো লম্বা চুলের উপমা ছাড়া নারীর সৌন্দর্যের বর্ণনা পরিপূর্ণতা পায় না। মাঝে বেশ কিছুদিন ছোট চুলের ফ্যাশন ছিল। কিন্তু আবার নতুন করে ফিরে এসেছে লম্বা চুলের ফ্যাশন।

কিন্তু সমস্যা হলো আবহাওয়া এবং আমাদের যত্নআত্তির ত্রুটির কারণে চুলের সৌন্দর্য ধীরে ধীরে কমে আসছে। সকলেরই এখন চুল ঝরে পড়া কিংবা টাকের সমস্যা। এর পাশাপাশি কমে গিয়েছে চুল বাড়ার প্রক্রিয়াটিও। সহজে চুল লম্বাই হতে চায় না। এই সমস্যা সমাধান করবে ঘরোয়া কিছু প্রাকৃতিক উপায়। খুব সহজে আপনিও এই উপায়গুলো খাটিয়ে চুলের বেড়ে ওঠাকে নিশ্চিত করতে পারেন। নতুন চুল গজিয়ে চুল হবে ঘন, কালো, লম্বা।

পেঁয়াজের ব্যবহার
সেই প্রাচীন কাল থেকে চুল বৃদ্ধির কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজের রসে রয়েছে সালফার যা চুলের কোলাজেন টিস্যুর বৃদ্ধি উন্নত করে এবং চুল বাড়তে সাহায্য করে দ্রুত।

লাল পেঁয়াজ ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে একটি পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে রেখে চিপে রস বের করে নিন। এই পেঁয়াজের রস পুরো মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর মৃদু কোনো সাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করুন এই পেঁয়াজের রস।

ডিমের হেয়ার মাস্ক
ডিমের উচ্চ মাত্রার প্রোটিন চুলের ফলিকলে পুষ্টি প্রদান করে এবং চুল দ্রুত বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। এই মাস্কের সালফার, জিংক, আয়রন, সেলেনিয়াম, ফসফরাস এবং আয়োডিন চুল দ্রুত বৃদ্ধি করে।

১ টি ডিমের সাদা অংশ নিন। এতে ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। চুলে ভালো করে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ দিন ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।

আলুর রসের ব্যবহার
চুলের বৃদ্ধির কাজে আলুর রসের ব্যবহার অনেকেই জানেন না। কিন্তু আলুর ভিটামিন এ, বই এবং সি চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক।

আলু একেবারে ঝুড়ি করে নিয়ে খুব দ্রুত এর রস বের করে নিন। এই রস সরাসরি মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।

মেহেদীর হেয়ার মাস্ক
মেহেদী চুলের জন্য অনেক বেশি ভালো একটি উপাদান। চুল ঘন কালো ও লম্বা করতে মেহেদীপাতার তুলনা নেই।

১ কাপ পরিমান শুকনো গুড়ো মেহেদী অর্ধেক কাপ টকদই দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মেহেদীর মিশ্রণ চুলের আগা থেকে গোঁড়া এবং মাথার ত্বকে ভালো করে লাগান। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত চুলে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি সপ্তাহে ১ দিন ব্যবহার করবেন।

Saturday 16 September 2017

How to start business from Forever Living (BD).

আপনি যদি শিক্ষিত বেকার,কিংবা ডাক্তার,ইন্জিনিয়ার,ব্যাংকার, শিক্ষক, সরকারী বা বেসরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী অথবা যেকোন পেশাজীবি হন;যদি আজীবন নিজেকে এবং পরিবারকে সুন্দর গাইড লাইনের মাধ্যমে সুস্থ রাখার ইচ্ছা পোষন করেন এবং পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে চান তাহলে ফরএভার লিভিং প্রোডাক্টস্‌ বাংলাদেশ আপনার জন্য হবে সুন্দর প্লাটফর্ম।



Forever Living Company operates their business in Bangladesh since 7 years and globally since 38 years. The FLP company known as Aloe vera Company. Anybody can work in forever living products in Bangladesh.Just follow these simple steps:

1. First,  fill up the application form and submit to the company by your sponsor, Just call: +880-1911230710.
2. Attend the product related  seminar with friends
3.Buy some products for you or your family/colleagues of Taka 2500/- at least Equivalent $32.00
4. It's 100% free membership and there are no annual / renewal fees.
5.Any Bangladeshi citizens above or equivalent 18 years old can join Aloe vera co.(FLP)

নিম্নলিখিত ডকুমেন্টস গুলো দয়াকরে ইমেইল করুন  info.foreverlivingbd@gmail.com এবং +880-1911-230710 এই নাম্বারে কল করে বিস্তারিত জেনে নিন।
০১। NID card photocopy
০২।২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
০৩।MICR blank cheque (without signature) এর ফটোকপি ( মাসিক বোনাসের জন্য)
০৪। সর্বনিম্ন ২৫০০/- টাকার  Product ক্রয় করতে হবে।(১৫% ডিসকা্উন্টে )

** আমাদের ১৫০টি প্রোডাক্টস আছে: https://foreverliving.com/

Our some detail video link 

1. Introducing Products


Sunday 3 September 2017

কীভাবে নিবেন নবজাতকের স্কিন কেয়ার? - How to take newborn skin care?

কীভাবে নিবেন নবজাতকের স্কিন কেয়ার ?
কীভাবে নিবেন নবজাতকের স্কিন কেয়ার?

সংসারে একজন নতুন অতিথি আসার মত আনন্দ বোধহয় আর কিছুতে নেই! কোন দম্পতির ঘর আলো করে যখন সন্তান আসে, তখন সেই মুহুর্তটিকে মনে হয় বেশ সুখের, তৃপ্তির। শুরু থেকে নতুন অতিথির স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় সবই প্রস্তুতি নিতে থাকেন বাবা মা। শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ তো বটেই, সেইসাথে শিশুর নাজুক শরীরের সুরক্ষার জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।

কীভাবে নিবেন নবজাতকের স্কিন কেয়ার –

নবজাতকের জন্মের পর অন্য সবকিছুর পাশাপাশি শুরু থেকেই এ ব্যাপারটির উপর বাবা মায়ের গুরুত্ব দেয়া জরূরী সেটি হচ্ছে শিশুর ত্বক। মনে রাখবেন, জন্মের পর নবজাতক শিশুর ত্বক বেশ নাজুক থাকে। সেই সাথে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও। তাই একদম শুরুতেই হঠাৎ করেই কোন ধরণের ক্রিম, তেল, সুগন্ধী বা কাপড় ব্যবহার করলে তা শিশুর চামড়ায় শুষ্কতা, এমনকি লালচে র‍্যাশের মত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এই ব্যাপারগুলো নিয়ে সন্তান জন্মের আগে থেকে সাবধান হওয়া উচিৎ।

সন্তান জন্মের পর সবার আগে যেই কাজটি করা উচিৎ, সেটি হলো শিশুর জন্য কোমল এবং উষ্ণ আরামদায়ক জায়গার ব্যবস্থা করা। শিশু জন্মের পর তার শরীরের চামড়ায় ভারনিক্স নামের এক ধরণের তেল জাতীয় পদার্থ থাকে। এই পদার্থ অনেকটা অ্যান্টিবডির মত কাজ করে। বাইরের ধুলো বালি কিংবা অন্য কিছু যা শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে সব ত্বকের সংস্পর্শে আসতে বাধা দেয়। আমাদের দেশের মায়েদের মধ্যে একটি খুবই সাধারণ ব্যাপার দেখা যায়, সন্তান জন্মের পর তার শিশুকে যত দ্রুত সম্ভব গোসল করিয়ে ফেলতে চান। সেই সাথে শিশুর ত্বকে নানা ধরণের দেশি বিদেশী ক্রিম লাগানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সত্যি কথা বলতে এই ধরণের কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা উচিৎ।

সন্তান জন্মের পর অন্তত প্রথম সপ্তাহে শিশুকে গোসল করানো, ক্রিম লাগানো কিংবা এই ধরণের কোন কিছু লাগানো সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। কারণ গোসল করালে শিশুর ত্বকে প্রাকৃতিক যে তেলের স্তরটি থাকে, তা সরে যাবে এবং শিশুর ত্বক আরো নাজুক হয়ে পড়বে। একজন নবজাতকের জন্য গোসলের নিয়ম হচ্ছে সপ্তাহে তিনবার। তবে অবশ্যই সেটা পানি ঢেলে গোসল নয়, স্পঞ্জ কিংবা নরম কাপড় হালকা কুসুম গরম পানিতে চুবিয়ে শরীর মুছে ফেললেই হবে। এর বেশি গোসল করালে শিশুর ঠান্ডা লেগে যাবে, সেই সাথে ত্বকের তেলের আস্তর সরে গেলে একজিমার মত ভয়াবহ চামড়ার রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

সাধারণত মুখের লালা এবং ডায়াপার ছাড়া নবজাতক শিশু খুব একটা নোংরা হয় না। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার স্পঞ্জ দিয়ে গা মুছে দিলেই যথেষ্ট। আর দিনে একবার ক্লিনসার কিংবা অল্প একটু পানি দিয়ে মুখের ভেতরটা পরিষ্কার করে নিলেই হবে। শিশুর জন্মের পর অন্তত একবছর এই নিয়ম অনুসরণ করা উচিৎ।

আগেই বলেছি, শিশুর জন্মের পরই আমাদের দেশের নারীরা তাদের শরীরে বিভিন্ন দেশী বিদেশী বেবী প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে চান। শিশুর জন্মের পর অন্তত প্রথম ৬ মাস এই জিনিসটি সাবধানে ব্যবহার করা উচিৎ। আপনার বংশে যদি এলার্জি কিংবা অ্যাজমা এর রেকর্ড থেকে থাকে, তাহলে তো প্রশ্নই আসে না। কারণ নামে উপকারী হলেও এইসব বেবী প্রোডাক্ট শিশুর শরীরের প্রাকৃতিক আবরণ নষ্ট করে, যার কারণে শিশুর ত্বকে স্কিন ইনফেকশন হতে পারে।

নিয়মিত শিশুর বিছানাপত্র এবং কাপড় পরিষ্কার করতে হবে। এইক্ষেত্রে সুগন্ধী ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন। শুধু তাই নয়, পরিবারের অন্য সদস্যদের জামাকাপড়ের সাথে শিশুর লন্ড্রি মেলাবেন না। সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে পরিষ্কার ও গরম পানি দিয়ে সেগুলো পরিষ্কারের চেষ্টা করা দরকার।

আপনার শিশুর ডায়াপার নিয়মিত চেক করবেন। কারণ অধিক সময় ধরে নোংরা ডায়াপার পরা থাকলে শিশুর চামড়ায় র‍্যাশ হতে পারে। তাই ডায়াপার নোংরা হলে যত দ্রুত সম্ভব পরিষ্কার করবেন। ত্বক মোছার জন্য বাজারের বেবী ওয়াইপ না ব্যবহার করাই ভালো। এর পরিবর্তে পরিষ্কার নরম কাপড় ব্যবহার করুন। বেবী ওয়াইপে থাকা ক্যামিক্যাল শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। আর স্পর্শকাতর অঙ্গগুলোতে পেট্রোলিয়াম জেলী ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া যদি বেবী ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করেন, তবে লক্ষ্য রাখবেন পাউডার যাতে শিশুর মুখের দিকে না যায়। এতে শিশুর শ্বাসের সমস্যা হতে পারে।

আর শিশুর ত্বক কে আরো স্বাস্থ্যকর করে তুলতে ম্যাসাজ করতে পারেন। তবে সেটা অবশ্যই জন্মের অন্তত দশ সপ্তাহ পর থেকে। রিসার্চে দেখা গেছে শিশুকে কিভাবে স্পর্শ করা হচ্ছে, তার উপর শিশুর সুস্থতা ও বৃদ্ধি খানিকটা নির্ভর করে। শিশুর শরীর ম্যাসাজের জন্য স্পেশাল কোন টেকনিক নেই। একটি উষ্ণ রুমে শিশুকে ভাঁজ করা কম্বলের উপর উপুড় করে শোয়ান। এরপর স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ বেবী লোশন কিংবা বেবী অয়েল হাতে মেখে নিয়ে আলতো করে শিশুর শরীরে বুলান। মনে রাখবেন, শিশুর শরীরে যাতে চাপ না লাগে। এতে শিশু ব্যাথা লাগতে পারে। সাবধানে আলতো ভালো সারা শরীরে ম্যাসাজ করুন। এতে শিশুর চামড়া নরম এবং স্বাস্থ্যকর হবে।

সুস্থ ও হাসিখুশি একজন নতুন অতিথী কে না চায়? তাই আপনার নবজাতকের ভবিষ্যৎ সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তার লক্ষ্যে জন্ম থেকেই তার যত্ন নেয়া জরুরী।

কেমন হবে সন্তানের সাথে আপনার আচরণ - How would you treat your child

কেমন হবে সন্তানের সাথে আপনার আচরণ-


পিতামাতার সাথে সন্তানের সম্পর্ক বন্ধুর মত হতে হয় যেন তাঁরা তাদের সব কথা একে অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারে। যদি সন্তান পিতামাতার সাথে কথা বলতে লজ্জা পায় কিংবা পিতামাতার ব্যস্ততার জন্য যদি সন্তানকে সময় দিতে না পারেন, তাহলে সেটা সন্তানের জন্য মোটেই ভালো নয়। জীবনের গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় গুলো সন্তানকে শেখানোর দায়িত্ব তাঁর পিতামাতার। শিশুর মন কাদা মাটির মত, তাই এই সময় সে যা শুনে এবং দেখে তা তাঁর মনে গেঁথে যায়। শিশুরা নিষ্পাপ ও সংবেদনশীল এবং ওদের স্নেহ ও মমতা দিয়ে বড় করতে হয়। পিতামাতার উচিৎ সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দেয়া। শব্দ অনেক বড় প্রভাবক। আপনার ছোট একটি বাক্যই তাকে আপনার প্রতি অনুগত হতে সাহায্য করবে, এর ফলে আপনি তাকে ভালো আচরণ শেখাতে পারবেন। আজ আমরা এমনই কিছু কথা জেনে নিই আসুন।

কেমন হবে সন্তানের সাথে আপনার আচরণ-

১। “সারা দিন তোমার কেমন কাটলো”?
সন্তানের প্রতিদিনের কাজের প্রতি পিতামাতার আগ্রহ প্রকাশ করা প্রয়োজন। সে যখন স্কুল থেকে ফিরবে অথবা রাতে খাওয়ার সময় আপনি তাঁকে আগ্রহ নিয়ে বলুন সারা দিন তোমার কেমন কাটলো? এতে সে বুঝবে যে আপনি তাঁর বিষয়ে অনেক আগ্রহী তখন সে আপনাকে সব কথা বলার আগ্রহ পাবে এবং বলবে যা শুনতে আপনারও খুব ভালো লাগবে।

২। “তুমি জয়ী হয়েছো”!
একটা উৎসাহদায়ক শব্দই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিতে পারে বহুগুণ। যদি আপনার সন্তান কোন খেলায় জয়লাভ করে অথবা ছোট একটি ধাঁধাঁর সমাধান করতে পারে তাহলে তাকে বলুন তুমি জয়ী হয়েছো। এটা আপনার সন্তানকে সাফল্যের অনুভূতি দিবে যা তাকে জয়ী হওয়ার প্রেরণা যোগাবে।

৩। “আমি তোমাকে বিশ্বাস করি”
আপনি যখন এই কথাটি আপনার সন্তানকে বলবেন যে, ‘আমি তোমাকে বিশ্বাস করি’ তখন সে ও আপনাকে বিশ্বাস করা শুরু করবে। এর ফলে আপনার বিশ্বাসের অমর্যাদা হয় এমন কোন কাজ করতে সে অনেকবার ভাববে।

৪। “হাল ছেড়ে দিয়োনা”
‘হাল ছেড়ে দিয়োনা’ এই কথাটি বলে আপনি আপনার সন্তানকে ধৈর্যশীল হতে শেখাবেন। কোন কাজ একবার না পারলেই যেন সে হতাশ না হয়ে যায় এবং একটি কাজে বার বার চেষ্টা করেও যদি সে সফল হতে না পারে তাহলে কাজটি অন্য কোন পন্থায় করতে হবে, সেটা যেন সে চিন্তা করতে পারে এই বিষয়টি তাঁকে শিখাবে এই বাক্যটি।

৫। “না বলতে শেখান”
শিশু যখন বড় হতে থাকে তখন সে কী চায় এবং কী চায়না এই বিষয়ে যেন সিদ্ধান্ত নিতে পারে সেটা শেখাতে হবে। এতে করে আপনার সন্তান প্রফুল্ল থাকবে এবং মর্যাদা অনুভব করবে যার ফলে তার ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যতা তৈরি হবে। এর ফলে যদি কোন মানুষ তাকে জ্বালাতন করে সে তাদেরকে চিহ্নিত করতে পারবে। ভালমন্দের পার্থক্যটা যদি সে বুঝতে শেখে তাহলে সে ধরতে পারবে কোনটা তাঁর জন্য ভালো আর কোনটা তাঁর জন্য খারাপ এবং তাঁরা ঠিক পথে এগুচ্ছে কিনা এটা সব সময় খেয়াল রাখতে হবে বাবা মাকেই।

৬। “অন্যকে সাহায্য কর”
সামাজিক ও মানবিক আচরণ শেখানোর মূল দায়িত্ব ও বাবামায়ের। আপনার সন্তানকে বলুন অন্যের প্রয়োজনে সাহায্য করতে তাহলে সেও তাঁর প্রয়োজনে অন্যদের পাশে পাবে। অসহায় ও দুর্বল মানুষের পাশে দাড়াতে সেখান আপনার সন্তানকে। ভালো কাজের ভালো ফল এবং খারাপ কাজের খারাপ ফল মানুষকে ভোগ করতে হয় এই কথাটি তাকে বুঝিয়ে বলুন। এভাবেই সে মানবিকতা ও সামাজিকতার বিষয় গুলো বুঝতে ও শিখতে পারবে।

আপনি আপনার সন্তানকে যে বিষয় গুলো শিখাচ্ছেন সেই বিষয় গুলো আপনাকেও পালন করতে হবে না হলে আপনার প্রতি তাঁর আস্থা তৈরি হবেনা।

পুরুষের ত্বকের জন্য যেসব জিনিস ক্ষতিকর - The harmful things for men's skin are harmful

পুরুষের ত্বকের জন্য যেসব জিনিস ক্ষতিকর-


রোদ

রোদ পুরুষের ত্বকের জন্যে খুবই ক্ষতিকর। রোদে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার না করলে আপনার ত্বকে ক্যানসারও হতে পারে। ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করাটাও অনেক কষ্টের।

সুইমিং পুল

সুইমিং পুলের পানিতে থাকে ক্লোরিন, যা ত্বকের জন্যে ক্ষতিকর। তাই বাড়িতে এসে ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করা উচিৎ।

মানসিক চাপ

মানসিক চাপ আপনার ত্বকের জন্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর। তাই যতোটা সম্ভব মানসিক চাপ মুক্ত থাকুন। ঘুমানোর আগে সব চাপ ভুলে হালকা হয়ে ঘুমাতে যান।

ধোঁয়া

যানবাহনের ধোঁয়া এবং দূষণের ফলে ত্বকে দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে। তাই ঘরে ফিরে ক্লিনজার এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

ধূমপান

ধূমপান ত্বকের জন্যে ক্ষতিকর। এটা ত্বকে বিভিন্ন জটিল সমস্যা তৈরি করে। তাই ধূমপান ছাড়ুন।

সাবান

আপনার ত্বকের নমনীয়তা কেড়ে নেয় সাবান। অতিমাত্রায় সাবানের ব্যবহার ত্বকে ক্যানসারের কারণ হতে পারে। তাই সাবানের পরিবর্তে কম ক্ষারযুক্ত বেবি সাবান ব্যবহার করতে পারেন। অথবা সাবান ব্যবহার পুরোপুরি ছেড়ে দিন।

Saturday 26 August 2017

কর্মক্ষমতা বাড়ানোর ৭ টি উপায় - 7 way you can increase your power

কর্মক্ষমতা বাড়ানোর ৭ টি উপায়

কর্মক্ষেত্রে আপনার পার্ফরমেন্স কি দিনে দিনে লোপ পাচ্ছে? আপনি কি আগের মত মনোযোগ দিতে পারছেন না? সারাদিনই পরিশ্রম করছেন কিন্তু দিন শেষে দেখছেন, কাজে ভুল রয়েই যাচ্ছে? আপনার কর্মক্ষমতা কি হ্রাস পাচ্ছে? দুশ্চিন্তার কিছু নেই। পার্ফরমেন্স কোন মানুষেরই সবসময় একরকম থাকে না। হারানো কর্মক্ষমতা ফিরে পাওয়া সম্ভব।

আসুন জেনে নিই, মনোবিজ্ঞানীরা কী বলছেন এব্যাপারে। মনোবিজ্ঞানী সুসান কে পেরি পিএইচডি বলেছেন কীভাবে ৭টি উপায়ে বাড়াবেন কর্মক্ষমতা।

১। জরুরী কাজে কম সময় ব্যয় করুন
নিজেকে নিজেই একটি ডেডলাইন দিন। কাজটি জরুরী, কিন্তু সময় আছে বলে যদি ফেলে রাখেন তাহলে শেষ মুহুর্তেও দেখা যাবে অনেক কাজ বাকি। তখন তাড়াহুড়া করে কাজ করলে ভাল হবে না কাজটি। তাই অযথা সময় ব্যয় করবেন না। তার চেয়ে বরং সময় বেঁধে দিন নিজেকে। প্রতিদিন আপনার জরুরী কাজগুলো নির্দিষ্ট করুন, একটা টার্গেট ঠিক করুন কতটা সময়ের মধ্যে কাজগুলো শেষ করবেন। এতে আপনার কাজের গতি বাড়বে, কাজও ভাল হবে।

২। নিজের সর্বোচ্চ সহ্য ক্ষমতা ব্যবহার করুন
প্রতিদিন নিজের পরিশ্রম করার ক্ষমতাকে বাড়ানোর চেষ্টা করুন। আরেকটু বেশী কাজ দিন নিজেকে। অল্প অল্প করে বাড়ান। আজ অনেক ক্লান্ত? রোজকার ব্যায়ামটা আর করবেন না। না। এভাবে অভ্যাসটা বদলাবেন না। একদিনের ছাড় আপনাকে আরও অনেকদিন ছাড় দিতে বাধ্য করবে। বরং ১ ঘন্টার জায়গায় ৩০ মিনিট করুন। কিন্তু কাজটা অবশ্যই করুন।

৩। সব কিছু গুছিয়ে নিন
আপনি যখন কোন কাজে বসেন ভেতরে ভেতরে কি তাড়া বোধ করেন যেন কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হয় নি? একটা কাজের ফাঁকে কি এমন ছোট ছোট টুকুটাকি কিন্তু জরুরী কাজেরা আপনাকে উদ্বিগ্ন করে? এসব কাজের একটা লিস্ট করে ফেলুন। একদিন সময় নিয়ে গুছিয়ে করে ফেলুন কাজগুলো। অথবা সেগুলো এমন পর্যায়ে নিয়ে আসুন যাতে করা খুব সহজ হয়। জরুরী বড় কাজের মাঝে মনোযোগ নষ্ট করতে দেবেন না এই কাজগুলোকে।

৪। ক্যাফেইন গ্রহণ করুন
ক্যাফেইন গ্রহণ কিন্তু পরিমাণ মত হলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ নয়। ক্যাফেইন শরীরে শক্তি জোগায়। আপনি অবশ্যই কফি আসক্ত একজন মানুষে পরিণত করবেন না নিজেকে। কিন্তু কিছু বিশেষ কাজের আগে নিজেকে তরতাজা করতে ক্যাফেইন গ্রহণ করুন।

৫। সরাসরি ‘না’ বলুন
নতুন কোন কাজ যদি আসে তাহলে খেয়াল করে দেখুন সেটা আপনার ১-১০ এর মধ্যে জরুরী কাজগুলোর সাথে কোন বিপত্তি তৈরি করে কিনা! অথবা বাড়তি প্রেসার তৈরি করে কিনা। কোন সমস্যা না থাকলে কাজটি গ্রহণ করুন। নাহলে বাদ দিন। কারণ একটি বাড়তি কাজ আপনার দরকারি কাজগুলোর মান খারাপ করতে পারে।

৬। অমনোযোগের সাথে মেইল পড়বেন না
আপনার মেইলে অবশ্যই কোন গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ রয়েছে আপনার জন্য। যখন পড়বেন অবশ্যই তার রিপ্লাই দেবেন বা দরকারি পদক্ষেপ নেবেন। যদি তা না করতে চান, যদি এতটাই অবসাদ বোধ করেন তাহলে পরে পড়ুন। অযথা সময় নষ্ট করবেন না।

৭। নিজের ভবিষ্যতকে একটা চিঠি লিখুন
নিজেকে ভবিষ্যতে কোন অবস্থানে দেখতে চান আপনি? তাকে জানান তার জন্যই করছেন কাজগুলো। অনেক অপছন্দের কাজ সহজ হয়ে যাবে করা।

শিশু মিথ্যা বললে কি করবেন? - Child liers

শিশু মিথ্যা বললে কি করবেন?

যে যে কারণে শিশুরা মিথ্যা বলে :

১। কোন কিছু ঢাকার জন্য যেনো সে সমস্যায় না পড়ে।

২। তারা মিথ্যা কথা বলছে এটা শোনার পর আপনি কি প্রতিক্রিয়া দেখান তা দেখার জন্য।

৩। নিজেদের গল্পকে আরো রোমাঞ্চকর করে তোলার জন্য অথবা নিজেদের সম্পর্কে আরো ভালো অবস্থান তৈরি করার জন্য।

৪। মনোযোগ আকর্ষণের জন্য যদিও সে জানে যে আপনি সত্যিটা জানেন।

৫। কোন কিছু পাওয়ার জন্য যেমন- দাদি বা নানিকে বলা যে, “মা আমাকে ডিনারের আগে ললি দেয়”।

কখন মিথ্যা বলা শুরু করে :

শিশুরা খুব ছোটবেলা থেকেই মিথ্যা বলা শুরু করে সাধারণত ৩ বছর বয়স থেকে। শিশু তখনই মিথ্যে বলা শুরু করে যখন সে বুঝতে পারে যে আপনি তার মন বুঝতে পারছেন না। ৪-৬ বছরের শিশুরাই বেশি মিথ্যে কথা বলে। শিশুর চেহারার অভিবেক্তি ও কণ্ঠস্বর শুনে আপনি বুঝতে পারবেন যে সে মিথ্যা কথা বলছে। শিশুর যখন স্কুলে যাওয়ার বয়স হয় তখন সে মিথ্যা বলায় পটু হয়। তখন এই মিথ্যা বলাটা আরো বেশি জটিল হয়ে উঠে কারণ সে অনেক বেশি কথা বলে এবং অন্যরা কী ভাববে তা সে বুঝতে পারে। ৮ বছর বয়সে শিশুরা সফলভাবেই মিথ্যা বলতে পারে যা অন্যরা ধরতে পারেনা।

সত্যি বলার জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন যেভাবে :

শিশু যখন সত্যমিথ্যার পার্থক্য বুঝতে পারার মত বড় হয় তখন তাকে সত্য বলার জন্য উদ্বুদ্ধ করা ও সহযোগিতা করা ভালো। আপনার পরিবারে সত্য বলার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করুন এবং সত্য বলার জন্য আপনার সন্তানের প্রশংসা করুন। তাকে সততার বিষয়ে ম্যাসেজ পাঠাতে পারেন এবং সে যখন মিথ্যা বলে তখন সেটা আপনি পছন্দ করেন না এটাও তাকে বলুন। আপনি আপনার সন্তানকে এই রকম কিছু বলার চেষ্টা করুন যে, “তুমি যখন আমাকে সত্যি কথা  বলোনা তখন আমি খুব দুঃখ পাই এবং হতাশ হই”।

আপনার সন্তানকে সততা ও সত্য বলার জন্য উৎসাহিত করতে পারে এমন কিছু টিপস হচ্ছে :

যদি আপনার সন্তান কোন বিষয়ে গল্প তৈরি করে তাহলে তাকে বলতে পারেন, “এটা খুবই ভালো একটি গল্প হয়েছে, আমরা এটিকে বই আকারে প্রকাশ করতে পারি”। এর ফলে তার মধ্যে কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি পাবে তবে মিথ্যাকে অনুৎসাহিত করে।
মিথ্যা বলার প্রয়োজন পড়ে এমন কোন পরিস্থিতি এড়িয়ে যেতে সাহায্য করুন আপনার সন্তানকে যেমন- যদি আপনার সন্তানকে দেয়া দুধের গ্লাস থেকে দুধ চলকে পড়ে যায় তাহলে তাকে এবং তখন যদি আপনি তাকে জিজ্ঞেস করেন যে বাকি দুধ কোথায় গেল তখন সে মিথ্যা বলতে প্রলুব্ধ হতে পারে। এটা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য আপনি বলুন, এখানে দেখছি দুধের সঙ্গে একটা অঘটন ঘটে গেছে, চল পরিষ্কার করে ফেলি।
মানুষের শ্রদ্ধা বা সম্মান পাওয়ার গল্প আপনার সন্তানকে শোনান। যদি আপনার সন্তানের সাথে এমন কিছু ঘটে তাহলে তার প্রশংসা করুন। তাই যখন সে নতুন কিছু শিখে তখন তার আত্মবিশ্বাস অনেক গুণ বৃদ্ধি পায়।
আপনার পরিবারের গ্রহণযোগ্য আচরণের বিষয়ে নিয়ম নীতির উপর গুরুত্ব আরোপ করুন।
আপনার সন্তান যখন কোন ভুল করে তা স্বীকার করে তার জন্য তার প্রশংসা করুন। তাকে বলুন, “তুমি সত্যি কথাটা বলায় আমি সত্যিই খুব খুশি হয়েছি”।
আপনার সন্তানকে সততার মূল্য সম্পর্কে বুঝানোর জন্য গল্প বলুন বা গল্পের বই পড়ে শোনান যেমন- রাখাল ছেলের বাঘ নিয়ে মিথ্যা বলার গল্পটি শোনান।


Sunday 25 June 2017

গাছের নাম - তরুণী - The name of the tree - the young woman

গাছের নাম - তরুণী - Young woman, Aloe Vera

Aloe Vera Tree
বাংলায় নাম তরুণী ঔষধি গাছ হিসারে এর অনেক কদর। তবে বাংলার মানুষ একে ঘৃতকুমারী নামেই বেশী চিনে। এর আর একটি নাম আছে তা হলো কুমারী । এর বৈজ্ঞানিক নাম Aloe Vera এটি Asphodelaceae (Aloe family) পরিবারের একটি উদ্ভিদ। অন্যান্য নামের মধ্যে Aloe vera, Medicinal aloe, Burn plant Hindi: Gheekumari উল্লেখযোগ্য।

ঘৃতকুমারী বহুজীবি ভেষজ উদ্ভিদ এবং দেখতে অনেকটা আনারস গাছের মত। এর পাতাগুলি পুরু, দুধারে করাতের মত কাঁটা এবং ভেতরে লালার মত পিচ্ছিল শাঁস থাকে। সবরকম জমিতেই ঘৃতকুমারী চাষ সম্ভব তবে দোঁয়াস ও অল্প বালি মিশ্রিত মাটিতে গাছের বৃদ্ধি ভালো হয় নিয়মিত জলসেচের দরকার হলেও গাছের গোড়ায় যাতে জল থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সাধারণতঃ শেকড় থেকে বেরনো ডাল বা ‘সাকার’-এর সাহায্যে এই গাছের বংশবৃদ্ধি হয়।

এই ঘৃতকুমারীতে রয়ছে ২০ রকমের খনিজ। মানবদেহের জন্য যে ২২টা এমিনো এসিড প্রয়োজন তার ৮ টি এতে বিদ্যমান। এছাড়াও ভিটামিন A, B1, B2, B6, B12, C এবং E রয়েছে।

ব্যবহার্য অংশ - পাতা, শাঁস
-ঘৃতকুমারী পাতার রস, ২-৪ চামচ করে দিনে একবার খেলে যকৃতের ক্রিয়া বৃদ্ধি করে৷
কোন জায়গা যদি আগুনে পুড়ে যায় তাহলে টাটকা পাতার শাঁস ঐ জায়গায় লাগলে চট্ জলদি আরাম পাওয়া যায়৷ ফলে ফোসকা পড়ে না এবং চামড়ার দাগ হয় না৷
-মাথা যদি সব সময় গরম থাকে তাহলে পাতার শাঁস প্রতিদিন একবার তালুতে নিয়ম করে লাগালে মাথা ঠান্ডা হয়৷
-একজিমা ঘৃতকুমারী শাঁস প্রতিদিন নিময়ম করে কয়েক সপ্তাহ লাগালে চুলকানি খেকে আরাম পাওয়া যায়৷
-কোমরে ব্যথা হলে শাঁস অল্প একটু গরম করে মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায় ৷
-ঘৃতকুমারী শাঁস ১ – ২ চামচ ও ২ চামচ মিছরি একসঙ্গে সেবন করলে শরীরে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়৷

ঘৃতকুমারী, অ্যালোভেরা, অতি উপকারী উদ্ভিদ - Aloe Vera, Very beneficial plant


ঘৃতকুমারী, অ্যালোভেরা, অতি উপকারী উদ্ভিদ - Aloe Vera, Very beneficial plan



ঘৃতকুমারী, অ্যালোভেরা, অতি উপকারী উদ্ভিদ - Aloe Vera, Very beneficial plant
ঘৃতকুমারী, অ্যালোভেরা, অতি উপকারী উদ্ভিদ - Aloe Vera, Very beneficial plant
Aloe Vera Gelইউনানী শাস্ত্রে শুকনো চূর্ণকৃত ঘৃতকুমারীর নাম হয়ে মুসাওওয়ার। আজকের ট্রান্সন্যাশনাল বা মাল্টিন্যাশনাল কসমেটিক্স কোম্পানিগুলো মহাসমারোহে এ নামটির গুণকীর্তন করছে, বলছে হারবাল। দেখাচ্ছে ছবির সেই কবিরাজ বা বৈদ্য মশায়ের উদূখলের ছবি তা নেহায়েত অকারণে নয়। প্রায় প্রতিটি দামী ইউরোপীয় অঙ্গরাগের কৌটায়, শিশিতে বা বোতলে, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার চোখধাঁধানো বিজ্ঞাপনে রয়েছে এলোভেরার জয়গান।

ঘৃতকুমারী গাছটা দেখতে অনেকটাই কাঁটাওয়ালা ফণীমনসা বা ক্যাকটাসের মতো। অ্যালোভেরা ক্যাক্টাসের মত দেখতে হলেও, ক্যাক্টাস নয়। এটা একটা লিলি পরিবারের উদ্ভিদ যেমন পেঁয়াজ ও রসুন। এটা পেঁয়াজ বা শাপলা-পদ্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর পাতাগুলো বর্শা আকৃতির লম্বা, পুরু ও মাংসল। তরুটির রং সবুজ যার মাঝে রয়েছে রহস্যময় গুণ যার গুণকীর্তন করে কোটি ডলার কামিয়ে নিচ্ছে পাশ্চাত্য, প্রাচ্য দেশীয় তরু থেকে।

পৃথিবীতে প্রায় ২৫০ রকমের অ্যালোভেরা জন্মে, তবে মাত্র দু’রকমের অ্যালো বানিজ্যিক ভাবে চাষ করা হয়।

আমাদের এ অমূল্য ধনের কথা আমরা অনেকেই জানি না। তবু সাধারণ মানুষ যে জানে তা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করা যায় জনতার ভিড়ে ঘৃতকুমারীর শরবত নোংরা পরিবেশেও দারুণ বিক্রি থেকে। এটা বলছি আমাদের দেশের কথা। গরিব মেহনতি মানুষে খায় পেট ঠাণ্ডা রাখার জন্য। ঘৃতকুমারী কোষ্ঠকাঠিন্য ও খুশকির ভালো ওষুধ।

কৃত্রিম কারখানায় বা কেমিক্যাল ল্যাবরেটরিতে যা অত্যাধুনিক এলোভেরা নামে বেরিয়ে আসে তারচেয়ে বরং ঘৃতকুমারী সজীব টাটকা অবস্থাতেই সবচেয়ে দ্রুত উপকার দর্শায়। কেননা কারখানায় এলোভেরা বানাতে গিয়ে তাপ প্রয়োগ করতে হয়, ওটাকে অনেকদিন ঠিক রাখার জন্য আবার এনজাইম যোগ করতে হয় তাতে ঘৃতকুমারী কম কাজ করে।





মহাচীন যখন মাওয়ের নেতৃত্বে লড়ছে কুওমিন্টাং-এর সাথে স্বাধীনতার জন্য তখন এক পর্যায়ে পাশ্চাত্য তাদেরকে আধুনিক ওষুধ সরবরাহ কঠিন করে দেয়। তখন চীনের নেতৃত্ব গড়ে তোলেন বেয়ারফুট ডক্টর বা নগ্রপদ ডাক্তার। অনেকটাই হাতুড়েই বলা যায়। কিন্তু তারা ভেষজ থেকে যে সব ওষুধ তৈরি করে তা আজকের বিশ্বের অন্যতম হারবাল চিকিৎসা পদ্ধতি। এর স্বীকৃতি ছিল না। এখন সেই পাশ্চাত্য এর স্বীকৃতি তো দিয়েছেই। উপরন্তু চুটিয়ে ব্যবসাও করে নিচ্ছে।

এলোভেরার নান্দনিকতায় ফিরে আসি। গোটা বিশ্ব জুড়ে এই গাছের জুস বা রস ক্যাপসুল বা জেলের আকারে বিক্রি হচ্ছে। এই জেলের ভেতরে আছে বিশটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা থেকে বিজ্ঞানীরা বলেন প্রাণের সৃষ্টি। এই ২০ অ্যামিনো অ্যাসিডের আটটি দেহের মাঝে তৈরি হয় না। এটা বাইরে থেকে খাদ্যের আকারে গ্রহণ করতে হয়। এটা আসে ঘৃতকুমারী থেকে।




বিউটি এইড হিসেবে ঘৃতকুমারীর জেল বা আঠালো পদার্থ লোশন বা ক্রিমে মিলিয়ে দেয়া হয় ময়েশ্চারিজার হিসেবে। এটা ত্বকে পড়লে ত্বকে একটা উজ্জ্বল আভা আসে, তরতাজা হয়ে ওঠে আপনার ত্বক। এটা দেহের কোনো অংশ পুড়ে যাওয়া সারাতেও ব্যবহার হয়। কাজেই জলপাই তেলেরও আদর্শ বিকল্প এটি। রেডিয়েশন বার্ন সারাতেও এর ব্যবহার হয়েছে বলে এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আছে।

ঘৃতকুমারী : মেছতা দূর করার আরেকটি উপাদান হলো এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী পাতার জেল। এই জেলের রয়েছে ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করার ক্ষমতা। আক্রান্ত স্খানে আঙুলের ডগার সাহায্যে ধীরে ধীরে জেল ঘষে লাগাতে হবে এবং সারা রাত লাগিয়ে রাখতে হবে। এভাবে কয়েক সপ্তাহ লাগালে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে। এ ছাড়া এলোভেরা জেলের সাথে ভিটামিন ই এবং প্রিমরোজ ওয়েল মিশ্রিত করে লাগালে এক সপ্তাহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া যাবে। একই সাথে জেলের শরবত খেলে ভালো হবে।





অ্যালোভেরা জেল মানুষের শরীরের ভেতরের যাবতীয় আবর্যনা পরিষ্কার করে প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে পরিশোধিত করে, ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরার আশ্চর্য ঔষধি গুন রক্তে কোলেস্টেরল ও চিনির মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সাহায্য করেছে; রক্তচাপও কমিয়ে আনছে। ”অ্যালোভেরা জেলী” ব্যবহারকারীদের তাদের যে কোনো চর্মরোগ, মেছতা, ব্রন দূর করতে দেখা গেছে।

(বাজার থেকে দাম দিয়ে এলভেরার জেল/ ফেইস ওয়াশ না কিনে সরাসরি এলভেরার পাতা থেকে জেল লাগালে ব্রণ এক সপ্তাহে কমে, এটা আমি নিজে পরিক্ষা করেছি।
অবশ্য পরামর্শ দাতা আমার চায়নিজ বন্ধু মাজুন। )




মিসরের রাণীর কাছে কেন এটার গাধার দুধের চেয়ে কদর সেটা এখন বুঝতে পারছেন পোস্ট মডার্ন যুগের সৌন্দর্যপিপাসুরাও।
চুল পড়া বন্ধ করে এলোভেরা, তাই দামী শ্যাম্পুর বোতলেও দেখবো আমরা এর নান্দীপাঠ। চুলপড়া দূর করে এলোভেরা। ইদানিং টুথপেষ্ট ও বেড়িয়েছে এলভেরার, ঘৃতকুমারীর প্রশস্তি তাই আর নয়। শুধু ভরা থাক সৌন্দর্যপ্রিয় মানুষের হৃদয় ।

ঈদের প্রথম তিনদিন সবটিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানমালা ও সময়সূচী - Events and schedules of the all TV channels for the first three days of Eid

** ঈদের প্রথম তিনদিন সবটিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানমালা ও সময়সূচী **


ঈদের অনুষ্ঠানমালায় এবার টিভি চ্যানেলগুলোয় প্রাধান্য পেয়েছে নাটক ও টেলিছবি। সঙ্গে আছে চলচ্চিত্র, গান, শিশুতোষ, নাচ ও ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। ঈদের প্রথম তিন দিনের অনুষ্ঠান নিয়ে এই আয়োজন।

বিটিভি

ঈদের দিন
৮-৪০ নাটক :দি অ্যাকটিভ বয়েজ
১০-২০ ম্যাগাজিন :আনন্দ মেলা

ঈদের পরদিন
৮-৩০ টেলিছবি :হৃদয়ে মম
১০-২০ ম্যাগাজিন :ইত্যাদি

ঈদের তৃতীয় দিন
৮-৩০ নাটক :ঘণ্টা
১০-৩০ ম্যাগাজিন :পরিবর্তন

এটিএন বাংলা

ঈদের দিন
৭-৪০ ধারাবাহিক নাটক :নসু ভিলেন
৮-৫০ নাটক :ভুলে ভেসে কূলে আসা
১১-৪৫ টেলিছবি :রং পেন্সিল

ঈদের পর দিন
৮-৫০ নাটক :ব্লাইন্ডনেস
১১-৪৫ টেলিছবি :সব চরিত্র কাল্পনিক

ঈদের তৃতীয় দিন
৮-৫০ নাটক :প্রেম বড় মধুর
১১-৪৫ :টেলিছবি :বিবেক মজিদ

চ্যানেল আই

ঈদের দিন
৬-১০ ধারাবাহিক নাটক :খেলা হলো খুলনায়
৭-৫০ নাটক :থ্রি টু ওয়ান জিরো অ্যাকশন
৯-৩৫ নাটক :মহারানী

ঈদের পর দিন
২-৩০ টেলিছবি :সোনার বরণী কইন্যা
৭-৫০ নাটক :প্রিয়ন্তির জন্য একটু ভালোবাসা
৯-৩৫ নাটক :অসামাজিক

ঈদের তৃতীয় দিন
৪-৩০ টেলিছবি :সে সময়ে তুমি আমি
৭-৫০ নাটক :যাতনা
৯-৩৫ নাটক :দরজার ওপারে

একুশে টেলিভিশন

ঈদের দিন
৭-২৫ ধারাবাহিক নাটক :মি. সুলতান
১০-২০ ধারাবাহিক :ম্যানপাওয়ার
১১-২৫ ধারাবাহিক :পোস্টমার্টেম

ঈদের পরদিন
রাত ৮-০০ আমার ছবি আমার গান
৯-৩০ নাটক :ছবিয়াল রি-ইউনিয়ন

ঈদের তৃতীয় দিন
৬-১৫ ঈদ রিলিজেস
৯-৩০ নাটক :ছবিয়াল রি-ইউনিয়ন

এনটিভি

ঈদের দিন
২-২০ টেলিছবি :দ্য পেইন্টার
৬-৪৫ ধারাবাহিক নাটক :একটি পারিবারিক প্রেমকাহিনী
৮-০৫ নাটক :১৩৩৩
৯-৫০ ধারাবাহিক :আল্টিমেটাম
১১-১০ নাটক :লাইফ ইজ কালারফুল

ঈদের পরদিন
২-২০ টেলিছবি :নোটস
৮-০৫ নাটক :তোমার দিকে আসছি
১১-১০ নাটক :দেয়ালের ওপারে

ঈদের তৃতীয় দিন
২-২০ টেলিছবি :ব্যাচ ২৭
৮-০৫ নাটক :হঠাৎ নীরার জন্য
১১-১০ নাটক :মেঘনীল

আরটিভি

ঈদের দিন
৬-০০ ধারাবাহিক নাটক :প্যারা-৪
৭-১০ ধারাবাহিক :ছোটলোক
৭-৫৫ নাটক :ফুল ফোটানোর খেলা
৮-৩৫ নাটক:ঘাউরা মজিদ এখন শ্বশুড়বাড়ি
৯-৪৪ নাটক :মহিনের নীল তোয়ালেটা
১০-০০ নাটক :এনগেজড
১১-৪৫ টেলিছবি :অহত পাখির গান

ঈদের পরদিন
৭-৫৫ নাটক :রাতুল বনাম রাতুল
৮-৩৫ নাটক :মাখন মিয়ার অদ্ভুত বউটা
১০-০০ নাটক :ছুটির নিমন্ত্রণে
১১-৪৫ টেলিছবি :রঙিন বায়োস্কোপ

ঈদের তৃতীয় দিন
৭-৫৫ নাটক :দ্বন্দ্ব সমাস
৮-৩৫ নাটক :যমজ-৭
১০-০০ নাটক :মুখোশের আড়ালে
১১-০৫ নাটক :ভাবনার বিপরীতে
১১-৪৫ টেলিছবি :তোর কপালে দুঃখ আছে

বাংলাভিশন

ঈদের দিন
৬-২৫ ধারাবাহিক নাটক :অ্যাভারেজ আসলাম ইজ নট এ ব্যাচেলর
৮-৪০ নাটক :গোয়েন্দা ঘটক
৯-৪০ ধারাবাহিক নাটক :ভোটার
১১-৫৫ নাটক :পিকনিক

ঈদের পরদিন
৮-৪০ নাটক :গৃহপালিত স্বামী
১১-৫৫ নাটক :প্ল্যাটফর্ম

ঈদের তৃতীয় দিন
৭-৫০ নাটক :অপরাজিতা
৮-৪০ নাটক :স্বপ্নের মানুষ
১১-৫৫ নাটক :মিস্টার জ্যাপ

দেশ টিভি

ঈদের দিন
৫-৪৫ ধারাবাহিক :মধ্যবিত্তনামা
৬-১৫ ধারাবাহিক :লজ্জাবতী লায়লা এবার অভিনেত্রী লায়লা
৭-৩৫ নাটক :শূণ্য ঘরের ছাদ
৮-৪৫ নাটক : হোটেল বিলাসবহুল

ঈদের পর দিন
৭-৩৫ নাটক :অনুসিদ্ধান্ত
৮-৪৫ নাটক :নেতা ভার্সেস অভিনেতা

তৃতীয় দিন
৭-৩৫ নাটক :নিকট অজানা
৮-৪৫ নাটক :গোলাপজান

বৈশাখী টেলিভিশন

ঈদের দিন
৬-১৫ ধারাবাহিক :ব্রেক ফেইল
৭-৩৫ নাটক :বউ যদি এমন হয়
৮-৪৫ নাটক :বুলির ব্যালকনি
১০-৩৫ নাটক :স্প্রিং রেইন

ঈদের পরদিন
৭-৩৫ নাটক :অভিমান
৮-৪৫ নাটক :চোর ও চুড়ি
১০-৩৫ নাটক :মজাই সাজা

ঈদের তৃতীয় দিন
৭-৩৫ নাটক :ভুল লিখিতে ভুল করিও না
৮-৪৫ নাটক :মানুষ/অমানুষ
১০-৩৫ নাটক :সেলিব্রেটি বুয়া

মাছরাঙা টিভি

ঈদের দিন
৬-২০ ধারাবাহিক :বেঙ্গল সমিতি
৭-৩০ হিরো ভাইয়ের হিরোইন
৯-০০ নাটক :টাকায় টাকা ওড়ে
১১-৩০ টেলিছবি :মন্দবাসা

ঈদের পরদিন
৯-০০ নাটক :কনফিউজড
১১-৩০ টেলিছবি :তালপাতার পাখা

ঈদের তৃতীয় দিন
৯-০০ নাটক :মার্গারেট ও চণ্ডীকথা
১১-৩০ টেলিছবি :অবশেষে আমরা

চ্যানেল নাইন

ঈদের দিন
৫-০০ টেলিছবি :তোমার আমার প্রেম
৭-৩০ নাটক :শুকনো ফুল
৮-৪৫ নাটক :যে শহরে ভালোবাসা হলুদ গল্প হয়

ঈদের পরদিন
৫-০০ টেলিছবি :মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ
৭-৩০ নাটক :একটি সন্দেহের গল্প
৮-৪৫ নাটক :আমার না লেখা কিছু চিঠির কথা

তৃতীয় দিন
৫-০০ টেলিছবি :রসিয়া
৭-৩০ নাটক :শ্যাওলা ধরা পড়ে
৮-৪৫ নাটক :রেড রোজ

জিটিভি

ঈদের দিন
৬-০০ নাটক :নবাব ভাইয়ের বউ
৯-০০ ধারাবাহিক নাটক :চান্স মাস্টার :দ্য সওদাগর
৯-৩০ নাটক :অফবিট
১১-৫০ টেলিছবি :চিলেকোঠা ও ভাড়াটিয়া

ঈদের পরদিন
১১-০৫ বাহার বাবুর্চি
১১-৫০ টেলিছবি :লাভ লেটার বক্স

তৃতীয় দিন
৯-৩০ নাটক :সাদাকালো
১১-০৫ নাটক :গোল
১১-৫০ টেলিছবি :মেঘের গল্প

এসএ টিভি

ঈদের দিন
৮-৫০ নাটক :একের পর ১
১০-৩০ ধারাবাহিক :বিশেষ অজ্ঞগণ

ঈদের পরদিন
২-২০ টেলিছবি :বসন্ত আসে বসন্ত যায়
৮-৫০ নাটক :স্কাল্পচার

তৃতীয় দিন
২-২০ টেলিছবি :অভিনেত্রী
৮-৫০ নাটক :উইন্ড অব চেঞ্জ

এশিয়ান টিভি

ঈদের দিন
৭-৪৫ ধারাবাহিক নাটক :রসগোল্লা
৮-০০ নাটক :হানিমুন
৯-৪০ ধারাবাহিক নাটক :খালি কলসি বাজে বেশি
১০-২০ ধারাবাহিক :ভেল্কিবাজি

ঈদের পরদিন
৮-০০ নাটক :ছাওয়াল

ঈদের তৃতীয় দিন
৮-০০ নাটক :হানিমুন
১০-২০ নাটক :লাস্ট ডেট অব সুইসাইড

দীপ্ত টিভি

ঈদের দিন
৬-০০ টেলিছবি :পলাতম প্রেম
১১-০০ ধারাবাহিক :বিড়াল বিড়ম্বনা
১২-০০ নাটক :ইতি ভালোবাসো

ঈদের পরদিন
৬-০০ টেলিছবি :ফটিক বাবু
১২-০০ নাটক :টোনাটুনির সংসার

ঈদের তৃতীয় দিন
৬-০০ টেলিছবি :কমন প্রেম
১২-০০ নাটক :প্রেমপত্র


অ্যালোভেরা জেলের অজানা এই ১৯ স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানা আছে আপনার ? - Unknown health benefits of Aloe Vera Jail

অ্যালোভেরা জেলের অজানা এই ১৯ স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানা আছে আপনার ?

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী অতি পরিচিত একটি উদ্ভিদের নাম।  এই পাতাটি রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে আদিকাল থেকে। বহুগুণে গুণান্বিত এই উদ্ভিদের ভেষজ গুণের শেষ নেই। এতে আছে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফলিকঅ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিনএ, বি৬ ও বি২ ইত্যাদি। বহু রোগের সমাধান করে থাকে ছোট এই একটি পাতা। অ্যালোভেরার পাতার ভিতরে থাকা জেলটি ব্রণ দূর করা থেকে শুরু করে আগুণে পুড়ে যাওয়া ত্বক সারাতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি অনেক ঔষুধ তৈরি করতেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে অ্যালোভেরা জেল। রুপচর্চায় অ্যালোভেরার জেলের ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সবাই জানি, আজ এর ঔষধি গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
Unknown health benefits of Aloe Vera Jail
Unknown health benefits of Aloe Vera Jail

১। হার্ট সুস্থ রাখতে - Keep the heart healthy

আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা জুস। অ্যালোভেরা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করে থাকে। এটি দীর্ঘদিন আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে।

২। মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ ও হাড় ও মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে - Muscle and joint pain prevention and strengthens bones and muscles

অ্যালোভেরা মাংসপেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি ব্যথার স্থানে অ্যালোভেরা জেলের ক্রিম লাগালে ব্যথা কমে যায়। অ্যালোভেরায় মিনারেল, অ্যামিনো অ্যাসিডসহ নানা ধরণের পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। যা হাড় ও মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে।

৩। দাঁতের যত্নে - Dental care

অ্যালোভেরা জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা উপশম করে থাকে। এতে কোন ইনফেকশন থাকলে তাও দূর করে দেয়। নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার ফলে দাঁত ক্ষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব।

৪। ওজন হ্রাস করতে - To reduce weight

ওজন কমাতে অ্যালভেরা জুস বেশ কার্যকরী। ক্রনিক প্রদাহের কারণে শরীরে মেদ জমে। অ্যালোভেরা জুসের অ্যাণ্টি ইনফ্লামেনটরী উপাদান এই প্রদাহ রোধ করে ওজন হ্রাস করে থাকে। পুষ্টিবিদগণ এই সকল কারণে ডায়েট লিস্টে অ্যালোভেরা জুস রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

৫। হজমশক্তি বাড়াতে - Increase digestion

হজমশক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা জুসের জুড়ি নেই। এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে অন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া রোধ করে। যা হজমশক্তি বাড়িয়ে থাকে।

৬। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে - To prevent diabetes

অ্যালোভেরা জুস রক্তে সুগারের পরিমাণ ঠিক রাখে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে। ডায়াবেটিসের শুরুর দিকে নিয়মিত এর জুস খাওয়া গেলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। খাওয়ার আগে বা খাওয়ার পরে নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস পান করুন।

৭। ত্বকের যত্নে - Skin care

ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। এর অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।

৮। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি - Increase in immunity

অ্যালোভেরা হল অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ একটি উদ্ভিদ। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দেহের টক্সিন উপাদান দূর করে থাকে। অ্যালোভেরা জেলের জুস নিয়মিত পান করতে পারেন।এটি দেহে সাদা ব্লাড সেল গঠন করে যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।

৯। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে - To remove the smell of mouth

২০১৪ সালে এক গবেষণায় দেখা গেছে অ্যালোভেরা জেল মাউথ ওয়াশের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে ভিটামিন সি আছে যা মুখের জীবাণু দূর করে মাড়ি ফোলা, মাড়ি থেকে রক্তপাত বন্ধ করে দিয়ে থাকে। এছাড়া মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।

১০। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে - Diabetes prevention

অ্যালোভেরা রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। থাইল্যান্ডে এক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জুস রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এবং ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে থাকে।

১১। মুখের ঘা প্রতিরোধে - To prevent face blow

মুখের ঘা এবং দাঁতের পোকা রোধ করতেও অ্যালোভেরা জেল কার্যকরী। মুখের ঘায়ের স্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিতে পারেন, এটি ঘা ভাল করতে সাহায্য করে।

১২। ক্যান্সার প্রতিরোধে - To prevent cancer

নতুন গবেষণা অনুসারে অ্যালো- ইমোডিন নামক উপাদান অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে যা স্তন ক্যান্সার ছড়ানো রোধ করে থাকে। অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধেও অ্যালোভেরা জেল বেশ কার্যকরী।

১৩। ওজন কমাতে - Reduce weight

অ্যালোভেরা জেলে ম্যাগনেশিয়াম, কপার, পটাশিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম আরও অনেক মিনারেল রয়েছে যা ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে থাকে।

১৪। রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে - Helps reduce blood pressure

অ্যালোভেরার ঔষধি গুণ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তে কোলেস্টেরল ও চিনির মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সাহায্য করে।

১৫। ক্ষতিকারক পদার্থ অপসারণ করতে - To remove harmful substances

দেহে ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করলে তা অপসারণ করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা।

১৬। চর্মরোগ ও ক্ষত সারায় - Dermatitis and wound heal

অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ঔষধির কাজ করে। বিভিন্ন চর্মরোগ ও ক্ষত সারায় এটি। অনেক সময় প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এটি।

১৭। ক্লান্তি দূর করতে - To overcome fatigue

অ্যালোভেরার জুস ক্লান্তি দূর করে দেহকে সতেজ করে।

১৮।  হজম শক্তি বাড়াতে - Increase the energy of digestion

নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করলে হজম শক্তি বাড়ে। পরিপাক তন্ত্রের নানা জটিলতা সারাতেও সাহায্য করে অ্যালোভেরা।

১৯। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে - To solve constipation problems

সুষম খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

এছাড়া অ্যালোভেরা জেলে প্রায় ২০ রকম অ্যামিনো অ্যাসিড আছে যা ইনফ্লামেশন এবং ব্যাকটেরিয়া রোধ করে হজম, বুক জ্বালাপোড়া রোধ করে থাকে।

Saturday 24 June 2017

ঈদ স্পেশাল রেসিপি - Eid special recipe

** ঈদ স্পেশাল রেসিপি **

আমাদের ঈদ স্পেশাল রেসিপির ডেজার্ট পর্বটি দিয়েছেন ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ-এর ডিরেক্টর এটিএম আহমেদ হোসেন
ঈদ স্পেশাল রেসিপি - Eid special recipe

বাসবুসা

উপকরণ :সুজি ২ কাপ, ময়দা ১/৪ কাপ, চিনি ৩/৪ কাপ, বেকিং পাউডার ১/২ চা চামচ, নারিকেল কুড়ানো ১/২ কাপ, বাটার ১/২ কাপ, ডিম ২টি, ভ্যানিলা অ্যাসেন্স ২ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, কাঠবাদাম ১/২ কাপ।

সিরার জন্য :চিনি ১ ১/২ কাপ, পানি ১ ১/৪ কাপ, লেবুর রস ১ চা চামচ, গোলাপ জল ১ চা চামচ।

প্রস্তুত প্রণালি :প্রথমেই সিরা করে নিতে হবে। এরপর একটি বড় বাটিতে সুজি ময়দা, চিনি, বেকিং পাউডার ও লবণ মেশাতে হবে। এবার আরেকটি বাটিতে বাটার, ডিম ও ভ্যানিলা অ্যাসেন্স দিয়ে আরও একটি মিশ্রণ বানাতে হবে। শুকনা মিশ্রণের সঙ্গে দই, ডিম ও ভ্যানিলা অ্যাসেন্সের মিশ্রণটি মেশাতে হবে যেন একটু শক্ত হয়। এরপর বেকিং ট্রেতে আগে থেকে গরম করে রাখা ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২০ মিনিট বেক করে নিতে হবে এবং এখন ঠাণ্ডা হওয়ার পর ছুরি দিয়ে বরফির মতো করে কেটে পরিবেশন করুন মজাদার বাসবুসা।

শাহি টুকরা

উপকরণ :ক্রিম ১ লিটার, কনডেন্স মিল্ক ১টি, এলাচি গুঁড়া ১ চা চামচ, পাউরুটি ৬-৮ পিস, কিশমিশ ২ কাপ, ঘি ভাজার জন্য, কাঠবাদাম সাজানোর জন্য।

প্রস্তুত প্রণালি :একটি হাঁড়িতে দুধ ও কনডেন্স মিল্ক মিলিয়ে একটি মিশ্রণ বানাতে হবে, মিশ্রণটি অর্ধেক করতে হবে এবং ক্রমাগত নাড়তে হবে যেন লেগে না যায়। এরপর নামিয়ে এলাচি গুঁড়া দিতে হবে। একটি কড়াইতে ঘি দিয়ে তাতে পাউরুটি  পিসগুলো সোনালি রং করে ভেজে নিতে হবে এবং সঙ্গে কিশমিশগুলোও ভেজে নিতে হবে। এবার একটি ট্রেতে পাউরুটিগুলো সাজিয়ে এর উপর দুধের মিশ্রণটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং কাঠবাদাম ও কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার শাহি টুকরা।

চিজ কুনাফা

উপকরণ :লাচ্ছা সেমাই ১ প্যাকেট, বাটার ১/৪ চামচ, ক্রিম চিজ ২০০ গ্রাম, ফ্রেশ ক্রিম ১/২ কাপ, চিনি  ১/২ কাপ, ঘি ১/২ কাপ, পেস্তা ১/২ কাপ (সাজানোর জন্য), সিরার জন্য, চিনি ২ কাপ, পানি ১ কাপ, লেবুর রস ১ চা চামচ, গোলাপজল ১ চা চামচ।

প্রস্তুত প্রণালি :একটি বাটিতে লাচ্ছা সেমাই, ঘি ও ১/২ কাপ চিনি একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে ডো বানাতে হবে। এরপর ক্রিম চিজ ও ফ্রেশ ক্রিম দিয়ে বিট করে নিতে হবে। গোলাপজল দিয়ে অবশিষ্ট চিনি দিয়ে সিরা করে নিতে হবে। এরপর বেকিং ট্রেতে বাটার মেখে নিতে হবে, তারপর সেমাই ডো থেকে ২/৩ অংশ ট্রেতে বিছিয়ে দিতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে যেন লেগে না যায়। এবার বিট করে রাখা চিজ উপরে একটি লেয়ারের মতো করে দিতে হবে, এরপর ডোয়ের বাকি অংশটুকুর উপরে সুন্দর করে দিতে হবে যেন পুরোটা ঢেকে যায়।  আগে থেকে গরম করে রাখা ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২০ মিনিট বেক করে নিতে হবে। তারপর রুম-তাপমাত্রায় ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। এখন ঠাণ্ডা হওয়া কুনাফার উপর চিনির সিরা দিতে হবে এবং আরও কিছু সময় পর ছুরি দিয়ে বরফির মতো করে কেটে উপরে পেস্তা দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চিজ কুনাফা।


ঈদ স্পেশাল রেসিপি - Eid special recipe

** ঈদ স্পেশাল রেসিপি **

 ঈদের দিন আপনি চাইলে ঘরে বসেই তৈরি করতে পারেন মজাদার কিছু খাবার। যা দিয়ে অতিথি ও পরিবারের সদস্যদের তৃপ্তি মেটানোর পাশাপাশি মুগ্ধ করতে পারেন। 
ঈদ স্পেশাল রেসিপি - Eid special recipe
ঈদ স্পেশাল রেসিপি - Eid special recipe
 সেমাইয়ের জর্দা

উপকরণ :চিকন সেমাই ২০০ গ্রাম, চিনি ২০০ গ্রাম, ঘি ১/৪ কাপ, এলাচ ৪টা, দারুচিনি ২ টুকরা, লবণ ১ চিমটি, নারকেল কুড়ানো ১/২ কাপ, বাদাম কিশমিশ ১/৪ কাপ।

প্রণালি :শুকনো খোলায় সেমাই ভেঙে ভেজে নিন। এরপর ফুটন্ত পানিতে সেমাই দিয়ে ৩ মিনিট পর ছেঁকে তুলে নিন। এবার প্যানে ঘি গরম করে এলাচ, দারুচিনি, বাদাম, কিশমিশ দিন। সেমাই দিয়ে ২ মিনিট ভাজুন। এবার চিনি দিন। কুড়ানো নারকেল দিয়ে আরও কয়েক মিনিট নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। এটা ঠাণ্ডা হলে একদম ঝরঝরে হয়ে যাবে।

বিফ রেজালা

উপকরণ :গরুর মাংস ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ, আদাবাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, জিরা বাটা ১/২ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ১/২ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ৬-৭টা, টক দই ১/২ কাপ, বেরেস্তা ১/৪ কাপ, তেল ৬ চামচ, ঘি ৩ চামচ, কাজুবাদাম বাটা ২ চা চামচ, এলাচ ৩টা, দারুচিনি ১ টুকরা, জায়ফল গুঁড়া ১ চিমটি, কেওড়া জল সামান্য, চিনি ১/২ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো

প্রণালি :মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এতে আদা রসুন বাটা ও টক দই মাখিয়ে রেখে দিন। প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি লাল করে ভেজে বাকি মশলা ভুনে নিন। ভালো করে কষানো হয়ে গেলে মাংস দিয়ে দিন। লবণ দিয়ে আঁচ কমিয়ে ঢেকে দিন। বাদাম বাটা দিয়ে নেড়ে নিন। তেল বের হলে ২ কাপ গরম পানি দিন। মাংস সুসিদ্ধ হলে বাকি গরম মশলা গুঁড়া, চিনি, ঘি, কেওড়া জল দিয়ে নামিয়ে নিন।

ঘরের সাজে ঈদের আমেজ - Decorate the house in coming Eid festival

** ঘরের সাজে ঈদের আমেজ **

ঘরের সাজে ঈদের আমেজ - Decorate the house in coming Eid festival
ঘরের সাজে ঈদের আমেজ - Decorate the house in coming Eid festival
 দেখতে দেখতে ঈদ চলে এলো। ঈদে শুধু নতুন জামাকাপড় কিংবা খাওয়াদাওয়াই নয়; অনেকেই চায় ঘরের সাজে কিছুটা পরিবর্তন আনতে। এ পরিবর্তন যে দামি দামি আসবাবপত্র কেনাকাটা করে করতে হবে এমন নয়। সাধ্যের মধ্যে সম্ভব আর টুকটাক জিনিসপত্র এদিক সেদিক করে ঘরে আনা যায় ঈদের আমেজ।
উৎসবের আমেজ ধরে রাখতে ঘরের আসবাবপত্রের ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন করতে পারেন। যেমন—ডাইনিং টেবিলের কভার, বসার ঘরের কুশন কভার, সোফার কভার, দরজা-জানালার পর্দা, বিছানার চাদর, ফুলদানি ইত্যাদি। আপনার রুচি, পছন্দ আর ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী ঘরের পর্দাগুলো পাল্টে দেখুন, বদলে যাবে অন্দরের চেহারা। অন্দর মহলের পর্দা পরিবর্তনে খেয়াল রাখুন সময়, রং আর কাপড়ের দিকে। এবারের ঈদ আসছে ভ্যাপসা গরম আর এই রোদ এই বৃষ্টি মাথায় নিয়ে। সেজন্য পর্দায় রাখুন সুতি কাপড়ের হালকা রং। এতে করে আপনার চোখের স্বস্তি, শান্তি ও শীতলতা সব বজায় থাকবে।

বৈঠকখানা একটু সময় নিয়ে ভেবে সাজান। কারণ মেহমানরা এখানেই বসবেন। এখানে চমক আনতে বদলে ফেলুন কুশন কভার, পরিবর্তন করতে পারেন সোফার কভারেরও। এক্ষেত্রেও সুতি কাপড়ের হালকা রং মানিয়ে যাবে আপনার ঘরের সাজসজ্জায়। দেয়ালে টাঙান প্রাকৃতিক কোনো ছবি, পছন্দসই ওয়ালমেট, কারুকাজ করা কোনো নকশীকাঁথা অথবা এরকম কোনো ভাস্কর্য। তবে খেয়াল রাখবেন যা-ই করেন না কেন সেটা যেন আপনার রুচি আর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই হয়। ঘরের সজীবতা বজায় রাখতে রাখুন ডিভান, পছন্দসই বিভিন্ন ল্যাম্পশেড, সতেজ ফুলসহ বড় কোনো ফুলের টব। প্রাণ ভরে স্বস্তির শ্বাস নিবেন আর মনের আনন্দে হয়তো দু’লাইন গেয়েও উঠবেন নিজের অজান্তেই।

সম্ভব হলে কিছু শোপিস কিনে নিন। না হলে পুরোনোগুলোই পরিষ্কার করে জায়গা বদল করে রাখুন। ছোটখাটো এরকম রঙিন শতরঞ্জী, সুন্দর কোনো ল্যাম্পশেড বা আকর্ষণীয় কয়েকটি শোপিস আপনার ঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিবে বহুগুণ।

বাঙালির চিরচেনা খাবার ঘরটি খুব ছিমছাম অথচ পরিপাটিভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখুন এ দিনে।  ঘরে কোনো বাড়তি জিনিসপত্র না রেখে ডাইনিং রুমের একপাশে ডিনার ওয়াগনে সব থালাবাসন, চামচসহ খাবার সরঞ্জামাদি গুছিয়ে রাখুন। এতে ব্যস্ততম এদিনে যেকোনো সময় অতিথি এলে সেগুলো খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। ঘরের জায়গা অনুযায়ী খাবার টেবিলের পাশে রাখতে পারেন সুন্দর কোনো ফুলদানি আর তাতে রাখুন সজীব ফুল। যা ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি আপনার মনকে করে তুলবে ফুরফুরে।

শোবার ঘরের সাজসজ্জা পুরোপুরি নিজের মতো সাজান। কারণ এটা আপনার একান্তই নিজের কামরা। এখানে সাজাতে খেয়াল রাখুন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ার পাশাপাশি আপনার শরীর-মন দুটোই যেন স্বস্তি আর আরাম পায়। সেজন্য আপনি বেছে নিতে পারেন সুতি কাপড়ে কারুকাজ করা বিছানার চাদর। ফলে ঘরে বৈচিত্র্য আনার পাশাপাশি আপনার শরীর মন উভয়ই স্বস্তি, শান্তি আর আরাম পাবে। শোবার ঘরের খাটের পাশে বেডস্ট্যান্ডে রাখতে পারেন সিরামিকের থালার ওপর ক্রিস্টালের ফুলদানির সঙ্গে ফ্লোটিং ক্যান্ডেল।

যাদের নতুন করে ঘর সাজানোর মতো বাজেট নেই, তারাও একটু খেয়াল করে খুব সুন্দরভাবে সাজাতে গোছাতে পারেন আপনার প্রিয় আবাসনটি। এক্ষেত্রে বৈঠকখানার সোফার কভার ধুয়ে ফেলুন। সেটা সম্ভব না হলে সোফার গদি বা কর্নারগুলো ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। মেঝের কার্পেট সরিয়ে রুমে থাকা ধুলোবালি পরিষ্কার করে নিন। সম্ভব হলে কার্পেটটি রোদে শুকিয়ে নিন। কুশন কভার, পর্দা, বিছানার চাদরসহ সব আসবাবপত্র খুব সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে ঝকঝকে করে ফেলুন। ঘরের এক পাশে দাঁড়িয়ে চারদিক ভালোভাবে তাকিয়ে দেখুন আসবাবপত্র একটু এদিকে ওদিকে সরিয়ে বা রিঅ্যারেঞ্জ করতে পারেন কি না। কিছুটা নতুনত্বভাব ফিরে আসবে।

তো পর্যাপ্ত সময় হাতে আছে। আপনার সাধ আর সামর্থ্য অনুযায়ী সাজিয়ে গুছিয়ে নিন আপনার প্রিয় অন্দরমহল ঠিক আপনারই মতো করে।

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করবেন যেভাবে - How to remove black spots under the eyes

** চোখের নিচের কালো দাগ দূর করবেন যেভাবে **

 মানুষের মুখ মন্ডলে সবচেয়ে সুন্দর ও স্পর্শকাতর অঙ্গ হলো এক জোড়া চোখ। কিন্তু যদি সেই সুন্দর দুটি চোখের নিচে কালো দাগ বা আন্ডার আই ডার্ক সার্কেল দেখা দেয় তাহলে পুরো সৌন্দর্যেই ভাটা পড়ে যায়। অনেক কারণেই চোখের নিচে কালো দাগ পড়তে পারে। তার মধ্যে রাতে জেগে থাকা বা ঘুম কম হওয়া, কাজের বাড়তি চাপ, খাবারে অনিহা, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, বাধর্ক্যজনিত কারণ, রক্ত শূন্যতা, বিষন্নতা উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও কিছু শারীরিক সমস্যা যেমন-এলার্জি, শ্বাসকষ্ট, যকৃতের সমস্যা, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি কারণেও চোখের নিচে কালো দাগ হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ছোট বেলা থেকে কোনো কারণ ছাড়াই চোখের নিচে কালো দাগ দেখা যায়। 
চোখের নিচের কালো দাগ দূর করবেন যেভাবে - How to remove black spots under the eyes
চোখের নিচের কালো দাগ দূর করবেন যেভাবে

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে ওষুধের চেয়ে যত্ন ও কিছু নিয়ম কানুন কার্যকরী। প্রতিদিন অন্তত: সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে। দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। রোদে বাইরে বের হলে রোদ চশমা বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। প্রচুর পরিমাণে আয়রণ ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। কারো কারো অনেক দিন চশমা ব্যবহারের জন্য চোখের নিচে কালো দাগ ও ফোলা ভাব দেখা যায়। সেই ক্ষেত্রে প্রতিদিন কাজের ফাঁকে ১০ মিনিট চোখ বন্ধ করে চোখকে বিশ্রাম দিতে হবে এবং রাতে ঘুমানোর সময় উঁচু বালিশ ব্যবহার করতে হবে। মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহারের সময় যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এখন বাজারে অনেক ধরনের আন্ডার আই ডার্ক সার্কেল ক্রিম পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহারে কিছুটা ডার্ক সার্কেল হালকা হয়।

এছাড়া পিলিংয়ের মাধ্যমেও ডার্ক সার্কেল কমানো যায়। তবে চোখের নিচে কালো দাগের সমস্যা অনেক দিন হলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।

বর্ষায় পায়ের যত্নে ছত্রাক সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব - It is possible to prevent fungal infections in the care of feet

** বর্ষায় পায়ের যত্নে ছত্রাক সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব **

 বর্ষাকালে স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া, রোদ, বৃষ্টি, কাদা-পানিতে পা যতই পরিষ্কার রাখা হোক না কেন অনেকের এই সময় পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে বা পুরো পা ছত্রাক দ্বারা সংক্রমিত হয়। একে চিকিত্সা বিজ্ঞানে টিনিয়া পেডিস বা অ্যাথলেট ফুট বলা হয়। বৃষ্টির পর রাস্তায় জমে থাকা ময়লা পানি পাড়ালে, বেশিক্ষণ স্যাঁতস্যাঁতে স্থানে খালি পায়ে হাঁটলে বা কাজ করলে, বেশিক্ষণ পা ভেজা থাকলে, বেশিক্ষণ মোজা পরা থাকলে এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।
বর্ষায় পায়ের যত্নে ছত্রাক সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব - It is possible to prevent fungal infections in the care of feet
বর্ষায় পায়ের যত্নে ছত্রাক সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব

ডায়াবেটিস ও অন্যান্য কারণে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের পা ছত্রাক দ্বারা সংক্রমণ বেশি হয়। এতে পায়ে চুলকানি, জ্বালাপোড়া, ছোট ছোট ফোসকা হয় এবং পরে পায়ের তলা শুষ্ক হয়ে খোসা খোসা ত্বক উঠে আসতে পারে। ক্যানডিডা নামক ছত্রাক দ্বারা এই সংক্রমণ হয়ে থাকে। অনেক সময় আঙ্গুলের ফাঁকে সাদা স্তর দেখা যায়। পায়ের নখেও ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে নখের রং সাদা থেকে হলুদ হয়ে যায়।

এই সমস্যায় সাধারণত অ্যান্টি ফাঙ্গাল ক্রিম ও ওষুধ ব্যবহার করলেই ভাল হয়ে যায়। তবে যাদের এই সমস্যা সব সময় থাকে তাদের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললে ছত্রাক সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়। এ সময় পা সব সময় শুকনা ও পরিষ্কার রাখতে হবে। পা পানিতে ভিজলে বা ধোয়ার পর শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। খালি পায়ে না হেঁটে স্যান্ডাল ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়। তা হলে পা পরিষ্কার ও শুকনো থাকে। প্রতিদিন ধোয়া ও সুতির মোজা পড়তে হবে। পায়ের নখ যথা সম্ভব ছোট রাখতে হবে। তবে যাদের এই সমস্যা দীর্ঘ দিনের, তাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় দীর্ঘ দিন অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ওষুধ সেবন করতে হতে পারে।


নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পানের কয়েকটি উপকারিতা - There are several benefits of regular aloe vera juice

** নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পানের কয়েকটি উপকারিতা **

 অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী অতি পরিচিত একটি উদ্ভিদের নাম। বহুগুণে গুণান্বিত এই উদ্ভিদের ভেষজ গুণের শেষ নেই। এতে আছে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফলিকঅ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিনএ, বি৬ ও বি২ ইত্যাদি। অ্যালোভেরার জেল রুপচর্চা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যবহার হয়ে আসছে। অনেকেই অ্যালোভেরা জুস পান করে থাকেন। অ্যালোভেরা জুস পান করার উপকারিতা-
নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পানের কয়েকটি উপকারিতা - There are several benefits of regular aloe vera juice
নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পানের কয়েকটি উপকারিতা

১। হার্ট সুস্থ রাখতে

আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা জুস। অ্যালোভেরা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করে থাকে। এটি দীর্ঘদিন আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে।

২। মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ

অ্যালোভেরা মাংসপেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি ব্যথার স্থানে অ্যালোভেরা জেলের ক্রিম লাগালে ব্যথা কমে যায়।

৩। দাঁতের যত্নে

অ্যালোভেরা জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা উপশম করে থাকে। এতে কোন ইনফেকশন থাকলে তাও দূর করে দেয়। নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার ফলে দাঁত ক্ষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব।

৪। ওজন হ্রাস করতে

ওজন কমাতে অ্যালভেরা জুস বেশ কার্যকরী। ক্রনিক প্রদাহের কারণে শরীরে মেদ জমে। অ্যালোভেরা জুসের অ্যাণ্টি ইনফ্লামেনটরী উপাদান এই প্রদাহ রোধ করে ওজন হ্রাস করে থাকে। পুষ্টিবিদগণ এই সকল কারণে ডায়েট লিস্টে অ্যালোভেরা জুস রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

৫। হজমশক্তি বাড়াতে

হজমশক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা জুসের জুড়ি নেই। এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে অন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া রোধ করে। যা হজমশক্তি বাড়িয়ে থাকে।

৬। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে

অ্যালোভেরা জুস রক্তে সুগারের পরিমাণ ঠিক রাখে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে। ডায়াবেটিসের শুরুর দিকে নিয়মিত এর জুস খাওয়া গেলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। খাওয়ার আগে বা খাওয়ার পরে নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস পান করুন।

৭। ত্বকের যত্নে

ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। এর অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।

Thursday 22 June 2017

এলোচুলে জমকালো সাজ - Come on, hairstyles

** এলোচুলে জমকালো সাজ **

এলোচুলে জমকালো সাজ - Come on, hairstyles

এলোচুলে জমকালো সাজ

এলোমেলোতেই সৌন্দর্য, এই ধারনা বেশ আনুষ্ঠানিক ভাবেই রূপসজ্জার দুনিয়ায় জায়গা করে নিয়েছে। অযত্নে নয়, উদাসভাব থেকেও নয় বরং অনেক বেশি যত্ন নিয়ে নিজেকে এলোমেলো ভাবে সাজানোর মজার সময় এখন।

এলোমেলো এই সাজের ধারা চুলের ক্ষেত্রেই মূলত অনুসরণ করা হয়। মেসি হেয়ার স্টাইলে প্রায়দিনই স্বস্তি খোঁজা সম্ভব। খোলা চুল থেকে নিয়ে খোঁপা অবধি সবকিছুই এই এলোমেলোর মোহে আটকে গেছে তাই। খুব বেশি পরিপাটি হবার রোগ না থাকলে যেকোন দিনই মেসি হেয়ার স্টাইলের জন্য উপযোগী দিন হতে পারে।

মজাদার এই কেশবিন্যাসে সাধারনত চিরুনির ব্যবহার নিষেধ। দুনিয়া ভরা সরঞ্জাম ব্যবহার করা চলবে তবু চিরুনি নয়। কারন চিরুনি তো চুলকে সেই পরিপাটি করে দেবেই, তবে এলোমেলো হবেটা কী করে?
চুল ধুয়ে শুকনো করে মুছে নিয়ে আঙ্গুল চালিয়ে জট ভেঙ্গে নিতে হবে। আবারো মনে করে নেয়া যাক, চিরুনির দিকে নজর দেয়া চলবে না! তারপর ইচ্ছা বা প্রয়োজন অনুযায়ী হেয়ার জেল, সিরাম বা শুকোনোর জন্য ড্রায়ার ব্যবহার করা চলে। ভেজা চুলের সাজ চাইলে আধা শুকনো করেই রেখে দিতে হবে। আর নাহয় ড্রায়ার বা ফ্যানের বাতাসেই শুকোতে দিতে হবে পুরোপুরি।

এই শুকনো চুলে এবার চাইলেই বেণি বা খোঁপা হয়ে যেতে পারে। বা খোলা চুলগুলিই ছড়িয়ে থাকুক আরো এলোমেলো হয়ে। অনুষঙ্গের ব্যবহারও চলবে ইচ্ছে মতন। কারন সাধারন কোন উপলক্ষ হোক বা জমকালো অনুষ্ঠান, সব জায়গাতেই এলোমেলো কেশবিন্যাসের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কাজেই এবার বেণিতে মিষ্টি দেখতে ফুলের ব্যান্ড পরা হোক বা খোঁপায় ঝলমলে মুক্তোর কাঁটা, বেমানান হবে না কিছুই।

শত কাজের ফাঁকে একটু যত্ন - Take a little skin care within working period

** শত কাজের ফাঁকে একটু যত্ন **

শত কাজের ফাঁকে একটু যত্ন - Take a little skin care within working period

শত কাজের ফাঁকে একটু যত্ন


প্রায় সময়েই বিভিন্ন পত্র পত্রিকা কিংবা ম্যাগাজিনে, অফিসের কাজের ফাকে বিভিন্ন শারিরীক কসরত বা রুপচর্চা বিষয়ে টিপস্ দেয়া থাকে। সাদিয়ার প্রায় সময়েই মনে হয় এগুলো বুঝি পত্র পত্রিকায় শোভা পায়। নিজের জন্য করা হয়ে আর ওঠেনা। সময় কোথায়? কিন্তু একটু খেয়াল করলে দেখা যায় শত ব্যস্ততার মাঝেও কিন্তু অবসর মেলে। আর সে সময়টায় সেরে নেয়া যায় চটজলদি রুপচর্চা। এ কথা সত্যি সকাল আট টা সাড়ে আট টায় বের হওয়ার সময় নিজের বেজ মেকআপ টাও ঠিকমতো করে আসা যায় না। সেখানে অফিসে বসে রুপ সচেতনতার সময় কোথায়। আবার ট্র্যাফিক জ্যাম ঠেলে বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত অর্ধেক নেমে যায়। নেমে আসে ক্লান্তির আবসাদ। তখন আর কারোও ইচ্ছে করেনা রুপ চর্চা নিয়ে মাথা ঘামাতে। বিউটি এক্সপার্টদের মতে দিনের বড় একটা সময় যেহেতু অফিসেই কেটে যায় সে কারনে অফিসে বসেই সেরে নেয়া উচিত ত্বক ও রুপের যত্ন। এ কথাও সত্যি যে চাইলে অফিসে বসেই এক খন্ড অবসর বের করে নেয়া সম্ভব। পুরোটাই নির্ভর করছে নিজের মাইন্ড সেটআপের উপর। একবার মাইন্ড সেটআপ করে নিলে দেখা যাবে ব্যাপারটা রুটিন ওয়ার্কের মতো হয়ে গেছে। আর রুপচর্চার ব্যাপারটা যে খুব কঠিন বা সময় সাপেক্ষ তা কিন্তু নয়। খুব অল্প সময়ে নিজেকে রিফ্রেশ করে নেয়া সম্ভব। তেমনি বেশ কয়েকটি সহজ টিপস্ দেয়া হলো।

১/ সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বেসিক একটা মেকআপ সবাই করে থাকে। সেই বেজ মেকআপ ঠিক রাখতে হলে বার বার মুখে হাত দেয়া যাবে না।

২/ ঠিক তেমনি ভাবে বারবার চুলে হাত দেয়া উচিত নয়। এতে করে চুলের বাউন্সি ভাব নষ্ট হয়ে

৩/ দিনের বেশির ভাগ সময় যেহেতু এসির মধ্যে কাজ করতে হয় সেহেতু তৈলাক্ত ত্বক আরও বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। একারনে হাতের কাছে সব সময় টিস্যু রাখতে হবে। তবে ওয়েট টিস্যু কখনই নয়।

৪/ আবার অন্যদিকে শুষ্ক ত্বক আরও বেশি ড্রাই বা শুষ্ক হয়ে যায়। তাই মাঝে মধ্যেই টোনার স্প্রে করা উচিত।

৫/ কাজের ফাকে মাঝে মধ্যেই ঠোটে মশ্চারাইজ গ্লস ব্যাবহার করা উচিত। এতে ঠোট ফাটবে না।

৬/ দুপুর বেলা কিংবা বাইওে থেকে আসার পর ফেশ ওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এরপর মশ্চারাইজিং ক্রিম এবং সানস্ক্রিন ব্যাবহার করতে হবে। ইনহাউসে সানস্ক্রিনের প্রয়োজন রয়েছে।

৭/ হাত ধোয়ার পর হ্যান্ড লোশন লাগিয়ে নিতে হবে। তা না হলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যাবে।

৮/ অফিসে থাকা অবস্থায় দেড় থেকে দু লিটার পানি পান করা উচিত। এতে করে স্ক্রিন ভালো থাকবে।
৯/ কাজ গুলো হাটতে চলতেই করা যায়। খুব বেশি টেনস নেয়ার প্রয়োজন নেই। সারাদিন সতেজ থাকাই কাম্য।

শীতে রং-বেরংয়ের টুপি - Colorful hats in winter season

** শীতে রং-বেরংয়ের টুপি **

শীতে রং-বেরংয়ের টুপি - Colorful hats in winter season

শীতে রং-বেরংয়ের টুপি

এই বছর দেরিতে হলেও শীত পড়ে গিয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে গরম হয়ে উঠেছে গরম কাপড়ের বাজার। শাল, সোয়েটার কেনার পাশাপাশি মাথা ও কান হিমেল বাতাস থেকে রক্ষা করতে নানা রকম টুপির জনপ্রিয়তাও রয়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেল, রয়েছে হরেক রকমের রং-বেরংয়ের টুপি।

01. কান ঢাকা টুপি বা মাঙ্কি টুপি: আস্তিনসহ টুপিগুলো এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ছোটদের জন্য ভালুক, কার্টুনের টুপি, বড়দের জন্য একরঙা বা বিভিন্ন রঙের সংমিশ্রণের টুপিও পাওয়া যাচ্ছে।

02. মাফলার টুপি: এখন বাজারে এমন টুপিও এসেছে যার প্রান্তভাগ গলায় জড়িয়ে রাখা যাবে।

03. ক্যাপের মতো: এগুলো গেঞ্জি কাপড় থেকে মোটা উলেরও হয়ে থাকে। ছেলেমেয়ে সবার মাঝেই এই টুপির জনপ্রিয়তা রয়েছে।

04. ঝোলা টুপি: সাধারণত এইরকম টুপির পেছনের দিক একটু ঝোলানো থাকে। মেয়েদের মধ্যে এই টুপি বেশ জনপ্রিয়। রাস্তার ধুলাবালি ও শীতের আবহাওয়া থেকে অনায়াসেই চুল রক্ষা করা যায় এই টুপির জন্য।
 
কোথাও তাড়াহুড়ো করে যেতে হলে চুল বেঁধে এই টুপি পরলেও আধুনিকতার ছোঁয়া থাকবে পোশাকে। তবে রং ও টুপির কাপড় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।

বাজারে রয়েছে বাহারি টুপি। এছাড়াও পুরানো ফ্যাশনের টুপির ভেতরে মোটা উলের টুপি, একসঙ্গে মুখ ও মাথা ঢাকার টুপিও আছে বাজারে।কোন টুপিতে মানাবে বেশি? এমন প্রশ্ন মাথায় ঘুরে বেড়ায়। মুখের গড়ন ও ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে  টুপি পরলে দেখতে ভালো লাগবে। শীতের টুপি পরার ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট নিয়মাবলী নেই। তবে কিছু জিনিস মেনে চললেই সবাইকে মানানসই লাগবে।

চুল ছোট: যাদের চুল ছোট তারা সম্পূর্ণ চুল টুপির ভেতর রাখতে পারেন। অল্প বড় চুল হলে পাশ দিয়েও চুল বের করে রাখা যায়। সামনের চুল ছোট: কপালের সামনের চুল ছোট যাদের তারা চাইলেই সেটি বের করে রাখতে পারেন। চুল বেশি এলোমেলো থাকলে অনায়াসেই তা টুপির ভেতর গুজে রাখা যাবে।

সঠিক টুপি বাছাই


শীত থেকে বাঁচতে সঠিক টুপি বাছাই করাও জরুরী। রং, মাপ ও টুপির ডিজাইনের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে।

রং: এমন রং নির্বাচন করা উচিত যা সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই হবে মানানসই। যেমন কালো, খয়েরি, নীল রংয়ের যে কোনো টুপি মানিয়ে যাবে যে কোনো পোশাকের সঙ্গে। উৎসবমুখর পরিবেশে লাল, সাদা অথবা সবুজ রংয়ের টুপি পরা যেতে পারে। কারো উজ্জ্বল রং পছন্দ হলে হলুদ বা নিওন টুপিও বেছে নিতে পারেন।
মাপ: সবসময় এমন টুপি বেছে নেওয়া উচিত যা একটু ঢিলে হবে। কারণ টুপিতে ব্যবহৃত ইলাস্টিক কপালের কাছে আঁটসাঁট হয়ে থাকলে তা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি কপালে দাগ ও ফেলে দেয়।
অলঙ্করণ: সবসময় এমন টুপি বেছে নেওয়া উচিত যা পুরো শীতের কাপড়ের সঙ্গে মানানসই হবে। তবে অনেকেই চাইলে ভিন্ন ডিজাইনের টুপিও পরতে পারেন পোশাকে বৈচিত্র্য আনতে।

কোথায় পাবেন?

যাদের চুল ছোট তারা সম্পূর্ণ চুল টুপির ভেতর রাখতে পারেন। রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নুরজাহান মার্কেট, বদরুদ্দোজা মার্কেট, বঙ্গবাজার, গুলিস্তানসহ অনেক জায়গাতেই পেয়ে যাবেন এমন সব রং-বেরংয়ের বাহারি শীতের টুপি।
 
মূল্য কত?

টুপির প্রতিটির দাম ৫০ থেকে ৩শ’ টাকার ভেতর। কাপড়ের রকমভেদের উপর টুপির দাম নির্ভর করে। গেঞ্জি কাপড়ের টুপির দাম ৫০ থেকে ১শ’ টাকা।

বাজারে চায়না ও বাংলাদেশের তৈরির টুপির বাজার বেশি লক্ষ করা গেছে। চায়না থেকে আসা টুপির দাম তুলনামুলক বেশি। বাচ্চাদের বাহারি টুপির দাম সবচেয়ে বেশি।
শীতে রং-বেরংয়ের টুপি

কেন পোশাকের রঙয়ের কথা মাথায় রাখবেন - keep you mind in your dress color

** কেন পোশাকের রঙয়ের কথা মাথায় রাখবেন **

ফ্যাশনে বা স্টাইলে রঙ অনেক জরুরি বিষয়। তাই আমাদের হাল ফ্যাশনে কি ধরণের পোশাক পরছেন তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পোশাকের রঙ। একজন ব্যক্তি ফ্যাশনের ক্ষেত্রে কতটা সচেতন তা কিন্তু তার পোশাকের রঙের উপরেই নির্ভর করে। আপনার ব্যক্তিত্ব বহন করে আপনার পোশাকের রঙ। তাই জেনে নিন কোন অনুষ্ঠানে কি রঙের জামা আপনাকে বেশি মানাবে।
কেন পোশাকের রঙয়ের কথা মাথায় রাখবেন - keep you mind in your dress color
কেন পোশাকের রঙয়ের কথা মাথায় রাখবেন
১. ফ্যামিলি পার্টিতে একটু তুলনামূলক উজ্জ্বল রঙের পোশাকই আপনাকে বেশি ভাল মানাবে। গ্রীষ্ম কালে রাতে অনুষ্ঠান থাকলে হালকা রঙের পোশাক আপনারে বেশি ভাল মানাবে। এক্ষেত্রে হালকা মেরুণ, গাঢ় আকাশী, ম্যাজেন্ডা, সিলভার, বটল গ্রিন, ডিপ পিঙ্ক রঙের পোশাক এক্ষেত্রে পরতে পারেন।

২. বাইরে বেড়াতে গেলে সাধারণত সেখানে অবশ্যই বেশ কিছুদিন কাটাবেন। তাই এক্ষেত্রে একেবারে হালকা রঙের পোষাকই সবচেয়ে উপযোগী। এছাড়াও বাইরে ঘুরতে বেড়িয়ে যদি হালকা রঙের পোশাক পরেন তবে এতে আপনাকে অনেক সতেজ ও প্রাণবন্ত বলে মনে হবে।

৩. অফিস যাওয়া মানেই যাতায়ের ঝক্কি। তাই এক্ষেত্রেও হালকা রঙের পোশাকই ভাল। কারণ গরম আবহাওয়া আপনাকে বিধ্বস্ত করে তুলতে পারে৷ সেক্ষেত্রে সাদা, আকাশী, ঘিরে, হালকা গোলাপী, ইত্যাদি রঙকে বেশি প্রাধান্য দিন৷ অফিসে ফরমাল পোশাক পরতে হলেও সেক্ষেত্রেও এই রংগুলো হতে পারে আইডিয়াল।

৪. কলেজ ক্যামপাস মানেই ছাত্র ছাত্রীদের ফরমাল পোশাক পরতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যাম্পাসে সময় থাকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত। তাই হালকা রঙের পোশাক পরলে এক্ষত্রে আপনাকে যেমন মানাবে তেমনই আপনি আরামও বোধ করবেন। এক্ষেত্রে হালকা সবুজ,সাদা, ছাই, গোলাপী, ঘিরে রঙের পোশাক পড়তে পারেন৷ হালকা রঙের পোশাক পরলে গরম আবহাওয়া হলেও আপনার গরমে অস্বস্তি কম অনুভব হবে।

৫. তরুণ প্রজন্মের কাছে আড্ডা মারা মানেই একটি উৎসবের মত।  কিন্তু আড্ডা মূলত সন্ধ্যাবেলাতেই জমে। তাই সেক্ষেত্রে একটু উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরা যেতেই পারে। তবে সাদা বা ক্রিম রঙও হতে পারে আইডিয়াল। এছাড়াও তুতে, হলুদ, হালকা সবুজ, বাদামী রঙের পোশাক বেশ ভাল মানায়।


অন্যান্য টিপস:

১. গায়ের রং, উচ্চতা ও ওজনের সঙ্গে মানানসই পোশাক পরুন।

২. অনেকের থাই মোটা হতে পারে সেক্ষেত্রে টাইট সেলোয়ার না পরে পাতিয়ালা ব্যবহার করতে পারেন৷ লেগিংস এড়িয়ে চলতে পারেন।

৩. যাদের হাত মোটা তারা হাতা লং বা থ্রি কোয়ার্টার স্লিভ জামা পড়ুন। স্লিভ লেস বা ছোট হাতা একেবারেই পরবেন না।

৪. আপনার শরীরের গড়ন মোটা হলে শাড়িতে কুঁচি কম দিয়ে আঁচল বড় রাখুন। চেহারা স্লিম হলে শাড়িতে সরু করে অনেকগুলো কুঁচি দিয়ে পরুন।

৫. যারা মোটা তারা ব্লাউজের ক্ষেত্রে ছোট প্রিন্ট বা স্ট্রেট চেক কাটের থ্রি-কোয়ার্টার ব্লাউজ পরুন।

৬. যাদের কাঁধ চওড়া তারা ব্লাউজ বা চুড়িদারে ভি শেপের গলা দিতে পারেন। এতে আপনাকে বেশি মোটা বলে মনে হবে না।

Wednesday 21 June 2017

ছেলেদের ব্রণের সমস্যায় করণীয় - Due to acne problems of boys

** ছেলেদের ব্রণের সমস্যায় করণীয় **

ছেলেদের ব্রণের সমস্যায় করণীয় - Due to acne problems of boys
ছেলেদের ব্রণের সমস্যায় করণীয়
ব্রণের সমস্যায় শুধু মেয়েরাই নয়, ভুগে থাকেন পুরুষেরাও। হরমনের পরিবর্তন, ত্বকে জমে থাকা ধুলোময়লা, বংশগত কারণ, ভিটামিনের অভাব অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য পুরুষের ত্বকে ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ। সঙ্গে যোগ হয় নিজের যত্নের ব্যাপারে তাদের উদাসীনতা।

খাওয়া দাওয়ার অনিয়মের কারণেও ত্বকে ব্রণ দেখা দিতে পারে। ত্বকে অতিরিক্ত ব্রণ হলে চেহারার আসল সৌন্দর্য ঢাকা পড়ে যায়। গ্রহণযোগ্যতাও কমে আসে সবার কাছ থেকে। এসব কারণে ভুগতে পারেন হীনমন্যতায়। তাই জেনে নিতে পারেন পুরুষের ত্বক থেকে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে।

তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সংক্রমণ বেশি হয়। তাই সবসময় মুখ পরিষ্কার রাখুন। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন।

মুখে সাবান ব্যবহার না করে নমনীয় ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ভালো উপকার পাবেন।

দিনে কমপক্ষে দু’বার গোসল করুন। এতে ত্বক পরিষ্কার থাকে, ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।

ত্বকে নিয়মিত ময়দা, দুধ ও মধুর পেস্ট লাগান, ব্রণের দাগ চলে যাবে এবং ত্বক উজ্বল হবে।

বেশি তৈলাক্ত খাবার, ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে শাকসবজি বেশি খাওয়া উচিৎ। সুস্থ সুন্দর থাকতে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী খাবার আগে বাছাই করা জরুরি।

মুখে ব্রণ দেখা দিলে তা নখ দিয়ে খোঁটাখুঁটি করা একদম ঠিক নয়। এতে ত্বকে ব্রণের দাগ স্থায়ী হয়ে যায়।

পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পানের অভ্যাস রাখতে হবে। এটি দেহের অধিকাংশ রোগের হাত থেকে বাঁচাতে সক্ষম।

ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা - Aloe vera in skin care

** ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা **


ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা - Aloe vera in skin care
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা - Aloe vera in skin care
প্রায় প্রতিদিনই বাইরে যেতে হয় নানা প্রয়োজনে। কিন্তু বাইরে বেরুলেই ধূলা-বালিতে ত্বকের অবস্থা শোচনীয় হয়ে যায়। ব্যস্ততার কারণে হয়তো পার্লারে গিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সুযোগও হয়না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ত্বকের যত্নে সবচেয়ে ভাল প্রাকৃতিক উপাদান। কারণ প্রাকৃতিক উপাদানের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তাই ত্বককে সুন্দর রাখতে প্রাকৃতিক উপাদান বেশি ব্যবহার করা উচিত-

১. অ্যালোভেরা এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। এটি ত্বকের যত্নে খুবই উপকারী। ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে, মসৃণ রাখতে, দাগ মুক্ত করতে এবং ত্বকে ব্রণের উপদ্রব কমাতে অ্যালোভেরার তুলনা কম।

২. যাদের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল তারা কেমিকেল ব্যবহার না করে `নাইট ক্রিম` হিসেবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহার করতে বাড়িতেই লাগাতে পারেন অ্যালোভেরা গাছ। এতে প্রতিদিন তাজা পাতা পাওয়া নিশ্চিত হবে।

৩. অ্যালোভেরা ত্বকে লাগাতে হলে প্রথমেই মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর একটি তাজা অ্যালোভেরার ভেতরের অংশ থেকে রস সংগ্রহ করে নিন। সেই রস তুলোর সাহায্যে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন।

৪. অ্যালোভেরার রস শুকিয়ে গেলে এভাবেই ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। সারারাত অ্যালোভেরার রস ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখবে।

৫. তুলো বা সুতি কাপড় ছাড়া অন্যকিছু দিয়ে ত্বকে অ্যালোভেরা লাগানো ঠিক নয়। তাতে অ্যালার্জী হওয়ার ঝুকি তৈরি হয়।

৬. অনেক সময় ত্বকে ক্ষত দেখা দেয়। এ ধরনের ক্ষতে নির্ভয়ে ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরা। এতে ক্ষত স্থান দ্রুত মসৃন হয়।

৭. শুধু মুখের জন্য নয়, পুরো শরীরে ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরা। এক্ষেত্রে সাবধানতা হলো, অ্যালোভেরার রস ত্বকে লাগিয়ে রোদে যাওয়া যাবে না। তাতে উল্টো ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

চুলের আগার রুক্ষতা রোধে হেয়ার নারেশিং বাম - Hare Naresh left to prevent hair agitation

** চুলের আগার রুক্ষতা রোধে হেয়ার নারেশিং বাম **

চুলের আগার রুক্ষতা রোধে হেয়ার নারেশিং বাম - Hare Naresh left to prevent hair agitation
চুলের আগায় রুক্ষতা! আঁচড়াতে গেলে এই আগায় এসে সব যেন আটকে যায়। এই জট ছাড়াতে গিয়ে কত চুল যে ছিঁড়ে যায় তার হিসেব নেই। কিন্তু কেন এমন হয়? প্রশ্ন আসে এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কি আছে?

অনেক বেশি নিম্নমানের কমার্শিয়াল হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের কারণে এবং অপুষ্টিকর খাবার খাওয়ার কারণে চুল দুর্বল হয়ে পরার সাথে সাথে আগায় রুক্ষতা চলে আসে। এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে আমরা আগা ছেঁটে নেয়াকে একমাত্র উপায় মনে করি। কিন্তু চুলের আগা না কেটেও যে এই রুক্ষতা কমানো সম্ভব তা মাথাতেই আসে না।

পরিত্রাণের উপায় না থাকলেও এই রুক্ষতায় লাগাম দেয়ার উপায় আছে! আগার রুক্ষতা রোধে আজ হেয়ার নারেশিং বামের একটি রেসিপি দেয়া হল। নিচে উল্লেক্ষিত কিছু উপাদান যোগার করে আজই তৈরি করে ফেলুন সুপার নারেশিং হেয়ার বাম। নিয়মিত চুলের রুক্ষ আগায় লাগান। তবে অবশ্যই চুল পরিষ্কার অবস্থায় লাগাবেন।

যা যা লাগবে

    ৬০ গ্রাম শেই বাটার
    ৩০ গ্রাম কোকো বাটার
    ৩০ গ্রাম নারকেল তেল
    ২০জজবা অয়েল
    ২০গ্রাম ক্যামেলিয়া সিড অয়েল
    ৩ গ্রাম ক্যাস্টর অয়েল
    ১২ গ্রাম আখরোট তেল
    ২২ গ্রাম প্রাকৃতিক মোম
    ১ গ্রাম ভিটামিন ই
    ল্যাভেন্ডার, লেমনগ্রাস এবং রোজমেরী এসেনশিয়াল অয়েল (৩:২:১ অনুপাতে)

এই উপাদানগুলো যেকোনো  মেগাশপে পেয়ে যাবেন।

যেভাবে তৈরি করবেন

    একটি প্যানে এসেনশিয়াল অয়েল বাদে সব উপকরণ নিয়ে চুলায় দিন। চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন।  একটি চামচ দিয়ে উপকরণগুলো নাড়তে থাকুন। সব উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
    কাচ বা টিনের কৌটায় ঢেলে রাখার আগে এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন।  এবার গরম গরম মিশ্রণটিকে সেট হবার জন্য রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। এবার আপনার নিজের হাতে তৈরি করা হেয়ার বাম তৈরি ব্যবহার করার জন্য।

ব্যবহার করবেন যেভাবে

– আপনার চুলের আগা খুব বেশি রুক্ষ হলে প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া সপ্তাহে ৩/৪ দিন লাগাতে পারেন।

– অল্প পরিমাণে হেয়ার বাম আঙ্গুলে নিন। তারপর দুই হাতে দুই আঙ্গুলে মেখে নিইয়ে আস্তে আস্তে চেপে চেপে চুলের আগায় লাগিয়ে নিবেন।

– হালকা ভেজা চুলে হেয়ার বাম লাগালে খুব তাড়াতাড়ি চুল শুষে নিবে।  চুলে অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব থাকবে না।যদি চুলে তেল চিটচিটে হয়ে যায় তবে বুঝতে হবে আপনি বেশি পরিমাণে বাম চুলে লাগিয়ে ফেলেছেন।

মনে রাখবে বাড়িতে তৈরি এই হেয়ার নারেশিং বাম ১ মাস রেখে ব্যবহার করতে পারবেন।নিয়মিত ব্যবহারে চুলের আগায় রুক্ষতা ১০০ ভাগ দূর হবে এমন নয়। তবে চুলের আগায় আগের থেকে কোমলতা আসবে। সবাই সুস্থ এবং সুন্দর থাকুন। ধন্যবাদ।

কোঁকড়া ফ্রিজি চুলকে সোজা আর সিল্কি করুন ন্যাচারাল উপায়ে - Straighten the curly fridge and straighten the hair in a natural way

** কোঁকড়া ফ্রিজি চুলকে সোজা আর সিল্কি করুন ন্যাচারাল উপায়ে **

 আমরা আধুনিক যুগের মেয়েরা খুব ভালোভাবেই জানি চুলের জন্য ফ্ল্যাট আয়রন বা কার্লারের হিট কতটা ক্ষতিকর। কিন্তু তারপরও ফ্ল্যাট আয়রনটা যেন আমাদের চুম্বকের মত টানে। আর আমরা চুলে আয়রন ব্যবহার করতে করতে চুল ড্রাই, ফ্রিজি করে চুলের স্বাস্থ্যের বারটা বাজিয়ে তারপরই যেন শান্তি পাই।
চলুন আজ জেনে নিই কীভাবে কোন ধরনের হিট বা ড্যামেজ ছাড়াই রেগুলার চর্চার মাধ্যমে আপনি আপনার ঢেউ খেলানো চুলগুলোকে একটু straight আর silky করতে পারেন। এখানে কিছু কিছু ন্যাচারাল উপায় দেয়া হলো।
কোঁকড়া ফ্রিজি চুলকে সোজা আর সিল্কি করুন ন্যাচারাল উপায়ে - Straighten the curly fridge and straighten the hair in a natural way

কোঁকড়া ফ্রিজি চুলকে সোজা আর সিল্কি করুন ন্যাচারাল উপায়

০১ মিল্ক স্প্রেঃ

একটা কুসংস্কার আমাদের দেশে প্রচলিত আছে যে দুধ চুলে মাখলে চুল নাকি পেকে যায়। আপনাদের অবগতির জন্য বলছি এটা একেবারেই মিথ্যা আর ভিত্তিহীন। আপনারা জানেন পাঞ্জাবের নারী পুরুষ অতিরিক্ত রুক্ষ চুল থেকে মুক্তি পেতে খাঁটি দুধ আর ঘি মাথায় দেয়? দুধ চুলের জন্য খুবই পুষ্টিকর আর ভালোমানের কন্ডিশনার। এর রেগুলার ব্যবহার চুলের রুক্ষতা দূর করে, ফ্রিজি ভাব কমায় আর আস্তে আস্তে চুলের ঢেউ কমিয়ে আনে।

কী কী লাগবে-

-এক কাপ দুধ (কাঁচা বা ফুটানো)
-এক কাপ পানি
-একটি স্প্রে বোতল (নিউমার্কেট বা গাউসিয়াতে পেয়ে যাবেন)

কী করবেন?

-দুধ আর পানি, স্প্রে বোতলের ভেতরে ঢালুন তারপর ঝাঁকিয়ে মেশান।
-পুরো চুলে স্প্রে করুন, চুলে মিশ্রণটি দুই ঘণ্টা রাখুন।
-মাইলড শ্যাম্পু দিয়ে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন।

০২ নারিকেলের দুধের স্প্রেঃ

আমরা সবাই জানি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য নারিকেল তেল কতটা ভালো। কিন্তু জানেন কি? নারিকেলের দুধে আছে তেলের থেকেও অনেক বেশি পুষ্টি। এটা চুলের জন্য খুবই ভালো কন্ডিশনার স্পেশালি যাদের চুল অনেক লম্বা, রুক্ষ-শুষ্ক আর ফ্রিজি।

কী কী লাগবেঃ

-এক কাপ ফ্রেশ নারিকেলের দুধ
নারিকেল পিষে বা ব্লেন্ডারে দিয়ে পিষে তারপর পেষা নারিকেল ছাঁকুনি দিয়ে ছেঁকে নিলেই পেয়ে যাবেন একদম তাজা নারিকেলের দুধ।

কী করবেন?

নারিকেলের ঘন দুধ পুরো চুলে লাগান। ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিন। মাইলড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নারিকেলের দুধের সাথে হালকা একটু লেবুর রস মিশিয়ে রেখে দিলে পেয়ে যাবেন নারিকেলের ক্রিম। এই ক্রিম শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করলে খুবই ভালো ফল পাবেন।

০৩ কলা আর অলিভ অয়েলের হেয়ার মাস্কঃ

কলা আর অলিভ অয়েল দুটোই চুলে আর্দ্রতা আর পুষ্টি যোগায়। নিয়মিত ব্যবহারে এই মাস্ক কোঁকড়া চুলের কার্ল হালকা করারও ক্ষমতা রাখে।

কী কী লাগবে-

-দুটো পাকা কলা
-দুই চা চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল

কী করবেন?

-একটা বাটিতে কলা আর অলিভ অয়েল মিশিয়ে স্মুথ পেস্ট তৈরি করুন।
-পুরো চুলে মিশ্রণটি লাগিয়ে একটা শাওয়ার ক্যাপ পরে ফেলুন।
– ২-৩ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন।

০৪ ক্যাস্টর অয়েলঃ

জি হ্যাঁ, ক্যাস্টর অয়েল পারে কোঁকড়া চুলকে সিল্কি আর সোজা করতে।

কী কী লাগবে-

শুধু আপনার চুলের লেংথ অনুযায়ী খাঁটি ক্যাস্টর অয়েল( অন্য কোন তেলে মিশাবেন না)

কী করবেন?

ক্যাস্টর অয়েল হালকা গরম করে চুলে আর স্ক্যাল্পে লাগান। ২-৩ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুধু ক্যাস্টর অয়েল একবার ধুলে চুল থেকে নাও যেতে পারে। সেক্ষেত্রে নিজের প্রয়োজন বুঝে শ্যাম্পু করুন।
এই রেসিপি গুলোই আমি আজ পর্যন্ত ব্যবহার করছি এবং বলাই বাহুল্য বেশ ভালো ফল পেয়েছি। আমার জন্য সবচেয়ে ভালো কাজ করে নারিকেল দুধ আর নরমাল দুধ। আমি বলব না এই উপায়গুলো আপনার চুল একদম রিবনডিঙ ট্রিটমেন্টের মত পিন পয়েন্ট সোজা করে দেবে। কিন্তু চুলের ফ্রিজি ভাব কমিয়ে চুলের ঢেউ গুলো দূর করতে এই কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট গুলোর আসলেই জুরি মেলা ভার।

শীতকালে চুলে শ্যাম্পু করার সঠিক উপায় - The right way to shampoo hair in winter

** শীতকালে চুলে শ্যাম্পু করার সঠিক উপায় **

শীতকালে চুলে শ্যাম্পু করার সঠিক উপায় - The right way to shampoo hair in winter
শীতকালে চুলে শ্যাম্পু করার সঠিক উপায়
 এই শীতে অনেকেই ঝামেলায় পড়েন চুল ধোয়া নিয়ে। ঠান্ডায় রোজ চুল ধোয়াটা বেশ বিরক্তিকর। এই আবহাওয়ায় চুল নিষ্প্রাণও হয়ে পড়ে অনেকের। অাবার এমনটাও দেখা যায় যে তৈলাক্ত চুলে হয়তো কারও মানিয়ে যাচ্ছে বিশেষ কোনো ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু, আরেকজনের তৈলাক্ত চুলে সেই শ্যাম্পুটি ব্যবহারে কাজ হচ্ছে উল্টো। শুষ্ক চুলের বেলায়ও এমনটা দেখা যায়। আসলে চুলের ধরনের ওপর নয়, শ্যাম্পু কোনটা ব্যবহার করবেন, তা নির্ভর করে মাথার তালুর ত্বকের ওপর—এমনটাই জানালেন রূপবিশেষজ্ঞরা ।

মাথার ত্বক যাদের তৈলাক্ত, তাঁদের তেলবিহীন এবং কন্ডিশনারের মাত্রা কম—এমন শ্যাম্পু বেছে নিতে হবে। এখন বাজারে বিভিন্ন ধরনের ভেষজ শ্যাম্পু পাওয়া যায়। এই ধরনের শ্যাম্পুতে যদি লেবু আর আমলকীর মতো উপাদান থাকে, তাহলে তা তৈলাক্ত চুলের উপযোগী বলে জানালেন এই রূপবিশেষজ্ঞ। এদিকে শুষ্ক চুল যাঁদের, তাঁরা শ্যাম্পু কেনার সময় তাতে কন্ডিশনার ও শ্যাম্পুর পরিমাণটা সমান আছে কি না, তা দেখে নিন। এত কিছু দেখে শ্যাম্পু কেনার পরও যদি তা চুলের সঙ্গে না মানায়, তাহলে শ্যাম্পুর ব্র্যান্ড পরিবর্তন করেন অনেকেই। তবে, শ্যাম্পুর ব্র্যান্ডটা যা-ই হোক না কেন, নিয়মিত ব্যবহারের পর চুলের সঙ্গে তা মানিয়ে নিতে ১৫ দিন থেকে এক মাস সময় লাগে।

শীতেও নিয়মিত চুল ধোয়া চাই। চুল পরিষ্কার করার সময় আরও কিছু বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দিলেন রূপবিশেষজ্ঞরা। শ্যাম্পু করার আগে চুলগুলো হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে নিন। এরপর হাতের তালুতে একটু শ্যাম্পু নিয়ে তার চেয়ে একটু বেশি পরিমাণে পানি মিশিয়ে নিন। এবার শ্যাম্পুর মিশ্রণটা আলতো করে মাথার তালুতে লাগান। অনেকেই মাথার ত্বক আঙুল দিয়ে জোরে জোরে ঘষে পরিষ্কার করে থাকেন। এতে চুল পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

মাথার তালুর পর পুরো চুলে শ্যাম্পুর ফেনা তৈরি করে ভালো করে হাত দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। তেল দিয়ে শ্যাম্পু করার সময় অনেকের চুল থেকেই তৈলাক্ত ভাবটা দূর হতে চায় না। এ সময় চুলে শ্যাম্পু লাগিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিলেই দূর হবে চুলের তৈলাক্ত ভাব।

চুল ধোয়ার পর আলতো করে তোয়ালেতে মুছে নিন চুলটাকে আরও ঝলমলে দেখানোর জন্য অনেকেই দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকেন। তবে বারবার মাথার তালুতে শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই ভালো। এ ছাড়া প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহারে যাঁদের চুল কিছুটা রুক্ষ হয়ে যায়, তাঁরা শ্যাম্পু করার পর চায়ের লিকার কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

জেঁকে বসেছে শীত। এই সময়টায় হয়তো প্রতিদিন চুল ভেজানো বা গোসল করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর এতে বেশ নেতিয়ে পড়ে চুলটা। এই সমস্যার সমাধানে যেদিন গোসল করবেন, সেদিন চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করুন। এরপর শ্যাম্পু করে শেষে কন্ডিশনার হিসেবে ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। শীতের সময় চুলের খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুলকে ঝলমলে করতেও সাহায্য করে ভিনেগার।

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে? - Improve baby mental growth

বাচ্চার মেধাশক্তি বাড়াবেন কিভাবে? মা-বাবা হিসাবে আপনি তো নিশ্চয় চান যে পড়াশোনায় আপনার বাচ্চা দারুণ কিছু করুক। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছ...